নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলমান অর্থনৈতিক সংকট ও ডলারের ঘাটতির মধ্যে বিদেশি ঋণের ছাড়েও ছন্দপতন হয়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) উন্নয়ন-সহযোগীদের কাছ থেকে বাংলাদেশ প্রায় ১৩৫ কোটি ডলার বা প্রায় ১২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে। এ ঋণ আগের অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম। এই সময়ে সরকার যে ঋণ পেয়েছে, তার ৪০ শতাংশই চলে গেছে আগের ঋণের সুদ–আসল পরিশোধে। তবে বড় অঙ্কের নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ইআরডির প্রতিবেদন বলছে, আগের অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশ ১৯৩ কোটি ডলার বা ১৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকার (১ ডলার ৯৫ টাকা হিসাব ধরে) ঋণ পেয়েছিল। অর্থাৎ গত তিন মাসে প্রায় ৫৮ কোটি ডলার বা ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা কম পেয়েছে বাংলাদেশ।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ঋণ ও অনুদান মিলে মোট ১০ বিলিয়ন ডলার পাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।
সংকটকালীন এ সময়ে উন্নয়ন-সহযোগীদের উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড়ের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি বাজেট সহায়তার দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত কয়েক অর্থবছরে অর্থছাড় বাড়ার পেছনে বাজেট সহায়তা ও কোভিড সহায়তা কিছুটা ভূমিকা রেখেছে। প্রকল্প সহায়তা সরাসরি আমাদের রিজার্ভে কোনো ভূমিকা রাখে না।
তবে এটা অর্থনীতিকে সচল রাখে, গতি বাড়িয়ে দেয়। তাই অর্থছাড় বাড়ানোটাও জরুরি। কিন্তু এ সময় আমাদের বাজেট সহায়তা বেশি করে প্রয়োজন, যা রিজার্ভে যোগ হতে পারে।’
৩৯ শতাংশই গেছে ঋণ শোধে ইআরডির তথ্যমতে, সরকার চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে আগের নেওয়া ঋণ পরিশোধ করেছে ৫২ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় ৪ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে মোট ঋণের প্রায় ৩৯ শতাংশই চলে গেছে ঋণ শোধে। এর মধ্যে সুদ বাবদ শোধ করতে হয়েছে ১৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার বা প্রায় ১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। বাকিটা আসল হিসাবে শোধ হয়েছে। ঋণ পরিশোধ বাদ দিলে গত তিন মাসে সরকার নিট বিদেশি ঋণ পেয়েছে ৮২ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিদেশি ঋণে নেওয়া অন্যান্য মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে সামনে ঋণের সুদ-আসল পরিশোধের চাপ আরও বাড়বে। এ জন্য ঋণের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’
আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ঋণ নিলে তা শোধ করতেই হবে। তবে তার জন্য এ ঋণের যথাযথ ও সময়োপযোগী ব্যবহার করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করতে হবে।
কে কত দিল এ সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় হয়েছে জাপানের উন্নয়ন-সহযোগী সংস্থা জাইকা থেকে। তাদের কাছ থেকে এসেছে ৪৫ কোটি ৯৩ ডলার।
এরপরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থ এসেছে চীন থেকে, ২৭ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। বিশ্ববব্যাংকের আইডিএ থেকে এসেছে ১৯ কোটি ২১ লাখ ডলার। এডিবির কাছ থেকে এসেছে ১৬ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। প্রতিবেশী দেশ ভারত দিয়েছে ১০ কোটি ১৫ লাখ ডলার। আর একমাত্র প্রকল্প রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়া ছাড় করেছে ৭ কোটি ৪৬ লাখ ডলার।
এদিকে ছাড় কমলেও আগের চেয়ে বেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উন্নয়ন-সহযোগীরা। তিন মাসে সরকার প্রায় ৪০ কোটি ৫৪ লাখ ডলারের নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। এর ৭৫ শতাংশ বা ৩০ কোটি ডলার এসেছে বিশ্বব্যাংক বা আইডিএ থেকে।
চলমান অর্থনৈতিক সংকট ও ডলারের ঘাটতির মধ্যে বিদেশি ঋণের ছাড়েও ছন্দপতন হয়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) উন্নয়ন-সহযোগীদের কাছ থেকে বাংলাদেশ প্রায় ১৩৫ কোটি ডলার বা প্রায় ১২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে। এ ঋণ আগের অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম। এই সময়ে সরকার যে ঋণ পেয়েছে, তার ৪০ শতাংশই চলে গেছে আগের ঋণের সুদ–আসল পরিশোধে। তবে বড় অঙ্কের নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ইআরডির প্রতিবেদন বলছে, আগের অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশ ১৯৩ কোটি ডলার বা ১৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকার (১ ডলার ৯৫ টাকা হিসাব ধরে) ঋণ পেয়েছিল। অর্থাৎ গত তিন মাসে প্রায় ৫৮ কোটি ডলার বা ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা কম পেয়েছে বাংলাদেশ।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ঋণ ও অনুদান মিলে মোট ১০ বিলিয়ন ডলার পাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।
সংকটকালীন এ সময়ে উন্নয়ন-সহযোগীদের উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড়ের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি বাজেট সহায়তার দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত কয়েক অর্থবছরে অর্থছাড় বাড়ার পেছনে বাজেট সহায়তা ও কোভিড সহায়তা কিছুটা ভূমিকা রেখেছে। প্রকল্প সহায়তা সরাসরি আমাদের রিজার্ভে কোনো ভূমিকা রাখে না।
তবে এটা অর্থনীতিকে সচল রাখে, গতি বাড়িয়ে দেয়। তাই অর্থছাড় বাড়ানোটাও জরুরি। কিন্তু এ সময় আমাদের বাজেট সহায়তা বেশি করে প্রয়োজন, যা রিজার্ভে যোগ হতে পারে।’
৩৯ শতাংশই গেছে ঋণ শোধে ইআরডির তথ্যমতে, সরকার চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে আগের নেওয়া ঋণ পরিশোধ করেছে ৫২ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় ৪ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে মোট ঋণের প্রায় ৩৯ শতাংশই চলে গেছে ঋণ শোধে। এর মধ্যে সুদ বাবদ শোধ করতে হয়েছে ১৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার বা প্রায় ১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। বাকিটা আসল হিসাবে শোধ হয়েছে। ঋণ পরিশোধ বাদ দিলে গত তিন মাসে সরকার নিট বিদেশি ঋণ পেয়েছে ৮২ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিদেশি ঋণে নেওয়া অন্যান্য মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে সামনে ঋণের সুদ-আসল পরিশোধের চাপ আরও বাড়বে। এ জন্য ঋণের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’
আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ঋণ নিলে তা শোধ করতেই হবে। তবে তার জন্য এ ঋণের যথাযথ ও সময়োপযোগী ব্যবহার করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করতে হবে।
কে কত দিল এ সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় হয়েছে জাপানের উন্নয়ন-সহযোগী সংস্থা জাইকা থেকে। তাদের কাছ থেকে এসেছে ৪৫ কোটি ৯৩ ডলার।
এরপরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থ এসেছে চীন থেকে, ২৭ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। বিশ্ববব্যাংকের আইডিএ থেকে এসেছে ১৯ কোটি ২১ লাখ ডলার। এডিবির কাছ থেকে এসেছে ১৬ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। প্রতিবেশী দেশ ভারত দিয়েছে ১০ কোটি ১৫ লাখ ডলার। আর একমাত্র প্রকল্প রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়া ছাড় করেছে ৭ কোটি ৪৬ লাখ ডলার।
এদিকে ছাড় কমলেও আগের চেয়ে বেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উন্নয়ন-সহযোগীরা। তিন মাসে সরকার প্রায় ৪০ কোটি ৫৪ লাখ ডলারের নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। এর ৭৫ শতাংশ বা ৩০ কোটি ডলার এসেছে বিশ্বব্যাংক বা আইডিএ থেকে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪