হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা আবশ্যক। কিন্তু বাংলাদেশে সরকারি হিসাবে বনভূমি রয়েছে ১৭ শতাংশ। একসময় হবিগঞ্জে অনেক বনভূমি থাকলেও তা এখন তলানিতে। সরকারি হিসাবে এ জেলায় মোট আয়তনের ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ বনভূমি রয়েছে; কিন্তু বেসরকারি হিসাবে তা আরও কম।
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী জেলায় বনভূমি ১১ হাজার ৬৪৪ হেক্টর, যা মোট আয়তনের ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। তবে বন বিভাগ বলছে, জেলায় কী পরিমাণ বনভূমি রয়েছে, এর কোনো পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই। সারা দেশে বনের ওপর জরিপ করা হলেও অর্থ বাঁচাতে ও দক্ষ জনবলের অভাবে জেলাভিত্তিক কোনো জরিপ হয়নি।
এদিকে পরিবেশবাদীরা বলছেন, বনভূমি রক্ষায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো উদাসীন। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বনভূমির সঠিক তথ্য নিয়েও চলছে লুকোচুরি। সেই সঙ্গে দখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারেও কোনো মাথাব্যথা নেই প্রশাসনের। ফলে কমছে বনভূমি, ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ।
বন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এ পর্যন্ত ৮৩ দশমিক ৬৮ একর সংরক্ষিত বনভূমি দখল হয়েছে। এর মধ্যে ২২ জন ব্যক্তির কাছে স্থায়ী স্থাপনাবিহীন বনভূমি রয়েছে ৪৬ দশমিক ৭২ একর। যেখানে তৈরি হয়েছে বাগান ও কৃষিজমি। ৪ দশমিক ৪৮ একর ভূমিতে স্থায়ীভাবে ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছেন ৫২ জন। চারটি শিল্পকারখানা দখল করেছে ৩২ দশমিক ৩২ একর। এ ছাড়া অন্যান্য দখলে রয়েছে দশমিক ১৬ একর সংরক্ষিত বনভূমি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, একসময় চুনারুঘাট, মাধবপুর ও বাহুবলে শুধুই বনভূমি ছিল। অথচ এখন বনভূমির দেখাই মেলে না। দখল হয়ে গেছে। অথচ সরকারি হিসাবে দখল হয়েছে মাত্র ৮৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, বনভূমি ধ্বংস করা হচ্ছে, দখল হচ্ছে; অথচ সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বনভূমি শুধু জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সম্পদের আধারই নয়, সুপেয় পানি ধরে রাখে বৃক্ষ। ফলে কোনো এলাকায় বনভূমি কমে গেলে সেখানে মরুকরণ, ভূমিধস ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় বেড়ে যায়।
বন অধিদপ্তর বলছে, ৮৩ দশমিক ৬৮ একর সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন সেই প্রস্তাব বাস্তবায়িত করেনি। স্থানীয়ভাবে ৭ দশমিক ৫২ একর বনভূমি থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হলেও বাকিগুলো উদ্ধারে কোনো অগ্রগতি নেই। এ ছাড়া মামলা হয়নি কোনো দখলদারের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে তাদের হিসাবে অসংরক্ষিত বনভূমি দখল হয়েছে মাত্র দশমিক ৩১ একর, আর দখলদারের সংখ্যা মাত্র দুজন। এ ব্যাপারে দেওয়ানি মামলা চলমান রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলায় সংরক্ষিত দুটি বনভূমির মধ্যে রঘুনন্দন রিজার্ভ পাহাড় মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলায় এবং মধুপুর সংরক্ষিত বন বাহুবলে অবস্থিত। রঘুনন্দন রিজার্ভ পাহাড়ের ২৪২ দশমিক ৯১ একর জায়গাকে ২০১৫ সালে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতরে বন দখল না হলেও বাকি অংশ দখলে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। এ ছাড়া মধুপুর সংরক্ষিত বনেরও বিপুল অংশ দখল হয়ে গেছে। সেখানে গড়ে উঠেছে স্থাপনা।
অন্যদিকে, সংরক্ষিত বন ছাড়াও বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বনাঞ্চল রেমা কালেঙ্গায়ও পড়েছে দখলের থাবা। সেই সঙ্গে গাছ কেটে উজাড় করা হয়েছে বৃহৎ এই বনভূমি। নানাভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে বন।
হবিগঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. মারুফ হোসেন বলেন, ‘হবিগঞ্জে বনভূমির পরিমাণ কত, সেই হিসাব আমাদের কাছে নেই। তবে চেষ্টা করছি বনভূমি রক্ষা করতে। এ ব্যাপারে সংরক্ষিত বনভূমিকে দখলমুক্ত করতে জেলা প্রশাসনের কাছে একটি উচ্ছেদ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এখন জেলা প্রশাসনই বলতে পারবে, এ ব্যাপারে তারা কী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিজেন ব্যানার্জি বলেন, ‘আমি নতুন এখানে এসেছি। বন বিভাগ কোনো প্রস্তাব পাঠিয়েছি কি না, সেটা জানা নেই। আর বনের জায়গা অবৈধ দখল উচ্ছেদের কাজ আমাদের নয়। এটি বন বিভাগ করবে। সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমরা বন বিভাগকে সহযোগিতা করব।’
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা আবশ্যক। কিন্তু বাংলাদেশে সরকারি হিসাবে বনভূমি রয়েছে ১৭ শতাংশ। একসময় হবিগঞ্জে অনেক বনভূমি থাকলেও তা এখন তলানিতে। সরকারি হিসাবে এ জেলায় মোট আয়তনের ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ বনভূমি রয়েছে; কিন্তু বেসরকারি হিসাবে তা আরও কম।
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী জেলায় বনভূমি ১১ হাজার ৬৪৪ হেক্টর, যা মোট আয়তনের ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। তবে বন বিভাগ বলছে, জেলায় কী পরিমাণ বনভূমি রয়েছে, এর কোনো পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই। সারা দেশে বনের ওপর জরিপ করা হলেও অর্থ বাঁচাতে ও দক্ষ জনবলের অভাবে জেলাভিত্তিক কোনো জরিপ হয়নি।
এদিকে পরিবেশবাদীরা বলছেন, বনভূমি রক্ষায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো উদাসীন। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বনভূমির সঠিক তথ্য নিয়েও চলছে লুকোচুরি। সেই সঙ্গে দখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারেও কোনো মাথাব্যথা নেই প্রশাসনের। ফলে কমছে বনভূমি, ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ।
বন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এ পর্যন্ত ৮৩ দশমিক ৬৮ একর সংরক্ষিত বনভূমি দখল হয়েছে। এর মধ্যে ২২ জন ব্যক্তির কাছে স্থায়ী স্থাপনাবিহীন বনভূমি রয়েছে ৪৬ দশমিক ৭২ একর। যেখানে তৈরি হয়েছে বাগান ও কৃষিজমি। ৪ দশমিক ৪৮ একর ভূমিতে স্থায়ীভাবে ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছেন ৫২ জন। চারটি শিল্পকারখানা দখল করেছে ৩২ দশমিক ৩২ একর। এ ছাড়া অন্যান্য দখলে রয়েছে দশমিক ১৬ একর সংরক্ষিত বনভূমি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, একসময় চুনারুঘাট, মাধবপুর ও বাহুবলে শুধুই বনভূমি ছিল। অথচ এখন বনভূমির দেখাই মেলে না। দখল হয়ে গেছে। অথচ সরকারি হিসাবে দখল হয়েছে মাত্র ৮৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, বনভূমি ধ্বংস করা হচ্ছে, দখল হচ্ছে; অথচ সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বনভূমি শুধু জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সম্পদের আধারই নয়, সুপেয় পানি ধরে রাখে বৃক্ষ। ফলে কোনো এলাকায় বনভূমি কমে গেলে সেখানে মরুকরণ, ভূমিধস ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় বেড়ে যায়।
বন অধিদপ্তর বলছে, ৮৩ দশমিক ৬৮ একর সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন সেই প্রস্তাব বাস্তবায়িত করেনি। স্থানীয়ভাবে ৭ দশমিক ৫২ একর বনভূমি থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হলেও বাকিগুলো উদ্ধারে কোনো অগ্রগতি নেই। এ ছাড়া মামলা হয়নি কোনো দখলদারের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে তাদের হিসাবে অসংরক্ষিত বনভূমি দখল হয়েছে মাত্র দশমিক ৩১ একর, আর দখলদারের সংখ্যা মাত্র দুজন। এ ব্যাপারে দেওয়ানি মামলা চলমান রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলায় সংরক্ষিত দুটি বনভূমির মধ্যে রঘুনন্দন রিজার্ভ পাহাড় মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলায় এবং মধুপুর সংরক্ষিত বন বাহুবলে অবস্থিত। রঘুনন্দন রিজার্ভ পাহাড়ের ২৪২ দশমিক ৯১ একর জায়গাকে ২০১৫ সালে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতরে বন দখল না হলেও বাকি অংশ দখলে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। এ ছাড়া মধুপুর সংরক্ষিত বনেরও বিপুল অংশ দখল হয়ে গেছে। সেখানে গড়ে উঠেছে স্থাপনা।
অন্যদিকে, সংরক্ষিত বন ছাড়াও বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বনাঞ্চল রেমা কালেঙ্গায়ও পড়েছে দখলের থাবা। সেই সঙ্গে গাছ কেটে উজাড় করা হয়েছে বৃহৎ এই বনভূমি। নানাভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে বন।
হবিগঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. মারুফ হোসেন বলেন, ‘হবিগঞ্জে বনভূমির পরিমাণ কত, সেই হিসাব আমাদের কাছে নেই। তবে চেষ্টা করছি বনভূমি রক্ষা করতে। এ ব্যাপারে সংরক্ষিত বনভূমিকে দখলমুক্ত করতে জেলা প্রশাসনের কাছে একটি উচ্ছেদ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এখন জেলা প্রশাসনই বলতে পারবে, এ ব্যাপারে তারা কী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিজেন ব্যানার্জি বলেন, ‘আমি নতুন এখানে এসেছি। বন বিভাগ কোনো প্রস্তাব পাঠিয়েছি কি না, সেটা জানা নেই। আর বনের জায়গা অবৈধ দখল উচ্ছেদের কাজ আমাদের নয়। এটি বন বিভাগ করবে। সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমরা বন বিভাগকে সহযোগিতা করব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪