রাশেদ রাব্বী, ঢাকা
দেশে পরিবার পরিকল্পনা বা জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ওষুধ ও সুরক্ষাসামগ্রীর সংকট চলেছে। ২৮৭টি উপজেলায় খাওয়ার বড়ি বা পিলের মজুত শূন্য হয়ে পড়েছে। আট মাস ধরে মাঠপর্যায় থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে প্রায় প্রতিটি জায়গায় জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর মজুত ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে। ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ ১১টি দাতা সংস্থার বিনিয়োগে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই কর্মসূচি হুমকির মুখে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের অর্ধেকের বেশি উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী অর্থাৎ কনডম, খাওয়ার বড়ি, ইনজেকশনসহ মা ও শিশুস্বাস্থ্যসংক্রান্ত ওষুধসামগ্রীর মজুত শূন্যের কোঠায় নেমেছে। ফলে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জরুরি এ সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে পরিবার পরিকল্পনা সেবার মাধ্যমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, মা ও শিশুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু কমিয়ে আনা দুরূহ হয়ে উঠবে।
দেশব্যাপী জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী সংকটের বিষয়টি নজরে আনা হলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রীর সংকটের বিষয়টি আমার নজরে রয়েছে। জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। কোথাও যাতে সংকট না হয় সে জন্য দ্রুত সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, সমস্যা হবে না।’
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি হলো পিল বা খাওয়ার বড়ি। সারা দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগ্রহীতার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ সক্ষম দম্পতি এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন। অধিদপ্তরের সাপ্লাই চেইনের তথ্যমতে, প্রতি মাসে খাওয়ার বড়ির চাহিদা ৬০ লাখ সাইকেলের বেশি। খাওয়ার বড়ির বর্তমান মজুত মাত্র ৬০ লাখ ৭০ হাজার সাইকেল। এই মজুত দিয়ে এক মাসের কিছু বেশি দিন চলবে। এরই মধ্যে ২৮৭টি উপজেলায় মজুত শূন্য হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ১২৭ উপজেলায় যেকোনো সময় খাওয়ার বড়ি ফুরিয়ে যাবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যেকোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মজুত ছয় মাসের নিচে নামলেই বিক্ষিপ্তভাবে মজুতশূন্যতা দেখা দেয়।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২৩টি উপজেলা স্টোরে কনডমের মজুত শেষ এবং ৮৭টি উপজেলা স্টোরে মজুত শেষ পর্যায়ে। দেশের প্রায় সব পরিবার পরিকল্পনা স্টোরে (৪৯৫ উপজেলা) জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ইনজেকশন নেই। ইনজেকশনের চাহিদা আছে প্রতি মাসে প্রায় ৯ লাখ ভায়ালের ওপরে।
মানিকগঞ্জ জেলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, চার মাস ধরে কর্মীদের কাছে কোনো ইনজেকশন ও কনডম নেই। এ ছাড়া খাওয়ার বড়ির মজুতও প্রায় শূন্য। ওই কর্মকর্তা বলেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী যথাযথভাবে বিতরণ করা না হলে দেশে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব, যেমন অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু এবং জনসংখ্যাও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। অর্থাৎ দেশে মোট প্রজনন হার (টিএফআর) বেড়ে যাবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী কেনার বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদাসীনতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সরকারের সফল এই কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করে দেশ-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার কোনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে কি না, তা চিহ্নিত করে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি রাখে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (উপকরণ ও সরবরাহ) মতিউর রহমান অবশ্য বলেন, ‘অধিদপ্তরের মজুত সংকটের সমাধান হবে খুব শিগগির। অধিদপ্তর সাত ধরনের উপকরণ সরবরাহ করে থাকে। এর মধ্যে একটি বা দুটি উপকরণের ঘাটতি থাকতে পারে। বাকি পদ্ধতিগুলো দিয়ে সেটির ব্যবস্থাপনা সম্ভব। আশা করি, শিগগিরই সংকট কেটে যাবে।’
দেশে পরিবার পরিকল্পনা বা জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ওষুধ ও সুরক্ষাসামগ্রীর সংকট চলেছে। ২৮৭টি উপজেলায় খাওয়ার বড়ি বা পিলের মজুত শূন্য হয়ে পড়েছে। আট মাস ধরে মাঠপর্যায় থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে প্রায় প্রতিটি জায়গায় জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর মজুত ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে। ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ ১১টি দাতা সংস্থার বিনিয়োগে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই কর্মসূচি হুমকির মুখে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের অর্ধেকের বেশি উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী অর্থাৎ কনডম, খাওয়ার বড়ি, ইনজেকশনসহ মা ও শিশুস্বাস্থ্যসংক্রান্ত ওষুধসামগ্রীর মজুত শূন্যের কোঠায় নেমেছে। ফলে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জরুরি এ সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে পরিবার পরিকল্পনা সেবার মাধ্যমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, মা ও শিশুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু কমিয়ে আনা দুরূহ হয়ে উঠবে।
দেশব্যাপী জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী সংকটের বিষয়টি নজরে আনা হলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রীর সংকটের বিষয়টি আমার নজরে রয়েছে। জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। কোথাও যাতে সংকট না হয় সে জন্য দ্রুত সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, সমস্যা হবে না।’
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি হলো পিল বা খাওয়ার বড়ি। সারা দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগ্রহীতার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ সক্ষম দম্পতি এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন। অধিদপ্তরের সাপ্লাই চেইনের তথ্যমতে, প্রতি মাসে খাওয়ার বড়ির চাহিদা ৬০ লাখ সাইকেলের বেশি। খাওয়ার বড়ির বর্তমান মজুত মাত্র ৬০ লাখ ৭০ হাজার সাইকেল। এই মজুত দিয়ে এক মাসের কিছু বেশি দিন চলবে। এরই মধ্যে ২৮৭টি উপজেলায় মজুত শূন্য হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ১২৭ উপজেলায় যেকোনো সময় খাওয়ার বড়ি ফুরিয়ে যাবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যেকোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মজুত ছয় মাসের নিচে নামলেই বিক্ষিপ্তভাবে মজুতশূন্যতা দেখা দেয়।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২৩টি উপজেলা স্টোরে কনডমের মজুত শেষ এবং ৮৭টি উপজেলা স্টোরে মজুত শেষ পর্যায়ে। দেশের প্রায় সব পরিবার পরিকল্পনা স্টোরে (৪৯৫ উপজেলা) জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ইনজেকশন নেই। ইনজেকশনের চাহিদা আছে প্রতি মাসে প্রায় ৯ লাখ ভায়ালের ওপরে।
মানিকগঞ্জ জেলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, চার মাস ধরে কর্মীদের কাছে কোনো ইনজেকশন ও কনডম নেই। এ ছাড়া খাওয়ার বড়ির মজুতও প্রায় শূন্য। ওই কর্মকর্তা বলেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী যথাযথভাবে বিতরণ করা না হলে দেশে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব, যেমন অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু এবং জনসংখ্যাও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। অর্থাৎ দেশে মোট প্রজনন হার (টিএফআর) বেড়ে যাবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী কেনার বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদাসীনতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সরকারের সফল এই কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করে দেশ-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার কোনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে কি না, তা চিহ্নিত করে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি রাখে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (উপকরণ ও সরবরাহ) মতিউর রহমান অবশ্য বলেন, ‘অধিদপ্তরের মজুত সংকটের সমাধান হবে খুব শিগগির। অধিদপ্তর সাত ধরনের উপকরণ সরবরাহ করে থাকে। এর মধ্যে একটি বা দুটি উপকরণের ঘাটতি থাকতে পারে। বাকি পদ্ধতিগুলো দিয়ে সেটির ব্যবস্থাপনা সম্ভব। আশা করি, শিগগিরই সংকট কেটে যাবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪