মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
একদিকে বৈরী আবহাওয়া, সঙ্গে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি—দুই কারণে জেলেরা সাগরে যেতে পারছেন না। কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের ঘাটগুলোতে অন্তত ৫ হাজার মাছ ধরার ট্রলার নোঙর করে আছে। কখন জেলেরা আবার সাগরে যেতে পারবেন, তা-ও নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল বুধবারও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত ছিল। এতে উপকূলীয় এলাকায় দুই থেকে চার ফুটের অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
ট্রলারমালিক ও জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে গিয়ে প্রথম এক সপ্তাহ ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়েছিল। কিন্তু এরপর সাগরে প্রচণ্ড গরম ও বৈরী আবহাওয়া দেখা দেয়। এতে বেশির ভাগ ট্রলার ঘাটে ফিরে আসে। এই অবস্থায় অনেকেই ট্রলারের জ্বালানি খরচও তুলতে পারেনি। এর মধ্যে গত শুক্রবার থেকে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় ট্রলারমালিকেরা লোকসানের ভয়ে সাগরে ট্রলার নামাতে সাহস পাচ্ছেন না।
কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ায় বাঁকখালী নদী মিশেছে বঙ্গোপসাগরে। এ নদীর মোহনায় দেশের অন্যতম নৌঘাট ও মৎস্য অবতরণকেন্দ্র। এ ঘাটেই এখন দেড় থেকে দুই হাজার ছোট-বড় মাছ ধরার ট্রলার নোঙর করে আছে। সারি সারি এসব ট্রলারে অলস সময় পার করছেন জেলেরা।
চকরিয়ার মোহাম্মদ আলী (৫০) ঘাটের পন্টুনে বসে মাঝি সৈয়দ আলমের সঙ্গে সলাপরামর্শ করছিলেন। তাঁর চারটি ট্রলার রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে চারটি ট্রলারই সাগরে মাছ ধরতে যায়। এক সপ্তাহের মধ্যে সব ট্রলার ঘাটে ফিরে আসে।
মোহাম্মদ আলী বলেন, একে তো সাগরের অবস্থা ভালো না, মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে। এতে ট্রলার নামাতে সাহস পাচ্ছেন না।
ভরা মৌসুমেও সাগরে মাছ ধরতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছেন জেলে ও ট্রলারমালিকেরা। গত বছরও এ সময়ে সাগরে বৈরী আবহাওয়া দেখা দিয়েছিল।
জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে প্রায় ৬ হাজার মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে অধিকাংশ ট্রলার কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া ও কুতুবদিয়া ঘাটে অবস্থান করছে। এ ছাড়া জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ার প্রভাবও পড়েছে। তারপরও সাগরের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।
কক্সবাজার মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক মো. এহেসানুল হক জানান, গত ২৪ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত কক্সবাজার ঘাটে ৪৭৮ মেট্রিক টন মাছ এসেছে। এরপর বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে যায়নি ট্রলার।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা প্রথম দিকে ভালো ইলিশ পেয়েছিলেন। এরপর বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে যেতে পারছেন না জেলেরা। আশা করি, আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো হলে জেলেরা আবার সাগরে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ শিকার করতে পারবেন।
একদিকে বৈরী আবহাওয়া, সঙ্গে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি—দুই কারণে জেলেরা সাগরে যেতে পারছেন না। কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের ঘাটগুলোতে অন্তত ৫ হাজার মাছ ধরার ট্রলার নোঙর করে আছে। কখন জেলেরা আবার সাগরে যেতে পারবেন, তা-ও নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল বুধবারও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত ছিল। এতে উপকূলীয় এলাকায় দুই থেকে চার ফুটের অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
ট্রলারমালিক ও জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে গিয়ে প্রথম এক সপ্তাহ ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়েছিল। কিন্তু এরপর সাগরে প্রচণ্ড গরম ও বৈরী আবহাওয়া দেখা দেয়। এতে বেশির ভাগ ট্রলার ঘাটে ফিরে আসে। এই অবস্থায় অনেকেই ট্রলারের জ্বালানি খরচও তুলতে পারেনি। এর মধ্যে গত শুক্রবার থেকে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় ট্রলারমালিকেরা লোকসানের ভয়ে সাগরে ট্রলার নামাতে সাহস পাচ্ছেন না।
কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ায় বাঁকখালী নদী মিশেছে বঙ্গোপসাগরে। এ নদীর মোহনায় দেশের অন্যতম নৌঘাট ও মৎস্য অবতরণকেন্দ্র। এ ঘাটেই এখন দেড় থেকে দুই হাজার ছোট-বড় মাছ ধরার ট্রলার নোঙর করে আছে। সারি সারি এসব ট্রলারে অলস সময় পার করছেন জেলেরা।
চকরিয়ার মোহাম্মদ আলী (৫০) ঘাটের পন্টুনে বসে মাঝি সৈয়দ আলমের সঙ্গে সলাপরামর্শ করছিলেন। তাঁর চারটি ট্রলার রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে চারটি ট্রলারই সাগরে মাছ ধরতে যায়। এক সপ্তাহের মধ্যে সব ট্রলার ঘাটে ফিরে আসে।
মোহাম্মদ আলী বলেন, একে তো সাগরের অবস্থা ভালো না, মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে। এতে ট্রলার নামাতে সাহস পাচ্ছেন না।
ভরা মৌসুমেও সাগরে মাছ ধরতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছেন জেলে ও ট্রলারমালিকেরা। গত বছরও এ সময়ে সাগরে বৈরী আবহাওয়া দেখা দিয়েছিল।
জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে প্রায় ৬ হাজার মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে অধিকাংশ ট্রলার কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া ও কুতুবদিয়া ঘাটে অবস্থান করছে। এ ছাড়া জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ার প্রভাবও পড়েছে। তারপরও সাগরের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।
কক্সবাজার মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক মো. এহেসানুল হক জানান, গত ২৪ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত কক্সবাজার ঘাটে ৪৭৮ মেট্রিক টন মাছ এসেছে। এরপর বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে যায়নি ট্রলার।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা প্রথম দিকে ভালো ইলিশ পেয়েছিলেন। এরপর বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে যেতে পারছেন না জেলেরা। আশা করি, আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো হলে জেলেরা আবার সাগরে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ শিকার করতে পারবেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে