রিমন রহমান, রাজশাহী
বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্তত ৭১ ভাগ এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানি দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। এই এলাকাগুলোকে মাঝারি, উচ্চ ও খুবই উচ্চ পানি সংকটাপন্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারের পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার (ওয়ারপো) পক্ষ থেকে ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) পরিচালিত এক গবেষণায় এলাকাগুলোকে এভাবে চিহ্নিত করা হয়।
‘উঁচু বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠ ও ভূগর্ভস্থ পানি পরিস্থিতির হাইড্রোলজিক্যাল অনুসন্ধান ও মডেলিং’ শীর্ষক গবেষণাটি ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চলে। রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৫টি উপজেলার দুই শতাধিক স্থানে চালানো হয় এই গবেষণা। চলতি বছরের জুনে গবেষণা প্রতিবেদনটি অনুমোদন দেয় ওয়ারপো। এটি চলতি মাসের শুরুতে প্রকাশিত হয়।
গবেষকেরা তিন জেলার ২১৪টি ইউনিয়নে বালুকণার ভেতর ভূগর্ভস্থ পানির স্তর বা অ্যাকুইফার নিয়ে গবেষণা করেন। এসব এলাকায় মাটির কতটা গভীরে প্রথম ও দ্বিতীয় অ্যাকুইফারের অবস্থান, সেখানে পানির পুরুত্ব কেমন এবং প্রতিবছর এসব অ্যাকুইফার থেকে পানি তোলার পর তা বৃষ্টির পানিতে কতটা পুনর্ভরণ বা রিচার্জ হচ্ছে, তার ওপর বিবেচনা করে সংকটাপন্ন এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মোট ২১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে খুবই নিম্ন সংকটাপন্ন ইউনিয়ন ৩৫টি এবং নিম্ন সংকটাপন্ন ইউনিয়ন ২৮টি। বাকি ১৫২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬৫টি মাঝারি সংকটাপন্ন, ৪০টি উচ্চ সংকটাপন্ন এবং ৪৭টি অতি উচ্চ সংকটাপন্ন এলাকা। অর্থাৎ মোট ২১৪ ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৭১ ভাগ মাঝারি থেকে উচ্চ সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে বিবেচিত।
গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৮৫ ও ১৯৯০ সালে বরেন্দ্র অঞ্চলে গড় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ছিল ৮ মিটার। ওই সময় গোমস্তাপুর ও তানোর উপজেলার কিছু এলাকায় সর্বোচ্চ স্তর ছিল ২১ মিটার। ভূগর্ভস্থ পানি তোলার কারণে ২০১০ সালেই গড় স্তর ১৫ মিটারের বেশি হয়ে যায়। ২০২১ সালে তা ১৮ থেকে ৪৬ মিটার পর্যন্ত নেমে যায়। এখন তানোরের বাঁধাইড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল এলাকায় ৪২৬ মিটার গভীরে ৬ থেকে ১৬ মিটার পুরু একটি পাতলা অ্যাকুইফার পাওয়া যায়। এলাকাটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।
গবেষণার পর্যালোচনার সঙ্গে ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান। তিনি বলেন, সমস্যার সমাধানে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে বরেন্দ্র অঞ্চলের সব বিল খনন করে পানির আধার তৈরির কথা বলা হয়েছে, যাতে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করে চাষিরা চাষাবাদ করতে পারেন। তাহলে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমবে। তা ছাড়া, অতিমাত্রায় পানি প্রয়োজন হয় বোরো ধান চাষে। তাই বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি কম লাগে—এমন ফসলের চাষাবাদে উৎসাহ দিয়ে বোরো ধান চাষে নিরুৎসাহিত করতে হবে। বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করতে হবে, তাহলে বৃষ্টিপাত বাড়বে, পানির রিচার্জ হবে।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) প্রায় ১৬ হাজার গভীর নলকূপের মাধ্যমে দিনরাত ভূগর্ভস্থ পানি তুলে চাষাবাদের জন্য বিক্রি করছে। এতে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশীদ বলেন, শুধু বিএমডিএ একা পানি তুলছে না, ব্যক্তি পর্যায়েও সেমি ডিপের মাধ্যমে পানি তোলা হচ্ছে। তারপরও বিএমডিএ নতুন কোনো গভীর নলকূপ এখন বসাচ্ছে না। ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। খাল খনন করে ভূ-উপরিস্থ পানির আধার তৈরি করা হচ্ছে।
বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্তত ৭১ ভাগ এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানি দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। এই এলাকাগুলোকে মাঝারি, উচ্চ ও খুবই উচ্চ পানি সংকটাপন্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারের পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার (ওয়ারপো) পক্ষ থেকে ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) পরিচালিত এক গবেষণায় এলাকাগুলোকে এভাবে চিহ্নিত করা হয়।
‘উঁচু বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠ ও ভূগর্ভস্থ পানি পরিস্থিতির হাইড্রোলজিক্যাল অনুসন্ধান ও মডেলিং’ শীর্ষক গবেষণাটি ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চলে। রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৫টি উপজেলার দুই শতাধিক স্থানে চালানো হয় এই গবেষণা। চলতি বছরের জুনে গবেষণা প্রতিবেদনটি অনুমোদন দেয় ওয়ারপো। এটি চলতি মাসের শুরুতে প্রকাশিত হয়।
গবেষকেরা তিন জেলার ২১৪টি ইউনিয়নে বালুকণার ভেতর ভূগর্ভস্থ পানির স্তর বা অ্যাকুইফার নিয়ে গবেষণা করেন। এসব এলাকায় মাটির কতটা গভীরে প্রথম ও দ্বিতীয় অ্যাকুইফারের অবস্থান, সেখানে পানির পুরুত্ব কেমন এবং প্রতিবছর এসব অ্যাকুইফার থেকে পানি তোলার পর তা বৃষ্টির পানিতে কতটা পুনর্ভরণ বা রিচার্জ হচ্ছে, তার ওপর বিবেচনা করে সংকটাপন্ন এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মোট ২১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে খুবই নিম্ন সংকটাপন্ন ইউনিয়ন ৩৫টি এবং নিম্ন সংকটাপন্ন ইউনিয়ন ২৮টি। বাকি ১৫২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬৫টি মাঝারি সংকটাপন্ন, ৪০টি উচ্চ সংকটাপন্ন এবং ৪৭টি অতি উচ্চ সংকটাপন্ন এলাকা। অর্থাৎ মোট ২১৪ ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৭১ ভাগ মাঝারি থেকে উচ্চ সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে বিবেচিত।
গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৮৫ ও ১৯৯০ সালে বরেন্দ্র অঞ্চলে গড় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ছিল ৮ মিটার। ওই সময় গোমস্তাপুর ও তানোর উপজেলার কিছু এলাকায় সর্বোচ্চ স্তর ছিল ২১ মিটার। ভূগর্ভস্থ পানি তোলার কারণে ২০১০ সালেই গড় স্তর ১৫ মিটারের বেশি হয়ে যায়। ২০২১ সালে তা ১৮ থেকে ৪৬ মিটার পর্যন্ত নেমে যায়। এখন তানোরের বাঁধাইড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল এলাকায় ৪২৬ মিটার গভীরে ৬ থেকে ১৬ মিটার পুরু একটি পাতলা অ্যাকুইফার পাওয়া যায়। এলাকাটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।
গবেষণার পর্যালোচনার সঙ্গে ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান। তিনি বলেন, সমস্যার সমাধানে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে বরেন্দ্র অঞ্চলের সব বিল খনন করে পানির আধার তৈরির কথা বলা হয়েছে, যাতে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করে চাষিরা চাষাবাদ করতে পারেন। তাহলে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমবে। তা ছাড়া, অতিমাত্রায় পানি প্রয়োজন হয় বোরো ধান চাষে। তাই বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি কম লাগে—এমন ফসলের চাষাবাদে উৎসাহ দিয়ে বোরো ধান চাষে নিরুৎসাহিত করতে হবে। বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করতে হবে, তাহলে বৃষ্টিপাত বাড়বে, পানির রিচার্জ হবে।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) প্রায় ১৬ হাজার গভীর নলকূপের মাধ্যমে দিনরাত ভূগর্ভস্থ পানি তুলে চাষাবাদের জন্য বিক্রি করছে। এতে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশীদ বলেন, শুধু বিএমডিএ একা পানি তুলছে না, ব্যক্তি পর্যায়েও সেমি ডিপের মাধ্যমে পানি তোলা হচ্ছে। তারপরও বিএমডিএ নতুন কোনো গভীর নলকূপ এখন বসাচ্ছে না। ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। খাল খনন করে ভূ-উপরিস্থ পানির আধার তৈরি করা হচ্ছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৭ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে