আয়নাল হোসেন, ঢাকা
শিল্প মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) ঊর্ধ্বতন কিছু কর্মকর্তা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (এসএফসিএল) ছয়টি গাড়ি নিয়মবহির্ভূতভাবে ব্যবহার করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই কর্মকর্তাদের প্রাধিকার-বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটিকে বছরে লাখ লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা বিভাগের প্রতিবেদনে এই অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানির ছয়টি গাড়ি নিয়মের বাইরে ব্যবহারের পাশাপাশি আটজন গাড়িচালকের বেতন-ভাতা, জ্বালানি তেল ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচও মেটাতে হচ্ছে সার কারখানাকে। এতে এক অর্থবছরেই রাষ্ট্রের কোষাগার থেকে ব্যয় হয়েছে ৪২ লাখ টাকা।
নিরীক্ষা বিভাগের প্রতিবেদনে
উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাধিকার-বহির্ভূতভাবে ব্যবহার করায় এ-সংক্রান্ত ব্যয়ের অঙ্ক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হয়।
শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানির একাধিক কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের কয়েকটি গাড়ি মন্ত্রণালয় ও করপোরেশনে রয়েছে বলে তাঁরা শুনেছেন। এসব গাড়ি কেনার পর তাঁরা আদৌ দেখতে পারেননি। কেনার পর থেকে সেগুলো মন্ত্রণালয় ও বিসিআইসির অধীনে রয়েছে। গাড়িগুলো সিলেট শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রতিষ্ঠানের হলেও চারটি গাড়ি ঢাকা মেট্রো নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ব্যবহার নিয়ে সন্দেহ যাতে না হয়, সে জন্যই এটি করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানির ঢাকা মেট্রো ঘ ১৩-৭৫২৯ গাড়িটি ব্যবহার করতেন বিসিআইসির পরিচালক (কারিগরি ও প্রকৌশল) মোহাম্মদ মনসুর আলম খান। বর্তমানে তিনি কৃষি বিপণন অধিদপ্তরে পরিচালক পদে বদলি হয়েছেন।
গাড়িটি ব্যবহারের সময় এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ মনসুর আলম খান আজকের পত্রিকা’কে বলেছিলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী সরকারের কাছে আমার একটি গাড়ি পাওনা রয়েছে। আমার ব্যবহৃত গাড়িটি শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানির নাকি অন্য কোনো গাড়ি, সেটি পরিবহন যাঁরা ব্যবস্থাপনা করেন, তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন। আমার দেখার বিষয় হলো, সরকারকে নিয়ম অনুযায়ী মাসে ২৫ হাজার টাকা দিচ্ছি কি না।’
২০২০-২১ অর্থবছরের টাকার বিষয়ে অডিট আপত্তি থাকার কথা উল্লেখ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনসুর আলম খান বলেন, ‘গাড়ি যাঁরা মেইনটেইন করেন, তাঁরাই এ ব্যাপারে বলতে পারবেন।’
জানা গেছে, মনসুর আলম খানের ওই গাড়ি এখন ব্যবহার করছেন বিসিআইসির পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক। গতকাল বুধবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনিও তাঁর বেতন থেকে গাড়ি বাবদ টাকা কেটে নেওয়ার কথা বলেন।
ছয়টির মধ্যে দুটি গাড়ি গত ১৬ জুলাই দুপুরে রাজধানীতে বিসিআইসি ভবনের পার্কিংয়ে দেখা যায়। এগুলো হচ্ছে ঢাকা মেট্রো গ ৩৭-৯৯৫৪ এবং সিলেট মেট্রো গ ১১-১০৬৪। এ ছাড়া ঢাকা মেট্রো ঘ ১৩-৯৬৮৬, ঢাকা মেট্রো ঘ ১৩-৯৬৮৫ এবং সিলেট মেট্রো গ ১১-১০৬২ গাড়িগুলো উল্লিখিত কর্মকর্তারা ব্যবহার করছেন।
জানা গেছে, একটি গাড়ি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত (রাষ্ট্রায়ত্ত করপোরেশন) সচিব এস এম আলম এবং একটি সিনিয়র সচিবের পিএস শাহিদুল ইসলাম ব্যবহার করছেন। জানতে চাইলে শাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি সিনিয়র সচিবের পিএস এবং শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানির পরিচালনা বোর্ডের সদস্য। তিনি বলেন, সার কারখানার গাড়িটি অনেক আগে থেকে মন্ত্রণালয় ব্যবহার করে আসছে। গাড়ির খরচ বহন করছে বিসিআইসি।
গাড়ি ছয়টি কারা ব্যবহার করছেন জানতে এই প্রতিবেদক সম্প্রতি বিসিআইসি ভবনে যান। বিসিআইসি প্রধান কার্যালয়ের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তবে নিয়ম ভেঙে সার কারখানার গাড়ি ব্যবহার এবং রাষ্ট্রের ক্ষতির বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের অনুমোদন ছাড়া কিছু বলতে রাজি হননি তাঁরা।
বিসিআইসির যাবতীয় গাড়ি দেখভাল করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী প্রকৌশলী বসির উদ্দিন পিন্টু। একাধিকবার কার্যালয়ে গিয়ে তাঁকে না পাওয়ায় এই প্রতিবেদক অনেকবার ফোন করেন এবং খুদে বার্তা পাঠান। এতেও কোনো সাড়া না পেলে জনসংযোগ শাখায় যোগাযোগ করা হয়। তখন বসির উদ্দিন পিন্টু এই প্রতিবেদককে ফোন করে বলেন, কোনো তথ্য জানতে হলে চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা বিভাগ জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত বাবদ ১০ লাখ ৫০ হাজার ৭৫৩ টাকা, জ্বালানি তেল বাবদ ১৪ লাখ ১ হাজার ৮৭৪ টাকা এবং গাড়িচালকদের বেতন-ভাতা বাবদ ১৭ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩৫ টাকাসহ মোট ৪১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬২ টাকা ব্যয় হয়েছে। এভাবে কারখানার গাড়ি মন্ত্রণালয় বা বিভাগে ব্যবহার করলে ১৯৮৬ সালের সরকারি যানবাহন (ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালার লঙ্ঘন হয়।
প্রকল্পের গাড়ি নিয়ম ভঙ্গ করে ব্যবহারের বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে দুর্নীতি নজরদারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এসবের কোনো প্রতিকার নেই। যাঁরা এসব করছেন, তাঁরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছেন। রাষ্ট্রীয় সম্পদকে রক্ষার স্থলে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন তাঁরা। নিয়ন্ত্রণকারীরও জবাবদিহি নেই। এ কারণে নিরীক্ষা প্রতিবেদন শুধু প্রতিবেদন হিসেবেই রয়ে যায়।’
সার কারখানার বক্তব্য
নিরীক্ষা প্রতিবেদনের জবাবে শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি বলেছে, সিলেট এলাকায় সারের ব্যবহার কম। দেশের উত্তরাঞ্চলে ব্যবহারের জন্য ডিলারদের বিতরণ কার্যক্রম এবং মজুত দেখভাল করতে শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিসিআইসি এসব গাড়ি ব্যবহার করে। গাড়িগুলো এসএফসিএলের প্রকল্প শেষে ফেরত দেওয়ার কথা অডিট বিভাগকে জানানো হলেও তা সঠিক নয়। বর্তমানে ওই ছয়টি গাড়ি বিসিআইসি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা ব্যবহার করছেন।
শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁদের ছয়টি গাড়ি এখনো শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিসিআইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দখলে রয়েছে। এসব গাড়ি ব্যবহার করা তাঁদের মোটেই উচিত হয়নি।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এ বিষয়ে বলেন, ‘প্রকল্পের গাড়ি প্রকল্পের কাজেই ব্যবহার করা সমীচীন। এটি অবশ্যই অনিয়ম।’
আরও খবর পড়ুন:
শিল্প মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) ঊর্ধ্বতন কিছু কর্মকর্তা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (এসএফসিএল) ছয়টি গাড়ি নিয়মবহির্ভূতভাবে ব্যবহার করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই কর্মকর্তাদের প্রাধিকার-বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটিকে বছরে লাখ লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা বিভাগের প্রতিবেদনে এই অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানির ছয়টি গাড়ি নিয়মের বাইরে ব্যবহারের পাশাপাশি আটজন গাড়িচালকের বেতন-ভাতা, জ্বালানি তেল ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচও মেটাতে হচ্ছে সার কারখানাকে। এতে এক অর্থবছরেই রাষ্ট্রের কোষাগার থেকে ব্যয় হয়েছে ৪২ লাখ টাকা।
নিরীক্ষা বিভাগের প্রতিবেদনে
উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাধিকার-বহির্ভূতভাবে ব্যবহার করায় এ-সংক্রান্ত ব্যয়ের অঙ্ক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হয়।
শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানির একাধিক কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের কয়েকটি গাড়ি মন্ত্রণালয় ও করপোরেশনে রয়েছে বলে তাঁরা শুনেছেন। এসব গাড়ি কেনার পর তাঁরা আদৌ দেখতে পারেননি। কেনার পর থেকে সেগুলো মন্ত্রণালয় ও বিসিআইসির অধীনে রয়েছে। গাড়িগুলো সিলেট শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রতিষ্ঠানের হলেও চারটি গাড়ি ঢাকা মেট্রো নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ব্যবহার নিয়ে সন্দেহ যাতে না হয়, সে জন্যই এটি করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানির ঢাকা মেট্রো ঘ ১৩-৭৫২৯ গাড়িটি ব্যবহার করতেন বিসিআইসির পরিচালক (কারিগরি ও প্রকৌশল) মোহাম্মদ মনসুর আলম খান। বর্তমানে তিনি কৃষি বিপণন অধিদপ্তরে পরিচালক পদে বদলি হয়েছেন।
গাড়িটি ব্যবহারের সময় এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ মনসুর আলম খান আজকের পত্রিকা’কে বলেছিলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী সরকারের কাছে আমার একটি গাড়ি পাওনা রয়েছে। আমার ব্যবহৃত গাড়িটি শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানির নাকি অন্য কোনো গাড়ি, সেটি পরিবহন যাঁরা ব্যবস্থাপনা করেন, তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন। আমার দেখার বিষয় হলো, সরকারকে নিয়ম অনুযায়ী মাসে ২৫ হাজার টাকা দিচ্ছি কি না।’
২০২০-২১ অর্থবছরের টাকার বিষয়ে অডিট আপত্তি থাকার কথা উল্লেখ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনসুর আলম খান বলেন, ‘গাড়ি যাঁরা মেইনটেইন করেন, তাঁরাই এ ব্যাপারে বলতে পারবেন।’
জানা গেছে, মনসুর আলম খানের ওই গাড়ি এখন ব্যবহার করছেন বিসিআইসির পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক। গতকাল বুধবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনিও তাঁর বেতন থেকে গাড়ি বাবদ টাকা কেটে নেওয়ার কথা বলেন।
ছয়টির মধ্যে দুটি গাড়ি গত ১৬ জুলাই দুপুরে রাজধানীতে বিসিআইসি ভবনের পার্কিংয়ে দেখা যায়। এগুলো হচ্ছে ঢাকা মেট্রো গ ৩৭-৯৯৫৪ এবং সিলেট মেট্রো গ ১১-১০৬৪। এ ছাড়া ঢাকা মেট্রো ঘ ১৩-৯৬৮৬, ঢাকা মেট্রো ঘ ১৩-৯৬৮৫ এবং সিলেট মেট্রো গ ১১-১০৬২ গাড়িগুলো উল্লিখিত কর্মকর্তারা ব্যবহার করছেন।
জানা গেছে, একটি গাড়ি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত (রাষ্ট্রায়ত্ত করপোরেশন) সচিব এস এম আলম এবং একটি সিনিয়র সচিবের পিএস শাহিদুল ইসলাম ব্যবহার করছেন। জানতে চাইলে শাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি সিনিয়র সচিবের পিএস এবং শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানির পরিচালনা বোর্ডের সদস্য। তিনি বলেন, সার কারখানার গাড়িটি অনেক আগে থেকে মন্ত্রণালয় ব্যবহার করে আসছে। গাড়ির খরচ বহন করছে বিসিআইসি।
গাড়ি ছয়টি কারা ব্যবহার করছেন জানতে এই প্রতিবেদক সম্প্রতি বিসিআইসি ভবনে যান। বিসিআইসি প্রধান কার্যালয়ের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তবে নিয়ম ভেঙে সার কারখানার গাড়ি ব্যবহার এবং রাষ্ট্রের ক্ষতির বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের অনুমোদন ছাড়া কিছু বলতে রাজি হননি তাঁরা।
বিসিআইসির যাবতীয় গাড়ি দেখভাল করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী প্রকৌশলী বসির উদ্দিন পিন্টু। একাধিকবার কার্যালয়ে গিয়ে তাঁকে না পাওয়ায় এই প্রতিবেদক অনেকবার ফোন করেন এবং খুদে বার্তা পাঠান। এতেও কোনো সাড়া না পেলে জনসংযোগ শাখায় যোগাযোগ করা হয়। তখন বসির উদ্দিন পিন্টু এই প্রতিবেদককে ফোন করে বলেন, কোনো তথ্য জানতে হলে চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা বিভাগ জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত বাবদ ১০ লাখ ৫০ হাজার ৭৫৩ টাকা, জ্বালানি তেল বাবদ ১৪ লাখ ১ হাজার ৮৭৪ টাকা এবং গাড়িচালকদের বেতন-ভাতা বাবদ ১৭ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩৫ টাকাসহ মোট ৪১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬২ টাকা ব্যয় হয়েছে। এভাবে কারখানার গাড়ি মন্ত্রণালয় বা বিভাগে ব্যবহার করলে ১৯৮৬ সালের সরকারি যানবাহন (ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালার লঙ্ঘন হয়।
প্রকল্পের গাড়ি নিয়ম ভঙ্গ করে ব্যবহারের বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে দুর্নীতি নজরদারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এসবের কোনো প্রতিকার নেই। যাঁরা এসব করছেন, তাঁরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছেন। রাষ্ট্রীয় সম্পদকে রক্ষার স্থলে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন তাঁরা। নিয়ন্ত্রণকারীরও জবাবদিহি নেই। এ কারণে নিরীক্ষা প্রতিবেদন শুধু প্রতিবেদন হিসেবেই রয়ে যায়।’
সার কারখানার বক্তব্য
নিরীক্ষা প্রতিবেদনের জবাবে শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি বলেছে, সিলেট এলাকায় সারের ব্যবহার কম। দেশের উত্তরাঞ্চলে ব্যবহারের জন্য ডিলারদের বিতরণ কার্যক্রম এবং মজুত দেখভাল করতে শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিসিআইসি এসব গাড়ি ব্যবহার করে। গাড়িগুলো এসএফসিএলের প্রকল্প শেষে ফেরত দেওয়ার কথা অডিট বিভাগকে জানানো হলেও তা সঠিক নয়। বর্তমানে ওই ছয়টি গাড়ি বিসিআইসি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা ব্যবহার করছেন।
শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁদের ছয়টি গাড়ি এখনো শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিসিআইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দখলে রয়েছে। এসব গাড়ি ব্যবহার করা তাঁদের মোটেই উচিত হয়নি।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এ বিষয়ে বলেন, ‘প্রকল্পের গাড়ি প্রকল্পের কাজেই ব্যবহার করা সমীচীন। এটি অবশ্যই অনিয়ম।’
আরও খবর পড়ুন:
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে