সাইফুল মাসুম, ঢাকা
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার বেশির ভাগ জেলে মেঘনা নদীতে মাছ ধরেন কারেন্ট জাল দিয়ে। কয়েকজন জেলে জানিয়েছেন, তাঁদের কারেন্ট জালে ৯০ শতাংশ ছোট মাছ ধরা পড়ে। নদীতে কারেন্ট জাল ব্যবহার করায় সম্প্রতি কোস্ট গার্ডের হাতে ধরা পড়েছে উপজেলার নাসিরগঞ্জ বাজার ঘাটের একটি ট্রলার। ওই ট্রলারের দুই জেলে রাকিব ও ফারুক জানান, কোস্ট গার্ড তাঁদের ৩ লাখ টাকার জাল পুড়িয়ে দিয়েছে। এই জেলেদের দাবি, কারেন্ট জাল অবৈধ হলেও দোকানে প্রকাশ্যে বিক্রি হয়। অথচ এই জাল ব্যবহার করায় জেল-জরিমানা করা হয় শুধু জেলেদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদসচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারেন্ট জালসহ আইনিভাবে নিষিদ্ধ জালগুলোর ব্যবহার বন্ধে কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করা হয়। উৎপাদনের বিষয়টা আমরা দেখছি না, বিশেষ করে মাঠপর্যায়ে অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধে আমরা কাজ করছি। এ বিষয়ে কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ মৎস্যজীবী। ওই জেলেদের মধ্যে কারেন্ট জাল ব্যবহারের প্রবণতা বেশি। হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাজু চৌধুরী জানান, তাঁর টিম অভিযান চালিয়ে প্রতিনিয়ত কারেন্ট জাল পোড়াচ্ছে। তবে অভিযানের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উপকূলের কাছাকাছি থাকি। গভীর সমুদ্রে কারেন্ট জাল ব্যবহার করলে জানার সুযোগ থাকে না। এ ছাড়া কম জনবল ও যোগাযোগব্যবস্থার সমস্যার কারণে ভালোভাবে আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না।’
জানা যায়, আইনিভাবে নিষিদ্ধ হলেও সারা দেশে কারেন্ট জালের ব্যবহার বাড়ছে। এই জালে তুলনামূলক বেশি মাছ ধরা পড়ায় জেলেদের আগ্রহ অনেক বেশি। ক্ষতির ব্যাপকতার কারণে ২০১৩ সালে সরকার বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জাল, মশারি জালসহ ক্ষতিকারক সব জাল ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। আর মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল নির্মূল করতে ২০১৬ সাল থেকে চিরুনি অভিযান শুরু করে মৎস্য অধিদপ্তর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কারেন্ট জাল ব্যবহারে মৎস্যসম্পদসহ জলজ জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই প্রাণপ্রকৃতি সুরক্ষায় কারেন্ট জাল বর্জনের বিকল্প নেই।
মৎস্য অধিদপ্তরের উপপ্রধান মাসুদ আরা মমি বলেন, ‘অবৈধ জাল নির্মূলে নদীতে অভিযানের সঙ্গে জব্দ করা জালের পরিমাণও বেড়েছে। কিন্তু কারেন্ট জালের উৎপাদন বন্ধ এবং জেলেদের সচেতন করতে না পারলে অবৈধ জালের ব্যবহার পুরোপুরি নির্মূল করা কঠিন হবে।’
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, অবৈধ জাল নির্মূল করতে দেশের ১৭ জেলায় এ বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে চার ধাপে ৩০ দিনব্যাপী অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রথম দুই ধাপে ১৫ দিনের অভিযান শেষে এখন তৃতীয় ধাপ চলছে। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শেষ ধাপে ৭ দিন চলবে অভিযান। এবার প্রথম ২০ দিনে অভিযান চালানো হয়েছে ২ হাজার ২৭৪টি। এই সময়ে ৩১১ দশমিক ৫৫ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল নির্মূল করা হয়েছে। বেহুন্দি জাল জব্দ করা হয়েছে ৫ হাজার ১১৫টি। অন্যান্য অবৈধ জাল নির্মূল করা হয়েছে ১২ হাজার ২৮৭টি। ৯৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আট বছরে ২২ কোটি ৩ লাখ মিটার কারেন্ট জাল পোড়ানো হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ২১ হাজারের বেশি বেহুন্দি জাল। ৪৭৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, বর্তমানে কারেন্ট জাল তৈরির মূল কেন্দ্র মুন্সিগঞ্জে। তবে সারা দেশে তা কিনতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন ছোট কারখানায় কারেন্ট জাল তৈরির তথ্য অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ এম সাহাবউদ্দিন বলেন, ‘উৎপাদনকারী কারখানাগুলোকে কেন পুরোপুরি বন্ধ করছি না। বন্ধ করলে তো বাজারে আসার কথা না। জাল কোথায় উৎপাদিত হচ্ছে, কাঁচামাল কোথা থেকে আসছে, তা বের করতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।’
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার বেশির ভাগ জেলে মেঘনা নদীতে মাছ ধরেন কারেন্ট জাল দিয়ে। কয়েকজন জেলে জানিয়েছেন, তাঁদের কারেন্ট জালে ৯০ শতাংশ ছোট মাছ ধরা পড়ে। নদীতে কারেন্ট জাল ব্যবহার করায় সম্প্রতি কোস্ট গার্ডের হাতে ধরা পড়েছে উপজেলার নাসিরগঞ্জ বাজার ঘাটের একটি ট্রলার। ওই ট্রলারের দুই জেলে রাকিব ও ফারুক জানান, কোস্ট গার্ড তাঁদের ৩ লাখ টাকার জাল পুড়িয়ে দিয়েছে। এই জেলেদের দাবি, কারেন্ট জাল অবৈধ হলেও দোকানে প্রকাশ্যে বিক্রি হয়। অথচ এই জাল ব্যবহার করায় জেল-জরিমানা করা হয় শুধু জেলেদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদসচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারেন্ট জালসহ আইনিভাবে নিষিদ্ধ জালগুলোর ব্যবহার বন্ধে কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করা হয়। উৎপাদনের বিষয়টা আমরা দেখছি না, বিশেষ করে মাঠপর্যায়ে অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধে আমরা কাজ করছি। এ বিষয়ে কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ মৎস্যজীবী। ওই জেলেদের মধ্যে কারেন্ট জাল ব্যবহারের প্রবণতা বেশি। হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাজু চৌধুরী জানান, তাঁর টিম অভিযান চালিয়ে প্রতিনিয়ত কারেন্ট জাল পোড়াচ্ছে। তবে অভিযানের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উপকূলের কাছাকাছি থাকি। গভীর সমুদ্রে কারেন্ট জাল ব্যবহার করলে জানার সুযোগ থাকে না। এ ছাড়া কম জনবল ও যোগাযোগব্যবস্থার সমস্যার কারণে ভালোভাবে আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না।’
জানা যায়, আইনিভাবে নিষিদ্ধ হলেও সারা দেশে কারেন্ট জালের ব্যবহার বাড়ছে। এই জালে তুলনামূলক বেশি মাছ ধরা পড়ায় জেলেদের আগ্রহ অনেক বেশি। ক্ষতির ব্যাপকতার কারণে ২০১৩ সালে সরকার বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জাল, মশারি জালসহ ক্ষতিকারক সব জাল ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। আর মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল নির্মূল করতে ২০১৬ সাল থেকে চিরুনি অভিযান শুরু করে মৎস্য অধিদপ্তর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কারেন্ট জাল ব্যবহারে মৎস্যসম্পদসহ জলজ জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই প্রাণপ্রকৃতি সুরক্ষায় কারেন্ট জাল বর্জনের বিকল্প নেই।
মৎস্য অধিদপ্তরের উপপ্রধান মাসুদ আরা মমি বলেন, ‘অবৈধ জাল নির্মূলে নদীতে অভিযানের সঙ্গে জব্দ করা জালের পরিমাণও বেড়েছে। কিন্তু কারেন্ট জালের উৎপাদন বন্ধ এবং জেলেদের সচেতন করতে না পারলে অবৈধ জালের ব্যবহার পুরোপুরি নির্মূল করা কঠিন হবে।’
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, অবৈধ জাল নির্মূল করতে দেশের ১৭ জেলায় এ বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে চার ধাপে ৩০ দিনব্যাপী অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রথম দুই ধাপে ১৫ দিনের অভিযান শেষে এখন তৃতীয় ধাপ চলছে। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শেষ ধাপে ৭ দিন চলবে অভিযান। এবার প্রথম ২০ দিনে অভিযান চালানো হয়েছে ২ হাজার ২৭৪টি। এই সময়ে ৩১১ দশমিক ৫৫ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল নির্মূল করা হয়েছে। বেহুন্দি জাল জব্দ করা হয়েছে ৫ হাজার ১১৫টি। অন্যান্য অবৈধ জাল নির্মূল করা হয়েছে ১২ হাজার ২৮৭টি। ৯৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আট বছরে ২২ কোটি ৩ লাখ মিটার কারেন্ট জাল পোড়ানো হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ২১ হাজারের বেশি বেহুন্দি জাল। ৪৭৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, বর্তমানে কারেন্ট জাল তৈরির মূল কেন্দ্র মুন্সিগঞ্জে। তবে সারা দেশে তা কিনতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন ছোট কারখানায় কারেন্ট জাল তৈরির তথ্য অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ এম সাহাবউদ্দিন বলেন, ‘উৎপাদনকারী কারখানাগুলোকে কেন পুরোপুরি বন্ধ করছি না। বন্ধ করলে তো বাজারে আসার কথা না। জাল কোথায় উৎপাদিত হচ্ছে, কাঁচামাল কোথা থেকে আসছে, তা বের করতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪