বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
এক ট্যাবেই আটকে রয়েছে সরকারের বহুল প্রতীক্ষিত জনশুমারি কার্যক্রম। প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ৪ লাখ ট্যাব কেনার বিতর্কিত ও সমালোচিত সিদ্ধান্তের পর থেকেই জনশুমারির পুরো কার্যক্রম প্রায় থমকে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দফায় দফায় ট্যাব কেনার প্রস্তাব সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠায়, আর ক্রয় কমিটি তা বাতিল করে দেয়। আর বিবিএসের জনশুমারি প্রকল্প পরিচালকও ‘নাছোড়বান্দার’ মতো ট্যাব কেনার অনুমোদন নিতে মরিয়া হয়ে আছেন। বারবার প্রস্তাবটি পাঠাচ্ছেন ক্রয় কমিটিতে। এ কাজে ক্রয় কমিটি-বিবিএস পিছিয়ে নেই। এক পক্ষ বাতিল করছে, আরেক পক্ষ দ্বিগুণ উৎসাহে অনুমোদন পেতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ ২০ ডিসেম্বর সোমবার অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটি তৃতীয় দফায় ট্যাব কেনার প্রস্তাবটিতে ত্রুটি থাকায় বাতিল করে দেয়। এর আগে গত জুন ও অক্টোবরে অনুষ্ঠিত ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ প্রস্তাব দুই দফায় ফেরত পাঠায়। তখনো বলা হয়েছিল, ট্যাব কেনার প্রক্রিয়ায় ত্রুটি আছে। এভাবে বাতিল আর অনুমোদন তৎপরতায় রাষ্ট্রের জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প জনশুমারির কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। ট্যাব কেনার প্রস্তাব কবে অনুমোদন হবে, আর জনশুমারি কার্যক্রম কবে শুরু হবে—তা স্পষ্ট করে সংশ্লিষ্টদের কেউ বলতে পারছেন না। শুধু তা-ই নয়, এ বিষয়ে কেউ মুখও খুলতে চান না।
ট্যাব কেনা নিয়ে জনশুমারি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কবির উদ্দিন আহম্মদের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাতে তিনি সাড়া দেননি। ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে কল করলে, তিনি তা কেটে দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিবিএসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জনশুমারি প্রকল্পটি নিয়ে তিনিও কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বিবিএস সূত্রে জানা যায়, জনশুমারি প্রকল্পটি ঘিরে সীমাহীন সমালোচনা ও বিতর্কের কারণে সংস্থার কেউ এখন এ বিষয়ে কথা বলতে চান না। বিবিএসের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একটি ট্যাব কেনা নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের এত বদনাম হতে পারে, তা তাঁরা কল্পনাও করতে পারেননি। আর একটি প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব এতবার বাতিল হতে পারে, এটাও তাঁদের কাছে অনেকটা বিরল ঘটনা। তাঁরা আরও জানান, ট্যাব কেনা নিয়ে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় এবং প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তাতে তারা ঘা করছেন না। এমনকি কিছুদিন আগে অর্থমন্ত্রী বরাবর বিবিএসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বেনামি চিঠি দিয়ে ট্যাব কেনার প্রস্তাবটি বাতিল করতে অনুরোধ জানানো হলেও প্রকল্পের কর্মকর্তারা একই কাজ বারবার করে যাচ্ছেন।
জানা যায়, দেশে সর্বশেষ জনশুমারি হয় ২০১১ সালে। এরপর ২০২০ সালে ষষ্ঠ জনশুমারির উদ্যোগ নেওয়া হলেও ২০২১ সাল শেষ হয়ে যাচ্ছে অথচ এখনো মাঠপর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের কাজও শুরু হয়নি। জনশুমারির মাঠপর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রথমে সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল গত ২ থেকে ৮ জানুয়ারি। পরে সেটি পিছিয়ে ২৫ থেকে ৩১ অক্টোবর নির্ধারণ করা হলেও ট্যাব কেনার জটিলতায় ওই সময়ে কাজ শুরু করা যায়নি। পরে আরেক দফা সময় বদলে ২৪ থেকে ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়। সেটিও এখন অনেকটাই অনিশ্চিত।
বিবিএস সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর পরপর জনশুমারি করার নিয়ম। এর আগের পাঁচবারের জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে ট্যাবের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে গৃহগণনার সিদ্ধান্ত নেয় বিবিএস। এ জন্য ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৭২টি ট্যাব কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এক ট্যাবেই আটকে রয়েছে সরকারের বহুল প্রতীক্ষিত জনশুমারি কার্যক্রম। প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ৪ লাখ ট্যাব কেনার বিতর্কিত ও সমালোচিত সিদ্ধান্তের পর থেকেই জনশুমারির পুরো কার্যক্রম প্রায় থমকে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দফায় দফায় ট্যাব কেনার প্রস্তাব সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠায়, আর ক্রয় কমিটি তা বাতিল করে দেয়। আর বিবিএসের জনশুমারি প্রকল্প পরিচালকও ‘নাছোড়বান্দার’ মতো ট্যাব কেনার অনুমোদন নিতে মরিয়া হয়ে আছেন। বারবার প্রস্তাবটি পাঠাচ্ছেন ক্রয় কমিটিতে। এ কাজে ক্রয় কমিটি-বিবিএস পিছিয়ে নেই। এক পক্ষ বাতিল করছে, আরেক পক্ষ দ্বিগুণ উৎসাহে অনুমোদন পেতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ ২০ ডিসেম্বর সোমবার অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটি তৃতীয় দফায় ট্যাব কেনার প্রস্তাবটিতে ত্রুটি থাকায় বাতিল করে দেয়। এর আগে গত জুন ও অক্টোবরে অনুষ্ঠিত ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ প্রস্তাব দুই দফায় ফেরত পাঠায়। তখনো বলা হয়েছিল, ট্যাব কেনার প্রক্রিয়ায় ত্রুটি আছে। এভাবে বাতিল আর অনুমোদন তৎপরতায় রাষ্ট্রের জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প জনশুমারির কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। ট্যাব কেনার প্রস্তাব কবে অনুমোদন হবে, আর জনশুমারি কার্যক্রম কবে শুরু হবে—তা স্পষ্ট করে সংশ্লিষ্টদের কেউ বলতে পারছেন না। শুধু তা-ই নয়, এ বিষয়ে কেউ মুখও খুলতে চান না।
ট্যাব কেনা নিয়ে জনশুমারি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কবির উদ্দিন আহম্মদের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাতে তিনি সাড়া দেননি। ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে কল করলে, তিনি তা কেটে দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিবিএসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জনশুমারি প্রকল্পটি নিয়ে তিনিও কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বিবিএস সূত্রে জানা যায়, জনশুমারি প্রকল্পটি ঘিরে সীমাহীন সমালোচনা ও বিতর্কের কারণে সংস্থার কেউ এখন এ বিষয়ে কথা বলতে চান না। বিবিএসের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একটি ট্যাব কেনা নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের এত বদনাম হতে পারে, তা তাঁরা কল্পনাও করতে পারেননি। আর একটি প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব এতবার বাতিল হতে পারে, এটাও তাঁদের কাছে অনেকটা বিরল ঘটনা। তাঁরা আরও জানান, ট্যাব কেনা নিয়ে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় এবং প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তাতে তারা ঘা করছেন না। এমনকি কিছুদিন আগে অর্থমন্ত্রী বরাবর বিবিএসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বেনামি চিঠি দিয়ে ট্যাব কেনার প্রস্তাবটি বাতিল করতে অনুরোধ জানানো হলেও প্রকল্পের কর্মকর্তারা একই কাজ বারবার করে যাচ্ছেন।
জানা যায়, দেশে সর্বশেষ জনশুমারি হয় ২০১১ সালে। এরপর ২০২০ সালে ষষ্ঠ জনশুমারির উদ্যোগ নেওয়া হলেও ২০২১ সাল শেষ হয়ে যাচ্ছে অথচ এখনো মাঠপর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের কাজও শুরু হয়নি। জনশুমারির মাঠপর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রথমে সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল গত ২ থেকে ৮ জানুয়ারি। পরে সেটি পিছিয়ে ২৫ থেকে ৩১ অক্টোবর নির্ধারণ করা হলেও ট্যাব কেনার জটিলতায় ওই সময়ে কাজ শুরু করা যায়নি। পরে আরেক দফা সময় বদলে ২৪ থেকে ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়। সেটিও এখন অনেকটাই অনিশ্চিত।
বিবিএস সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর পরপর জনশুমারি করার নিয়ম। এর আগের পাঁচবারের জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে ট্যাবের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে গৃহগণনার সিদ্ধান্ত নেয় বিবিএস। এ জন্য ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৭২টি ট্যাব কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪