ফারুক ছিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের হলে ওঠার সময় একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হয়। সেই অঙ্গীকারনামার একটি ধারায় উল্লেখ আছে ‘কোনো ছাত্রী বিবাহিত হলে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। অন্যথায় নিয়মভঙ্গের কারণে তাঁর সিট বাতিল হবে। শুধু বিশেষ ক্ষেত্রে বিবাহিত ছাত্রীকে হলে থেকে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী হলে থাকতে পারবেন না।’
এ নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাঁচ ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তাঁরা নিয়ম বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান কাছে। এ নিয়ে পাঁচটি হলের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
বিবাহিত হওয়ায় সম্প্রতি শামসুন নাহার হল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের দুই ছাত্রীর সিট নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। শামসুন নাহার হলে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে হল প্রশাসন থেকে বলা হয়, তাঁর খালাতো বোন (বিবাহিত) হল থেকে বের না হলে তাঁকে সিট দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে সনাতন ধর্মাবলম্বী এক শিক্ষার্থীর মাথায় সিঁদুর দেওয়ায় বিবাহিতের বিষয়টি প্রকাশ হয়। তখন তাঁর সিট বাতিল করে হল প্রশাসন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সেই প্রেক্ষাপটে ছাত্রীরা বিবাহিত ছাত্রীদের হলে থাকাসহ আরও তিন দাবি তুলেছেন।
ছাত্রীদের অন্য তিন দাবি হলো শিক্ষার্থীদের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের মর্যাদা রক্ষায় সব ছাত্রী হলে ‘লোকাল গার্ডিয়ান’ বা ‘স্থানীয় অভিভাবকের’ পরিবর্তে ‘ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট’ বা ‘জরুরি যোগাযোগ’ শব্দটি রাখা, আবাসিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্বারা যেকোনো ধরনের হয়রানি এবং অসহযোগিতামূলক আচরণ বন্ধ করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকা সাপেক্ষে অনাবাসিক ছাত্রীদের হলে প্রবেশের অধিকার পুনর্বহাল করা ও জরুরি প্রয়োজনে তাঁদের হলে অবস্থান করতে দেওয়া।
উপাচার্যের কাছে দাবিগুলো পেশ করার সময় ছাত্রীদের প্রতিনিধিদলে ছিলে শামসুন নাহার হল সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিবাহিত জানলেই সিট কেটে দেয়। আর অন্তঃসত্ত্বা কোনো ছাত্রী হলে থাকতে পারবেন না। এটা একটি অমানবিক বিষয়। বর্তমান সময়েও এ নিয়ম থাকার কোনো মানে হয় না। এ নিয়ম পরিবর্তন দরকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বাইরের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। সেখানে এ রকম কোনো নিয়ম দেখিনি। এ নিয়ম থাকা উচিত বলে মনে করি না।’
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেমের মতে, একজন শিক্ষার্থী বিবাহিত হলে বা অন্তঃসত্ত্বা হলে তাঁকে হল থেকে বের করে দেওয়াটা নারী অধিকারের পরিপন্থী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটা মেয়ের বিয়ে হওয়া বা অন্তঃসত্ত্বা হওয়া কোনো অপরাধ নয়। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কেউ অন্তঃসত্ত্বা হলে তাঁকে হল থেকে বের করে না দিয়ে বরং কীভাবে তাঁকে প্রয়োজনীয় সেবা-যত্ন করা যায়, সেই ব্যবস্থাটা করা উচিত।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কিছু লোকের হঠকারী চিন্তায় কিছু করা যাবে না। হল কর্তৃপক্ষ ও ডিনস কমিটির সভায় আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোনো পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত এ নিয়মই বলবৎ থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের হলে ওঠার সময় একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হয়। সেই অঙ্গীকারনামার একটি ধারায় উল্লেখ আছে ‘কোনো ছাত্রী বিবাহিত হলে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। অন্যথায় নিয়মভঙ্গের কারণে তাঁর সিট বাতিল হবে। শুধু বিশেষ ক্ষেত্রে বিবাহিত ছাত্রীকে হলে থেকে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী হলে থাকতে পারবেন না।’
এ নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাঁচ ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তাঁরা নিয়ম বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান কাছে। এ নিয়ে পাঁচটি হলের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
বিবাহিত হওয়ায় সম্প্রতি শামসুন নাহার হল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের দুই ছাত্রীর সিট নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। শামসুন নাহার হলে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে হল প্রশাসন থেকে বলা হয়, তাঁর খালাতো বোন (বিবাহিত) হল থেকে বের না হলে তাঁকে সিট দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে সনাতন ধর্মাবলম্বী এক শিক্ষার্থীর মাথায় সিঁদুর দেওয়ায় বিবাহিতের বিষয়টি প্রকাশ হয়। তখন তাঁর সিট বাতিল করে হল প্রশাসন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সেই প্রেক্ষাপটে ছাত্রীরা বিবাহিত ছাত্রীদের হলে থাকাসহ আরও তিন দাবি তুলেছেন।
ছাত্রীদের অন্য তিন দাবি হলো শিক্ষার্থীদের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের মর্যাদা রক্ষায় সব ছাত্রী হলে ‘লোকাল গার্ডিয়ান’ বা ‘স্থানীয় অভিভাবকের’ পরিবর্তে ‘ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট’ বা ‘জরুরি যোগাযোগ’ শব্দটি রাখা, আবাসিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্বারা যেকোনো ধরনের হয়রানি এবং অসহযোগিতামূলক আচরণ বন্ধ করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকা সাপেক্ষে অনাবাসিক ছাত্রীদের হলে প্রবেশের অধিকার পুনর্বহাল করা ও জরুরি প্রয়োজনে তাঁদের হলে অবস্থান করতে দেওয়া।
উপাচার্যের কাছে দাবিগুলো পেশ করার সময় ছাত্রীদের প্রতিনিধিদলে ছিলে শামসুন নাহার হল সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিবাহিত জানলেই সিট কেটে দেয়। আর অন্তঃসত্ত্বা কোনো ছাত্রী হলে থাকতে পারবেন না। এটা একটি অমানবিক বিষয়। বর্তমান সময়েও এ নিয়ম থাকার কোনো মানে হয় না। এ নিয়ম পরিবর্তন দরকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বাইরের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। সেখানে এ রকম কোনো নিয়ম দেখিনি। এ নিয়ম থাকা উচিত বলে মনে করি না।’
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেমের মতে, একজন শিক্ষার্থী বিবাহিত হলে বা অন্তঃসত্ত্বা হলে তাঁকে হল থেকে বের করে দেওয়াটা নারী অধিকারের পরিপন্থী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটা মেয়ের বিয়ে হওয়া বা অন্তঃসত্ত্বা হওয়া কোনো অপরাধ নয়। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কেউ অন্তঃসত্ত্বা হলে তাঁকে হল থেকে বের করে না দিয়ে বরং কীভাবে তাঁকে প্রয়োজনীয় সেবা-যত্ন করা যায়, সেই ব্যবস্থাটা করা উচিত।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কিছু লোকের হঠকারী চিন্তায় কিছু করা যাবে না। হল কর্তৃপক্ষ ও ডিনস কমিটির সভায় আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোনো পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত এ নিয়মই বলবৎ থাকবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে