সম্পাদকীয়
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে সনদ-বাণিজ্যের মূল হোতাদের জামিন হয়ে গেছে। বেশ কিছুদিন আগে সনদ-বাণিজ্যের যে চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশিত হয়েছিল পত্রিকায়, তাতে বোঝা গিয়েছিল, শিক্ষা ও শিক্ষার মান কলুষিত করার সব ধরনের আয়োজন এরা সম্পন্ন করেই রেখেছিল। এই কুশীলবদের কর্মকীর্তির বর্ণনা অপরাধীদের পাঁচজন দিয়েছিলেন তাঁদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে। তারপরও কীভাবে তাঁরা জামিন পায়, এ প্রশ্ন উঠেছে।
কোনো সন্দেহ নেই, আদালত চাইলে জামিন দিতে পারেন। মামলায় যদি ফাঁকফোকর থাকে, তাহলে সেটা বিবেচনায় নিয়ে আদালত নিজ বুদ্ধিবলেই জামিন দেবেন কি দেবেন না, সেটা নির্ধারণ করতে পারেন। সে বিষয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। কিন্তু এরা যে একটি জাতিকে পঙ্গু করে দেওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করে ফেলেছিল, তার জবাব কে দেবে?
অনেকেরই নিশ্চয় মনে পড়ে যাবে, কী কৌশলে এরা সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিল। সিস্টেম অ্যানালিস্ট ও তাঁর সহযোগীর কাণ্ডকারখানার বিষয়েও নিশ্চয় নতুন করে বলার নেই। একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টারে রয়েছে জাল সনদের প্রমাণ। এই নাটকের কুশীলবেরা কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি জাল সনদ, নম্বরপত্র বানিয়ে বিক্রি করেছে। এদের কাজ এতটাই নিখুঁত যে এসব জাল সনদ কারিগরি বোর্ডের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়। পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে যদি বোর্ডের ওয়াবসাইটে ঢোকা হয়, তবে পাওয়া যাবে এই নকল সনদগুলোর অস্তিত্ব। কেউ বুঝতেও পারবে না এগুলো জাল।
এ রকম গর্হিত অপরাধ করার পর যদি কেউ ধরা পড়ে, তাহলে তার কঠোর শাস্তিই কাম্য। নইলে এই একই অপরাধ কিংবা তার চেয়ে বড় অপরাধ করার প্রবণতা ছড়িয়ে যাবে অন্যদের মধ্যে। এটা তো খুবই সহজ ব্যাপার, অপরাধ করে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে সমাজে পোক্ত হয়ে বসতে পারা গেলে কেন সেই অপরাধের দিকে ঝুঁকবে না মানুষ? অপরাধের যদি শাস্তিই না হয়, তাহলে সেটাকে তো অপরাধ হিসেবেই মানা হবে না।
দুর্নীতি আর ঘুষ বাড়াবাড়ি রকমের বিকশিত অবস্থায় আছে বলে আমাদের সমাজটা যেভাবে কলুষিত হয়েছে, তা সুশাসনের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান অন্তরায়।
এই অব্যবস্থা বছরের পর বছর ধরে টিকে আছে। যে দল যখন ক্ষমতায় যায়, তাদেরই লোকজন ‘বিশেষ ক্ষমতা’বলে এই অন্যায়গুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়, নতুবা পৃষ্ঠপোষকতা করে। ফলে এই ঘুষ-দুর্নীতি আমাদের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। কারিগরি বোর্ড তো শুধু এককভাবে দুর্নীতির জন্ম দেয়নি। সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোয় খোঁজ নিলে কতশত সাধারণ মানুষের আর্তনাদ ভেসে আসবে, সে সত্যও অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু এই দুর্নীতিবাজদের শিকড় এতটা গভীরে প্রথিত যে উপড়ে ফেলা খুব কঠিন। যে সংস্কারের ঘোষণা দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তা যথাযথভাবে পালিত হোক—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, অতীতেও অনেক সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু পরে জাতি পেয়েছে লবডঙ্কা। সবাই সেই অবস্থার পরিবর্তন চায়।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে সনদ-বাণিজ্যের মূল হোতাদের জামিন হয়ে গেছে। বেশ কিছুদিন আগে সনদ-বাণিজ্যের যে চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশিত হয়েছিল পত্রিকায়, তাতে বোঝা গিয়েছিল, শিক্ষা ও শিক্ষার মান কলুষিত করার সব ধরনের আয়োজন এরা সম্পন্ন করেই রেখেছিল। এই কুশীলবদের কর্মকীর্তির বর্ণনা অপরাধীদের পাঁচজন দিয়েছিলেন তাঁদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে। তারপরও কীভাবে তাঁরা জামিন পায়, এ প্রশ্ন উঠেছে।
কোনো সন্দেহ নেই, আদালত চাইলে জামিন দিতে পারেন। মামলায় যদি ফাঁকফোকর থাকে, তাহলে সেটা বিবেচনায় নিয়ে আদালত নিজ বুদ্ধিবলেই জামিন দেবেন কি দেবেন না, সেটা নির্ধারণ করতে পারেন। সে বিষয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। কিন্তু এরা যে একটি জাতিকে পঙ্গু করে দেওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করে ফেলেছিল, তার জবাব কে দেবে?
অনেকেরই নিশ্চয় মনে পড়ে যাবে, কী কৌশলে এরা সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিল। সিস্টেম অ্যানালিস্ট ও তাঁর সহযোগীর কাণ্ডকারখানার বিষয়েও নিশ্চয় নতুন করে বলার নেই। একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টারে রয়েছে জাল সনদের প্রমাণ। এই নাটকের কুশীলবেরা কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি জাল সনদ, নম্বরপত্র বানিয়ে বিক্রি করেছে। এদের কাজ এতটাই নিখুঁত যে এসব জাল সনদ কারিগরি বোর্ডের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়। পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে যদি বোর্ডের ওয়াবসাইটে ঢোকা হয়, তবে পাওয়া যাবে এই নকল সনদগুলোর অস্তিত্ব। কেউ বুঝতেও পারবে না এগুলো জাল।
এ রকম গর্হিত অপরাধ করার পর যদি কেউ ধরা পড়ে, তাহলে তার কঠোর শাস্তিই কাম্য। নইলে এই একই অপরাধ কিংবা তার চেয়ে বড় অপরাধ করার প্রবণতা ছড়িয়ে যাবে অন্যদের মধ্যে। এটা তো খুবই সহজ ব্যাপার, অপরাধ করে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে সমাজে পোক্ত হয়ে বসতে পারা গেলে কেন সেই অপরাধের দিকে ঝুঁকবে না মানুষ? অপরাধের যদি শাস্তিই না হয়, তাহলে সেটাকে তো অপরাধ হিসেবেই মানা হবে না।
দুর্নীতি আর ঘুষ বাড়াবাড়ি রকমের বিকশিত অবস্থায় আছে বলে আমাদের সমাজটা যেভাবে কলুষিত হয়েছে, তা সুশাসনের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান অন্তরায়।
এই অব্যবস্থা বছরের পর বছর ধরে টিকে আছে। যে দল যখন ক্ষমতায় যায়, তাদেরই লোকজন ‘বিশেষ ক্ষমতা’বলে এই অন্যায়গুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়, নতুবা পৃষ্ঠপোষকতা করে। ফলে এই ঘুষ-দুর্নীতি আমাদের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। কারিগরি বোর্ড তো শুধু এককভাবে দুর্নীতির জন্ম দেয়নি। সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোয় খোঁজ নিলে কতশত সাধারণ মানুষের আর্তনাদ ভেসে আসবে, সে সত্যও অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু এই দুর্নীতিবাজদের শিকড় এতটা গভীরে প্রথিত যে উপড়ে ফেলা খুব কঠিন। যে সংস্কারের ঘোষণা দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তা যথাযথভাবে পালিত হোক—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, অতীতেও অনেক সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু পরে জাতি পেয়েছে লবডঙ্কা। সবাই সেই অবস্থার পরিবর্তন চায়।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে