Ajker Patrika

নিত্যপণ্যের দামে নাভিশ্বাস

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২১, ০৩: ৫২
নিত্যপণ্যের দামে নাভিশ্বাস

নরসিংদীর রায়পুরায় বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। চাল, ডাল, তেল, চিনি, মাংস, শাক সবজি সবকিছুর দাম বেড়েছে। নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্য ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের। আর মধ্যবিত্তদের আয়ের সঙ্গে ভারসাম্য রাখতে গিয়ে কাটছাঁট করতে হচ্ছে প্রতিদিনের বাজার তালিকা।

রায়পুরার বাজারগুলোতে মুদী দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, গত একমাসের ব্যাবধানে সবধরনের জিনিসপত্রে দাম বেড়েছে। গত একমাসে চাল খোলা বাজারে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছে। খোলা তেল লিটারপ্রতি ২০ টাকা, আটা কেজিপ্রতি ৫ টাকা, ডাল কেজিপ্রতি ২৫ টাকা, আলু ৭ টাকা, সরিষার তেল লিটারপ্রতি ৩০ টাকা, পিয়াজকেজি প্রতি ১৫ টাকা, রসুন কেজিপ্রতি ১০ টাকা, চিনি কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে।

ছোটন মিয়া নামের মুদী দোকানি বলেন, এবার বাজারের সব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম বেশকিছুদিন ধরেই নিয়ম করে বাড়ছে।

তা ছাড়া সরকার জ্বালানী তেলের দাম বাড়িয়েছে। এর জন্য পরিবহন ধর্মঘট চলছে। এখন পন্য সরবরাহে সমস্যা তৈরি হবে এবং আবারও প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়বে। 
গত বৃহস্পতিবার উপজেলার রাধাগঞ্জ, জঙ্গি শিবপুর, পাগলাবাজার, চরসুবুদ্ধিসহ বিভিন্ন হাটে পাইকারি বাজারে ঢেড়স প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, করলা ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, প্রতিটি লাউ ২০ থেকে ৪৫, বেগুন প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫, ঝিংগা ৫০ টাকা, চিচিংগা ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, প্রতিটি কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেপে ১৫ টাকা কেজি, মুলা ২৫ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকা, টমেটো ৯০ টাকা, ধনিপাতা ১০০ টাকা কেজি, শিম ১০০ থেকে ১১০ টাকা, বরবটি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতিটি সাইজ বুঝে ২০ থেকে ৩০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতিটি ২০ থেকে ৫০ টাকা, কচু সাইজ অনুযায়ী ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ডাটা প্রতি আঁটি ৫ থেকে ৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন খুচরা হাট-বাজার ঘুরে, বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সব ধরনের সবজি পাইকারী বাজার থেকে খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে খুচরা বাজার গুলোতে দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে সব সবজি পাইকারী বাজারের চেয়ে কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেশী দরে বিক্রি হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সবজি বিক্রেতা বলেন, সবজির দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, সবজি গুদামজাত করা যায় না, এ সব পণ্যের দাম বাড়ে সাপ্লাই চেনে সমস্যা তৈরি হলে। এই সময়ে কাঁচা সবজির দাম কিছুটা বেশি থাকে। তবে এবার সবজির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তাই শীতের সবজি বাজারে আসার পরও এর প্রভাব থাকবে। 
রিকশাচালক ফজলু মিয়া বলেন, ‘বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এ কারণে রিকশা ভাড়া বাড়ালে যাত্রীরা চিল্লায়, আমরা যামু কই?’

পাগলা বাজারে, বাজার করতে আসা কবির নামের এক ব্যক্তি বলেন, ব্যবসায়ীরা আবহাওয়ার উপর দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি চাপিয়ে দেন। কিন্তু সব পণ্যের দাম আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে না। যেমন, চাল, ডাল, তেল, আটা ও মাংস ইত্যাদি। এগুলোতে সরকারের মরিটরিং থাকে না বলেই দাম বাড়ে। এসব পণ্যে সরকারের জোর মরিটরিং দরকার।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো আজগর হোসেন বলেন, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ওএমএস কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এখন সুমন ট্রেডার্স নামের এক ডিলার টিসিবির পণ্য সপ্তাহে দুই দিন খোলা বাজারে বিক্রি করছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত