চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সমবায় সমিতির নামে বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের হাজার কোটি টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার ৯ বছর পার হলেও এখনো আমানত ফেরত পাওয়া যায়নি। এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি-চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হলেও গ্রাহকদের আমানত ফেরত দেওয়া হয়নি। গ্রেপ্তারের পরে আইনের ফাঁক দিয়ে তাঁরা জামিনে বের হয়ে আবারও গা ঢাকা দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সাল থেকে চৌদ্দগ্রামে সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে রেজিস্ট্রেশন করে বহুমুখী সমবায় সমিতির নাম দিয়ে আইসিএল, এফআইসিএল, আরসিএল, প্রিভেইল, আল হামরা, আলিফ, কনজারভেটিভসহ একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের মোটা অঙ্কের লভ্যাংশ প্রদানের প্রলোভন দিয়ে প্রায় হাজার কোটি টাকা আমানত গ্রহণ করে। রাতারাতি তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে শাখা খোলে। এসব প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে জমি ভাড়া করে বড় বড় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখত, যাতে গ্রাহক বোঝেন, এসব প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমাণ অর্থ আছে। চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন এজেন্টকে কমিশন দিয়ে প্রবাসী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণের অর্থ আমানত হিসেবে গ্রহণ করে। কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে এসব প্রতিষ্ঠান হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। এগুলোর মধ্যে আইসিএলের প্রায় ৫০০ কোটি টাকা, এফআইসিএল ২০০ কোটি, আরসিএল ১০০ কোটি, প্রিভেইল ১০০ কোটি, আলিফ ও কনজারভেটিভে ১০০ কোটি টাকা গ্রাহকের আমানত রয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা সমবায় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সাল পর্যন্ত সমবায় সমিতির নামে ৪০৪টি বহুমুখী সমিতি অনুমোদন নেয়। এগুলোর মধ্যে ২৯৯টি বিভিন্ন অনিয়মের কারণে সরকারি অনুমোদন বাতিল হয়।
জহিরুল ইসলাম নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমি সারা জীবনের সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে এফআইসিএলে আমানত রাখি। এ ছাড়া গ্রাহকের কাছ থেকেও আনুমানিক ৬০ লাখ টাকাসহ এক কোটি টাকা আমানত জমা রাখি। প্রতি মাসে তারা লভ্যাংশ দিলেও ২০১৩ সালে হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। গা ঢাকা দেয় প্রতিষ্ঠানের এমডি ও চেয়ারম্যান। পরে আমানতকারীরা আমাকে চাপ দেন।
পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করেছি। ফলে এখন আমি অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন যাপন করছি। এসব এমডির বিরুদ্ধে মামলা করেও কোনো সুফল পাচ্ছি না।’
মনোয়ার হোসেন মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি সরকারি চাকরিজীবী ছিলাম। অবসরে আসার পরে ৭০ লাখ টাকা পাই। আইসিএল আমাকে বিভিন্ন প্রলোভনে ফেলে তাদের প্রতিষ্ঠানে টাকাগুলো এফডিআর করাতে বাধ্য করে। দুই বছর পর্যন্ত ভালো লভ্যাংশ পেলেও ২০১৩ সালের প্রতিষ্ঠানটি হঠাৎ তালা ঝুলিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। এমডি-চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি। শুনেছিলাম গ্রেপ্তারও হয়েছেন। কিন্তু আইনের ফাঁক দিয়ে জামিনে বের হয়ে আবার লাপাত্তা হয়ে গেছে।’
নাসিমা নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী বলেন, ‘স্বামীর পাঠানো সাত লাখ টাকা আল হামরায় এফডিআর করি। হঠাৎ প্রতিষ্ঠানটি উধাও হয়ে যাওয়ার পর খবর পেয়ে স্বামী আমাকে টাকা ফেরত আনতে চাপ দেন। আমানতের টাকা ফেরত না পাওয়ায় আমার সংসার ভেঙে যায়।’
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ভুঁইয়া মোহাম্মদ শাহিনুর রহমান বলেন, চৌদ্দগ্রাম ছিল সমবায় বহুমুখী সমিতির মূল উৎস। হঠাৎ প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের আমানত আত্মসাৎ করে উধাও হয়ে যায়।
অনেকে আমানত ফেরত পাওয়ার আশায় মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, সমবায় সমিতির নামে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইতিমধ্যে আইসিএলের এমডি এইচ এন এম শফিকুর রহমান, এফআইসিএলের এমডি শামীম কবির, প্রিভেইলের এমডি একরামুল হকসহ অনেক সমবায় সমিতির এমডি-চেয়ারম্যানকে আদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের অনেকের ১৫-২০ বছরের সাজা হয়েছে। শুনেছি, তারা জামিনে বের হয়ে আবার গা ঢাকা দিয়েছে।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সমবায় সমিতির নামে বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের হাজার কোটি টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার ৯ বছর পার হলেও এখনো আমানত ফেরত পাওয়া যায়নি। এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি-চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হলেও গ্রাহকদের আমানত ফেরত দেওয়া হয়নি। গ্রেপ্তারের পরে আইনের ফাঁক দিয়ে তাঁরা জামিনে বের হয়ে আবারও গা ঢাকা দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সাল থেকে চৌদ্দগ্রামে সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে রেজিস্ট্রেশন করে বহুমুখী সমবায় সমিতির নাম দিয়ে আইসিএল, এফআইসিএল, আরসিএল, প্রিভেইল, আল হামরা, আলিফ, কনজারভেটিভসহ একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের মোটা অঙ্কের লভ্যাংশ প্রদানের প্রলোভন দিয়ে প্রায় হাজার কোটি টাকা আমানত গ্রহণ করে। রাতারাতি তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে শাখা খোলে। এসব প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে জমি ভাড়া করে বড় বড় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখত, যাতে গ্রাহক বোঝেন, এসব প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমাণ অর্থ আছে। চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন এজেন্টকে কমিশন দিয়ে প্রবাসী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণের অর্থ আমানত হিসেবে গ্রহণ করে। কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে এসব প্রতিষ্ঠান হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। এগুলোর মধ্যে আইসিএলের প্রায় ৫০০ কোটি টাকা, এফআইসিএল ২০০ কোটি, আরসিএল ১০০ কোটি, প্রিভেইল ১০০ কোটি, আলিফ ও কনজারভেটিভে ১০০ কোটি টাকা গ্রাহকের আমানত রয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা সমবায় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সাল পর্যন্ত সমবায় সমিতির নামে ৪০৪টি বহুমুখী সমিতি অনুমোদন নেয়। এগুলোর মধ্যে ২৯৯টি বিভিন্ন অনিয়মের কারণে সরকারি অনুমোদন বাতিল হয়।
জহিরুল ইসলাম নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমি সারা জীবনের সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে এফআইসিএলে আমানত রাখি। এ ছাড়া গ্রাহকের কাছ থেকেও আনুমানিক ৬০ লাখ টাকাসহ এক কোটি টাকা আমানত জমা রাখি। প্রতি মাসে তারা লভ্যাংশ দিলেও ২০১৩ সালে হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। গা ঢাকা দেয় প্রতিষ্ঠানের এমডি ও চেয়ারম্যান। পরে আমানতকারীরা আমাকে চাপ দেন।
পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করেছি। ফলে এখন আমি অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন যাপন করছি। এসব এমডির বিরুদ্ধে মামলা করেও কোনো সুফল পাচ্ছি না।’
মনোয়ার হোসেন মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি সরকারি চাকরিজীবী ছিলাম। অবসরে আসার পরে ৭০ লাখ টাকা পাই। আইসিএল আমাকে বিভিন্ন প্রলোভনে ফেলে তাদের প্রতিষ্ঠানে টাকাগুলো এফডিআর করাতে বাধ্য করে। দুই বছর পর্যন্ত ভালো লভ্যাংশ পেলেও ২০১৩ সালের প্রতিষ্ঠানটি হঠাৎ তালা ঝুলিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। এমডি-চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি। শুনেছিলাম গ্রেপ্তারও হয়েছেন। কিন্তু আইনের ফাঁক দিয়ে জামিনে বের হয়ে আবার লাপাত্তা হয়ে গেছে।’
নাসিমা নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী বলেন, ‘স্বামীর পাঠানো সাত লাখ টাকা আল হামরায় এফডিআর করি। হঠাৎ প্রতিষ্ঠানটি উধাও হয়ে যাওয়ার পর খবর পেয়ে স্বামী আমাকে টাকা ফেরত আনতে চাপ দেন। আমানতের টাকা ফেরত না পাওয়ায় আমার সংসার ভেঙে যায়।’
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ভুঁইয়া মোহাম্মদ শাহিনুর রহমান বলেন, চৌদ্দগ্রাম ছিল সমবায় বহুমুখী সমিতির মূল উৎস। হঠাৎ প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের আমানত আত্মসাৎ করে উধাও হয়ে যায়।
অনেকে আমানত ফেরত পাওয়ার আশায় মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, সমবায় সমিতির নামে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইতিমধ্যে আইসিএলের এমডি এইচ এন এম শফিকুর রহমান, এফআইসিএলের এমডি শামীম কবির, প্রিভেইলের এমডি একরামুল হকসহ অনেক সমবায় সমিতির এমডি-চেয়ারম্যানকে আদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের অনেকের ১৫-২০ বছরের সাজা হয়েছে। শুনেছি, তারা জামিনে বের হয়ে আবার গা ঢাকা দিয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে