আয় বন্ধ হওয়ায় দুর্দশা নিম্ন আয়ের মানুষের

সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
Thumbnail image

রাজধানীর বনশ্রীর মেরাদিয়া এলাকায় থাকেন জীবন মিয়া। পেশায় তিনি রংমিস্ত্রি। প্রতিদিন সকালে দৈনিক বাংলা মোড়ের ওয়াসা ভবনের সামনে কাজের সন্ধানে যান। সেখান থেকে কাজে যান, কাজ শেষে সন্ধ্যা অথবা রাতে মজুরি হাতে বাড়ি ফেরেন। ফেরার সময় রাত ও পরদিন দুপুরের বাজার করেন জীবন। তবে গত পাঁচ দিন এই স্বাভাবিক জীবনচক্র থেমে গেছে জীবন মিয়ার। কাজে যেতে না পেরে তাঁর ঘরে নেমে এসেছে চরম দুর্দশা। 

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার থেকে মূলত বন্ধ হয়ে গেছে জীবন মিয়ার মতো রাজধানীর লাখ লাখ নিম্ন আয়ের মানুষের রোজগার। আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব পরিবার সীমাহীন কষ্টে দিনাতিপাত করছে। 

রামপুরার একটি ছোট পোশাক কারখানায় দৈনিক ৪৫০ টাকায় কাপড় কাটার কাজ করেন রিতা আক্তার। তাঁর বাবা রিকশা চালান, মা বাসাবাড়িতে কাজ করেন। তবে গত চার দিন ধরে তাঁরা সবাই ঘরেই বসে আছেন। রিতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাতে যা টাকা ছিল, তা প্রথম দুই দিনেই শেষ হয়ে গেছে। বিকাশে কিছু জমানো টাকা ছিল, সেগুলো তুলতে পারি নাই। এখনো কারখানা চালু হয় নাই।’ 
রাজধানীর আফতাবনগরের একটি নির্মাণাধীন ভবনের আবাসিক শ্রমিক শরীফ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক দিন কাজ করলে ৮০০ টাকা পাই। গত তিন দিন ধরে কাজ বন্ধ, টাকাও বন্ধ।’ 

রামপুরা বাজার এলাকার বাসিন্দা ইদ্রিস মিয়া জানান, তাঁর একটি ছোট স্থায়ী পান-সিগারেটের দোকান ছিল। তিনি টানা চার দিন দোকান খুলতে পারেননি। গত সোমবার তিনি এসে দেখেন, দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত