চাষী নজরুল ইসলাম
মৃত্যুর কিছুদিন আগে চাষী নজরুল ইসলামের ইচ্ছে হলো কিছু কথা বলে যাবেন। স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তখন। চিকিৎসকেরা জানালেন, এখন আর ওষুধে কাজ হবে না। যে কদিন বাঁচেন, এভাবেই বেঁচে থাকতে হবে।
একটু কালো হয়ে গেছেন। দাড়ি-গোঁফ মুখে। হাসপাতালের বেডে বসে আছেন। কথা বলছেন স্বাভাবিকভাবেই। বুঝতে দিচ্ছেন না কোনো কষ্ট আছে শরীরে।
চলচ্চিত্রের মানুষ, চলচ্চিত্র নিয়েই কথা বলবেন। কিন্তু জীবন তো শুধু চলচ্চিত্র নয়, তাই রাজনীতিও উঠে আসে কথায়। বঙ্গবন্ধুকে তাঁর নির্মাণ করা ‘সংগ্রাম’ ছবিতে অভিনয় করিয়েছিলেন, সে কথা বলেন রোমাঞ্চিত হয়ে। সেলুলয়েড আর ডিজিটাল ফিল্মের কম্পোজিশনের মধ্যে যে পার্থক্য আছে, তা বুঝিয়ে বলেন। বলেন, টেলিভিশন থেকে যারা আসছে পরিচালক হয়ে, তারা একসময় ভালো কাজ করবে। চলচ্চিত্র এফডিসি থেকে বেরিয়ে যাবে।
ছোট কিছু প্রশ্ন থাকে, যা একজন মানুষের ভেতরটা বুঝতে সাহায্য করে। সেগুলোর উত্তরে তিনি বলেন, জীবনানন্দ দাশের ‘রূপসী বাংলা’ তাঁর প্রিয় কবিতা। ‘জীবন সে তো পদ্মপাতায় শিশির বিন্দু’ গানটি তাঁর পছন্দের। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘পূর্ব-পশ্চিম’ তাঁর প্রিয় উপন্যাস।
এরপর আসে প্রিয় সিনেমার কথা। নির্দ্বিধায় বলেন, ‘রুশ চলচ্চিত্রকার মিখাইল কালাতোজভের “ক্রেইনস আর ফ্লাইং” ছবিটির কথা। যে সিনেমা বলে দেয়, যুদ্ধের দরকার নেই। এ ছবিতে ছিল অসাধারণ কিছু শট। তার সে শটগুলো কে না চুরি করেছে? এই যেমন মাথা ঘুরছে গুলি লাগার পর। আমরা সব চোর হাহ হাহ হা!’
মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হচ্ছিল তখন। তখন পর্যন্ত একজনেরও ফাঁসি হয়নি। তিনি মনে করেছিলেন, এসব রাজনীতি। রাজনীতির মাঠ গরম করে রাখার জন্যই এত আয়োজন। তারপর তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তো মনে করি, ওদের ফাঁসি হলে কেউ কোনো কথা বলবে না। আশায় তো মানুষ বাঁচে। আমরাও চাই অনন্ত সুন্দর একটি দেশ হোক।
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, চোখের আলোয়, পৃষ্ঠা ৭৪-৭৭
মৃত্যুর কিছুদিন আগে চাষী নজরুল ইসলামের ইচ্ছে হলো কিছু কথা বলে যাবেন। স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তখন। চিকিৎসকেরা জানালেন, এখন আর ওষুধে কাজ হবে না। যে কদিন বাঁচেন, এভাবেই বেঁচে থাকতে হবে।
একটু কালো হয়ে গেছেন। দাড়ি-গোঁফ মুখে। হাসপাতালের বেডে বসে আছেন। কথা বলছেন স্বাভাবিকভাবেই। বুঝতে দিচ্ছেন না কোনো কষ্ট আছে শরীরে।
চলচ্চিত্রের মানুষ, চলচ্চিত্র নিয়েই কথা বলবেন। কিন্তু জীবন তো শুধু চলচ্চিত্র নয়, তাই রাজনীতিও উঠে আসে কথায়। বঙ্গবন্ধুকে তাঁর নির্মাণ করা ‘সংগ্রাম’ ছবিতে অভিনয় করিয়েছিলেন, সে কথা বলেন রোমাঞ্চিত হয়ে। সেলুলয়েড আর ডিজিটাল ফিল্মের কম্পোজিশনের মধ্যে যে পার্থক্য আছে, তা বুঝিয়ে বলেন। বলেন, টেলিভিশন থেকে যারা আসছে পরিচালক হয়ে, তারা একসময় ভালো কাজ করবে। চলচ্চিত্র এফডিসি থেকে বেরিয়ে যাবে।
ছোট কিছু প্রশ্ন থাকে, যা একজন মানুষের ভেতরটা বুঝতে সাহায্য করে। সেগুলোর উত্তরে তিনি বলেন, জীবনানন্দ দাশের ‘রূপসী বাংলা’ তাঁর প্রিয় কবিতা। ‘জীবন সে তো পদ্মপাতায় শিশির বিন্দু’ গানটি তাঁর পছন্দের। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘পূর্ব-পশ্চিম’ তাঁর প্রিয় উপন্যাস।
এরপর আসে প্রিয় সিনেমার কথা। নির্দ্বিধায় বলেন, ‘রুশ চলচ্চিত্রকার মিখাইল কালাতোজভের “ক্রেইনস আর ফ্লাইং” ছবিটির কথা। যে সিনেমা বলে দেয়, যুদ্ধের দরকার নেই। এ ছবিতে ছিল অসাধারণ কিছু শট। তার সে শটগুলো কে না চুরি করেছে? এই যেমন মাথা ঘুরছে গুলি লাগার পর। আমরা সব চোর হাহ হাহ হা!’
মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হচ্ছিল তখন। তখন পর্যন্ত একজনেরও ফাঁসি হয়নি। তিনি মনে করেছিলেন, এসব রাজনীতি। রাজনীতির মাঠ গরম করে রাখার জন্যই এত আয়োজন। তারপর তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তো মনে করি, ওদের ফাঁসি হলে কেউ কোনো কথা বলবে না। আশায় তো মানুষ বাঁচে। আমরাও চাই অনন্ত সুন্দর একটি দেশ হোক।
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, চোখের আলোয়, পৃষ্ঠা ৭৪-৭৭
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪