খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে রমজানের আগেই

কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২২, ০৬: ৪৪
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২২, ১২: ৫৬

রমজান মাস আসার আগেই খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। কুড়িগ্রামে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম এক দিনে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া পঞ্চগড়ে ক্রমাগত বাড়ছে মাছ, মাংসসহ শাক-সবজির দাম।

কুড়িগ্রাম: গতকাল রোববার জেলা শহরের জিয়া বাজারস্থ পেঁয়াজ-মরিচের পাইকারি বাজারে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে এলসি পেঁয়াজের পাইকারি দাম কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা কমে প্রতি কেজি ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০ টাকা। দেশি পেঁয়াজের পাইকারি দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকায়।

ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখী হলেও কাঁচা মরিচের দাম লাগামহীন। পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের পাইকারি বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার কাঁচা মরিচের পাইকারি মূল্য ছিল প্রতি কেজি ৬০ টাকা। কিন্তু গতকাল তা প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। তবে মরিচের বাজার ওঠা নামা করছে।

কুড়িগ্রাম শহরের দাদা মোড়ে রিকশা নিয়ে আসা আফসার আলী জানান, সারা দিনে তাঁর আয় ২০০ টাকা। এই টাকা দিয়েই তাঁকে পাঁচজনের সংসারের জন্য চালসহ অন্যান্য দ্রব্য কিনতে হয়।

কৃত্রিম সংকট নিরসন ও রমজানকে সামনে রেখে বাজার তদারকি বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুড়িগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

পঞ্চগড়: দুই সপ্তাহ ধরে পঞ্চগড়ের হাট-বাজারে মাছ, মাংসসহ শাকসবজির দাম ক্রমাগত বেড়েই চলছে। রমজান মাস ঘিরে চাল, ডাল, ছোলা, চিনির দাম তো বাড়তেই আছে। ব্যবসায়ীরা কোনো কারণ ছাড়াই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুত করে রেখে পরে বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করায় সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

পঞ্চগড় শহরের বাজারে ২০ টাকার লাউ ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ১০০, ঢ্যাঁড়স ১০০, টমেটো ৩৫, বেগুন ৪০, ফুলকপি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৫৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বয়লার মুরগি ১৭০ টাকা, সোনালি ২৫০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের মাছের দর কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে। এর সঙ্গে তেলের বিড়ম্বনা তো আছেই।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘রমজান মাসে দ্রব্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে নিয়মিত বাজার তদারকি করা হচ্ছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত