Ajker Patrika

আলুবীজ-সারের মূল্য বৃদ্ধি, বিপাকে কৃষক

গনেশ দাস, বগুড়া
আলুবীজ-সারের মূল্য বৃদ্ধি, বিপাকে কৃষক

বগুড়ায় গত বছর যে রোমানা জাতের আলুবীজের দাম ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি, এবার তার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। একই হারে প্রায় দ্বিগুণ দাম বেড়েছে পাকড়ি, কার্ডিনাল, ক্যারেস ও সাদা জাতের আলুবীজের। শুধু যে বীজের দাম বেড়েছে তা নয়, সারের দামও প্রতি বস্তায় বেড়েছে অন্তত ২০০ টাকা। ফলে এবার আলু চাষের খরচ অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। খরচ সামাল দিতে গিয়ে তাঁদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বগুড়ায় অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে মূলত আগাম জাতের (আগুর) আলুর চাষ হয়। এ সময় কৃষকেরা ভিটামাটিতে (তুলনামূলক উঁচু জমি) আলু রোপণ করেন। আর নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে পুরো ডিসেম্বর মাসজুড়ে ধানি জমিতে করা হয় মৌসুমি আলুর চাষ।

মাঠপর্যায়ের কৃষক এবং বগুড়ার কয়েকটি হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবার বীজ আলুর দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারি হাটে এখন প্রতি মণ রোমানা জাতের আলুবীজ ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০, পাকড়ি ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার, ক্যারেস ২ হাজার ৮০০, কার্ডিনাল ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ এবং সাদা জাতের আলুবীজ ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত বছর এ একই জাতের আলুবীজ বিক্রি হয়েছে প্রায় অর্ধেক দামে। 
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বুড়িগঞ্জ হাটের বিক্রেতা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘গত বছর রোমানা জাতের আলুবীজের দাম ছিল ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা মণ, পাকড়ি ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০, ক্যারেস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০, কার্ডিনাল ৮০০ থেকে ৯০০ এবং সাদা জাতের আলুবীজের দাম ছিল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা মণ।’

কৃষকেরা জানান, প্রতি বিঘায় বীজের প্রয়োজন আড়াই থেকে তিন মণ। হাল চাষ দিতে হয় তিন থেকে পাঁচবার, প্রতি বিঘায় ইউরিয়া, ডিএপি ও এমওপি সারের প্রয়োজন হয় ৩০ কেজি করে, টিএসপি ২৫ কেজি, জৈব সার (শুকনো গোবর) ৩০ ভাঁড়, সেচ দিতে হয় ৪ বার। এ ছাড়া রোপণে প্রতি বিঘায় শ্রমিক লাগে চারজন এবং সারি বাঁধাইয়ের জন্য পাঁচজন। এই হিসাবে বিঘাপ্রতি খরচ পড়ে ২০ থেকে ২১ হাজার টাকা। এর সঙ্গে কৃষক জমি পত্তনি নিলে তার বিনিময়ে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে।

বগুড়া সদর উপজেলার হুকমাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান বলেন, ‘বীজ আলুর দাম যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে সারের দাম। গত বছরের চেয়ে এবার বস্তাপ্রতি ২০০ টাকা বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে।’

শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চকভোলাখা গ্রামের কৃষক শাহীনুর আলম জানান, গত বছরের চেয়ে এবার সব ধরনের সারের দাম বেড়েছে।

এ বিষয়ে বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলুবর রহমান বলেন, ‘কৃষক বাজারে ফসলের ভালো দাম পেলে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেলেও চাষাবাদে এর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গলা ধাক্কার পর ছোট্ট মেয়েটিকে লাঠি দিয়ে পেটালেন কফিশপের কর্মচারী

বিশ্বব্যাংকে সিরিয়ার ঋণ পরিশোধ করে দিচ্ছে সৌদি আরব

মাত্র তিনজনের জন্য লাখ লাখ মানুষ মরছে, কাদের কথা বললেন ট্রাম্প

‘চরিত্র হননের চেষ্টা’: গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর দুদককে পাল্টা আক্রমণ টিউলিপের

জুয়ার বিজ্ঞাপনের প্রচার: আলোচিত টিকটকার জান্নাতের স্বামী তোহা কারাগারে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত