তরুণ চক্রবর্তী
ভারতীয় গণতন্ত্রে পরিবারতন্ত্র নতুন কিছু নয়। বামপন্থী বা বিজেপির মতো দু-একটি দল বাদ দিলে সর্বত্রই পরিবারতন্ত্রেরই দাপট। তবে সেই পারিবারিক উত্তরাধিকার নিয়ে দ্বন্দ্বও কিন্তু ভারতীয় রাজনীতির পরম্পরা হয়ে উঠেছে। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর ঘনিষ্ঠজনেরা ইন্দিরা গান্ধীর বিরাগভাজন হন। আবার ইন্দিরা গান্ধীর ঘনিষ্ঠজনের অনেকেই তাঁর পুত্র রাজীবের আমলে চলে যান রাজনৈতিক বনবাসে। যেমন প্রণব মুখার্জি। ইন্দিরার আমলে নম্বর-টু প্রণবকে রাজীব ক্ষমতায় এসে দল থেকে বের করে দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য প্রণব ফিরে আসেন স্বমহিমায়। অন্য দলেও পরিবারতন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতার হাতবদলে ঝাঁকুনি কিন্তু ভালোই অনুভূত হয়। উত্তর প্রদেশে মুলায়ম সিং যাদব থেকে তাঁর ছেলে অখিলেশের ক্ষমতার ব্যাটন হাতবদলে যেমন অনুভূত হয়েছে ঝাঁকুনি, ঠিক তেমনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে অভিষেকের উত্থানে। ম-এ মুলায়ম, মমতাও। ঠিক তেমনি অ-এ অখিলেশ, অভিষেকও। তাই পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলে যে ঝাঁকুনি শুরু হয়েছে, এটা নতুন কিছু নয়। পাওয়ার সেন্টার বদলাচ্ছে। তাই নবীন ও প্রবীণের সংঘাত অবশ্যম্ভাবী।
বিজেপি যতই কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্র নিয়ে কথা বলুক, ভারতীয় উপমহাদেশের এটাই পরম্পরা। ভারতের মানচিত্রের দিকে তাকান। কাশ্মীরে ফারুক আবদুল্লাহর ছেলে ওমর আবদুল্লাহ থেকে শুরু করে দক্ষিণে অন্ধ্র প্রদেশে ওয়াইএসআর রেড্ডির ছেলে জগমোহন, পশ্চিমে বালাসাহেব ঠাকরের ভাইপো উদ্ভব ঠাকরে থেকে পূর্বে মমতার ভাইপো অভিষেক—ছবিটা একই। তালিকা বিশাল। আঞ্চলিক দলগুলোর প্রায় সব কটিতেই দাপিয়ে চলছে পরিবারতন্ত্র। ৩১ জন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ৯ জনই হয়েছেন পারিবারিক রাজনীতি থেকে। বিরোধী দলনেতাদের মধ্যে ১১ জন এসেছেন পারিবারিক উত্তরাধিকার সূত্রে। তামিলনাডুতে জয়ললিতার মৃত্যুর পর তাঁর দল এআইএডিএমকে চরম সংকটে পড়েছিল তাঁর কোনো উত্তরাধিকার না থাকায়। বান্ধবী শশীকলাকে বসিয়েও দল বা সরকারের হাল ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে অস্তিত্বসংকটে ভুগছে এআইএডিএমকে।
কংগ্রেস রাজনীতিতে শুধু গান্ধী পরিবারই নয়, সর্বস্তরেই পারিবারিক শাসনের পরম্পরা বেশ প্রতিষ্ঠিত। সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখার্জির ছেলে অভিজিত ও মেয়ে শর্মিষ্ঠাও একই পথের অনুসারী। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গেলেও বর্তমানে মোদি সরকারের অসামরিক পরিবহনমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও একই পথের পথিক। পরিবারতন্ত্রের ধুয়ো তুলে একসময় কংগ্রেস ত্যাগ করেছিলেন মহারাষ্ট্রের বর্ষীয়ান নেতা শারদ পাওয়ার এবং মেঘালয়ের পূর্ণ অ্যাজিটক সাংমা। শারদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে পরিবারতন্ত্রের হাত ধরেই এখন জাতীয় সংসদের সদস্য। আর সাংমার ছেলে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী, মেয়ে এমপি।
উত্তর প্রদেশে বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টি (সপা)। কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র যেমন অঘোষিত ইউএসপি ইন্দিরা গান্ধীর উত্তরাধিকার, তেমনি সপা নেতা অখিলেশ বইছেন তাঁর বাবা, রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদবের। বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতীর রয়েছে দলিত নেতা কাশীরামের উত্তরাধিকার। গান্ধী পরিবারের মানেকা ও বরুণ বিজেপি শিবিরে থাকলেও তাঁরা এখন কিছুটা হলেও বিদ্রোহী হিসেবে পরিচিত। তবে উত্তর প্রদেশে এবার সবচেয়ে বেশি আলোচিত ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র ও তাঁর ছেলে আশিস। অভিযোগ, আশিস গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা করেছেন আন্দোলনরত চার কৃষককে।
ব্যবসা-বাণিজ্যের মতোই ভারতীয় রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রনির্ভর ক্ষমতার হাতবদল মোগল যুগের আগে থেকে চলে আসছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর সেটা যে বিন্দুমাত্র টোল খায়নি, রাজ্যে রাজ্যে চোখ মেললেই সেটা বোঝা যায়। কংগ্রেসের বয়স বেশি, তাই তালিকাটিও বেশ বড়। মতিলাল নেহরু থেকে জওহরলাল। তারপর ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী হয়ে প্রিয়াঙ্কা। এরপর কে হবেন, সেটা নিয়ে চিন্তায় কংগ্রেসিরা। কারণ, রাহুল বিয়ে করেননি। প্রিয়াঙ্কার অবশ্য একটি ছেলে আছে, যদিও তিনি ভদ্র। নেহরু থেকে গান্ধী, গান্ধী থেকে ভদ্র কি না, সেটা অবশ্য ভবিষ্যৎই বলবে। পরিবারতন্ত্রের বড় সুবিধা নেতা বাছতে ঝামেলা নেই। পরিবারের বাইরের লোকেরা নিজেদের মধ্যে ক্ষমতা দখলের মরিয়া চেষ্টা থেকে বিরত থাকেন।
সমস্যা হয় দু-নম্বরকে নিয়েই। পারিবারিক ক্ষমতার হাতবদলে টলে যায় দু-নম্বরের গদি। যেমন প্রণব মুখার্জির ক্ষেত্রে হয়েছিল। যেমনটা হচ্ছে এখন তৃণমূলে। ভাইপো অভিষেকের উত্থানে মমতার ঘনিষ্ঠরা অনেকেই এখন দলে তেমন গুরুত্ব পাচ্ছেন না বলে আড়ালে-আবডালে বলছেন। যেমন বিহারে লালুপ্রসাদের ছেলে তেজস্বীকে নিয়ে অভিমানী লালুর ঘনিষ্ঠদের বড় অংশ। অন্য রাজ্যেও একই ছবি। প্রজন্মগত এই বিরোধ ভারতীয় পরিবারতন্ত্রেরই অঙ্গ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান লড়াই দিয়ে। সাবেকি চালচলন নতুন প্রজন্মের অভিষেকের স্টাইলের সঙ্গে মিলছে না। করপোরেট ধাঁচে তিনি ভোটকৌশলী নিয়োগ করে বাজিমাত করতে চাইছেন। প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাকের মতো হাইটেকনির্ভর বাহিনীতেই তাঁর ভরসা। অথচ মমতার আস্থা দলের দীর্ঘদিনের সঙ্গীদের পরামর্শে। তাঁরা সবাই সাবেকি বা চিরাচরিত রাজনীতিতে অভ্যস্ত। তরুণ প্রজন্মকে মেনে নিতে সংশয় রয়েছে। প্রবীণদের রয়েছে গুরুত্ব হারানোর ভয়ও। নবীনেরা আগ্রাসী। তাঁরা অভিষেককে ঘিরে তৈরি করেছেন আলাদা ক্ষমতার কেন্দ্র। এই দুই ক্ষমতাকেন্দ্রের সংঘাত শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।
পরিবারতন্ত্রে এই সংঘাত নতুন কিছু নয়। প্রজন্মগত মানসিকতার সংঘাত। ছিল, আছে এবং থাকবেও। ফলে তৃণমূলকে নিয়ে যে গেল গেল রব তৈরির চেষ্টা হচ্ছে, সেটা এখনই বলার সময় আসেনি। অযোগ্য উত্তরাধিকারের হাতে ইতিহাসে বহু সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছে। ইতিহাস সাক্ষী। গণতন্ত্রেও বিপদ ডেকে এনেছে পরিবারতন্ত্র।
ভারতীয় গণতন্ত্রে পরিবারতন্ত্র নতুন কিছু নয়। বামপন্থী বা বিজেপির মতো দু-একটি দল বাদ দিলে সর্বত্রই পরিবারতন্ত্রেরই দাপট। তবে সেই পারিবারিক উত্তরাধিকার নিয়ে দ্বন্দ্বও কিন্তু ভারতীয় রাজনীতির পরম্পরা হয়ে উঠেছে। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর ঘনিষ্ঠজনেরা ইন্দিরা গান্ধীর বিরাগভাজন হন। আবার ইন্দিরা গান্ধীর ঘনিষ্ঠজনের অনেকেই তাঁর পুত্র রাজীবের আমলে চলে যান রাজনৈতিক বনবাসে। যেমন প্রণব মুখার্জি। ইন্দিরার আমলে নম্বর-টু প্রণবকে রাজীব ক্ষমতায় এসে দল থেকে বের করে দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য প্রণব ফিরে আসেন স্বমহিমায়। অন্য দলেও পরিবারতন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতার হাতবদলে ঝাঁকুনি কিন্তু ভালোই অনুভূত হয়। উত্তর প্রদেশে মুলায়ম সিং যাদব থেকে তাঁর ছেলে অখিলেশের ক্ষমতার ব্যাটন হাতবদলে যেমন অনুভূত হয়েছে ঝাঁকুনি, ঠিক তেমনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে অভিষেকের উত্থানে। ম-এ মুলায়ম, মমতাও। ঠিক তেমনি অ-এ অখিলেশ, অভিষেকও। তাই পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলে যে ঝাঁকুনি শুরু হয়েছে, এটা নতুন কিছু নয়। পাওয়ার সেন্টার বদলাচ্ছে। তাই নবীন ও প্রবীণের সংঘাত অবশ্যম্ভাবী।
বিজেপি যতই কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্র নিয়ে কথা বলুক, ভারতীয় উপমহাদেশের এটাই পরম্পরা। ভারতের মানচিত্রের দিকে তাকান। কাশ্মীরে ফারুক আবদুল্লাহর ছেলে ওমর আবদুল্লাহ থেকে শুরু করে দক্ষিণে অন্ধ্র প্রদেশে ওয়াইএসআর রেড্ডির ছেলে জগমোহন, পশ্চিমে বালাসাহেব ঠাকরের ভাইপো উদ্ভব ঠাকরে থেকে পূর্বে মমতার ভাইপো অভিষেক—ছবিটা একই। তালিকা বিশাল। আঞ্চলিক দলগুলোর প্রায় সব কটিতেই দাপিয়ে চলছে পরিবারতন্ত্র। ৩১ জন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ৯ জনই হয়েছেন পারিবারিক রাজনীতি থেকে। বিরোধী দলনেতাদের মধ্যে ১১ জন এসেছেন পারিবারিক উত্তরাধিকার সূত্রে। তামিলনাডুতে জয়ললিতার মৃত্যুর পর তাঁর দল এআইএডিএমকে চরম সংকটে পড়েছিল তাঁর কোনো উত্তরাধিকার না থাকায়। বান্ধবী শশীকলাকে বসিয়েও দল বা সরকারের হাল ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে অস্তিত্বসংকটে ভুগছে এআইএডিএমকে।
কংগ্রেস রাজনীতিতে শুধু গান্ধী পরিবারই নয়, সর্বস্তরেই পারিবারিক শাসনের পরম্পরা বেশ প্রতিষ্ঠিত। সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখার্জির ছেলে অভিজিত ও মেয়ে শর্মিষ্ঠাও একই পথের অনুসারী। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গেলেও বর্তমানে মোদি সরকারের অসামরিক পরিবহনমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও একই পথের পথিক। পরিবারতন্ত্রের ধুয়ো তুলে একসময় কংগ্রেস ত্যাগ করেছিলেন মহারাষ্ট্রের বর্ষীয়ান নেতা শারদ পাওয়ার এবং মেঘালয়ের পূর্ণ অ্যাজিটক সাংমা। শারদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে পরিবারতন্ত্রের হাত ধরেই এখন জাতীয় সংসদের সদস্য। আর সাংমার ছেলে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী, মেয়ে এমপি।
উত্তর প্রদেশে বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টি (সপা)। কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র যেমন অঘোষিত ইউএসপি ইন্দিরা গান্ধীর উত্তরাধিকার, তেমনি সপা নেতা অখিলেশ বইছেন তাঁর বাবা, রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদবের। বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতীর রয়েছে দলিত নেতা কাশীরামের উত্তরাধিকার। গান্ধী পরিবারের মানেকা ও বরুণ বিজেপি শিবিরে থাকলেও তাঁরা এখন কিছুটা হলেও বিদ্রোহী হিসেবে পরিচিত। তবে উত্তর প্রদেশে এবার সবচেয়ে বেশি আলোচিত ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র ও তাঁর ছেলে আশিস। অভিযোগ, আশিস গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা করেছেন আন্দোলনরত চার কৃষককে।
ব্যবসা-বাণিজ্যের মতোই ভারতীয় রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রনির্ভর ক্ষমতার হাতবদল মোগল যুগের আগে থেকে চলে আসছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর সেটা যে বিন্দুমাত্র টোল খায়নি, রাজ্যে রাজ্যে চোখ মেললেই সেটা বোঝা যায়। কংগ্রেসের বয়স বেশি, তাই তালিকাটিও বেশ বড়। মতিলাল নেহরু থেকে জওহরলাল। তারপর ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী হয়ে প্রিয়াঙ্কা। এরপর কে হবেন, সেটা নিয়ে চিন্তায় কংগ্রেসিরা। কারণ, রাহুল বিয়ে করেননি। প্রিয়াঙ্কার অবশ্য একটি ছেলে আছে, যদিও তিনি ভদ্র। নেহরু থেকে গান্ধী, গান্ধী থেকে ভদ্র কি না, সেটা অবশ্য ভবিষ্যৎই বলবে। পরিবারতন্ত্রের বড় সুবিধা নেতা বাছতে ঝামেলা নেই। পরিবারের বাইরের লোকেরা নিজেদের মধ্যে ক্ষমতা দখলের মরিয়া চেষ্টা থেকে বিরত থাকেন।
সমস্যা হয় দু-নম্বরকে নিয়েই। পারিবারিক ক্ষমতার হাতবদলে টলে যায় দু-নম্বরের গদি। যেমন প্রণব মুখার্জির ক্ষেত্রে হয়েছিল। যেমনটা হচ্ছে এখন তৃণমূলে। ভাইপো অভিষেকের উত্থানে মমতার ঘনিষ্ঠরা অনেকেই এখন দলে তেমন গুরুত্ব পাচ্ছেন না বলে আড়ালে-আবডালে বলছেন। যেমন বিহারে লালুপ্রসাদের ছেলে তেজস্বীকে নিয়ে অভিমানী লালুর ঘনিষ্ঠদের বড় অংশ। অন্য রাজ্যেও একই ছবি। প্রজন্মগত এই বিরোধ ভারতীয় পরিবারতন্ত্রেরই অঙ্গ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান লড়াই দিয়ে। সাবেকি চালচলন নতুন প্রজন্মের অভিষেকের স্টাইলের সঙ্গে মিলছে না। করপোরেট ধাঁচে তিনি ভোটকৌশলী নিয়োগ করে বাজিমাত করতে চাইছেন। প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাকের মতো হাইটেকনির্ভর বাহিনীতেই তাঁর ভরসা। অথচ মমতার আস্থা দলের দীর্ঘদিনের সঙ্গীদের পরামর্শে। তাঁরা সবাই সাবেকি বা চিরাচরিত রাজনীতিতে অভ্যস্ত। তরুণ প্রজন্মকে মেনে নিতে সংশয় রয়েছে। প্রবীণদের রয়েছে গুরুত্ব হারানোর ভয়ও। নবীনেরা আগ্রাসী। তাঁরা অভিষেককে ঘিরে তৈরি করেছেন আলাদা ক্ষমতার কেন্দ্র। এই দুই ক্ষমতাকেন্দ্রের সংঘাত শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।
পরিবারতন্ত্রে এই সংঘাত নতুন কিছু নয়। প্রজন্মগত মানসিকতার সংঘাত। ছিল, আছে এবং থাকবেও। ফলে তৃণমূলকে নিয়ে যে গেল গেল রব তৈরির চেষ্টা হচ্ছে, সেটা এখনই বলার সময় আসেনি। অযোগ্য উত্তরাধিকারের হাতে ইতিহাসে বহু সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছে। ইতিহাস সাক্ষী। গণতন্ত্রেও বিপদ ডেকে এনেছে পরিবারতন্ত্র।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে