দর্শকেরা এখন শুধু দেখছেন, মনে রাখছেন না

নাজমুল হক নাঈম
আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭: ১৪
Thumbnail image

নতুন ধারাবাহিক ‘ক্যাম্পাস’-এ কাজ করছেন। এর গল্প ও আপনার চরিত্রটি সম্পর্কে বলুন। 
তুহিন হোসেন পরিচালিত ‘ক্যাম্পাস’ ধারাবাহিকটি শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের গল্প নিয়ে। ছাত্ররাজনীতি, প্রেম, বন্ধুত্ব—সবই উঠে আসবে। এতে আমি বাংলার অধ্যাপকের চরিত্রে অভিনয় করছি। প্রচারিত হচ্ছে মাছরাঙা টিভিতে।

আপনার অভিনীত দীপ্ত টিভির ‘বকুলপুর সিজন ২’ ৬০০ পর্ব পার করল। এই ধারাবাহিকে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
আমি বকুলপুরে যুক্ত হয়েছি তিন-চার মাস হয়েছে। নির্মাতা কায়সার ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করে সব সময় আরাম পাই। উনি বেশ গোছানো, তাঁর দৃশ্যায়ন, সংলাপ খুব ভালো হয়। এতে আমার চরিত্রটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। চরিত্রটি প্রবেশের পর একে ঘিরেই গল্প এগোচ্ছে।

নুরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’-এর কী খবর?
সিনেমাটি অনেক দিন আগে করেছিলাম। আমার প্রিয় একটি কাজ। আতিক ভাই, জয়া (আহসান) আপা থেকে টিমের সবাই আমার অত্যন্ত কাছের। পছন্দের কাজটি আটকে থাকায় আমাদের একটা কষ্ট ছিল। অবশেষে সিনেমাটি এ বছর মুক্তি পাচ্ছে জেনে ভালো লাগছে। 

সানী সানোয়ারের ‘এষা মার্ডার’ সিনেমায় আপনার চরিত্রটি নিয়ে বলুন।
শুটিং শুরু করেছি। কাজটা করে ভালো লাগছে। গল্পটা যেহেতু সত্য ঘটনা অবলম্বনে, তাই নির্মাতার পরামর্শে চরিত্র অনুযায়ী নিজেকে ভেঙেছি। এটি একটি থ্রিল গল্প, তাই চরিত্র বা গল্প বলে দিলে সাসপেন্স থাকে না। এতোটুকু বলতে পারি এষা মার্ডারে আমার চরিত্র টা একজন ট্রিপিক্যাল হাউজ ওয়াইফ এর। 

সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘ভোর’ ও ‘একাত্তর: করতলে ছিন্নমাথা’ এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আইসিইউ’তে অভিনয় করেছেন। এগুলো মুক্তি পাবে কবে? 
একাত্তর: করতলে ছিন্নমাথার শুটিং বাকি আছে। আই সি ইউ ইত্যি মধ্যে ১৩ টি আন্তর্জাতিক স্বপ্লদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছে । সিঙ্গাপুর এবং ভুটান থেকে জিতে নিয়েছে বেষ্ট শর্টফিল্ম পুরস্কার । এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রর্দশিত হবে

আগে ধারাবাহিকে অভিনয় করেই অভিনয়শিল্পীরা আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকতে পারতেন। সে পরিস্থিতি কি এখন আছে?
ওভার অল কাজ অনেক বেড়েছে। প্ল্যাটফর্ম বেড়েছে, নির্মাতা ও অভিনেতা বেড়েছে। কিন্তু আগে একটা ধারাবাহিকের জন্য প্রতি লটে শিল্পীদের চার-পাঁচ দিনের ডেট নেওয়া হতো। আর এখন বাজেটের সংকটে তা হয়ে গেছে এক থেকে দুই দিন। কাজেই কিছুটা সংকট তো আছেই। 

কাজ বাড়লেও কিন্তু হাতে গোনা পরিচিত মুখই বেশি দেখা যাচ্ছে?
এটা সব সময়ই ছিল, অনেকেই একে সিন্ডিকেট বলে। তবে আমি এটাকে সার্কেল বলব, প্রতিটি নির্মাতার একটা বলয় আছে। তিনি তাঁর কমফোর্ট জোনে কাজ করতে চান। এ ক্ষেত্রেও ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে। এখন যে ধরনের কাজ হচ্ছে, তাতে শিল্পীদের গুরুত্ব বেড়েছে। তাই আপনার যোগ্যতা থাকলে, আপনাকে ডাকতে বাধ্য। 

অনেকেই এখন ভাইরাল হতে চান। কিন্তু আপনাকে এ বিষয়ে বেশ চুজি মনে হয়?
যে কোন কাজের ক্ষেত্রে নির্মাতা ,চিত্রনাট্য,এবং আমার চরিত্র নির্বাচনে আমি খুবই সচেতন।আমি নিজেকে কোন ইমেজে দশর্কের কাছে হাজির করবো সেটাও আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং আমি মনে করি শিল্পী হিসেবে সমাজের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা আছে।

অনেকের মতে, ধারাবাহিকগুলোর মান কমে গেছে। ধারাবাহিক নিয়ে টিভি ও প্রযোজকদের আগ্রহও কমে যাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে?
এ জন্য শুধু নির্মাতা বা প্রযোজকেরা দায়ী নন। দর্শকের ভূমিকা অনেক। এখন কেউ টেলিভিশন দেখেন না, দেখেন ইউটিউব। আগে একটা অনুষ্ঠান মানুষের ভাবনাকে তাড়িত করত। কিন্তু এখন দর্শকেরা চিন্তা করতে চান না, দেখছেন আর ফেলে দিচ্ছেন। কতজন এখন সিরিয়াল বা এর চরিত্রগুলোর নাম বলতে পারেন? দর্শকেরা এখন শুধু দেখছেন, মনে রাখছেন না। 

শিল্পীরা বিদেশেও কাজ করছেন। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
শিল্প কখনোই ভৌগোলিক সীমারেখায় আটকে থাকে না। আর বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে তা আরও উন্মুক্ত। আমাদের প্রতিযোগিতা শুধু নিজ দেশে সীমাবদ্ধ নেই। জয়া আপা ভারতে নিয়মিত কাজ করছেন, বাঁধন করছেন। দিনে দিনে সুযোগ বাড়ছে, ইচ্ছা ও মেধা থাকলে যেকোনো শিল্পী যেকোনো দেশে কাজ করতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত