নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের প্রধান দুই দলের মুখোমুখি অবস্থান উত্তেজনা ছড়াচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এই অবস্থার মধ্যেই আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ এক দিনে পাঁচটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদল। রুদ্ধদ্বার এসব বৈঠকে দলগুলো নিজেদের অবস্থান ও দাবির পক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে। ইইউ প্রতিনিধিদলকে আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। আর বিএনপি চায় সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। একই অবস্থানের কথা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও এবি পার্টি। অন্যদিকে দুই দলের রাজনৈতিক বিরোধ অবসানে সংলাপের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে জাতীয় পার্টি।
জানা যায়, গতকাল দিনের শুরুতে প্রথমেই বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করে ইইউ প্রতিনিধিদলটি। সকাল ৯টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যান ইইউ প্রতিনিধিরা। সেখানে বিএনপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন তাঁরা। এরপর গুলশানের একটি বাসায় জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক করে বনানীর হোটেল শেরাটনে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বসেন তাঁরা। পরে গুলশানে ইইউ কার্যালয়ে জামায়াতে ইসলামী ও এবি পার্টির সঙ্গে বৈঠক করে ইইউ প্রতিনিধিদল।
বৈঠক শেষে ইইউ প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে কিছু বলা না হলেও গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন অংশগ্রহণকারী দলগুলোর প্রতিনিধিরা।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনিকাঠামোর ভিত্তিতে নির্বাচন চায়। তাদের (ইইউ) চাওয়াটা হলো, বাংলাদেশে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। আমরা বলেছি, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই তা সম্ভব।’
বৈঠক তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সংলাপ নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি বলেও জানান কাদের। এদিকে ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘তারা (ইইউ প্রতিনিধিদল) জানতে চেয়েছে, বাংলাদেশে আদৌ আগামী দিনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন সম্ভব হবে কি হবে না? আমরা বলেছি, দেশের জনগণ যেটা বলছে, বিশ্ববিবেক যেটা বলছে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’
দুই দলের বিরাজমান রাজনৈতিক বিরোধের অবসান চেয়ে সংলাপকে গুরুত্ব দিয়েছে জাতীয় পার্টি। ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এক দফা নিয়ে আছে। বিএনপি সরকারের পদত্যাগ চায়। আর আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন চায়। জাতীয় পার্টির এক দফা হচ্ছে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমাদের অবস্থান হলো, এই দেশের মানুষও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়।’
এ সময় রাজনৈতিক বিরোধ অবসানে সংলাপে জোর দিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সমস্যা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। আলোচনার মূল উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকেই নিতে হবে। তিনি বলেন, সংলাপ ছাড়া সমাধান হবে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে সরকারকেই সংলাপের উদ্যোগ নিতে হবে।
ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১৪ এবং ১৮ সালের নির্বাচনে সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, এই সরকার এবং এই প্রধানমন্ত্রীর অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এই আলোকে আমরা ইইউ প্রতিনিধিদলকে বলেছি, আগামীতে যে নির্বাচন হবে, তা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা নির্দলীয় সরকার যে নামেই হোক না কেন, একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। এর বাইরে বাংলাদেশের মানুষ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না।’
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের প্রধান দুই দলের মুখোমুখি অবস্থান উত্তেজনা ছড়াচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এই অবস্থার মধ্যেই আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ এক দিনে পাঁচটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদল। রুদ্ধদ্বার এসব বৈঠকে দলগুলো নিজেদের অবস্থান ও দাবির পক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে। ইইউ প্রতিনিধিদলকে আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। আর বিএনপি চায় সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। একই অবস্থানের কথা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও এবি পার্টি। অন্যদিকে দুই দলের রাজনৈতিক বিরোধ অবসানে সংলাপের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে জাতীয় পার্টি।
জানা যায়, গতকাল দিনের শুরুতে প্রথমেই বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করে ইইউ প্রতিনিধিদলটি। সকাল ৯টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যান ইইউ প্রতিনিধিরা। সেখানে বিএনপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন তাঁরা। এরপর গুলশানের একটি বাসায় জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক করে বনানীর হোটেল শেরাটনে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বসেন তাঁরা। পরে গুলশানে ইইউ কার্যালয়ে জামায়াতে ইসলামী ও এবি পার্টির সঙ্গে বৈঠক করে ইইউ প্রতিনিধিদল।
বৈঠক শেষে ইইউ প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে কিছু বলা না হলেও গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন অংশগ্রহণকারী দলগুলোর প্রতিনিধিরা।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনিকাঠামোর ভিত্তিতে নির্বাচন চায়। তাদের (ইইউ) চাওয়াটা হলো, বাংলাদেশে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। আমরা বলেছি, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই তা সম্ভব।’
বৈঠক তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সংলাপ নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি বলেও জানান কাদের। এদিকে ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘তারা (ইইউ প্রতিনিধিদল) জানতে চেয়েছে, বাংলাদেশে আদৌ আগামী দিনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন সম্ভব হবে কি হবে না? আমরা বলেছি, দেশের জনগণ যেটা বলছে, বিশ্ববিবেক যেটা বলছে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’
দুই দলের বিরাজমান রাজনৈতিক বিরোধের অবসান চেয়ে সংলাপকে গুরুত্ব দিয়েছে জাতীয় পার্টি। ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এক দফা নিয়ে আছে। বিএনপি সরকারের পদত্যাগ চায়। আর আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন চায়। জাতীয় পার্টির এক দফা হচ্ছে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমাদের অবস্থান হলো, এই দেশের মানুষও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়।’
এ সময় রাজনৈতিক বিরোধ অবসানে সংলাপে জোর দিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সমস্যা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। আলোচনার মূল উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকেই নিতে হবে। তিনি বলেন, সংলাপ ছাড়া সমাধান হবে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে সরকারকেই সংলাপের উদ্যোগ নিতে হবে।
ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১৪ এবং ১৮ সালের নির্বাচনে সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, এই সরকার এবং এই প্রধানমন্ত্রীর অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এই আলোকে আমরা ইইউ প্রতিনিধিদলকে বলেছি, আগামীতে যে নির্বাচন হবে, তা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা নির্দলীয় সরকার যে নামেই হোক না কেন, একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। এর বাইরে বাংলাদেশের মানুষ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে