সম্পাদকীয়
আজকের পত্রিকায় নিয়ম করেই ছাপা হচ্ছে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সাক্ষাৎকার। সোমবারের পত্রিকা হাতে নিয়ে পাঠক নিশ্চয়ই দেখেছেন তিনের পাতার সাক্ষাৎকারটি। টানা চারবার নির্বাচিত হওয়া কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এই সাক্ষাৎকারে যে কথাগুলো বলেছেন, তা মনে ধরার মতোই।
রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক হাওরাঞ্চলের মানুষ। কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম তাঁর নির্বাচনী এলাকা। এসব জায়গায় উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে চান তিনি। সে খুবই ভালো কথা। তবে তাঁর সাক্ষাৎকারটি পড়তে পড়তে যে কথাটায় চোখ আটকে যায় সেটি হচ্ছে, হাওরে পর্যটনশিল্পের বিকাশ।
হাওর—শব্দটি শুনলেই কল্পনায় আমরা সংযোগ করে নিতে পারি জল-প্রকৃতির সৌন্দর্য আর মৎস্যশিল্প। এখন তো সেখানে যাতায়াতব্যবস্থাও ভালো হয়েছে। রেজওয়ান আহাম্মদ ঠিকই বলেছেন—হাওরে যে রাস্তা-ঘাট হয়েছে তা অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। শুধু এই রাস্তা দেখার জন্য প্রতিবছর যেভাবে ভ্রমণপিপাসুরা সেখানে যাচ্ছেন, তাতে হাওরাঞ্চলে পর্যটনশিল্প বিকশিত হয়ে ওঠা খুবই সম্ভব। আর হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো রয়েছেই।
যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় হাওরে পর্যটনশিল্প গড়ে তোলা প্রাসঙ্গিক বটে। এই অঞ্চলে পর্যটনশিল্পের বিকাশ হলে নিশ্চয়ই পৃথিবীর যেকোনো দর্শনীয় স্থানের সঙ্গে তার তুলনা চলতে পারে। সেই সঙ্গে বিকশিত হতে পারে এখানকার মৎস্যশিল্পও। এ কথা স্বীকার না করে উপায় নেই যে, শহরাঞ্চলে যেসব মাছ পাওয়া যায় তা থেকে অনেক বেশি তৃপ্তিকর হাওরের মাছ।
হাওরাঞ্চলে পর্যটনশিল্প বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যে যেহেতু পরিকল্পনা চলছে, তাই কিছু বিষয় পরিকল্পনাকারীরা টুকে নিতে পারেন। যেমন সেখানে ভালো, অর্থাৎ মানসম্পন্ন পর্যটনকেন্দ্রের ব্যবস্থা করা এবং পর্যটকদের জন্য থাকা-খাওয়ার সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা। পর্যটকেরা যেন গাঁটের অতিরিক্ত পয়সা হাওরের জলে ফেলতে না পারেন, সেদিকেও নজর রাখা উচিত। আর সবচেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে, পর্যটকদের যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থানে থাকবে বলেই আশা করা যায়। রেজওয়ান আহাম্মদ তাঁর জনপ্রিয়তার ওপর ভরসা করে সে পথে হেঁটে দেখতে পারেন।
কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, হাওরে ভ্রমণের জন্য যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ার সঙ্গে সেখানে থাকা-খাওয়ার একধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই ব্যবস্থা ‘হাউস বোট’ নামে পরিচিত। এই বোট বা নৌকাগুলো পর্যটকদের নিয়ে হাওরে ভেসে বেড়ায়। এই হাউস বোটগুলোর সংখ্যা বাড়ানো গেলেও কিন্তু মন্দ হয় না।
কিশোরগঞ্জের সৌন্দর্য হাওর। এই হাওরাঞ্চলে যদি পর্যটনশিল্পকে বাড়ানো যায়, তাহলে তা শুধু পর্যটকদের মনকেই প্রশান্তি দেবে না, এখানকার অর্থনৈতিক উন্নয়নেও তা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। হাওরের অনেক কর্মহীন মানুষের জন্য তৈরি হবে নতুন কাজের জায়গা। ইতিবাচক এই পরিবর্তনে পর্যটকেরা পরিচিত হতে পারবেন হাওরাঞ্চলের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের সঙ্গেও।
শুধু বর্ষায় নয়, সারা বছরই যেন হাওরের নানা রঙের রূপ পর্যটকদের চোখে ধরা দেয়, সেই সুযোগ এবং প্রচারণাও হওয়া প্রয়োজন। তবেই না বাড়বে হাওরে পর্যটনশিল্প।
আজকের পত্রিকায় নিয়ম করেই ছাপা হচ্ছে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সাক্ষাৎকার। সোমবারের পত্রিকা হাতে নিয়ে পাঠক নিশ্চয়ই দেখেছেন তিনের পাতার সাক্ষাৎকারটি। টানা চারবার নির্বাচিত হওয়া কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এই সাক্ষাৎকারে যে কথাগুলো বলেছেন, তা মনে ধরার মতোই।
রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক হাওরাঞ্চলের মানুষ। কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম তাঁর নির্বাচনী এলাকা। এসব জায়গায় উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে চান তিনি। সে খুবই ভালো কথা। তবে তাঁর সাক্ষাৎকারটি পড়তে পড়তে যে কথাটায় চোখ আটকে যায় সেটি হচ্ছে, হাওরে পর্যটনশিল্পের বিকাশ।
হাওর—শব্দটি শুনলেই কল্পনায় আমরা সংযোগ করে নিতে পারি জল-প্রকৃতির সৌন্দর্য আর মৎস্যশিল্প। এখন তো সেখানে যাতায়াতব্যবস্থাও ভালো হয়েছে। রেজওয়ান আহাম্মদ ঠিকই বলেছেন—হাওরে যে রাস্তা-ঘাট হয়েছে তা অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। শুধু এই রাস্তা দেখার জন্য প্রতিবছর যেভাবে ভ্রমণপিপাসুরা সেখানে যাচ্ছেন, তাতে হাওরাঞ্চলে পর্যটনশিল্প বিকশিত হয়ে ওঠা খুবই সম্ভব। আর হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো রয়েছেই।
যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় হাওরে পর্যটনশিল্প গড়ে তোলা প্রাসঙ্গিক বটে। এই অঞ্চলে পর্যটনশিল্পের বিকাশ হলে নিশ্চয়ই পৃথিবীর যেকোনো দর্শনীয় স্থানের সঙ্গে তার তুলনা চলতে পারে। সেই সঙ্গে বিকশিত হতে পারে এখানকার মৎস্যশিল্পও। এ কথা স্বীকার না করে উপায় নেই যে, শহরাঞ্চলে যেসব মাছ পাওয়া যায় তা থেকে অনেক বেশি তৃপ্তিকর হাওরের মাছ।
হাওরাঞ্চলে পর্যটনশিল্প বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যে যেহেতু পরিকল্পনা চলছে, তাই কিছু বিষয় পরিকল্পনাকারীরা টুকে নিতে পারেন। যেমন সেখানে ভালো, অর্থাৎ মানসম্পন্ন পর্যটনকেন্দ্রের ব্যবস্থা করা এবং পর্যটকদের জন্য থাকা-খাওয়ার সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা। পর্যটকেরা যেন গাঁটের অতিরিক্ত পয়সা হাওরের জলে ফেলতে না পারেন, সেদিকেও নজর রাখা উচিত। আর সবচেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে, পর্যটকদের যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থানে থাকবে বলেই আশা করা যায়। রেজওয়ান আহাম্মদ তাঁর জনপ্রিয়তার ওপর ভরসা করে সে পথে হেঁটে দেখতে পারেন।
কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, হাওরে ভ্রমণের জন্য যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ার সঙ্গে সেখানে থাকা-খাওয়ার একধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই ব্যবস্থা ‘হাউস বোট’ নামে পরিচিত। এই বোট বা নৌকাগুলো পর্যটকদের নিয়ে হাওরে ভেসে বেড়ায়। এই হাউস বোটগুলোর সংখ্যা বাড়ানো গেলেও কিন্তু মন্দ হয় না।
কিশোরগঞ্জের সৌন্দর্য হাওর। এই হাওরাঞ্চলে যদি পর্যটনশিল্পকে বাড়ানো যায়, তাহলে তা শুধু পর্যটকদের মনকেই প্রশান্তি দেবে না, এখানকার অর্থনৈতিক উন্নয়নেও তা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। হাওরের অনেক কর্মহীন মানুষের জন্য তৈরি হবে নতুন কাজের জায়গা। ইতিবাচক এই পরিবর্তনে পর্যটকেরা পরিচিত হতে পারবেন হাওরাঞ্চলের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের সঙ্গেও।
শুধু বর্ষায় নয়, সারা বছরই যেন হাওরের নানা রঙের রূপ পর্যটকদের চোখে ধরা দেয়, সেই সুযোগ এবং প্রচারণাও হওয়া প্রয়োজন। তবেই না বাড়বে হাওরে পর্যটনশিল্প।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে