ইন্দুরকানীতে ‘দায়সারাভাবে’ দুটি খাল পুনর্খনন

পিরোজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২২, ১৩: ৪৭
Thumbnail image

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নে দুটি খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) অধীনে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে পুনর্খনন করা হচ্ছে খাল। তবে খননের পর পাড়ে উঠছে না ন্যূনতম মাটি। দায়সারাভাবে খাল পুনর্খননের পর তা কোনো কাজেই আসবে না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব বাজেটে ‘সেচ ও নিকাশ ড্রেনেজ কাঠামো’ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সমিতির মাধ্যমে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নে নলবুনিয়া-বাড়ৈখালী খালের ২ হাজার ৯০০ মিটার এবং শোরের বাড়ৈখালী খালে ৭০০ মিটার খাল পুনর্খননের কাজ শুরু করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। এ প্রকল্পে সরকার বহন করবে মোট খরচের অর্ধেক, অর্থাৎ ২৫ লাখ টাকা। অন্যদিকে স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বাকি অর্ধেক খরচ মেটানো হবে।

তবে কাজ শুরু হওয়ার পর ব্যাপক ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খাল পুনর্খননের পর ন্যূনতম মাটি উঠছে না পাড়ে। এ ছাড়া যেটুকু মাটি কাটা হচ্ছে তা-ও রাখা হচ্ছে পাড়ে। ফলে বৃষ্টিতে উত্তোলনকৃত মাটি ধুয়ে পুনরায় খালে চলে যাবে। এতে অল্প সময়ে পুনরায় খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় সরকারের এ অর্থ জনগণের কোনো কাজেই আসবে না। ফলে ধান ও কলা চাষের ওপর নির্ভরশীল কয়েকটি গ্রামের মানুষ মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়বেন।

তবে অভিযোগের বিষয়ে খাল খননের সঙ্গে জড়িত ‘ক্ষুদ্র পানি’র সভাপতি মো. মাহতাব উদ্দিন বললে, কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। খননকাজ শেষ হলে পরিপূর্ণভাবে বোঝা যাবে।

অন্যদিকে ইন্দুরকানী এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী লায়লা মিথুন বলেন, নকশা অনুযায়ী খালের পুনর্খনন কাজ হচ্ছে। তবে কাজ শেষ হওয়ার পর পরিমাপ করে বলা যাবে কাজে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না। এ ছাড়া স্থানীয় বিরোধের জেরে অনিয়মের অভিযোগ করা হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত