লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আবারও অশান্ত হয়ে উঠছে লক্ষ্মীপুর। একের পর এক হত্যাকাণ্ডে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বিএনপি-আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ। গত বছরের ৩০ জুলাই থেকে এ বছরের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এ জেলায় পারিবারিক কলহ, জমি নিয়ে বিরোধসহ নানা ঘটনায় অন্তত ১৫ জন খুন হয়েছেন। সর্বশেষ খুনের শিকার হন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা।
এ জোড়া খুনের ঘটনায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি একে অপরকে দোষারোপ করলেও খুনিদের শাস্তি চান তাঁরা। এ নিয়ে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ। সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তার না হলে সামনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের।
এদিকে জোড়া খুনের ঘটনার পাঁচ দিন পার হলেও মামলার প্রধান আসামি বশিকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম জেহাদী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন।
পুলিশ, দলীয় নেতা-কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ২৫ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুরের পোদ্দারবাজার এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম খুন হন।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বশিকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম জেহাদীকে প্রধান করে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহত আবদুল্লাহ আল নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউপির চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান। এই মামলায় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের চার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে প্রধান আসামি আবুল কাশেম জেহাদীসহ অন্যরা পলাতক।
জোড়া খুনের আগের দিন ২৪ এপ্রিল রাতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারের ভেতর মমতাজ বেগম নামের এক নারী খুন হন। এ ঘটনায় তাঁর ছেলে সাইফুল ইসলাম রকিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন রকি।
গত বছর ৯ এপ্রিল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ইকোনো বাসের ভেতরে মান্দারী ইউনিয়ন যুবদল নেতা রিয়াদ হোসেন লিটনকে হত্যা এবং ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে চন্দ্রগঞ্জের দেত্তপাড়ায় শওকত ইসলাম নামের বিএনপির এক সমর্থককে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।
২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম মিলনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসব ঘটনার পর জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নয়ন ঘটলেও জোড়া খুনসহ সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর কারণে আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে লক্ষ্মীপুর। তবে এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতা-কর্মীরা একে অপরকে দুষলেও প্রকৃত হত্যাকারীদের বিচার চায় উভয় দলই।
নিহত যুবলীগের নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জেহাদী। এর পর থেকে সে বিভিন্ন সময় আমাকে ও নোমানকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। এর জের ধরে পরিকল্পিতভাবে নোমান ও রাকিবকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় মামলা হলেও প্রধান আসামি জেহাদিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামসহ অনেকে বলেছেন, প্রশাসনের তৎপরতায় এসব বাহিনীর প্রধানদের কেউ কেউ এত দিন গা-ঢাকা দিয়ে থাকলেও বর্তমানে এলাকায় তাঁদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। এতে আবারও উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনীতির মাঠ। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে লক্ষ্মীপুর। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আছে।
এদিকে জোড়া খুনের ঘটনার প্রতিবাদ ও খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। সদর উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে গতকাল শনিবার বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে দুই ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিটের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
আবারও অশান্ত হয়ে উঠছে লক্ষ্মীপুর। একের পর এক হত্যাকাণ্ডে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বিএনপি-আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ। গত বছরের ৩০ জুলাই থেকে এ বছরের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এ জেলায় পারিবারিক কলহ, জমি নিয়ে বিরোধসহ নানা ঘটনায় অন্তত ১৫ জন খুন হয়েছেন। সর্বশেষ খুনের শিকার হন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা।
এ জোড়া খুনের ঘটনায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি একে অপরকে দোষারোপ করলেও খুনিদের শাস্তি চান তাঁরা। এ নিয়ে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ। সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তার না হলে সামনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের।
এদিকে জোড়া খুনের ঘটনার পাঁচ দিন পার হলেও মামলার প্রধান আসামি বশিকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম জেহাদী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন।
পুলিশ, দলীয় নেতা-কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ২৫ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুরের পোদ্দারবাজার এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম খুন হন।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বশিকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম জেহাদীকে প্রধান করে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহত আবদুল্লাহ আল নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউপির চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান। এই মামলায় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের চার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে প্রধান আসামি আবুল কাশেম জেহাদীসহ অন্যরা পলাতক।
জোড়া খুনের আগের দিন ২৪ এপ্রিল রাতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারের ভেতর মমতাজ বেগম নামের এক নারী খুন হন। এ ঘটনায় তাঁর ছেলে সাইফুল ইসলাম রকিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন রকি।
গত বছর ৯ এপ্রিল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ইকোনো বাসের ভেতরে মান্দারী ইউনিয়ন যুবদল নেতা রিয়াদ হোসেন লিটনকে হত্যা এবং ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে চন্দ্রগঞ্জের দেত্তপাড়ায় শওকত ইসলাম নামের বিএনপির এক সমর্থককে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।
২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম মিলনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসব ঘটনার পর জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নয়ন ঘটলেও জোড়া খুনসহ সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর কারণে আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে লক্ষ্মীপুর। তবে এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতা-কর্মীরা একে অপরকে দুষলেও প্রকৃত হত্যাকারীদের বিচার চায় উভয় দলই।
নিহত যুবলীগের নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জেহাদী। এর পর থেকে সে বিভিন্ন সময় আমাকে ও নোমানকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। এর জের ধরে পরিকল্পিতভাবে নোমান ও রাকিবকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় মামলা হলেও প্রধান আসামি জেহাদিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামসহ অনেকে বলেছেন, প্রশাসনের তৎপরতায় এসব বাহিনীর প্রধানদের কেউ কেউ এত দিন গা-ঢাকা দিয়ে থাকলেও বর্তমানে এলাকায় তাঁদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। এতে আবারও উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনীতির মাঠ। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে লক্ষ্মীপুর। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আছে।
এদিকে জোড়া খুনের ঘটনার প্রতিবাদ ও খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। সদর উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে গতকাল শনিবার বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে দুই ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিটের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে