মইনুল হাসান
ফলমূল, শাকসবজিসহ বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ খাবারের ভিন্ন ভিন্ন প্রাকৃতিক রং আছে। এসব রং শুধু চোখের স্বাচ্ছন্দ্য আর সৌন্দর্যের জন্যই নয়; বরং রং দেখেই বলে দেওয়া যাবে খাবারের পুষ্টিগুণ। এসব রংকে উদ্ভিদরঞ্জক বা প্ল্যান্ট পিগমেন্ট বলা হয়। প্রায় সব ক্ষেত্রেই এগুলো বেশ শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আমাদের শরীরের কোষগুলোকে বিষাক্ত উপাদান থেকে রক্ষা করতে এসব ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, অর্থাৎ উদ্ভিজ্জ পুষ্টি উপাদানের বিকল্প খুব কমই আছে।
সবুজ
এই রঙের শাকসবজি ও ফলমূলে পাওয়া যায় লুটিন, ক্লোরোফিল ও ইনডোল।
লুটিন: চোখের স্বাস্থ্যের জন্য এটি ভালো। এ ছাড়া লুটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। রক্ত, ত্বক ও কোষের ক্ষয় কমায়।
উৎস: বাঁধাকপি, শসা, মটরশুঁটি, সবুজ শিম।
ক্লোরোফিল: দেহকোষ থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করতে সাহায্য করে এটি। ক্লোরোফিল লোহিত রক্ত কণিকা ও কোলাজেনের পরিমাণ বাড়ায়। মন ও শরীরকে চাঙা রাখতে সাহায্য করে।
উৎস: সব ধরনের সবুজ, হলুদ পাতার শাকসবজি, লাউ, ব্রকলি।
ইনডোল: ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে এটি। এ ছাড়া শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে।
উৎস: ব্রাসেলস স্প্রাউট, ব্রকলি, চীনা বাঁধাকপি।
কমলা-হলুদ
কমলা ও হলুদ রঙের শাকসবজি ও ফলমূলে পাওয়া যায় ক্যারোটিন ও জ্যান্থোফিল।
রোটিন: আলফা, বিটা ও ডেল্টা ক্যারোটিন ভিটামিন এ-এর ভালো উৎস। ক্যারোটিনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলমূল ও শাকসবজিতে এটি থাকা মানেই ক্যানসারের ঝুঁকি কম থাকা। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা রাখে ক্যারোটিন। ত্বকের উজ্জ্বলতা ও লাবণ্য বাড়িয়ে তারুণ্য ধরে রাখে এটি। তা ছাড়া দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে, স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের মিউকাসের সুরক্ষা দেয়।
উৎস: কমলা ও হলুদ রঙের ফলমূল ও সবজিতে পাওয়া যাবে। গাজর, কমলা, আম, ক্যাপসিকাম, মিষ্টি আলু, মিষ্টিকুমড়া, পাকা বরই, বাঙ্গি, বেরিজাতীয় ফল ইত্যাদি।
জ্যান্থোফিল: ভিটামিন এ-এর উৎস। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, ক্যানসার প্রতিরোধ করে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়।
উৎস: সব ধরনের হলুদ-কমলা রঙের ফলমূল, লাল রঙের মাছ, ডিম ইত্যাদি।
লাল
এই রঙের শাকসবজি ও ফলমূলে পাওয়া যায় লাইকোপেন ও অ্যান্থোসায়ানিন।
লাইকোপেন: একধরনের শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ক্যানসার ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়।
উৎস: টমেটো।
অ্যান্থোসায়ানিন: ক্যানসার, বার্ধক্যজনিত রোগ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমানো ছাড়াও স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষা দেয়; অর্থাৎ এটি নিউরোডিজেনারেটিভ রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। অ্যান্থোসায়ানিন লাল রঙের ফলমূল, শাকসবজির মতো নীল ও বেগুনি রঙের খাবারেও থাকে।
উৎস: আঙুর, চেরি, সবুজ চা, বেগুন, লাল বাঁধাকপি, গোল আলু, লাল মুলা, লাল বরবটি, লাল মিষ্টি আলু।
নীল-বেগুনি
নীল-বেগুনি রঙের শাকসবজি ও ফলমূলে পাওয়া যায় অ্যান্থোসায়ানিন ও রেসভারেট্রল।
অ্যান্থোসায়ানিন: নীল-বেগুনি রঙের ফলমূল ও শাকসবজিতে এটি পাওয়া যায় বেশ ভালো পরিমাণে।
উৎস: কালোজাম, করমচা, জামরুল, কলা, আপেল কুল, লটকন ও ডালিমে এটি পাওয়া যায়।
রেসভারেট্রল: অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ বলে ক্যানসারের ঝুঁকি ও প্রদাহ কমায়, হরমোন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে, ধমনির সুরক্ষা দেয় ও আলঝেইমার রোগ প্রতিরোধ করে।
উৎস: আঙুর, ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি ও চকলেট।
সাদা
এই রঙের শাকসবজি ও ফলমূলে পাওয়া যায় অ্যালিল সালফাইড ও অ্যানথক্স্যান্থিনস।
অ্যালিল সালফাইড: রক্তনালি, হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতায় এবং রোগ প্রতিরোধে এমন সালফার যৌগ খুব উপকারী।
উৎস: রসুন, পেঁয়াজ ইত্যাদি।
অ্যানথক্স্যান্থিনস: রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ, হৃদ্রোগের ঝুঁকি এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কিছু কিছু ক্যানসার থেকে সুরক্ষা দেয়।
উৎস: রসুন, পেঁয়াজ, ফুলকপি, আলু, আদা, শালগম ও কলা।
বর্তমান পৃথিবীতে দুটি শীর্ষ ঘাতক রোগ হচ্ছে হৃদ্রোগ ও ক্যানসার। এ দুটি রোগের ঝুঁকি কমিয়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ উদ্ভিজ্জ পুষ্টি উপাদানগুলো যেমন বর্ণিল, তেমনি সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু করে জীবনকে রাঙিয়ে দিতেও অতুলনীয়।
লেখক: ফ্রান্সপ্রবাসী গবেষক।
ফলমূল, শাকসবজিসহ বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ খাবারের ভিন্ন ভিন্ন প্রাকৃতিক রং আছে। এসব রং শুধু চোখের স্বাচ্ছন্দ্য আর সৌন্দর্যের জন্যই নয়; বরং রং দেখেই বলে দেওয়া যাবে খাবারের পুষ্টিগুণ। এসব রংকে উদ্ভিদরঞ্জক বা প্ল্যান্ট পিগমেন্ট বলা হয়। প্রায় সব ক্ষেত্রেই এগুলো বেশ শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আমাদের শরীরের কোষগুলোকে বিষাক্ত উপাদান থেকে রক্ষা করতে এসব ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, অর্থাৎ উদ্ভিজ্জ পুষ্টি উপাদানের বিকল্প খুব কমই আছে।
সবুজ
এই রঙের শাকসবজি ও ফলমূলে পাওয়া যায় লুটিন, ক্লোরোফিল ও ইনডোল।
লুটিন: চোখের স্বাস্থ্যের জন্য এটি ভালো। এ ছাড়া লুটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। রক্ত, ত্বক ও কোষের ক্ষয় কমায়।
উৎস: বাঁধাকপি, শসা, মটরশুঁটি, সবুজ শিম।
ক্লোরোফিল: দেহকোষ থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করতে সাহায্য করে এটি। ক্লোরোফিল লোহিত রক্ত কণিকা ও কোলাজেনের পরিমাণ বাড়ায়। মন ও শরীরকে চাঙা রাখতে সাহায্য করে।
উৎস: সব ধরনের সবুজ, হলুদ পাতার শাকসবজি, লাউ, ব্রকলি।
ইনডোল: ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে এটি। এ ছাড়া শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে।
উৎস: ব্রাসেলস স্প্রাউট, ব্রকলি, চীনা বাঁধাকপি।
কমলা-হলুদ
কমলা ও হলুদ রঙের শাকসবজি ও ফলমূলে পাওয়া যায় ক্যারোটিন ও জ্যান্থোফিল।
রোটিন: আলফা, বিটা ও ডেল্টা ক্যারোটিন ভিটামিন এ-এর ভালো উৎস। ক্যারোটিনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলমূল ও শাকসবজিতে এটি থাকা মানেই ক্যানসারের ঝুঁকি কম থাকা। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা রাখে ক্যারোটিন। ত্বকের উজ্জ্বলতা ও লাবণ্য বাড়িয়ে তারুণ্য ধরে রাখে এটি। তা ছাড়া দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে, স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের মিউকাসের সুরক্ষা দেয়।
উৎস: কমলা ও হলুদ রঙের ফলমূল ও সবজিতে পাওয়া যাবে। গাজর, কমলা, আম, ক্যাপসিকাম, মিষ্টি আলু, মিষ্টিকুমড়া, পাকা বরই, বাঙ্গি, বেরিজাতীয় ফল ইত্যাদি।
জ্যান্থোফিল: ভিটামিন এ-এর উৎস। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, ক্যানসার প্রতিরোধ করে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়।
উৎস: সব ধরনের হলুদ-কমলা রঙের ফলমূল, লাল রঙের মাছ, ডিম ইত্যাদি।
লাল
এই রঙের শাকসবজি ও ফলমূলে পাওয়া যায় লাইকোপেন ও অ্যান্থোসায়ানিন।
লাইকোপেন: একধরনের শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ক্যানসার ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়।
উৎস: টমেটো।
অ্যান্থোসায়ানিন: ক্যানসার, বার্ধক্যজনিত রোগ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমানো ছাড়াও স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষা দেয়; অর্থাৎ এটি নিউরোডিজেনারেটিভ রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। অ্যান্থোসায়ানিন লাল রঙের ফলমূল, শাকসবজির মতো নীল ও বেগুনি রঙের খাবারেও থাকে।
উৎস: আঙুর, চেরি, সবুজ চা, বেগুন, লাল বাঁধাকপি, গোল আলু, লাল মুলা, লাল বরবটি, লাল মিষ্টি আলু।
নীল-বেগুনি
নীল-বেগুনি রঙের শাকসবজি ও ফলমূলে পাওয়া যায় অ্যান্থোসায়ানিন ও রেসভারেট্রল।
অ্যান্থোসায়ানিন: নীল-বেগুনি রঙের ফলমূল ও শাকসবজিতে এটি পাওয়া যায় বেশ ভালো পরিমাণে।
উৎস: কালোজাম, করমচা, জামরুল, কলা, আপেল কুল, লটকন ও ডালিমে এটি পাওয়া যায়।
রেসভারেট্রল: অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ বলে ক্যানসারের ঝুঁকি ও প্রদাহ কমায়, হরমোন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে, ধমনির সুরক্ষা দেয় ও আলঝেইমার রোগ প্রতিরোধ করে।
উৎস: আঙুর, ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি ও চকলেট।
সাদা
এই রঙের শাকসবজি ও ফলমূলে পাওয়া যায় অ্যালিল সালফাইড ও অ্যানথক্স্যান্থিনস।
অ্যালিল সালফাইড: রক্তনালি, হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতায় এবং রোগ প্রতিরোধে এমন সালফার যৌগ খুব উপকারী।
উৎস: রসুন, পেঁয়াজ ইত্যাদি।
অ্যানথক্স্যান্থিনস: রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ, হৃদ্রোগের ঝুঁকি এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কিছু কিছু ক্যানসার থেকে সুরক্ষা দেয়।
উৎস: রসুন, পেঁয়াজ, ফুলকপি, আলু, আদা, শালগম ও কলা।
বর্তমান পৃথিবীতে দুটি শীর্ষ ঘাতক রোগ হচ্ছে হৃদ্রোগ ও ক্যানসার। এ দুটি রোগের ঝুঁকি কমিয়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ উদ্ভিজ্জ পুষ্টি উপাদানগুলো যেমন বর্ণিল, তেমনি সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু করে জীবনকে রাঙিয়ে দিতেও অতুলনীয়।
লেখক: ফ্রান্সপ্রবাসী গবেষক।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১০ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে