পাসপোর্ট করতেও ব্যাপক জালিয়াতি করেন বেনজীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৪, ০০: ২৩

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ৮ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।

দুদক যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে তাঁরা হলেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক সাইদুর রহমান, পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপপরিচালক আবু নাঈম মাসুম এবং অধিদপ্তরের মো. মহসিন ইসলাম, আবু মো. মোতালেব হোসেন, মুন্সী মুয়ীদ ইকরাম ও সুভাস চন্দ্র রায়।

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জসীম উদ্দীন হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের পাসপোর্ট জালিয়াতির ঘটনা দুদক তদন্ত করছে। দুদক আমাদের কাছে কিছু তথ্য চেয়েছে। কোন আইডি থেকে তাঁর পাসপোর্টটি নবায়ন করা হয়েছে, সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি।’

পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বেনজীর আহমেদ ২০০৯ সাল পর্যন্ত হাতে লেখা পাসপোর্ট ব্যবহার করতেন। ২০০০ সালের পর মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) চালু হলে পুরোনো হাতে লেখা পাসপোর্টের তথ্য দিয়েই তিনি এমআরপি করেন।

একটি সূত্রে জানা যায়, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর ২০২০ সাল থেকে ই-পাসপোর্ট চালু করলেও বেনজীর আহমেদ নবায়ন করার সময় এমআরপি নিতেন। ২০০৯ সালের পর থেকে তিনি সাতবার এমআরপি উত্তোলন করেন। তবে প্রতিবারই হাতে লেখা পাসপোর্টের তথ্য ঠিক রেখেছেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, বেনজীর আহমেদ পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও নজিরবিহীন জালিয়াতির আশ্রয় নেন। তিনি সরকারি চাকরির কথা আড়াল করে প্রাইভেট সার্ভিস বা বেসরকারি চাকরিজীবীর পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট ব্যবহার করতেন।

বেনজীর আহমেদের পাসপোর্ট জালিয়াতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের সে প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি। দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহও সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত