ফারহানা রহমান
এসএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের জীববিজ্ঞান বিষয়ের এগারো অধ্যায় জীবের প্রজনন থেকে অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করব।
১। পতঙ্গ পরাগী ফুল বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যেসব ফুলে পতঙ্গের মাধ্যমে পরাগায়ন হয়, সেগুলো পতঙ্গ পরাগী ফুল।
পতঙ্গ পরাগী ফুল বড়, রঙিন ও মধুগ্রন্থিযুক্ত এবং পরাগ রেণু ও গর্ভমুণ্ড আঁঠালো সুগন্ধযুক্ত হয়; যেমন জবা, কুমড়া, সরিষা ইত্যাদি।
২। উদ্ভিদে পরাগায়নের গুরুত্ব বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: ফুলের পরাগধানি থেকে পরাগরেণু একই ফুলের অথবা একই জাতের অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হওয়াকে পরাগায়ন বলে।
পরপরাগায়নের ফলে উদ্ভিদের নতুন চরিত্রের সৃষ্টি হয়। বীজের অঙ্কুরোদগমের হার বৃদ্ধি পায়। বীজ অধিক জীবনীশক্তিসম্পন্ন হয় এবং নতুন প্রকরণ সৃষ্টি হয়। তাই পরপরাগায়ন গুরুত্বপূর্ণ।
৩। ফুলের অত্যাবশ্যকীয় স্তবক বলকে কী বোঝায়?
উত্তর: যে স্তবক সরাসরি ফুলের জনন কাজে অংশগ্রহণ করে, তাকে অত্যাবশ্যকীয় স্তবক বলে।
ফুলের ৫টি অংশ থাকতে পারে। যথা পুপাক্ষ, বৃতি, দলমণ্ডল, পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক। এর মধ্যে পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক সরাসরি জননকাজে অংশগ্রহণ করে। এ জন্য এই স্তবক দুটিকে ফুলের অত্যাবশ্যকীয় স্তবক বলে।
৪। পাতা শেওলার পরাগায়ন কীভাবে হয়?
উত্তর: পাতা শেওলা পানিপরাগী ফুল। যে পরাগায়ন পানির মাধ্যমে হয়, সেই পরাগায়নকে পানিপরাগী ফুল বলে।
পাতা শেওলার ফুল আকারে ক্ষুদ্র এবং হালকা। এরা সহজেই পানিতে ভাসতে পারে। স্ত্রীপুষ্পের বৃন্ত লম্বা কিন্তু পুংপুষ্পের বৃন্ত ছোট। পরিণত পুংপুষ্প বৃন্ত থেকে খুলে পানিতে ভাসতে থাকে এবং স্ত্রীপুষ্পের কাছে পৌঁছালে সেখানেই পরাগায়ন ঘটে।
৫। উদ্ভিদের জন্য ফুল প্রয়োজন কেন?
উত্তর: উদ্ভিদের বংশ বৃদ্ধির জন্য ফুল প্রয়োজন, কারণ উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদের প্রজনন অঙ্গই হলো ফুল।
এটি প্রজননের জন্য রূপান্তরিত বিটপ মাত্র। ফুলে অবস্থিত পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক সরাসরি প্রজননে অংশ নেয়। অন্য স্তবকগুলোও প্রজননে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই উদ্ভিদের বংশ বৃদ্ধিতে ফুল প্রয়োজন।
৬। জরায়ুর কোন অঙ্গ বৃক্কের মতো কাজ করে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: যে বিশেষ অঙ্গের মাধ্যমে মাতৃ জরায়ুতে ক্রমবর্ধমান ভ্রূণ এবং মাতৃ জরায়ু টিস্যুর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়, তাকে অমরা বা গর্ভফুল বলে।
জরায়ুর অমরা বৃক্কের মতো কাজ করে। অমরার সাহায্যে ভ্রূণ জরায়ুর গায়ে সংস্থাপিত হয়। বিপাকের ফলে যে বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয় তা অমরার মাধ্যমে ভ্রূণের দেহ থেকে অপসারিত হয়।
৭. স্বপরাগায়ন ও পরপরাগায়নের মধ্যে পার্থক্য করো।
উত্তর: স্বপরাগায়ন ও পরপরাগায়নের মধ্যকার পার্থক্য নিচে আলোচনা করা হলো–
স্বপরাগায়ন
১. একই ফুলে বা একই গাছের ভিন্ন দুটি ফুলের মধ্যে পরাগায়ন ঘটলে তাকে স্বপরাগায়ন বলে।
২) নতুন প্রকরণ সৃষ্টি হয় না। ৩) প্রজাতির বিশুদ্ধতা বজায় থাকে। ৪) জিনগত বৈচিত্র্য কম।
৫) অভিযোজন ক্ষমতা কম। ৬) পরাগরেণুর অপচয় কম। পরপরাগায়ন
১. একই প্রজাতির দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের ফুলের মধ্যে পরাগ সংযোগ ঘটলে তাকে পরপরাগায়ন বলে।
২) নতুন প্রকরণ সৃষ্টি হয়।
৩) প্রজাতির বিশুদ্ধতা বজায় থাকে না।
৪) জিনগত বৈচিত্র্য বেশি।
৫) অভিযোজন ক্ষমতা বেশি।
৬) পরাগরেণুর অপচয় বেশি।
৭। ভ্রূণের বৃদ্ধির জন্য অমরা প্রয়োজন কেন?
উত্তর: যে বিশেষ অঙ্গের মাধ্যমে মাতৃ জরায়ুতে ক্রমবর্ধমান ভ্রূণ এবং মাতৃ জরায়ু টিস্যুর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়, তাকে অমরা বা গর্ভফুল বলে।
অমরার সাহায্যে ভ্রূণ জরায়ুর গাত্রে সংস্থাপিত হয়। ভ্রূণের বৃদ্ধির জন্য যে খাদ্য প্রয়োজন তা ভ্রূণ অমরার মাধ্যমে মায়ের রক্ত থেকে গ্রহণ করে। তা ছাড়া অমরা অনেকটা ফুসফুসের মতো কাজ করে। অমরার সাহায্যে ভ্রূণের অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের বিনিময় ঘটে। তাই ভ্রূণের বৃদ্ধির জন্য অমরা অত্যাবশ্যকীয়।
৮। অমরা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যে বিশেষ অঙ্গের মাধ্যমে মাতৃ জরায়ুতে ক্রমবর্ধমান ভ্রূণ এবং মাতৃ জরায়ু টিস্যুর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয় তাকে অমরা বা গর্ভফুল বলে।
অমরার সাহায্যে ভ্রূণ জরায়ুর গাত্রে সংস্থাপিত হয়। এতে ভ্রূণের কোনো ক্ষতি হতে পারে না।
৯। পরাগনালি বলতে কি বোঝায়?
উত্তর: পুংজনন কোষের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত নালিকোষকে পরাগনালি বলে।
পরাগনালি পুংজনন কোষকে ফুলের গর্ভাশয় বহন করে পরাগরেণুর কেন্দ্রিকাটি মাইটোটিক পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়ে একটি বড় কোষ ও একটি ক্ষুদ্র কোষ সৃষ্টি করে। বড় কোষটিকে নালিকোষ এবং ক্ষুদ্র কোষটিকে জেনারেটিভ কোষ বলে; যা দুটি পুংজনন কোষ উৎপন্ন করে। অন্য দিকে, নালিকোষটি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে পরাগনালি গঠন করে।
১০। জীবের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রজনন প্রয়োজনীয় কেন?
উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় জীব তার বংশধর সৃষ্টি করে, তাকে প্রজনন বলে। জীবের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য প্রজনন প্রয়োজনীয়।
প্রজনন না হলে জীবের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেত। ভাইরাস থেকে শুরু করে মানুষ পর্যন্ত সব জীবে বংশধর সৃষ্টি হয় প্রজনন প্রক্রিয়ায়। এতে প্রজাতির অস্তিত্ব রক্ষা হয়।
১১। উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদের প্রজনন অঙ্গ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: উদ্ভিদের প্রজনন কার্যে সাহায্যকারী অঙ্গকেই প্রজনন অঙ্গ বলে।
উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদের প্রজননের জন্য রূপান্তরিত বিশেষ ধরনের বিটপই হলো ফুল। ফুলের পাঁচটি অংশের মধ্যে পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক যথাক্রমে পুংজনন কোষ ও স্ত্রী জনন কোষ উৎপাদনের মাধ্যমে সরাসরি প্রজননে ভূমিকা রাখে এবং ফুলের মধ্যেই পরাগায়ন ও নিষেক সম্পন্ন হয়। কাজেই ফুলই হলো উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদের প্রজনন অঙ্গ।
১২। দ্বিনিষেক বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: প্রায় একই সময়ে দুটি পুংজনন কোষের একটি ডিম্বাণুর সঙ্গে ও অপরটি গৌণ কেন্দ্রিকার সঙ্গে মিলিত হয়। এ ঘটনাকে দ্বিনিষেক বলা হয়।
দুটি পুংজনন কোষের একটি ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হয়ে জাইগোট সৃষ্টি করে। আর অপর পুংজনন কোষটি গৌণ কেন্দ্রিকার সঙ্গে মিলিত হয়ে ট্রিপয়েড সস্য কোষ সৃষ্টি করে।
ফারহানা রহমান
সহকারী শিক্ষক,ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খিলগাঁও, ঢাকা।
এসএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের জীববিজ্ঞান বিষয়ের এগারো অধ্যায় জীবের প্রজনন থেকে অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করব।
১। পতঙ্গ পরাগী ফুল বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যেসব ফুলে পতঙ্গের মাধ্যমে পরাগায়ন হয়, সেগুলো পতঙ্গ পরাগী ফুল।
পতঙ্গ পরাগী ফুল বড়, রঙিন ও মধুগ্রন্থিযুক্ত এবং পরাগ রেণু ও গর্ভমুণ্ড আঁঠালো সুগন্ধযুক্ত হয়; যেমন জবা, কুমড়া, সরিষা ইত্যাদি।
২। উদ্ভিদে পরাগায়নের গুরুত্ব বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: ফুলের পরাগধানি থেকে পরাগরেণু একই ফুলের অথবা একই জাতের অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হওয়াকে পরাগায়ন বলে।
পরপরাগায়নের ফলে উদ্ভিদের নতুন চরিত্রের সৃষ্টি হয়। বীজের অঙ্কুরোদগমের হার বৃদ্ধি পায়। বীজ অধিক জীবনীশক্তিসম্পন্ন হয় এবং নতুন প্রকরণ সৃষ্টি হয়। তাই পরপরাগায়ন গুরুত্বপূর্ণ।
৩। ফুলের অত্যাবশ্যকীয় স্তবক বলকে কী বোঝায়?
উত্তর: যে স্তবক সরাসরি ফুলের জনন কাজে অংশগ্রহণ করে, তাকে অত্যাবশ্যকীয় স্তবক বলে।
ফুলের ৫টি অংশ থাকতে পারে। যথা পুপাক্ষ, বৃতি, দলমণ্ডল, পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক। এর মধ্যে পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক সরাসরি জননকাজে অংশগ্রহণ করে। এ জন্য এই স্তবক দুটিকে ফুলের অত্যাবশ্যকীয় স্তবক বলে।
৪। পাতা শেওলার পরাগায়ন কীভাবে হয়?
উত্তর: পাতা শেওলা পানিপরাগী ফুল। যে পরাগায়ন পানির মাধ্যমে হয়, সেই পরাগায়নকে পানিপরাগী ফুল বলে।
পাতা শেওলার ফুল আকারে ক্ষুদ্র এবং হালকা। এরা সহজেই পানিতে ভাসতে পারে। স্ত্রীপুষ্পের বৃন্ত লম্বা কিন্তু পুংপুষ্পের বৃন্ত ছোট। পরিণত পুংপুষ্প বৃন্ত থেকে খুলে পানিতে ভাসতে থাকে এবং স্ত্রীপুষ্পের কাছে পৌঁছালে সেখানেই পরাগায়ন ঘটে।
৫। উদ্ভিদের জন্য ফুল প্রয়োজন কেন?
উত্তর: উদ্ভিদের বংশ বৃদ্ধির জন্য ফুল প্রয়োজন, কারণ উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদের প্রজনন অঙ্গই হলো ফুল।
এটি প্রজননের জন্য রূপান্তরিত বিটপ মাত্র। ফুলে অবস্থিত পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক সরাসরি প্রজননে অংশ নেয়। অন্য স্তবকগুলোও প্রজননে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই উদ্ভিদের বংশ বৃদ্ধিতে ফুল প্রয়োজন।
৬। জরায়ুর কোন অঙ্গ বৃক্কের মতো কাজ করে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: যে বিশেষ অঙ্গের মাধ্যমে মাতৃ জরায়ুতে ক্রমবর্ধমান ভ্রূণ এবং মাতৃ জরায়ু টিস্যুর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়, তাকে অমরা বা গর্ভফুল বলে।
জরায়ুর অমরা বৃক্কের মতো কাজ করে। অমরার সাহায্যে ভ্রূণ জরায়ুর গায়ে সংস্থাপিত হয়। বিপাকের ফলে যে বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয় তা অমরার মাধ্যমে ভ্রূণের দেহ থেকে অপসারিত হয়।
৭. স্বপরাগায়ন ও পরপরাগায়নের মধ্যে পার্থক্য করো।
উত্তর: স্বপরাগায়ন ও পরপরাগায়নের মধ্যকার পার্থক্য নিচে আলোচনা করা হলো–
স্বপরাগায়ন
১. একই ফুলে বা একই গাছের ভিন্ন দুটি ফুলের মধ্যে পরাগায়ন ঘটলে তাকে স্বপরাগায়ন বলে।
২) নতুন প্রকরণ সৃষ্টি হয় না। ৩) প্রজাতির বিশুদ্ধতা বজায় থাকে। ৪) জিনগত বৈচিত্র্য কম।
৫) অভিযোজন ক্ষমতা কম। ৬) পরাগরেণুর অপচয় কম। পরপরাগায়ন
১. একই প্রজাতির দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের ফুলের মধ্যে পরাগ সংযোগ ঘটলে তাকে পরপরাগায়ন বলে।
২) নতুন প্রকরণ সৃষ্টি হয়।
৩) প্রজাতির বিশুদ্ধতা বজায় থাকে না।
৪) জিনগত বৈচিত্র্য বেশি।
৫) অভিযোজন ক্ষমতা বেশি।
৬) পরাগরেণুর অপচয় বেশি।
৭। ভ্রূণের বৃদ্ধির জন্য অমরা প্রয়োজন কেন?
উত্তর: যে বিশেষ অঙ্গের মাধ্যমে মাতৃ জরায়ুতে ক্রমবর্ধমান ভ্রূণ এবং মাতৃ জরায়ু টিস্যুর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়, তাকে অমরা বা গর্ভফুল বলে।
অমরার সাহায্যে ভ্রূণ জরায়ুর গাত্রে সংস্থাপিত হয়। ভ্রূণের বৃদ্ধির জন্য যে খাদ্য প্রয়োজন তা ভ্রূণ অমরার মাধ্যমে মায়ের রক্ত থেকে গ্রহণ করে। তা ছাড়া অমরা অনেকটা ফুসফুসের মতো কাজ করে। অমরার সাহায্যে ভ্রূণের অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের বিনিময় ঘটে। তাই ভ্রূণের বৃদ্ধির জন্য অমরা অত্যাবশ্যকীয়।
৮। অমরা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যে বিশেষ অঙ্গের মাধ্যমে মাতৃ জরায়ুতে ক্রমবর্ধমান ভ্রূণ এবং মাতৃ জরায়ু টিস্যুর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয় তাকে অমরা বা গর্ভফুল বলে।
অমরার সাহায্যে ভ্রূণ জরায়ুর গাত্রে সংস্থাপিত হয়। এতে ভ্রূণের কোনো ক্ষতি হতে পারে না।
৯। পরাগনালি বলতে কি বোঝায়?
উত্তর: পুংজনন কোষের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত নালিকোষকে পরাগনালি বলে।
পরাগনালি পুংজনন কোষকে ফুলের গর্ভাশয় বহন করে পরাগরেণুর কেন্দ্রিকাটি মাইটোটিক পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়ে একটি বড় কোষ ও একটি ক্ষুদ্র কোষ সৃষ্টি করে। বড় কোষটিকে নালিকোষ এবং ক্ষুদ্র কোষটিকে জেনারেটিভ কোষ বলে; যা দুটি পুংজনন কোষ উৎপন্ন করে। অন্য দিকে, নালিকোষটি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে পরাগনালি গঠন করে।
১০। জীবের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রজনন প্রয়োজনীয় কেন?
উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় জীব তার বংশধর সৃষ্টি করে, তাকে প্রজনন বলে। জীবের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য প্রজনন প্রয়োজনীয়।
প্রজনন না হলে জীবের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেত। ভাইরাস থেকে শুরু করে মানুষ পর্যন্ত সব জীবে বংশধর সৃষ্টি হয় প্রজনন প্রক্রিয়ায়। এতে প্রজাতির অস্তিত্ব রক্ষা হয়।
১১। উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদের প্রজনন অঙ্গ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: উদ্ভিদের প্রজনন কার্যে সাহায্যকারী অঙ্গকেই প্রজনন অঙ্গ বলে।
উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদের প্রজননের জন্য রূপান্তরিত বিশেষ ধরনের বিটপই হলো ফুল। ফুলের পাঁচটি অংশের মধ্যে পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক যথাক্রমে পুংজনন কোষ ও স্ত্রী জনন কোষ উৎপাদনের মাধ্যমে সরাসরি প্রজননে ভূমিকা রাখে এবং ফুলের মধ্যেই পরাগায়ন ও নিষেক সম্পন্ন হয়। কাজেই ফুলই হলো উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদের প্রজনন অঙ্গ।
১২। দ্বিনিষেক বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: প্রায় একই সময়ে দুটি পুংজনন কোষের একটি ডিম্বাণুর সঙ্গে ও অপরটি গৌণ কেন্দ্রিকার সঙ্গে মিলিত হয়। এ ঘটনাকে দ্বিনিষেক বলা হয়।
দুটি পুংজনন কোষের একটি ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হয়ে জাইগোট সৃষ্টি করে। আর অপর পুংজনন কোষটি গৌণ কেন্দ্রিকার সঙ্গে মিলিত হয়ে ট্রিপয়েড সস্য কোষ সৃষ্টি করে।
ফারহানা রহমান
সহকারী শিক্ষক,ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খিলগাঁও, ঢাকা।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে