শরণখোলায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট, হাহাকার

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২২, ১২: ৪৬
Thumbnail image

শরণখোলায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলার বেশির ভাগ পুকুরের পন্ড অ্যান্ড স্যান্ড ফিল্টার (পিএসএফ) ও নলকূপ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এমন সংকটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এদিকে অতি খরায় গ্রামাঞ্চলের পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়াটাও এ সংকটের অন্যতম কারণ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুম ছাড়া উপজেলাবাসী খাওয়ার পানির জন্য পুকুর ও নলকূপগুলোর ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু সংস্কারের অভাবে অধিকাংশ পুকুর শুকিয়ে গেছে এবং নলকূপগুলো দিয়ে লবণপানি ওঠার কারণে সেগুলোও নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় এক কলসি পানি সংগ্রহ করতে মানুষকে কয়েক মাইল হাঁটতে হচ্ছে, কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে অকেজো পিএসএফ ও নলকূপ মেরামতের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না শিগগিরই পুকুর ও নলকূপগুলো সংস্কারের কিংবা নতুন নলকূপ বিতরণের দাবি জানিয়েছে উপজেলাবাসী।

দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের জাহিদুল, সোনাতলা গ্রামের রুস্তম আলী, ধানসাগর গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন, জিলবুনিয়া গ্রামের গৃহবধূ শেফালি বেগমসহ অনেক গ্রামবাসী জানান, বর্তমানে তাঁরা অনেক কষ্টে দুর–দুরান্ত থেকে বিভিন্ন উপায়ে পানি সংগ্রহ করছেন। তাঁদের গ্রামের প্রতিটি পুকুরের পানি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, যা খাওয়ার উপযোগী না।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫৪৭টি পুকুরে স্থাপন করা পিএসএফের মধ্যে ৩৮৬টি অকেজো হয়ে রয়েছে। এ ছাড়া গ্রামাঞ্চলে ৪ হাজার ৮০৪টি নলকূপের মধ্যে অচল হয়ে রয়েছে ২ হাজার ১৫২টি নলকূপ। ।

ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম টিপু বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের ধানসাগর, পশ্চিম রাজাপুর ও বান্ধারহাট এলাকায় তীব্র পানির সংকটে লোকজন নদীর লোনা পানি ফুটিয়ে পান করছেন।

শরণখোলা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘উপজেলায় অকেজো পিএসএফগুলো মেরামতের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই মেরামত করা হবে। তা ছাড়া ধানসাগর ইউনিয়নে ৩টি নতুন পুকুর ও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১৮টি পুকুর পুনঃখনন করা হয়েছে। এসব পুকুরে ৬টি পিএসএফ চালু রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত