মো. ফজলুল আলম
সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্বকারী ফল খেজুর। আতিথেয়তার জন্য বিখ্যাত আরবরা প্রধানত খেজুর ও আরবি কফি দিয়ে আপ্যায়ন করেন। রমজানে ইফতারের প্রধান উপকরণও এই খেজুর। দুই শতাধিক জাতের খেজুরের প্রতিটির রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ, আকৃতি, রং। মিষ্টতায় রয়েছে বৈচিত্র্য।
সরাসরি খাওয়া ছাড়া খেজুরের রয়েছে বৈচিত্র্যময় ব্যবহার। সৌদি আরবের জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী ‘মামুল রুটি’ তৈরি, কোমল পানীয়সমূহকে প্রাকৃতিক উপায়ে মিষ্টি করা এবং সালাদ সাজানো ইত্যাদি কাজেও খেজুরের ব্যবহার লক্ষণীয়। অন্যান্য খাবারের সঙ্গে খেজুরের সঠিক সমন্বয় সব সময় সুন্দর অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
খেজুরকে আরবরা এত গুরুত্ব দেওয়ার অন্যতম কারণ হলো, তাঁরা বিশ্বাস করেন, খেজুর দিয়েই মহানবী (সা.) ইফতার করতেন। ফলে রমজান মাসে খেজুর খাওয়া হাজার বছরের মুসলিম ঐতিহ্য। মহানবী (সা.)-এর সুন্নত হিসেবে বিশ্বব্যাপী রোজাদারেরা এটি পালন করেন।
খালিদ আল-রমাদান পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তবে তিনি অবসরে খেজুরের ব্যবসা করেন। ‘কাহারামান ডেইটস’ নামে তাঁর খেজুরের ব্র্যান্ড রয়েছে। তিনি তাঁর খেজুর ব্যবসার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমার জন্ম আল-আহসায়। আমার চারপাশে সব সময় খেজুরগাছের সমাহার দেখেছি। শখের বশেই আমি খেজুরের ব্যবসা শুরু করেছি।’
খালিদ আরও বলেন, ‘খেজুরের ব্যবসা করতে গিয়ে আমি অনেক চাষি ও খেজুরবাগানের মালিকদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। তাঁদের এই পবিত্র ফলের উৎপাদনের কাজকে আমি বেশ মূল্যবান মনে করি। যে ব্যক্তি খেজুরের মতো সুন্দর ও অভিজাত ফল উৎপাদন করেন, তিনি অবশ্যই প্রশংসা ও সমর্থন পাওয়ার যোগ্য। আমাদের উচিত তাঁদের কাছ থেকে খেজুর কিনে বাজারজাত করা। আমরা সাধারণত সর্বনিম্ন আধা ডলার বা ৫২ টাকায় প্রতি কেজি খেজুর কিনে থাকি।’
খালিদের সবচেয়ে পছন্দের খেজুর ‘রাজিজ’। এই খেজুর সাধারণত ‘সাফসিফ’ নামের এক ঐতিহ্যবাহী খাবারে খেজুরের গুড় ও তিলের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। তিনি বলেন, ‘যেকোনো বিশ্বস্ত খেজুর বিশেষজ্ঞকে জিজ্ঞেস করুন, তাঁরা রাজিজকেই সেরা খেজুর বলবেন। এটি অত্যন্ত মিষ্টি; পুষ্টিমান আর স্বাদেও অনন্য।’
খালিদ সৌদি আরবের সবচেয়ে জনপ্রিয় চারটি খেজুরের কথাও জানিয়েছেন। তা হলো—
আজওয়া: আজওয়া খেজুর সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এটি প্রধানত সৌদি আরবের দ্বিতীয় পবিত্র শহর মদিনায় উৎপাদিত হয়, যা সবচেয়ে ব্যয়বহুল খেজুরগুলোর একটি। এর স্থানীয় নাম ‘পবিত্র খেজুর’। কালো বা গাঢ় বাদামি রঙের এই খেজুরের রয়েছে স্বতন্ত্র স্বাদ ও আবেদন। এটি কিছুটা মিষ্টি ও দারুণ ভিটামিনে ভরপুর।
খালাস: খালাস খেজুর সৌদি আরবের অভিজাত জাতের খেজুরগুলোর একটি। এটি গাঢ় বাদামি, মিষ্টি মাখনের গন্ধসমৃদ্ধ ডিম্বাকৃতির একটি খেজুর। খালিদ বলেন, ‘খালাস খেজুর সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বিখ্যাত খেজুর। আল-আহসাতে খালাস খেজুরের সর্বোচ্চ পরিমাণ উৎপাদন হয়। আরবের প্রায় সব সামাজিক অনুষ্ঠানে খালাস খেজুর বিশেষভাবে উপস্থিত থাকে।’
সোকারি: মিষ্টি মিছরির স্বাদ পেতে সোকারি খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেন খালিদ আল-রমাদান। তিনি জানিয়েছেন, এটি আঁশজাতীয় খাবারের বড় উৎস এবং হার্টের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। অধিক মিষ্টি হওয়ায় একে সোকারি বলা হয়। খেজুরের এই জাত আরবে বেশ জনপ্রিয়। একে ‘রাজকীয় খেজুর’ও বলা হয়।
সেগাই: সেগাই খেজুরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, এটির একটি অংশ নরম এবং অপর অংশ কুঁচকানো ও শুকনো হয়। এর স্বাদ লাল চিনির মতো।
সূত্র: আরব নিউজ
সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্বকারী ফল খেজুর। আতিথেয়তার জন্য বিখ্যাত আরবরা প্রধানত খেজুর ও আরবি কফি দিয়ে আপ্যায়ন করেন। রমজানে ইফতারের প্রধান উপকরণও এই খেজুর। দুই শতাধিক জাতের খেজুরের প্রতিটির রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ, আকৃতি, রং। মিষ্টতায় রয়েছে বৈচিত্র্য।
সরাসরি খাওয়া ছাড়া খেজুরের রয়েছে বৈচিত্র্যময় ব্যবহার। সৌদি আরবের জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী ‘মামুল রুটি’ তৈরি, কোমল পানীয়সমূহকে প্রাকৃতিক উপায়ে মিষ্টি করা এবং সালাদ সাজানো ইত্যাদি কাজেও খেজুরের ব্যবহার লক্ষণীয়। অন্যান্য খাবারের সঙ্গে খেজুরের সঠিক সমন্বয় সব সময় সুন্দর অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
খেজুরকে আরবরা এত গুরুত্ব দেওয়ার অন্যতম কারণ হলো, তাঁরা বিশ্বাস করেন, খেজুর দিয়েই মহানবী (সা.) ইফতার করতেন। ফলে রমজান মাসে খেজুর খাওয়া হাজার বছরের মুসলিম ঐতিহ্য। মহানবী (সা.)-এর সুন্নত হিসেবে বিশ্বব্যাপী রোজাদারেরা এটি পালন করেন।
খালিদ আল-রমাদান পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তবে তিনি অবসরে খেজুরের ব্যবসা করেন। ‘কাহারামান ডেইটস’ নামে তাঁর খেজুরের ব্র্যান্ড রয়েছে। তিনি তাঁর খেজুর ব্যবসার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমার জন্ম আল-আহসায়। আমার চারপাশে সব সময় খেজুরগাছের সমাহার দেখেছি। শখের বশেই আমি খেজুরের ব্যবসা শুরু করেছি।’
খালিদ আরও বলেন, ‘খেজুরের ব্যবসা করতে গিয়ে আমি অনেক চাষি ও খেজুরবাগানের মালিকদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। তাঁদের এই পবিত্র ফলের উৎপাদনের কাজকে আমি বেশ মূল্যবান মনে করি। যে ব্যক্তি খেজুরের মতো সুন্দর ও অভিজাত ফল উৎপাদন করেন, তিনি অবশ্যই প্রশংসা ও সমর্থন পাওয়ার যোগ্য। আমাদের উচিত তাঁদের কাছ থেকে খেজুর কিনে বাজারজাত করা। আমরা সাধারণত সর্বনিম্ন আধা ডলার বা ৫২ টাকায় প্রতি কেজি খেজুর কিনে থাকি।’
খালিদের সবচেয়ে পছন্দের খেজুর ‘রাজিজ’। এই খেজুর সাধারণত ‘সাফসিফ’ নামের এক ঐতিহ্যবাহী খাবারে খেজুরের গুড় ও তিলের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। তিনি বলেন, ‘যেকোনো বিশ্বস্ত খেজুর বিশেষজ্ঞকে জিজ্ঞেস করুন, তাঁরা রাজিজকেই সেরা খেজুর বলবেন। এটি অত্যন্ত মিষ্টি; পুষ্টিমান আর স্বাদেও অনন্য।’
খালিদ সৌদি আরবের সবচেয়ে জনপ্রিয় চারটি খেজুরের কথাও জানিয়েছেন। তা হলো—
আজওয়া: আজওয়া খেজুর সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এটি প্রধানত সৌদি আরবের দ্বিতীয় পবিত্র শহর মদিনায় উৎপাদিত হয়, যা সবচেয়ে ব্যয়বহুল খেজুরগুলোর একটি। এর স্থানীয় নাম ‘পবিত্র খেজুর’। কালো বা গাঢ় বাদামি রঙের এই খেজুরের রয়েছে স্বতন্ত্র স্বাদ ও আবেদন। এটি কিছুটা মিষ্টি ও দারুণ ভিটামিনে ভরপুর।
খালাস: খালাস খেজুর সৌদি আরবের অভিজাত জাতের খেজুরগুলোর একটি। এটি গাঢ় বাদামি, মিষ্টি মাখনের গন্ধসমৃদ্ধ ডিম্বাকৃতির একটি খেজুর। খালিদ বলেন, ‘খালাস খেজুর সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বিখ্যাত খেজুর। আল-আহসাতে খালাস খেজুরের সর্বোচ্চ পরিমাণ উৎপাদন হয়। আরবের প্রায় সব সামাজিক অনুষ্ঠানে খালাস খেজুর বিশেষভাবে উপস্থিত থাকে।’
সোকারি: মিষ্টি মিছরির স্বাদ পেতে সোকারি খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেন খালিদ আল-রমাদান। তিনি জানিয়েছেন, এটি আঁশজাতীয় খাবারের বড় উৎস এবং হার্টের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। অধিক মিষ্টি হওয়ায় একে সোকারি বলা হয়। খেজুরের এই জাত আরবে বেশ জনপ্রিয়। একে ‘রাজকীয় খেজুর’ও বলা হয়।
সেগাই: সেগাই খেজুরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, এটির একটি অংশ নরম এবং অপর অংশ কুঁচকানো ও শুকনো হয়। এর স্বাদ লাল চিনির মতো।
সূত্র: আরব নিউজ
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪