হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
‘দুই বন্ধুকে নিয়ে প্রথম জাদুঘর দেখতে আসলাম। যতটুকু আশা নিয়ে এসেছি, ততটুকু আশা পূরণ হয়নি। সংরক্ষিত জিনিসপত্রের প্রতি তেমন কোনো যত্নের ছোঁয়া পাওয়া যায়নি। জাতিতাত্ত্বিক নিদর্শনের আরও বহু বিষয় এখানে অনুপস্থিত। নেই মুদ্রা পরিচিতি।’
দেশের একমাত্র জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর নিয়ে কথাগুলো বলেছেন বায়তুশ শরফ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মো. ওমর ফারুক। গত ২৫ মে বন্ধুদের নিয়ে তিনি জাদুঘর পরিদর্শনের পর দর্শনার্থীদের মন্তব্যের জন্য রাখা রেজিস্ট্রারে ওমর ফারুক এসব কথা লেখেন।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে মো. ওমর ফারুকের বক্তব্যের প্রতিচ্ছবিই চোখে পড়েছে। জাদুঘরটিতে গিয়ে দেখা যায়, ৫৭ বছর আগে নির্মিত জাদুঘর ভবনটির অবস্থা জরাজীর্ণ। ছাদ চুঁয়ে গ্যালারিতে পানি পড়ে। যে কারণে সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করে রাখা বাক্সগুলো ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে অযত্ন অবহেলায় বিবর্ণ হয়ে পড়েছে জাদুঘরে সংরক্ষিত সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলো। খসে পড়ছে জাদুঘর ভবনটির দেয়ালের পলেস্তারা।
পাশে থাকা দোতলা পুরোনো অফিস ভবনটিরও একই অবস্থা। ওই ভবনের দোতলার এক কোণে থাকা জাদুঘর লাইব্রেরির অবস্থা আরও নাজুক। লাইব্রেরি কক্ষের অবস্থা দেখে মনে হবে গত কয়েক বছর সেখানে কেউ প্রবেশ করেনি। কক্ষটিতে ৫টি কাঠের ও দুটি স্টিলের আলমারিতে কিছু বই থাকলেও সেগুলো বসে পড়ার মতো কোনো পরিবেশ নেই। একটি পুরোনো কাঠের টেবিল আর তিন-চারটি চেয়ার থাকলেও তাতে বসা যায় না। জাদুঘরে জায়গার স্বল্পতার কারণে সংগৃহীত অধিকাংশ নিদর্শন গ্যালারিতে প্রদর্শন করা সম্ভব হয়নি। প্রায় তিন হাজার নিদর্শন লাইব্রেরির পাশের স্টোরে সংরক্ষিত রয়েছে। কিন্তু সেখানেও যথেষ্ট অবহেলার ছাপ দেখা গেছে। ধুলোবালি জমে নষ্ট হওয়ার পথে এসব নিদর্শন।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে জাদুঘরটির গবেষণা সহকারী আবু বকর ছিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ৬০ বছর আগে। যে কারণে ভবনটির অবস্থা নাজুক। পুরোনো ভবনটি ভেঙে এখানে একটি কমপ্লেক্স করা উচিত। বিষয়টি আমাদের উপপরিচালক মহোদয় চিঠি দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। পুরোনো অফিস ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এ ভবনের দোতলায় থাকা লাইব্রেরি সরিয়ে নিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। লাইব্রেরিতে গবেষক খুব কম আসেন। তবে যাঁরা আসেন আমরা তাঁদের সহযোগিতা করি।’ গত দুই মাসে লাইব্রেরিতে একজন গবেষকও আসেননি বলে জানান আবু বকর ছিদ্দিক।
দেশের একমাত্র জাতি-তাত্ত্বিক জাদুঘরটির অবস্থান চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ এলাকায়। এটি এশিয়ার মধ্যে অন্যতম সমৃদ্ধ একটি জাদুঘর। এশিয়ায় এ ধরনের আরেকটি জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর আছে, সেটি জাপানে।
১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জাদুঘরটিতে বিদেশের চারটি জাতিগোষ্ঠীসহ বর্তমানে ২৯টি বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর জীবনধারা, ইতিহাস এবং জীবনযাত্রার উপকরণ প্রদর্শন করা হয়। চারটি গ্যালারিতে বিভক্ত জাদুঘরটির ১১টি কক্ষে এগুলো প্রদর্শন করা হচ্ছে।
জাদুঘরে প্রবেশ করতেই প্রথমে চোখে পড়বে হলঘর। হলঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রথম গ্যালারির প্রথম কক্ষটি বাঙালি সংস্কৃতির বিভিন্ন উপকরণ ও আলোকচিত্রের সাহায্যে সাজানো হয়েছে। কক্ষটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ বাংলাদেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পীর আলোকচিত্রসহ জাতীয় ফুল, ফল ও পশু-পাখির প্রতিকৃতি তৈরি করে উপস্থাপন করা হয়েছে। ২ নম্বর কক্ষে ৪টি বিদেশি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক নিদর্শন উপস্থাপন করা হয়েছে। এই কক্ষে প্রবেশ করার পর শুরুতেই চোখে পড়বে মাঝখানে বাটিযুক্ত বড় আকৃতির কাঠের থালা, সহজে দুই ভাঁজ করা যায় এমন কাঠের নকশা খচিত জায়নামাজ। এ ছাড়া চোখে পড়বে নকশাযুক্ত কাঠের সিন্দুক ও জানালা। এ কক্ষে আরও আছে পাঠানদের ব্যবহৃত তরবারি, বর্শা, তীর ও ধনুক। বাকি ৯ কক্ষের মধ্যে হলঘরে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর পরিধেয় অলংকার প্রদর্শিত হচ্ছে।
অন্য কক্ষগুলোর মধ্যে ২ নম্বর গ্যালারির ক কক্ষে প্রবেশ করলে একজন দর্শনার্থী দেখতে পাবেন পাঙান, মণিপুরী, ওঁরাও জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার আলোকচিত্র, মান্দাই জনগোষ্ঠীর বাসগৃহ ও তাদের হস্তশিল্পজাত উপকরণ। খ নম্বর কক্ষে সাঁওতাল আর পলিয়া জনগোষ্ঠীর গ্রামীণ ও ঘরোয়া জীবনের প্রতিকৃতি দেখা যাবে। তাদের ব্যবহৃত গৃহস্থলী জিনিসপত্রও রয়েছে সেখানে।
৩ নম্বর গ্যালারির ক নম্বর কক্ষে মুরংদের গ্রাম্য জীবন এবং ব্যবহারের জন্য নিজেদের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। খ এবং গ নম্বর কক্ষে ত্রিপুরাদের জীবন ধারার আলোকচিত্র রয়েছে। তাদের ব্যবহৃত টুপি, ঝুড়ি, কাপড়-চোপড়, বম জনগোষ্ঠীর চরকা, কম্বল, তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর কাপড়-চোপড়, ত্রিপুরাদের বাজার ব্যবস্থার আলোকচিত্র দেখা যাবে। ৪ নম্বর গ্যালারির ক নম্বর কক্ষে খুমিদের জীবন ধারা, চাকমাদের ব্যবহৃত পোশাক পরিচ্ছদ, শিকারের অস্ত্র-শস্ত্র, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পোশাকপরিচ্ছদ দেখা যাবে। খ নম্বর কক্ষে আছে মারমাদের ঘরোয়া জীবনের আলোকচিত্র এবং ব্যবহৃত জিনিসপত্র।
প্রদর্শনে নতুনত্ব না থাকায় দিন দিন দর্শনার্থীর সংখ্যা কমছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, বছরের পর বছর একই রকম পড়ে আছে সবকিছু। দর্শনার্থী আসবে কোথা থেকে?
অন্যদিকে মাতৃ দুগ্ধপান কক্ষসহ শিশুদের জন্য কোনো কর্নার না থাকায়ও অনেক দর্শনার্থী জাদুঘরটিতে আসতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন না। বৃহস্পতিবার জাদুঘরটি ঘুরে দেখার সময় এ রকম চিত্র দেখা গেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ জন দর্শনার্থী জাদুঘরটি পরিদর্শনে আসলেও এখন প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০ জন দর্শনার্থী আসেন। গত অর্থ বছরে মাত্র ৬ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাদুঘরটির গবেষণা সহকারী আবু বকর ছিদ্দিক।
দর্শনার্থী কমে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জাদুঘরটির উপপরিচালক ড. মো. আতাউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দর্শনার্থী আকর্ষণ করার মতো প্রচার-প্রচারণা আমাদের ছিল না। আমি যোগদান করার পর নগরের বিভিন্ন স্কুল, জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে সহযোগিতা চেয়েছি। দর্শনার্থী বাড়ানোর জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি, সামনের দিনগুলোতে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে।’
ড. মো. আতাউর রহমান আরও জানান, জাদুঘর ভবনটির ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে এবং লাইব্রেরির অবস্থা নাজুক, এটি জানিয়ে ঢাকায় চিঠি দিয়ে পাঠানো হয়েছে। মাসিক সমন্বয় সভায় মহাপরিচালককে তিনি জানিয়েছেন সে কথা। আগামী মাসে অধিদপ্তর থেকে একটি এক্সপার্ট টিম পরিদর্শনে আসবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এক্সপার্ট টিম পরিদর্শন করে যাওয়ার পর তাদের পরামর্শ অনুযায়ী জাদুঘরের সংস্কার কাজ করা হবে বলে জানান ড. মো. আতাউর রহমান।
‘দুই বন্ধুকে নিয়ে প্রথম জাদুঘর দেখতে আসলাম। যতটুকু আশা নিয়ে এসেছি, ততটুকু আশা পূরণ হয়নি। সংরক্ষিত জিনিসপত্রের প্রতি তেমন কোনো যত্নের ছোঁয়া পাওয়া যায়নি। জাতিতাত্ত্বিক নিদর্শনের আরও বহু বিষয় এখানে অনুপস্থিত। নেই মুদ্রা পরিচিতি।’
দেশের একমাত্র জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর নিয়ে কথাগুলো বলেছেন বায়তুশ শরফ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মো. ওমর ফারুক। গত ২৫ মে বন্ধুদের নিয়ে তিনি জাদুঘর পরিদর্শনের পর দর্শনার্থীদের মন্তব্যের জন্য রাখা রেজিস্ট্রারে ওমর ফারুক এসব কথা লেখেন।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে মো. ওমর ফারুকের বক্তব্যের প্রতিচ্ছবিই চোখে পড়েছে। জাদুঘরটিতে গিয়ে দেখা যায়, ৫৭ বছর আগে নির্মিত জাদুঘর ভবনটির অবস্থা জরাজীর্ণ। ছাদ চুঁয়ে গ্যালারিতে পানি পড়ে। যে কারণে সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করে রাখা বাক্সগুলো ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে অযত্ন অবহেলায় বিবর্ণ হয়ে পড়েছে জাদুঘরে সংরক্ষিত সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলো। খসে পড়ছে জাদুঘর ভবনটির দেয়ালের পলেস্তারা।
পাশে থাকা দোতলা পুরোনো অফিস ভবনটিরও একই অবস্থা। ওই ভবনের দোতলার এক কোণে থাকা জাদুঘর লাইব্রেরির অবস্থা আরও নাজুক। লাইব্রেরি কক্ষের অবস্থা দেখে মনে হবে গত কয়েক বছর সেখানে কেউ প্রবেশ করেনি। কক্ষটিতে ৫টি কাঠের ও দুটি স্টিলের আলমারিতে কিছু বই থাকলেও সেগুলো বসে পড়ার মতো কোনো পরিবেশ নেই। একটি পুরোনো কাঠের টেবিল আর তিন-চারটি চেয়ার থাকলেও তাতে বসা যায় না। জাদুঘরে জায়গার স্বল্পতার কারণে সংগৃহীত অধিকাংশ নিদর্শন গ্যালারিতে প্রদর্শন করা সম্ভব হয়নি। প্রায় তিন হাজার নিদর্শন লাইব্রেরির পাশের স্টোরে সংরক্ষিত রয়েছে। কিন্তু সেখানেও যথেষ্ট অবহেলার ছাপ দেখা গেছে। ধুলোবালি জমে নষ্ট হওয়ার পথে এসব নিদর্শন।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে জাদুঘরটির গবেষণা সহকারী আবু বকর ছিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ৬০ বছর আগে। যে কারণে ভবনটির অবস্থা নাজুক। পুরোনো ভবনটি ভেঙে এখানে একটি কমপ্লেক্স করা উচিত। বিষয়টি আমাদের উপপরিচালক মহোদয় চিঠি দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। পুরোনো অফিস ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এ ভবনের দোতলায় থাকা লাইব্রেরি সরিয়ে নিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। লাইব্রেরিতে গবেষক খুব কম আসেন। তবে যাঁরা আসেন আমরা তাঁদের সহযোগিতা করি।’ গত দুই মাসে লাইব্রেরিতে একজন গবেষকও আসেননি বলে জানান আবু বকর ছিদ্দিক।
দেশের একমাত্র জাতি-তাত্ত্বিক জাদুঘরটির অবস্থান চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ এলাকায়। এটি এশিয়ার মধ্যে অন্যতম সমৃদ্ধ একটি জাদুঘর। এশিয়ায় এ ধরনের আরেকটি জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর আছে, সেটি জাপানে।
১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জাদুঘরটিতে বিদেশের চারটি জাতিগোষ্ঠীসহ বর্তমানে ২৯টি বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর জীবনধারা, ইতিহাস এবং জীবনযাত্রার উপকরণ প্রদর্শন করা হয়। চারটি গ্যালারিতে বিভক্ত জাদুঘরটির ১১টি কক্ষে এগুলো প্রদর্শন করা হচ্ছে।
জাদুঘরে প্রবেশ করতেই প্রথমে চোখে পড়বে হলঘর। হলঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রথম গ্যালারির প্রথম কক্ষটি বাঙালি সংস্কৃতির বিভিন্ন উপকরণ ও আলোকচিত্রের সাহায্যে সাজানো হয়েছে। কক্ষটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ বাংলাদেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পীর আলোকচিত্রসহ জাতীয় ফুল, ফল ও পশু-পাখির প্রতিকৃতি তৈরি করে উপস্থাপন করা হয়েছে। ২ নম্বর কক্ষে ৪টি বিদেশি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক নিদর্শন উপস্থাপন করা হয়েছে। এই কক্ষে প্রবেশ করার পর শুরুতেই চোখে পড়বে মাঝখানে বাটিযুক্ত বড় আকৃতির কাঠের থালা, সহজে দুই ভাঁজ করা যায় এমন কাঠের নকশা খচিত জায়নামাজ। এ ছাড়া চোখে পড়বে নকশাযুক্ত কাঠের সিন্দুক ও জানালা। এ কক্ষে আরও আছে পাঠানদের ব্যবহৃত তরবারি, বর্শা, তীর ও ধনুক। বাকি ৯ কক্ষের মধ্যে হলঘরে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর পরিধেয় অলংকার প্রদর্শিত হচ্ছে।
অন্য কক্ষগুলোর মধ্যে ২ নম্বর গ্যালারির ক কক্ষে প্রবেশ করলে একজন দর্শনার্থী দেখতে পাবেন পাঙান, মণিপুরী, ওঁরাও জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার আলোকচিত্র, মান্দাই জনগোষ্ঠীর বাসগৃহ ও তাদের হস্তশিল্পজাত উপকরণ। খ নম্বর কক্ষে সাঁওতাল আর পলিয়া জনগোষ্ঠীর গ্রামীণ ও ঘরোয়া জীবনের প্রতিকৃতি দেখা যাবে। তাদের ব্যবহৃত গৃহস্থলী জিনিসপত্রও রয়েছে সেখানে।
৩ নম্বর গ্যালারির ক নম্বর কক্ষে মুরংদের গ্রাম্য জীবন এবং ব্যবহারের জন্য নিজেদের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। খ এবং গ নম্বর কক্ষে ত্রিপুরাদের জীবন ধারার আলোকচিত্র রয়েছে। তাদের ব্যবহৃত টুপি, ঝুড়ি, কাপড়-চোপড়, বম জনগোষ্ঠীর চরকা, কম্বল, তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর কাপড়-চোপড়, ত্রিপুরাদের বাজার ব্যবস্থার আলোকচিত্র দেখা যাবে। ৪ নম্বর গ্যালারির ক নম্বর কক্ষে খুমিদের জীবন ধারা, চাকমাদের ব্যবহৃত পোশাক পরিচ্ছদ, শিকারের অস্ত্র-শস্ত্র, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পোশাকপরিচ্ছদ দেখা যাবে। খ নম্বর কক্ষে আছে মারমাদের ঘরোয়া জীবনের আলোকচিত্র এবং ব্যবহৃত জিনিসপত্র।
প্রদর্শনে নতুনত্ব না থাকায় দিন দিন দর্শনার্থীর সংখ্যা কমছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, বছরের পর বছর একই রকম পড়ে আছে সবকিছু। দর্শনার্থী আসবে কোথা থেকে?
অন্যদিকে মাতৃ দুগ্ধপান কক্ষসহ শিশুদের জন্য কোনো কর্নার না থাকায়ও অনেক দর্শনার্থী জাদুঘরটিতে আসতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন না। বৃহস্পতিবার জাদুঘরটি ঘুরে দেখার সময় এ রকম চিত্র দেখা গেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ জন দর্শনার্থী জাদুঘরটি পরিদর্শনে আসলেও এখন প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০ জন দর্শনার্থী আসেন। গত অর্থ বছরে মাত্র ৬ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাদুঘরটির গবেষণা সহকারী আবু বকর ছিদ্দিক।
দর্শনার্থী কমে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জাদুঘরটির উপপরিচালক ড. মো. আতাউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দর্শনার্থী আকর্ষণ করার মতো প্রচার-প্রচারণা আমাদের ছিল না। আমি যোগদান করার পর নগরের বিভিন্ন স্কুল, জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে সহযোগিতা চেয়েছি। দর্শনার্থী বাড়ানোর জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি, সামনের দিনগুলোতে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে।’
ড. মো. আতাউর রহমান আরও জানান, জাদুঘর ভবনটির ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে এবং লাইব্রেরির অবস্থা নাজুক, এটি জানিয়ে ঢাকায় চিঠি দিয়ে পাঠানো হয়েছে। মাসিক সমন্বয় সভায় মহাপরিচালককে তিনি জানিয়েছেন সে কথা। আগামী মাসে অধিদপ্তর থেকে একটি এক্সপার্ট টিম পরিদর্শনে আসবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এক্সপার্ট টিম পরিদর্শন করে যাওয়ার পর তাদের পরামর্শ অনুযায়ী জাদুঘরের সংস্কার কাজ করা হবে বলে জানান ড. মো. আতাউর রহমান।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে