খান রফিক, বরিশাল
শিক্ষকদের দলাদলি, নম্বর জালিয়াতি, কোচিং বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের কারণে ঐতিহ্যবাহী বরিশাল জিলা স্কুলে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এর প্রভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। ভেঙে পড়েছে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলাব্যবস্থা।
অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম তাঁর অনুসারী শিক্ষকদের বাড়তি সুবিধা দিয়ে চাপে রাখছেন অন্যদের। এ নিয়ে শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত বুধবার রাতে শিক্ষকদের নিয়ে জরুরি সভা করেন প্রধান শিক্ষক। একাধিক শিক্ষক জানান, ওই সভায় জেলা প্রশাসক যে প্রধান শিক্ষককে তলব করেছেন, তা প্রকাশ না করার জন্য শিক্ষকদের সতর্ক করা হয়।
১৮২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বরিশাল জিলা স্কুলে বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার ছাত্র রয়েছে। এই অঞ্চলের সবচেয়ে নামী বিদ্যালয় এটি। শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্যমতে, অনেকের সঙ্গে প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। তিনি নিজের অনুসারী শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়াতে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছেন। তাঁরা অতিরিক্ত ক্লাসের নামে বিদ্যালয়ে কোচিং বাণিজ্য করছেন। আবার কেউ কেউ বাসায় কোচিং করাচ্ছেন।
অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, প্রাইভেট পড়া ছাত্রদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছেন শিক্ষকেরা। সম্প্রতি কোড নম্বরসংবলিত খাতায় অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা হয়। সেখানে বিদ্যালয়ের প্রভাতি শাখার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষক রফিকুজ্জামান তাঁর কাছে প্রাইভেট পড়া ছাত্রদের খাতার শেষে রোল নম্বর লিখে দেওয়ার পরামর্শ দেন। পরীক্ষায় এমন অনিয়মের বিষয়ে অভিভাবকেরা প্রধান শিক্ষককে বললেও কোনো ব্যবস্থা নেননি তিনি।
শামসুজ্জামান শিশির নামের এক অভিভাবক সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি এখন সবারই জানা। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে অভিভাবকেরা চিন্তিত।’
বিদ্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের টিফিনে যে টাকা ব্যয় করা হয়, তা থেকে একটি অংশ কেটে রাখে কর্তৃপক্ষ। এ টাকায় অস্থায়ী ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁরা প্রধান শিক্ষকের বাসার কাজও করতেন। এমন নিয়োগ পাওয়া কর্মচারী শিল্পী, শাম্মী ও মালা বাসায় যেতে না চাইলে তাঁদের ছাঁটাই করা হয়। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষক তাঁর কোয়ার্টারের বিদ্যুৎ বিল বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে যুক্ত করে পরিশোধ করতেন।
এদিকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক ছাত্রের কাছ থেকে আইসিটি ফি বাবদ মাসে ২০ টাকা করে আদায় করার বিধান থাকলেও এখানে নেওয়া হতো ২৪০ টাকা।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যালয়ে কিছুই হয়নি। বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে বুধবার রাতে শিক্ষকদের নিয়ে সভা করেছি। শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি থাকতেই পারে। একটি ঘরে অনেকে থাকলে মতপার্থক্য হবেই।’
প্রধান শিক্ষক জানান, তিনি বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ডিসির সঙ্গে দেখা করে সার্বিক বিষয় অবহিত করেছেন। ডিসি তাঁদের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাজ চালিয়ে যেতে এবং সতর্ক থাকতে বলেছেন।
কর্মচারী ছাঁটাই প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘তাঁরা অন্য জায়গায় বেশি বেতনে চলে গেছে। তাঁদের বাসায় নিয়ে কাজ করানোর তথ্য ঠিক নয়। আর বুধবারের সভায় শিক্ষক রফিকুজ্জামানের বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে। ওই শিক্ষক গণিতের, ছাত্ররা খাতায় চিহ্ন দিয়েছে ইংরেজিতে। নম্বর টেম্পারিংয়ের বিষয় তিনি অস্বীকার করেছেন।’
যোগাযোগ করা হলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বরিশাল অঞ্চলের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, জিলা স্কুলের বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখবেন।
এ ব্যাপারে বরিশালের এডিসি (শিক্ষা) মনদীপ ঘরাই বলেন, তিনি নানা মাধ্যমে জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছেন কিন্তু কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। এসব অভিযোগ প্রধান শিক্ষক অস্বীকার করেছেন। তবে এগুলো খতিয়ে দেখা হবে।
শিক্ষকদের দলাদলি, নম্বর জালিয়াতি, কোচিং বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের কারণে ঐতিহ্যবাহী বরিশাল জিলা স্কুলে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এর প্রভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। ভেঙে পড়েছে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলাব্যবস্থা।
অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম তাঁর অনুসারী শিক্ষকদের বাড়তি সুবিধা দিয়ে চাপে রাখছেন অন্যদের। এ নিয়ে শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত বুধবার রাতে শিক্ষকদের নিয়ে জরুরি সভা করেন প্রধান শিক্ষক। একাধিক শিক্ষক জানান, ওই সভায় জেলা প্রশাসক যে প্রধান শিক্ষককে তলব করেছেন, তা প্রকাশ না করার জন্য শিক্ষকদের সতর্ক করা হয়।
১৮২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বরিশাল জিলা স্কুলে বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার ছাত্র রয়েছে। এই অঞ্চলের সবচেয়ে নামী বিদ্যালয় এটি। শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্যমতে, অনেকের সঙ্গে প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। তিনি নিজের অনুসারী শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়াতে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছেন। তাঁরা অতিরিক্ত ক্লাসের নামে বিদ্যালয়ে কোচিং বাণিজ্য করছেন। আবার কেউ কেউ বাসায় কোচিং করাচ্ছেন।
অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, প্রাইভেট পড়া ছাত্রদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছেন শিক্ষকেরা। সম্প্রতি কোড নম্বরসংবলিত খাতায় অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা হয়। সেখানে বিদ্যালয়ের প্রভাতি শাখার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষক রফিকুজ্জামান তাঁর কাছে প্রাইভেট পড়া ছাত্রদের খাতার শেষে রোল নম্বর লিখে দেওয়ার পরামর্শ দেন। পরীক্ষায় এমন অনিয়মের বিষয়ে অভিভাবকেরা প্রধান শিক্ষককে বললেও কোনো ব্যবস্থা নেননি তিনি।
শামসুজ্জামান শিশির নামের এক অভিভাবক সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি এখন সবারই জানা। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে অভিভাবকেরা চিন্তিত।’
বিদ্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের টিফিনে যে টাকা ব্যয় করা হয়, তা থেকে একটি অংশ কেটে রাখে কর্তৃপক্ষ। এ টাকায় অস্থায়ী ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁরা প্রধান শিক্ষকের বাসার কাজও করতেন। এমন নিয়োগ পাওয়া কর্মচারী শিল্পী, শাম্মী ও মালা বাসায় যেতে না চাইলে তাঁদের ছাঁটাই করা হয়। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষক তাঁর কোয়ার্টারের বিদ্যুৎ বিল বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে যুক্ত করে পরিশোধ করতেন।
এদিকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক ছাত্রের কাছ থেকে আইসিটি ফি বাবদ মাসে ২০ টাকা করে আদায় করার বিধান থাকলেও এখানে নেওয়া হতো ২৪০ টাকা।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যালয়ে কিছুই হয়নি। বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে বুধবার রাতে শিক্ষকদের নিয়ে সভা করেছি। শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি থাকতেই পারে। একটি ঘরে অনেকে থাকলে মতপার্থক্য হবেই।’
প্রধান শিক্ষক জানান, তিনি বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ডিসির সঙ্গে দেখা করে সার্বিক বিষয় অবহিত করেছেন। ডিসি তাঁদের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাজ চালিয়ে যেতে এবং সতর্ক থাকতে বলেছেন।
কর্মচারী ছাঁটাই প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘তাঁরা অন্য জায়গায় বেশি বেতনে চলে গেছে। তাঁদের বাসায় নিয়ে কাজ করানোর তথ্য ঠিক নয়। আর বুধবারের সভায় শিক্ষক রফিকুজ্জামানের বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে। ওই শিক্ষক গণিতের, ছাত্ররা খাতায় চিহ্ন দিয়েছে ইংরেজিতে। নম্বর টেম্পারিংয়ের বিষয় তিনি অস্বীকার করেছেন।’
যোগাযোগ করা হলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বরিশাল অঞ্চলের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, জিলা স্কুলের বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখবেন।
এ ব্যাপারে বরিশালের এডিসি (শিক্ষা) মনদীপ ঘরাই বলেন, তিনি নানা মাধ্যমে জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছেন কিন্তু কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। এসব অভিযোগ প্রধান শিক্ষক অস্বীকার করেছেন। তবে এগুলো খতিয়ে দেখা হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে