অধিবেশনের মধ্যে রশির বান্ডিল খসে পড়ল সংসদে

তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
Thumbnail image

জাতীয় সংসদের ভেতরে অধিবেশন চলাকালে একটি রশির বান্ডিল খসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়ে ওঠেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সংসদ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীরা। তাঁরা খসে পড়া রশির সঙ্গে আরও দুটি রশির বান্ডিল অপসারণ করেন। গণপূর্তের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার একটু আগে অধিবেশন চলাকালে ছাদ থেকে রশি পড়ার শব্দ হলে সংসদে কিছুটা অস্বস্তি তৈরি হয়। তবে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তৎপরতা শুরু করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনার কারণ উদ্‌ঘাটনে তৎপরতা চালানো গণপূর্তের প্রকৌশলীরা দেখতে পান, ২০ থেকে ২২ ফুট উঁচুতে রশি পেঁচিয়ে বান্ডিলের মতো করে গুঁজে রাখা হয়েছে। পরে উঁচু মই এনে সেখান থেকে দুটি রশির বান্ডিল অপসারণ করা হয়। এভাবে রাত ১টা পর্যন্ত চলে এমন নিরাপত্তা তল্লাশি। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে গণপূর্তের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে প্রতিবেদন চাওয়া হয়। 

জানতে চাইলে গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী (শেরেবাংলা নগর-১) মোয়াজ্জেম হোসেন গতকাল বুধবার রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্লেনারি হলে একটি ৪০ ফুটের মতো রশির বান্ডিল পড়েছে। এটি সিভিল বিভাগ কখনো ব্যবহার করেনি। লাইট ওঠানামা কাজের জন্য ইলেকট্রিক বিভাগ করেছে বলে আমাদের কর্মচারীরা জানিয়েছে। অনেক উঁচুতে থাকায় আমরাও মনে করেছিলাম তারজাতীয় কিছু একটা হবে হয়তো। কিন্তু পরে দেখা গেল রশি। আমরা এ বিষয়ে লিখিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’ 

গতকাল বুধবার গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী (ডিভিশন-১) মোয়াজ্জেম হোসেন ও নির্বাহী প্রকৌশলী (ই/এম-৭) সমীরণ মিস্ত্রি স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবেদন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংসদ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল রাতে সংসদে বিরোধদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সভাকক্ষে লম্বা একটা দড়ি খসে পড়েছে। সেখানে আসনে কেউ ছিলেন না।’ 

রশির বান্ডিল খসে পড়ার ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলে জানিয়েছেন গণপূর্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী (ইএম-৭) সমীরণ মিস্ত্রি। তিনি বলেন, ‘সংসদে পরিত্যক্ত একটি লম্বা রশি খসে পড়েছে। তা অব্যবহৃত অবস্থায় ওপরে প্যাঁচানো ছিল। এ রশি আসলে ইলেকট্রিক ও সিভিল কোনো বিভাগেরই কাজে লাগে না। ধারণা করা হচ্ছে, নির্মাণকালীন কেউ তা পেঁচিয়ে রেখেছিল। এতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।’ 
গণপূর্তের (অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী) বর্তমানে প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা মো. নাসিম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা আমরা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। রশি সরিয়ে নিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত