নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে মাধ্যমিক শিক্ষায় চার বছরের ব্যবধানে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমেছে ৪ শতাংশের বেশি। সেই হিসাবে মোট শিক্ষার্থী বাড়ার কথা। কিন্তু তা না হয়ে এই সময়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ বা ১১ শতাংশের বেশি।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) করা ‘বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান-২০২৩’-এর খসড়া প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সেখানে খসড়া সারসংক্ষেপের তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
খসড়া তথ্য অনুযায়ী, মাধ্যমিকে (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি) এখন ঝরে পড়ার হার ৩২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। চার বছর আগে ছিল ৩৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ। অর্থাৎ এই হার কমেছে ৪ শতাংশের বেশি।
অথচ এই চার বছরের ব্যবধানে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। ব্যানবেইসের খসড়া প্রতিবেদনে দেখা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন; ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ১৮৮ জন।
এ বিষয়ে ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান শেখ মো. আলমগীর বলেন, এই পরিসংখ্যানে শুধু জরিপের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে কী কারণে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমে গেছে বা অন্যগুলোতে বেড়ে গেছে, সেই বিষয়ে আরও গবেষণা দরকার।
তবে স্কুল অ্যান্ড কলেজ অর্থাৎ যেখানে উচ্চমাধ্যমিকের পাশাপাশি মাধ্যমিক স্তরেও পড়ানো হয়, সেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজারের মতো বেড়েছে। ২০১৯ সালে এই স্তরে শিক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ২৯ হাজার ১৬৬ জন; ২০২৩ সালে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৯ হাজার ৭৩৮ জন।
মাধ্যমিকে ঝরে পড়ার হার কমলেও উচ্চমাধ্যমিক (একাদশ ও দ্বাদশ) স্তরে বেড়েছে। উচ্চমাধ্যমিকে এখন ঝরে পড়ার হার ২১ দশমিক ৫১ শতাংশ। চার বছর আগে ২০১৯ সালে ছিল ১৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
কর্মশালায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান বলেন, খসড়ায় যেসব তথ্য এসেছে, সেগুলো আবারও পর্যালোচনা করা হবে। তবে নির্দিষ্ট ক্ষেত্র নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা দরকার।
ব্যানবেইসের খসড়া প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৯ সালে দেশে মাদ্রাসা ছিল ৯ হাজার ২৭৮টি; যা ২০২৩ সালে এসে দাঁড়ায় ৯ হাজার ২৫৯টিতে। অর্থাৎ এই চার বছরে দেশে মাদ্রাসা কমেছে ১৯টি। কিন্তু মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীসংখ্যা বেড়েছে আড়াই লাখের বেশি। বর্তমানে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে ২৭ লাখ ৫৮ হাজার ৫০৪ জন শিক্ষার্থী; ২০১৯ সালে ছিল ২৪ লাখ ৯১ হাজার ২৬৮ জন।
অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে ৫ হাজার ৩৯৫টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী ৭ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪৭ জন; চার বছর আগে যা ছিল ৭ লাখের মতো। ওই সময় কারিগরি প্রতিষ্ঠান ছিল ২ হাজার ৩০৯টি। তবে কারিগরিতে ছাত্রীদের হার এখনো অনেক কম। এই স্তরের মোট শিক্ষার্থীর ২৯ শতাংশ ছাত্রী।
দেশে মাধ্যমিক শিক্ষায় চার বছরের ব্যবধানে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমেছে ৪ শতাংশের বেশি। সেই হিসাবে মোট শিক্ষার্থী বাড়ার কথা। কিন্তু তা না হয়ে এই সময়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ বা ১১ শতাংশের বেশি।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) করা ‘বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান-২০২৩’-এর খসড়া প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সেখানে খসড়া সারসংক্ষেপের তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
খসড়া তথ্য অনুযায়ী, মাধ্যমিকে (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি) এখন ঝরে পড়ার হার ৩২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। চার বছর আগে ছিল ৩৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ। অর্থাৎ এই হার কমেছে ৪ শতাংশের বেশি।
অথচ এই চার বছরের ব্যবধানে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। ব্যানবেইসের খসড়া প্রতিবেদনে দেখা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন; ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ১৮৮ জন।
এ বিষয়ে ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান শেখ মো. আলমগীর বলেন, এই পরিসংখ্যানে শুধু জরিপের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে কী কারণে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমে গেছে বা অন্যগুলোতে বেড়ে গেছে, সেই বিষয়ে আরও গবেষণা দরকার।
তবে স্কুল অ্যান্ড কলেজ অর্থাৎ যেখানে উচ্চমাধ্যমিকের পাশাপাশি মাধ্যমিক স্তরেও পড়ানো হয়, সেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজারের মতো বেড়েছে। ২০১৯ সালে এই স্তরে শিক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ২৯ হাজার ১৬৬ জন; ২০২৩ সালে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৯ হাজার ৭৩৮ জন।
মাধ্যমিকে ঝরে পড়ার হার কমলেও উচ্চমাধ্যমিক (একাদশ ও দ্বাদশ) স্তরে বেড়েছে। উচ্চমাধ্যমিকে এখন ঝরে পড়ার হার ২১ দশমিক ৫১ শতাংশ। চার বছর আগে ২০১৯ সালে ছিল ১৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
কর্মশালায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান বলেন, খসড়ায় যেসব তথ্য এসেছে, সেগুলো আবারও পর্যালোচনা করা হবে। তবে নির্দিষ্ট ক্ষেত্র নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা দরকার।
ব্যানবেইসের খসড়া প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৯ সালে দেশে মাদ্রাসা ছিল ৯ হাজার ২৭৮টি; যা ২০২৩ সালে এসে দাঁড়ায় ৯ হাজার ২৫৯টিতে। অর্থাৎ এই চার বছরে দেশে মাদ্রাসা কমেছে ১৯টি। কিন্তু মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীসংখ্যা বেড়েছে আড়াই লাখের বেশি। বর্তমানে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে ২৭ লাখ ৫৮ হাজার ৫০৪ জন শিক্ষার্থী; ২০১৯ সালে ছিল ২৪ লাখ ৯১ হাজার ২৬৮ জন।
অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে ৫ হাজার ৩৯৫টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী ৭ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪৭ জন; চার বছর আগে যা ছিল ৭ লাখের মতো। ওই সময় কারিগরি প্রতিষ্ঠান ছিল ২ হাজার ৩০৯টি। তবে কারিগরিতে ছাত্রীদের হার এখনো অনেক কম। এই স্তরের মোট শিক্ষার্থীর ২৯ শতাংশ ছাত্রী।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে