মেহরাজ হোসেন ইমন
এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির খুঁটিনাটি নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ‘গ’ ইউনিটে প্রথম স্থান অধিকারী মেহরাজ হোসেন ইমন।
ভর্তির যোগ্যতা
বিজ্ঞান ইউনিট: বিজ্ঞান শাখা থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় প্রতিটিতে আলাদাভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম ৩.৫ জিপিএসহ উভয় যোগফল ন্যূনতম ৮.০ হতে হবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীরাও এই ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় প্রতিটিতে আলাদাভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম ৩.০০ জিপিএসহ উভয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫০ হতে হবে।
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট
ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় প্রতিটিতে আলাদাভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম ৩.০০ জিপিএসহ উভয় যোগফল ন্যূনতম ৭.৫০ হতে হবে। মানবিক ও বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীরাও এই ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবেন। মানবিকের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় প্রতিটিতে আলাদাভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম ৩.০০ জিপিএসহ উভয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫০ হতে হবে। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় প্রতিটিতে আলাদাভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম ৩.৫০ জিপিএসহ উভয় যোগফল ন্যূনতম ৮.০০ হতে হবে।
কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান
মানবিক শাখা থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় প্রতিটিতে আলাদাভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম ৩.০০ জিপিএসহ উভয় যোগফল ন্যূনতম ৭.৫০ হতে হবে। ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীরাও এই ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবেন। ব্যবসায় শিক্ষার ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় প্রতিটিতে আলাদাভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম ৩.০০ জিপিএসহ উভয় যোগফল ন্যূনতম ৭.৫০ হতে হবে। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় প্রতিটিতে আলাদাভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম ৩.৫০ জিপিএসহ উভয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.০০ হতে হবে।
চারুকলা ইউনিট
যেকোনো শাখা থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় প্রতিটিতে আলাদাভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম ৩.০০ জিপিএসহ উভয়ের যোগফল ন্যূনতম ৬.৫০ হতে হবে।
পরীক্ষার নম্বর
এ বছর চারুকলা ইউনিট বাদে অন্য ইউনিটগুলো ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেবে। শুধু চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা নেওয়া হবে। চারুকলা ইউনিটের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় থাকবে। অন্য ইউনিটগুলোয় বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় থাকবে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক বা সমমান এবং উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ওপর থাকবে ২০ নম্বর।
মানবণ্টন
বিজ্ঞান ইউনিট: বিজ্ঞানের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞানসহ মোট ৪টি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। চাইলে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের চতুর্থ বিষয়ের পরিবর্তে বাংলা বা ইংরেজি যেকোনো একটি বিষয় দাগাতে পারবে। A-Level/সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীকে রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞানসহ অন্য (বাংলা/ইংলিশ/জীববিজ্ঞান/গণিত) এর মধ্যে যেকোনো ২টি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে।
মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি, আইসিটির ওপর পরীক্ষা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া গণিত/ মনোবিজ্ঞান/অর্থনীতি/ পরিসংখ্যান/ভূগোল যেকোনো একটি বিষয়ের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য ২৫ নম্বর বরাদ্দ। যার মধ্যে ১৫ নম্বর এমসিকিউ এবং ১০ লিখিত। এমসিকিউ পরীক্ষার উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে আসনসংখ্যার ৫ গুণ লিখিত খাতা দেখা হবে। এমসিকিউ অংশের পাস ২৪ এবং লিখিত অংশের পাস ১২ তে। দুটো মিলিয়ে ৪০ পেলে উত্তীর্ণ হবে।
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা, ইংরেজি, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনার উত্তর দেওয়া বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা/উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন—যেকোনো একটির উত্তর দিতে হবে।
মানবিক ও বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংলিশ, আইসিটির ওপর পরীক্ষা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া গণিত/অর্থনীতি/পরিসংখ্যান—যেকোনো একটি বিষয়ের উত্তর দিতে হবে। A-Level/সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীকে ইংলিশ, অ্যাডভান্স ইংলিশসহ অন্য (হিসাববিজ্ঞান/ অর্থনীতি/পরিসংখ্যান/গণিত/বিজনেস স্টাডিজ) এর মধ্যে যেকোনো ২টি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। এমসিকিউ পরীক্ষার উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে আসনসংখ্যার ৩ গুণ লিখিত খাতা দেখা হবে। এমসিকিউ অংশের পাস ২৪, যার মধ্যে ইংলিশে ন্যূনতম ৫ নম্বর পেতে হবে এবং লিখিত অংশের পাস ১১ তে। দুটো মিলিয়ে ৪০ পেলে উত্তীর্ণ হবে।
কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান
যেকোনো শিক্ষার্থীকে বাংলা/অ্যাডভান্স ইংলিশ, সাধারণ ইংলিশ ও সাধারণ জ্ঞানের উত্তর দিতে হবে। এমসিকিউ অংশের পাস ২৪, যার মধ্যে ইংলিশে ন্যূনতম ৫, বাংলা/অ্যাডভান্স ইংলিশে ন্যূনতম ৫, সাধারণ জ্ঞানে ন্যূনতম ১০ পেতে হবে এবং লিখিত অংশের পাস ১১, যার মধ্যে ইংলিশ এ ন্যূনতম ৫, বাংলা/অ্যাডভান্স ইংলিশে ন্যূনতম ৫ নম্বর পেতে হবে। দুটো মিলিয়ে পাস নম্বর ৪০।
আসনসংখ্যা
বিজ্ঞান ইউনিটে মোট আসনসংখ্যা ১ হাজার ৮৫১। ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে মোট আসনসংখ্যা ১ হাজার ৫০। এর মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা থেকে সাধারণ ৮৫৬, কোটা ৭৪ জন, বিজ্ঞান থেকে সাধারণ ৮৭, কোটা ৮ জন, মানবিক থেকে সাধারণ ২৩, কোটা ২ জন। কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মানবিক থেকে ১ হাজার ৭০৭ জন, ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ৯৪৪ জন এবং বিজ্ঞান থেকে ২৮৩ জনসহ মোট ২ হাজার ৯৩৪ জন। চারুকলা ইউনিটে কোটাসহ মোট আসন ১৩০ জন।
আবেদন প্রক্রিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে লগইন করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষার রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর ঠিকানা, ফোন নম্বর, ই-মেইল, ছবি দিয়ে প্রয়োজনীয় ফি দিতে হবে। আবেদন ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ৫ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
কোন ইউনিটে কোন বিষয়ে কত নম্বর পেলে পাস হবে এবং কত নম্বর পেলে মেধাক্রমে থাকা সম্ভব, অবশ্যই তা জানতে হবে। পরীক্ষার হলে এগুলো বিবেচনার রেখে উত্তর করতে হবে। পরীক্ষায় যেহেতু একসঙ্গে অনেক বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে, তাই আগে থেকে বিষয়গুলো উত্তর করার একটা ক্রম ঠিক করে রাখা উত্তম। উত্তরপত্রে রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, সেট কোড খুবই সতর্কতার সঙ্গে বৃত্ত ভরাট করতে হবে। প্রথমে শুধু যেসব উত্তর নিশ্চিত জানা রয়েছে, সেগুলোর উত্তর করে মেধাক্রমে থাকা সম্ভব কি না, তা মূল্যায়ন করতে হবে, যদি না হয় শুধু তখনই বাকিগুলো উত্তর দেওয়া উচিত। প্রশ্নব্যাংকটা খুব ভালো করে পড়তে হবে।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির খুঁটিনাটি নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ‘গ’ ইউনিটে প্রথম স্থান অধিকারী মেহরাজ হোসেন ইমন।
ভর্তির যোগ্যতা
বিজ্ঞান ইউনিট: বিজ্ঞান শাখা থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় প্রতিটিতে আলাদাভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম ৩.৫ জিপিএসহ উভয় যোগফল ন্যূনতম ৮.০ হতে হবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীরাও এই ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় প্রতিটিতে আলাদাভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম ৩.০০ জিপিএসহ উভয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫০ হতে হবে।
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট
ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় প্রতিটিতে আলাদাভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম ৩.০০ জিপিএসহ উভয় যোগফল ন্যূনতম ৭.৫০ হতে হবে। মানবিক ও বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীরাও এই ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবেন। মানবিকের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় প্রতিটিতে আলাদাভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম ৩.০০ জিপিএসহ উভয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫০ হতে হবে। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় প্রতিটিতে আলাদাভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম ৩.৫০ জিপিএসহ উভয় যোগফল ন্যূনতম ৮.০০ হতে হবে।
কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান
মানবিক শাখা থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় প্রতিটিতে আলাদাভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম ৩.০০ জিপিএসহ উভয় যোগফল ন্যূনতম ৭.৫০ হতে হবে। ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীরাও এই ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবেন। ব্যবসায় শিক্ষার ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় প্রতিটিতে আলাদাভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম ৩.০০ জিপিএসহ উভয় যোগফল ন্যূনতম ৭.৫০ হতে হবে। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় প্রতিটিতে আলাদাভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম ৩.৫০ জিপিএসহ উভয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.০০ হতে হবে।
চারুকলা ইউনিট
যেকোনো শাখা থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় প্রতিটিতে আলাদাভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম ৩.০০ জিপিএসহ উভয়ের যোগফল ন্যূনতম ৬.৫০ হতে হবে।
পরীক্ষার নম্বর
এ বছর চারুকলা ইউনিট বাদে অন্য ইউনিটগুলো ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেবে। শুধু চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা নেওয়া হবে। চারুকলা ইউনিটের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় থাকবে। অন্য ইউনিটগুলোয় বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় থাকবে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক বা সমমান এবং উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ওপর থাকবে ২০ নম্বর।
মানবণ্টন
বিজ্ঞান ইউনিট: বিজ্ঞানের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞানসহ মোট ৪টি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। চাইলে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের চতুর্থ বিষয়ের পরিবর্তে বাংলা বা ইংরেজি যেকোনো একটি বিষয় দাগাতে পারবে। A-Level/সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীকে রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞানসহ অন্য (বাংলা/ইংলিশ/জীববিজ্ঞান/গণিত) এর মধ্যে যেকোনো ২টি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে।
মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি, আইসিটির ওপর পরীক্ষা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া গণিত/ মনোবিজ্ঞান/অর্থনীতি/ পরিসংখ্যান/ভূগোল যেকোনো একটি বিষয়ের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য ২৫ নম্বর বরাদ্দ। যার মধ্যে ১৫ নম্বর এমসিকিউ এবং ১০ লিখিত। এমসিকিউ পরীক্ষার উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে আসনসংখ্যার ৫ গুণ লিখিত খাতা দেখা হবে। এমসিকিউ অংশের পাস ২৪ এবং লিখিত অংশের পাস ১২ তে। দুটো মিলিয়ে ৪০ পেলে উত্তীর্ণ হবে।
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা, ইংরেজি, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনার উত্তর দেওয়া বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা/উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন—যেকোনো একটির উত্তর দিতে হবে।
মানবিক ও বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংলিশ, আইসিটির ওপর পরীক্ষা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া গণিত/অর্থনীতি/পরিসংখ্যান—যেকোনো একটি বিষয়ের উত্তর দিতে হবে। A-Level/সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীকে ইংলিশ, অ্যাডভান্স ইংলিশসহ অন্য (হিসাববিজ্ঞান/ অর্থনীতি/পরিসংখ্যান/গণিত/বিজনেস স্টাডিজ) এর মধ্যে যেকোনো ২টি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। এমসিকিউ পরীক্ষার উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে আসনসংখ্যার ৩ গুণ লিখিত খাতা দেখা হবে। এমসিকিউ অংশের পাস ২৪, যার মধ্যে ইংলিশে ন্যূনতম ৫ নম্বর পেতে হবে এবং লিখিত অংশের পাস ১১ তে। দুটো মিলিয়ে ৪০ পেলে উত্তীর্ণ হবে।
কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান
যেকোনো শিক্ষার্থীকে বাংলা/অ্যাডভান্স ইংলিশ, সাধারণ ইংলিশ ও সাধারণ জ্ঞানের উত্তর দিতে হবে। এমসিকিউ অংশের পাস ২৪, যার মধ্যে ইংলিশে ন্যূনতম ৫, বাংলা/অ্যাডভান্স ইংলিশে ন্যূনতম ৫, সাধারণ জ্ঞানে ন্যূনতম ১০ পেতে হবে এবং লিখিত অংশের পাস ১১, যার মধ্যে ইংলিশ এ ন্যূনতম ৫, বাংলা/অ্যাডভান্স ইংলিশে ন্যূনতম ৫ নম্বর পেতে হবে। দুটো মিলিয়ে পাস নম্বর ৪০।
আসনসংখ্যা
বিজ্ঞান ইউনিটে মোট আসনসংখ্যা ১ হাজার ৮৫১। ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে মোট আসনসংখ্যা ১ হাজার ৫০। এর মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা থেকে সাধারণ ৮৫৬, কোটা ৭৪ জন, বিজ্ঞান থেকে সাধারণ ৮৭, কোটা ৮ জন, মানবিক থেকে সাধারণ ২৩, কোটা ২ জন। কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মানবিক থেকে ১ হাজার ৭০৭ জন, ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ৯৪৪ জন এবং বিজ্ঞান থেকে ২৮৩ জনসহ মোট ২ হাজার ৯৩৪ জন। চারুকলা ইউনিটে কোটাসহ মোট আসন ১৩০ জন।
আবেদন প্রক্রিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে লগইন করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষার রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর ঠিকানা, ফোন নম্বর, ই-মেইল, ছবি দিয়ে প্রয়োজনীয় ফি দিতে হবে। আবেদন ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ৫ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
কোন ইউনিটে কোন বিষয়ে কত নম্বর পেলে পাস হবে এবং কত নম্বর পেলে মেধাক্রমে থাকা সম্ভব, অবশ্যই তা জানতে হবে। পরীক্ষার হলে এগুলো বিবেচনার রেখে উত্তর করতে হবে। পরীক্ষায় যেহেতু একসঙ্গে অনেক বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে, তাই আগে থেকে বিষয়গুলো উত্তর করার একটা ক্রম ঠিক করে রাখা উত্তম। উত্তরপত্রে রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, সেট কোড খুবই সতর্কতার সঙ্গে বৃত্ত ভরাট করতে হবে। প্রথমে শুধু যেসব উত্তর নিশ্চিত জানা রয়েছে, সেগুলোর উত্তর করে মেধাক্রমে থাকা সম্ভব কি না, তা মূল্যায়ন করতে হবে, যদি না হয় শুধু তখনই বাকিগুলো উত্তর দেওয়া উচিত। প্রশ্নব্যাংকটা খুব ভালো করে পড়তে হবে।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪