রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের অধিকাংশ সড়কজুড়ে নির্মাণসামগ্রী রেখে বিভিন্ন ভবন তৈরির কাজ করা হচ্ছে। এতে করে পথচারীরা চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ ছাড়া যান চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটছে। প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।
শহরের নানা এলাকার ভুক্তভোগী লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাসের পর মাস সড়কের পাশে, এমনকি মাঝ বরাবর ইট, বালু, খোয়া, পাথরসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী স্তূপ করে রেখে বাড়ির নির্মাণকাজ চলছে। বিষয়টি এখন শহরের অন্যতম জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একই সঙ্গে সড়কের ওপরে ঢালাই মেশিন বসিয়ে ভবনের ছাদ ও অন্যান্য ঢালাইয়ের কাজ চলছে। ইট ভাঙার মেশিন বসিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সুরকি। এতে মারাত্মক শব্দদূষণে ভুগছেন আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শহরের বেশির ভাগ ফুটপাত ও সড়কে ভবনের নির্মাণসামগ্রী রেখে তা দখল করে আছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। দুই নম্বর রেলওয়ে গুমটি থেকে নিমবাগান পর্যন্ত চাঁদনগর ও কয়ানিজপাড়া এলাকায় দেড় কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে অন্তত ১২টি স্থানে নির্মাণসামগ্রী স্তূপ করে রাখা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ এলাকায় রয়েছে ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
স্কুলশিক্ষার্থী আজমেরি সুলতানা বলে, সারা বছরই সড়কের পাশে ও ওপরে ইট-বালুর স্তূপ থাকে। এতে করে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ায় পথ চলতে খুব বেগ পেতে হয়। ধুলাবালুতে বিদ্যালয়ের পোশাক নোংরা হয়ে যায়। পরদিন আর এই পোশাক পরে বিদ্যালয়ে যাওয়া যায় না।
ইজিবাইকচালক আসলাম হোসেন জানান, সড়কের ওপরে এভাবে নির্মাণসামগ্রী রাখায় এ এলাকায় গাড়ি চালাতে মারাত্মক সমস্যা হয়। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
একই এলাকার আরেক বাসিন্দা চিকিৎসক শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, সড়কের ওপরে নির্মাণসামগ্রী রাখায় চলাচলে দুর্ভোগের পাশাপাশি সড়কের স্থায়িত্ব কমে যাচ্ছে।
একই অবস্থা শহরের পুরাতন বাবুপাড়া এলাকার সড়কগুলোতেও। সেখানকার বাসিন্দা রুহুল আলম বলেন, সারা বছরই এলাকার প্রতিটি সড়কের বিভিন্ন অংশে এভাবে নির্মাণসামগ্রী রেখে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। যাঁরা এসব সামগ্রী রেখে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করেন, তাঁরা নিজেরাও তা দেখেন এবং জানেন, কিন্তু সব জেনেবুঝেই তাঁরা এটি করেন। এটি সচেতনতার ব্যাপার। কিন্তু শহরের সর্বত্রই নিরবচ্ছিন্নভাবে তা চলছে। পৌর কর্তৃপক্ষ এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিষয়টি এখন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।
এ ছাড়া শহরের ইসলামবাগ, রসুলপুর, মিস্ত্রিপাড়া, সাহেবপাড়া, গোলাহাট, নতুন বাবুপাড়াসহ অন্যান্য এলাকার সড়কের বিভিন্ন অংশজুড়ে রয়েছে এমন অসংখ্য নির্মাণসামগ্রীর স্তূপ।
পৌরসভার কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী জানান, রাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে এসে তাঁরা সড়কে নির্মাণসামগ্রী থাকার কারণে সমস্যায় পড়েন। এতে সড়কগুলো অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় থাকে। এর ফলে সেখানে ময়লা-আবর্জনা জমে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. শাহীন হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পৌর মেয়র অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন। সুস্থ হলেই বিষয়টি মেয়রকে জানানো হবে। আশা করছি এ বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের অধিকাংশ সড়কজুড়ে নির্মাণসামগ্রী রেখে বিভিন্ন ভবন তৈরির কাজ করা হচ্ছে। এতে করে পথচারীরা চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ ছাড়া যান চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটছে। প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।
শহরের নানা এলাকার ভুক্তভোগী লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাসের পর মাস সড়কের পাশে, এমনকি মাঝ বরাবর ইট, বালু, খোয়া, পাথরসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী স্তূপ করে রেখে বাড়ির নির্মাণকাজ চলছে। বিষয়টি এখন শহরের অন্যতম জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একই সঙ্গে সড়কের ওপরে ঢালাই মেশিন বসিয়ে ভবনের ছাদ ও অন্যান্য ঢালাইয়ের কাজ চলছে। ইট ভাঙার মেশিন বসিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সুরকি। এতে মারাত্মক শব্দদূষণে ভুগছেন আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শহরের বেশির ভাগ ফুটপাত ও সড়কে ভবনের নির্মাণসামগ্রী রেখে তা দখল করে আছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। দুই নম্বর রেলওয়ে গুমটি থেকে নিমবাগান পর্যন্ত চাঁদনগর ও কয়ানিজপাড়া এলাকায় দেড় কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে অন্তত ১২টি স্থানে নির্মাণসামগ্রী স্তূপ করে রাখা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ এলাকায় রয়েছে ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
স্কুলশিক্ষার্থী আজমেরি সুলতানা বলে, সারা বছরই সড়কের পাশে ও ওপরে ইট-বালুর স্তূপ থাকে। এতে করে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ায় পথ চলতে খুব বেগ পেতে হয়। ধুলাবালুতে বিদ্যালয়ের পোশাক নোংরা হয়ে যায়। পরদিন আর এই পোশাক পরে বিদ্যালয়ে যাওয়া যায় না।
ইজিবাইকচালক আসলাম হোসেন জানান, সড়কের ওপরে এভাবে নির্মাণসামগ্রী রাখায় এ এলাকায় গাড়ি চালাতে মারাত্মক সমস্যা হয়। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
একই এলাকার আরেক বাসিন্দা চিকিৎসক শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, সড়কের ওপরে নির্মাণসামগ্রী রাখায় চলাচলে দুর্ভোগের পাশাপাশি সড়কের স্থায়িত্ব কমে যাচ্ছে।
একই অবস্থা শহরের পুরাতন বাবুপাড়া এলাকার সড়কগুলোতেও। সেখানকার বাসিন্দা রুহুল আলম বলেন, সারা বছরই এলাকার প্রতিটি সড়কের বিভিন্ন অংশে এভাবে নির্মাণসামগ্রী রেখে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। যাঁরা এসব সামগ্রী রেখে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করেন, তাঁরা নিজেরাও তা দেখেন এবং জানেন, কিন্তু সব জেনেবুঝেই তাঁরা এটি করেন। এটি সচেতনতার ব্যাপার। কিন্তু শহরের সর্বত্রই নিরবচ্ছিন্নভাবে তা চলছে। পৌর কর্তৃপক্ষ এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিষয়টি এখন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।
এ ছাড়া শহরের ইসলামবাগ, রসুলপুর, মিস্ত্রিপাড়া, সাহেবপাড়া, গোলাহাট, নতুন বাবুপাড়াসহ অন্যান্য এলাকার সড়কের বিভিন্ন অংশজুড়ে রয়েছে এমন অসংখ্য নির্মাণসামগ্রীর স্তূপ।
পৌরসভার কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী জানান, রাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে এসে তাঁরা সড়কে নির্মাণসামগ্রী থাকার কারণে সমস্যায় পড়েন। এতে সড়কগুলো অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় থাকে। এর ফলে সেখানে ময়লা-আবর্জনা জমে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. শাহীন হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পৌর মেয়র অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন। সুস্থ হলেই বিষয়টি মেয়রকে জানানো হবে। আশা করছি এ বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪