মনজুরুল ইসলাম ঢাকা
তৃতীয় টার্মিনাল বদলে দেবে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বাড়বে উড়োজাহাজ ওঠা–নামা। বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়বে আড়াই গুণ। বছরে যাত্রী চলাচল ৮০ লাখ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে দুই কোটি ২০ লাখে। হয়ে উঠবে ব্যস্ত বিমানবন্দর। বাড়াবে আয়। এমনটাই আশা করছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
বেবিচক বলছে, আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন করা হবে। পুরো চালু হবে ২০২৪ সালে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) এই টার্মিনাল পরিচালনা ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব জাপানকে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ৭০ শতাংশ অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্থপতি রোহানি বাহারিনের করা নকশায় তৃতীয় টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করছে জাপানের মিত্সুবিশি ও ফুজিটা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং, যার নাম দেওয়া হয়েছে এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম।
বেবিচকের সূত্র জানায়, বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দরে দুটি টার্মিনালে জায়গা রয়েছে এক লাখ বর্গমিটারের কিছু বেশি। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে এর সঙ্গে যুক্ত হবে আরও দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার স্থান। তিনতলা টার্মিনাল ভবনে থাকবে ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৪টি ডিপারচার ও ৬৪টি অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ডেস্ক। নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকবে ২৭টি ব্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, ৪০টি স্ক্যানিং মেশিন, ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ, ১৬টি ক্যারোসেল ও ১১টি বডি স্ক্যানার।
তৃতীয় টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্কিং করা যাবে। রানওয়েতে উড়োজাহাজের অপেক্ষা কমাতে নির্মাণ করা হয়েছে দুটি হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ে। পণ্য আমদানি ও রপ্তানির জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি ভবন। একসঙ্গে এক হাজার ৩৫০টি গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য তিনতলা ভবনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। তৃতীয় টার্মিনালের মোট ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজের মধ্যে প্রথম ধাপে চালু হবে ১২টি। বর্হিগমনের জন্য মোট ১১৫টি চেক–ইন কাউন্টারের মধ্যে ১৫টি থাকবে সেলফ সার্ভিস চেক–ইন কাউন্টার। ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারও থাকবে।
গতকাল বুধবার নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন বেসামরিক বিমান চলাচল প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। পরে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল আগামী অক্টোবর থেকে চালু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের প্রায় ৮২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে পুরোদমে চালু হতে আরও ছয় মাস লাগবে। ইমিগ্রেশন, বোর্ডি ব্রিজ, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংসহ ভেতরে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজও সমানতালে চলছে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তৃতীয় টার্মিনাল ভবনকে মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযোগ করতে পাতালপথ ও উড়ালসড়ক নির্মাণ করা হবে। স্বতন্ত্র কোনো ভিভিআইপি টার্মিনাল না থাকলেও টার্মিনাল ভবনের দক্ষিণ পাশে সর্বাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন জায়গা থাকবে।
বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দরে দেশি-বিদেশি ৩৬টি এয়ারলাইনস প্রতিদিন গড়ে ১৫০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তৃতীয় টার্মিনালকে ঘিরে ফ্লাইট বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ দেশিয় বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলো। আগ্রহ দেখাচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোও। গরুডা, কোরিয়ান, ইরান, ইরাকি, ইউজ, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজসহ ১৫টি এয়ারলাইনস ফ্লাইট কার্যক্রমে আসতে চায়। সম্প্রতি ব্রুনাই ও মরিশাসের সঙ্গে বিমান চলাচল চুক্তি হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টিও চূড়ান্ত। চুক্তি হতে যাচ্ছে ইথিওপিয়ার সঙ্গে। চুক্তি প্রক্রিয়ায় রয়েছে সাইপ্রাস, লেবাননসহ কয়েকটি দেশ।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল পুরো চালু হলে দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো কার্যক্রম বাড়াবে। এতে আকাশপথে যাত্রীদের আরও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হবে, রাজস্ব আয়ও বাড়বে। যাত্রী সেবার মান বাড়াতে সরকার তৃতীয় টার্মিনালের পরিচালনা ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব জাপানকে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পিপিপির ভিত্তিতে তাদের কাজ দেওয়া হবে।
তৃতীয় টার্মিনাল বদলে দেবে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বাড়বে উড়োজাহাজ ওঠা–নামা। বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়বে আড়াই গুণ। বছরে যাত্রী চলাচল ৮০ লাখ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে দুই কোটি ২০ লাখে। হয়ে উঠবে ব্যস্ত বিমানবন্দর। বাড়াবে আয়। এমনটাই আশা করছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
বেবিচক বলছে, আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন করা হবে। পুরো চালু হবে ২০২৪ সালে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) এই টার্মিনাল পরিচালনা ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব জাপানকে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ৭০ শতাংশ অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্থপতি রোহানি বাহারিনের করা নকশায় তৃতীয় টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করছে জাপানের মিত্সুবিশি ও ফুজিটা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং, যার নাম দেওয়া হয়েছে এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম।
বেবিচকের সূত্র জানায়, বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দরে দুটি টার্মিনালে জায়গা রয়েছে এক লাখ বর্গমিটারের কিছু বেশি। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে এর সঙ্গে যুক্ত হবে আরও দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার স্থান। তিনতলা টার্মিনাল ভবনে থাকবে ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৪টি ডিপারচার ও ৬৪টি অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ডেস্ক। নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকবে ২৭টি ব্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, ৪০টি স্ক্যানিং মেশিন, ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ, ১৬টি ক্যারোসেল ও ১১টি বডি স্ক্যানার।
তৃতীয় টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্কিং করা যাবে। রানওয়েতে উড়োজাহাজের অপেক্ষা কমাতে নির্মাণ করা হয়েছে দুটি হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ে। পণ্য আমদানি ও রপ্তানির জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি ভবন। একসঙ্গে এক হাজার ৩৫০টি গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য তিনতলা ভবনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। তৃতীয় টার্মিনালের মোট ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজের মধ্যে প্রথম ধাপে চালু হবে ১২টি। বর্হিগমনের জন্য মোট ১১৫টি চেক–ইন কাউন্টারের মধ্যে ১৫টি থাকবে সেলফ সার্ভিস চেক–ইন কাউন্টার। ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারও থাকবে।
গতকাল বুধবার নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন বেসামরিক বিমান চলাচল প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। পরে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল আগামী অক্টোবর থেকে চালু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের প্রায় ৮২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে পুরোদমে চালু হতে আরও ছয় মাস লাগবে। ইমিগ্রেশন, বোর্ডি ব্রিজ, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংসহ ভেতরে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজও সমানতালে চলছে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তৃতীয় টার্মিনাল ভবনকে মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযোগ করতে পাতালপথ ও উড়ালসড়ক নির্মাণ করা হবে। স্বতন্ত্র কোনো ভিভিআইপি টার্মিনাল না থাকলেও টার্মিনাল ভবনের দক্ষিণ পাশে সর্বাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন জায়গা থাকবে।
বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দরে দেশি-বিদেশি ৩৬টি এয়ারলাইনস প্রতিদিন গড়ে ১৫০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তৃতীয় টার্মিনালকে ঘিরে ফ্লাইট বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ দেশিয় বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলো। আগ্রহ দেখাচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোও। গরুডা, কোরিয়ান, ইরান, ইরাকি, ইউজ, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজসহ ১৫টি এয়ারলাইনস ফ্লাইট কার্যক্রমে আসতে চায়। সম্প্রতি ব্রুনাই ও মরিশাসের সঙ্গে বিমান চলাচল চুক্তি হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টিও চূড়ান্ত। চুক্তি হতে যাচ্ছে ইথিওপিয়ার সঙ্গে। চুক্তি প্রক্রিয়ায় রয়েছে সাইপ্রাস, লেবাননসহ কয়েকটি দেশ।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল পুরো চালু হলে দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো কার্যক্রম বাড়াবে। এতে আকাশপথে যাত্রীদের আরও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হবে, রাজস্ব আয়ও বাড়বে। যাত্রী সেবার মান বাড়াতে সরকার তৃতীয় টার্মিনালের পরিচালনা ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব জাপানকে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পিপিপির ভিত্তিতে তাদের কাজ দেওয়া হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪