আসাদুজ্জামান রিপন, নরসিংদী
প্রতিষ্ঠার ৩৪ বছরেও পূর্ণতা পায়নি নরসিংদীর বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) শিল্পনগরী। উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগার পাশাপাশি নানা সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এই নগরী বেহাল।
উদ্যোক্তারা বলছেন, বিসিকে বিদ্যুৎ ও গ্যাস-সংযোগ, রাস্তা, নালা ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা নেই। এতে তাঁরা ভোগান্তিতে রয়েছেন। অনুকূল পরিবেশ না থাকায় আগ্রহ হারাচ্ছেন ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তারা। তবে বিসিক কর্তৃপক্ষ বলছে, চলমান উন্নয়নকাজ শেষ হলে এসব সমস্যার সমাধান হবে।
বিসিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিসিক শিল্পের অধিকতর প্রসারের জন্য এবং সরকারি সহায়তায় উদ্যোক্তা তৈরির জন্য কাজ করে। জেলার শিবপুরের কারারচরে ১৯৮৬ সালে ১৫ দশমিক ৩৯ একর জমিতে গড়ে তোলা হয় বিসিক। বিসিকে ৯৫টি প্লটের সব কটি বরাদ্দ থাকলেও চালু রয়েছে মাত্র ৩৫টি শিল্প ইউনিট। এর মধ্যে ৫টি ব্যাংক ডিফল্ডার, ৪টি রুগ্ণ এবং ব্যক্তিগত কারণে ২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে চালু কারখানার সংখ্যা মাত্র ২৪, যাদের উৎপাদিত ৮০ ভাগ পণ্যই রপ্তানি হয় বিদেশে।
বিসিকের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নানা সমস্যার কারণে এখানে গড়ে উঠছে না নতুন শিল্প। প্রতিষ্ঠার ৩৪ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই শিল্পনগরীতে। বর্জ্য শোধনাগার ও সীমানাপ্রাচীর না থাকা, অনুন্নত নালা ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি নানা কারণে অনেক বিনিয়োগকারীই এখানে ব্যবসা পরিচালনায় আগ্রহ হারাচ্ছেন। কাজের পাশাপাশি বিদেশি বায়ারদের সুষ্ঠু কর্মের পরিবেশ নিশ্চিত করতে অনেক প্রতিষ্ঠানই অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে কারখানা। তবে সম্প্রতি বিসিকের নানামুখী উন্নয়নকাজ বাস্তবায়িত হলে সমস্যার সমাধান হবে বলেও আশাবাদ উদ্যোক্তাদের।
বিসিকের রাভিয়ান টেক্সটাইল বাংলাদেশ লিমিটেডের ডিজিএম কামাল হোসেন বলেন, বিসিকের নিরাপত্তাবেষ্টনী (দেয়াল) না থাকাসহ রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ সমস্যার কারণে উদ্যোক্তারা ভোগান্তিতে রয়েছেন। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে এমন প্রত্যাশা নিয়েই উদ্যোক্তারা বাইরে শিল্পপ্রতিষ্ঠান না করে বিসিকে করেন। কিন্তু এখানে অনেক সুবিধাই নেই। দ্রুত নগরীর রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ও সীমানাদেয়াল নির্মাণকাজ শেষ হলে বিসিকের পরিবেশ উন্নত হবে।
ল্যুপ ইন্ডাস্ট্রিজের এজিএম সুব্রত সাহা বলেন, বিসিকে উদ্যোক্তা ও শিল্পকারখানা বাড়াতে হলে চাহিদানুযায়ী বিদ্যুৎ ও গ্যাস-সংযোগ, রাস্তা, ড্রেন, নিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এসব সুযোগ-সুবিধার অনেক কিছুই এখানে নেই। এতে উদ্যোক্তাদের নানামুখী সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
বিসিক নরসিংদীর শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, বিসিকের রাস্তা, ড্রেন, নিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। নগরীর চারপাশে নিরাপত্তা দেয়াল না থাকায় বহিরাগতদের প্রবেশসহ গরু, ছাগল চরানো এবং এলোপাতাড়ি গাড়ি চলাচলে বিশৃঙ্খল পরিবেশ বিরাজ করে। এ ছাড়া বরাদ্দকৃত জমি চাহিদার তুলনায় কম। কম জমিতে আধুনিক কারখানা গড়ে তোলা কঠিন। কারখানায় খালি জায়গা রাখাসহ ইটিপি নির্মাণ করা, গোডাউন করা, পার্কিং রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা প্রয়োজন।
নরসিংদী বিসিকের কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, নালা ব্যবস্থাসহ বিসিকের চলমান সব উন্নয়নকাজ শেষ হলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সম্প্রসারণে জেলায় বিভিন্ন বিষয়ের ৮টি ট্রেড চালু রয়েছে। এ ছাড়া শিল্পনগরীর সম্প্রসারণে একই উপজেলার সৈয়দনগরে ৩০ একর জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে আধুনিক সুবিধাসমৃদ্ধ বিসিক শিল্পনগরী ২। সেখানে নতুন ১৬৮টি প্লটের বিপরীতে ১৫০টি শিল্পকারখানা স্থাপনের সুযোগ তৈরি হবে।
প্রতিষ্ঠার ৩৪ বছরেও পূর্ণতা পায়নি নরসিংদীর বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) শিল্পনগরী। উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগার পাশাপাশি নানা সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এই নগরী বেহাল।
উদ্যোক্তারা বলছেন, বিসিকে বিদ্যুৎ ও গ্যাস-সংযোগ, রাস্তা, নালা ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা নেই। এতে তাঁরা ভোগান্তিতে রয়েছেন। অনুকূল পরিবেশ না থাকায় আগ্রহ হারাচ্ছেন ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তারা। তবে বিসিক কর্তৃপক্ষ বলছে, চলমান উন্নয়নকাজ শেষ হলে এসব সমস্যার সমাধান হবে।
বিসিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিসিক শিল্পের অধিকতর প্রসারের জন্য এবং সরকারি সহায়তায় উদ্যোক্তা তৈরির জন্য কাজ করে। জেলার শিবপুরের কারারচরে ১৯৮৬ সালে ১৫ দশমিক ৩৯ একর জমিতে গড়ে তোলা হয় বিসিক। বিসিকে ৯৫টি প্লটের সব কটি বরাদ্দ থাকলেও চালু রয়েছে মাত্র ৩৫টি শিল্প ইউনিট। এর মধ্যে ৫টি ব্যাংক ডিফল্ডার, ৪টি রুগ্ণ এবং ব্যক্তিগত কারণে ২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে চালু কারখানার সংখ্যা মাত্র ২৪, যাদের উৎপাদিত ৮০ ভাগ পণ্যই রপ্তানি হয় বিদেশে।
বিসিকের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নানা সমস্যার কারণে এখানে গড়ে উঠছে না নতুন শিল্প। প্রতিষ্ঠার ৩৪ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই শিল্পনগরীতে। বর্জ্য শোধনাগার ও সীমানাপ্রাচীর না থাকা, অনুন্নত নালা ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি নানা কারণে অনেক বিনিয়োগকারীই এখানে ব্যবসা পরিচালনায় আগ্রহ হারাচ্ছেন। কাজের পাশাপাশি বিদেশি বায়ারদের সুষ্ঠু কর্মের পরিবেশ নিশ্চিত করতে অনেক প্রতিষ্ঠানই অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে কারখানা। তবে সম্প্রতি বিসিকের নানামুখী উন্নয়নকাজ বাস্তবায়িত হলে সমস্যার সমাধান হবে বলেও আশাবাদ উদ্যোক্তাদের।
বিসিকের রাভিয়ান টেক্সটাইল বাংলাদেশ লিমিটেডের ডিজিএম কামাল হোসেন বলেন, বিসিকের নিরাপত্তাবেষ্টনী (দেয়াল) না থাকাসহ রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ সমস্যার কারণে উদ্যোক্তারা ভোগান্তিতে রয়েছেন। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে এমন প্রত্যাশা নিয়েই উদ্যোক্তারা বাইরে শিল্পপ্রতিষ্ঠান না করে বিসিকে করেন। কিন্তু এখানে অনেক সুবিধাই নেই। দ্রুত নগরীর রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ও সীমানাদেয়াল নির্মাণকাজ শেষ হলে বিসিকের পরিবেশ উন্নত হবে।
ল্যুপ ইন্ডাস্ট্রিজের এজিএম সুব্রত সাহা বলেন, বিসিকে উদ্যোক্তা ও শিল্পকারখানা বাড়াতে হলে চাহিদানুযায়ী বিদ্যুৎ ও গ্যাস-সংযোগ, রাস্তা, ড্রেন, নিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এসব সুযোগ-সুবিধার অনেক কিছুই এখানে নেই। এতে উদ্যোক্তাদের নানামুখী সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
বিসিক নরসিংদীর শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, বিসিকের রাস্তা, ড্রেন, নিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। নগরীর চারপাশে নিরাপত্তা দেয়াল না থাকায় বহিরাগতদের প্রবেশসহ গরু, ছাগল চরানো এবং এলোপাতাড়ি গাড়ি চলাচলে বিশৃঙ্খল পরিবেশ বিরাজ করে। এ ছাড়া বরাদ্দকৃত জমি চাহিদার তুলনায় কম। কম জমিতে আধুনিক কারখানা গড়ে তোলা কঠিন। কারখানায় খালি জায়গা রাখাসহ ইটিপি নির্মাণ করা, গোডাউন করা, পার্কিং রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা প্রয়োজন।
নরসিংদী বিসিকের কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, নালা ব্যবস্থাসহ বিসিকের চলমান সব উন্নয়নকাজ শেষ হলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সম্প্রসারণে জেলায় বিভিন্ন বিষয়ের ৮টি ট্রেড চালু রয়েছে। এ ছাড়া শিল্পনগরীর সম্প্রসারণে একই উপজেলার সৈয়দনগরে ৩০ একর জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে আধুনিক সুবিধাসমৃদ্ধ বিসিক শিল্পনগরী ২। সেখানে নতুন ১৬৮টি প্লটের বিপরীতে ১৫০টি শিল্পকারখানা স্থাপনের সুযোগ তৈরি হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে