আজকের পত্রিকা ডেস্ক
সমাজ বাস্তবতায় নারীরা চলার পথে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। এতে কোনো কোনো নারী মানসিক সমস্যায় পড়েন।
আবার সংসারজীবনেও তাঁরা বিভিন্ন আইনগত জটিলতার মুখোমুখি হন। আজ থাকছে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ...মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে পরামর্শ
প্রশ্ন: সম্প্রতি আমার মিসক্যারেজ হয়েছে। এর পর থেকে আমাকে উদ্দেশ করে নেতিবাচক কথা যা বলা হচ্ছে, আমার কেন যেন মনে হচ্ছে সব সত্যি। মিসক্যারেজের সপ্তাহখানেক পর আমার স্বামী আমাকে বলেছেন, আমি অলক্ষ্মী। এ কথা আমার মাথা থেকে বের করতে পারছি না। এমনকি ঠিকঠাক ঘুমাতেও পারছি না। আমার মনে হচ্ছে, আমি অলক্ষ্মী, তাই আমার সন্তানও আমার কাছ থেকে চলে গেছে। আমার শ্বশুর-শাশুড়িরও ধারণা, আমি অপয়া। আমি কি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি? আমি এখন কী করব?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, খালিয়াজুরী
পরামর্শ: টিভি চালাতে রিমোট কন্ট্রোল লাগে। সেটি দিয়ে পছন্দের চ্যানেল দেখা যায়। আপনাকে অলক্ষ্মী বললেই আপনি যদি অলক্ষ্মী হয়ে যান, তাহলে বুঝতে হবে আপনার মনের রিমোট কন্ট্রোলটি আপনার হাতে নেই। এটি ঠিক করার প্রথম ধাপ হচ্ছে, নিজের মনের কন্ট্রোল নিজের হাতে নেওয়া। সঙ্গে এটাও বোঝা দরকার, আপনার প্রতি তাদের মনোভাব কতটুকু সহনশীল।
পৃথিবীতে লাখ লাখ মানুষের মিসক্যারেজ হয়। তাঁদের কেউ ‘অপয়া’ নন। মিসক্যারেজ একটি শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। অনেক সময় জন্মগত ত্রুটি থাকলে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতেই মিসক্যারেজ হয়ে যায়। তবে, কেন এ ঘটনা ঘটল পরবর্তী গর্ভধারণের আগে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে সেই আলোচনাটা করে নিন। কিন্তু যদি সত্যিই আপনার শ্বশুরবাড়ির লোকজন অসহনশীল হন, তবে এ সংসারে দ্বিতীয়বার সন্তান ধারণ আপনার জন্য কতটুকু স্বস্তিকর হবে তা-ও ভেবে দেখা প্রয়োজন। এরও আগে আপনার নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করুন। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা যা-ই হোক না কেন, একটা উপার্জনের পথ বের করে ফেলুন।
মিসক্যারেজের পর শরীর ঠিক হতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগে। এ সময় নিজেই একটু আগ্রহ করে নিজের শরীর ও মনের যত্ন শুরু করুন। এখন আপনার শরীরে বেশ কিছু হরমোনগত তারতম্য দেখা দিচ্ছে। ধীরে ধীরে যখন হরমোনের স্তর স্বাভাবিক হবে, আপনার ইমোশনাল অস্থিরতাও কমে আসবে। কাজেই তত দিন নিজের রিমোট কন্ট্রোল নিজের হাতেই রাখুন।
প্রশ্ন: যাকে পছন্দ করি, তার প্রতি আমি বেশি দুর্বল। এটাকে ভালোবাসা বললে হয়তো বেশি বলা হবে। তবে শুধু ভালো লাগা বললেও মিথ্যা হয়ে যাবে। সে দিনের পর দিন একতরফাভাবে আমাদের সম্পর্কটা এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমার পরিবারের মতের বাইরে গিয়ে কিছু করার সাহস নেই। আমার পরিবার ছেলেটিকে পছন্দ করে না অর্থনৈতিক কারণে। আমি তার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কটা খারাপের দিকেও নিয়ে যেতে চাইছি না। আমি চুপচাপ ধীরে-সুস্থে সম্পর্ক থেকে সরে আসতে চাই। কিন্তু কীভাবে করব, তা বুঝতে পারছি না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, নোয়াখালী
পরামর্শ: আপনার বয়সের উল্লেখ নেই। কাজেই বুঝতে পারছি না, পরিপক্ব সিদ্ধান্ত নেওর জন্য আপনি কতটুকু উপযুক্ত। একটু ভেঙে ভেঙে উত্তর দিই।
প্রথম ধাপ: আপনি আগে খোলাখুলি নিজের মনকে জিজ্ঞেস করুন, আপনি কী চান।
দ্বিতীয় ধাপ: আলোচ্য ভদ্রলোককে বিয়ে করলে কী কী সমস্যা হবে, বিয়ে না করলে কী কী সমস্যা হবে, এগুলোর স্পষ্ট উত্তর জানার চেষ্টা করুন।
তৃতীয় ধাপ: দ্বিতীয় ধাপের সমস্যাগুলো মোকাবিলায় আপনি কতটুকু তৎপর? আপনার কী কী দক্ষতা বা যোগ্যতা আছে, যা দিয়ে এ সমস্যাগুলো আপনি সামাল দিতে পারবেন? এ প্রশ্নের উত্তর জানুন।
চতুর্থ ধাপ: আপনি কি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী? যদি সেটা না হন, তবে প্রথমে সেদিকে মনোযোগ দিন। পড়াশোনা শেষ করাটা জরুরি। এরপর জীবনে বহু প্রেম করার সুযোগ পাওয়া যাবে। নিজের পেশাগত যোগ্যতা বাড়ানো প্রেম করার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে শিখলে ভালোবাসা এমনি হাত ধরে হাঁটবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
আইনি বিষয়ে পরামর্শ
প্রশ্ন: আমি একজন মুসলিম নারী। বিয়ে করেছি আট বছর আগে। আমার একটি ছেলে আছে। আমার স্বামী বিয়ের পর দেশের বাইরে চলে যান। হঠাৎ গত বছর তিনি সেখানে স্ট্রোক করে মারা যান। ওই ঘটনার ছয় মাস পর আমি সন্তানসহ ভাইয়ের বাসায় থাকা শুরু করি। কারণ স্বামী মারা যাওয়ার পর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেননি। আমার জানার বিষয় হচ্ছে, স্বামী মারা যাওয়ার পর স্ত্রী সম্পত্তির অধিকার পাবে কতটুকু?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ভোলা
পরামর্শ: মুসলিম উত্তরাধিকার আইনের মূল উৎস হলো পবিত্র কোরআন। পবিত্র কোরআনে মূল আটটি ফারায়েজের উল্লেখ আছে। সে কারণে প্রকৃত উত্তরাধিকারীর ন্যায্য পাওনা যথাসময়ে পরিশোধ করার গুরুত্ব অপরিসীম। ১৯৬১ সালের ‘মুসলিম পারিবারিক আইন’ অধ্যাদেশ মোতাবেক মুসলিম উত্তরাধিকার স্বীকৃত।
মুসলিম উত্তরাধিকারের শ্রেণি, জাবিল ফুরুজ (নিকটাত্মীয়), আসাবা (অবশিষ্টাংশ প্রাপ্যদার আত্মীয়), জাবিল আরহাম (দূরসম্পর্কের আত্মীয়)।
ইসলামি আইনে মোট ১২ প্রকার জাবিল ফুরুজ আছে। পিতা, স্বামী, দাদা, বৈমাত্রেয় বা বৈপিত্রেয় ভাই, মা, স্ত্রী, কন্যা, পুত্রের কন্যা, দাদি বা নানি, সহোদরা, বৈমাত্রেয় বোন, বৈপিত্রেয় বোন। এ ছাড়া ইসলামি ফারায়েজ মোতাবেক ছয়জন নিকটতম আত্মীয় কখনোই মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন না। তাঁরা হলেন মা, বাবা, স্বামী বা স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা।
প্রত্যেক পুত্র কন্যার দ্বিগুণ সম্পত্তি পাবে। পুত্র না থাকলে কন্যা ৫০০ অংশ পাবে। সম্পত্তি বণ্টনের এমন আরও অনেক হিসাব রয়েছে ধর্মমতে।
আপনার প্রশ্নের উত্তর হলো, মা-বাবা না থাকলে আপনি পাবেন ১২৫ এবং আপনার ছেলে পাবে ৮৭৫ অংশ। মা-বাবা থাকলে আপনি ১২৫ অংশ, বাবা ১৬৭ অংশ, মা ১৬৭ অংশ, ছেলে ৫৪১ অংশ পাবে।
প্রশ্ন: ইদানীং নিজেকে অনেক বেশি একা লাগে। চাকরির সুবাদে স্বামী দূরে থাকে। তার কাছে নিজের জন্য কিছু চাইতে সংকোচ হয়। সে আমার চাওয়া-পাওয়াগুলো বোঝে না। এমনকি পুরো সপ্তাহ চলে গেলেও সে আমাকে একটা ফোনও করে না। আমি ফোন দিলে ব্যস্ত আছে বলে লাইন কেটে দেয়। আমি সন্তানদের নিয়ে কীভাবে দিন কাটাচ্ছি, সেসব নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথা নেই। হিসাব করে টাকা পাঠায়। আর আমি সে অনুযায়ী খরচ করে ডকুমেন্টসহ হিসাব তার কাছে পাঠিয়ে দিই। কোনো কারণে হিসাবের চেয়ে টাকা বেশি খরচ হলে সে আমাকে ভর্ৎসনা করে। এ অবস্থায় আইনি প্রক্রিয়ায় আমার স্বামীকে কোনোভাবে এই সংসারের দিকে ফেরানো কি সম্ভব?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, পটিয়া
পরামর্শ: আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে বলে রাখি, মুসলিম বিয়ে একটি চুক্তি। সেই চুক্তি অনুসারে বিয়ে বলবৎ থাকা অবস্থায় স্বামী স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে বাধ্য। স্ত্রী যদি নিজে রোজগার করে, তবুও। কাবিনে স্পষ্ট লেখা থাকে, ভদ্রোচিত ভরণপোষণ স্বামী দেবে। সে ক্ষেত্রে স্বামীর টাকা নেওয়ায় হীনম্মন্যতার কিছু নেই। যদি ভরণপোষণ দিতে না চায়, তবে পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে ভরণপোষণ আদায় করা যায়। তবে কেউ যদি সংসার করতে না চায়, তাকে জোর করে তো সংসার করানো যায় না।
আইনত বিয়ে বলবৎ থাকাকালে ভরণপোষণের জন্য স্ত্রী মামলা করতে পারবে। ভরণপোষণের টাকা আপনার আইনি অধিকার। আইন এবং ধর্ম আপনাকে সেই অধিকার দিয়েছে। আপনার সঙ্গে খারাপ আচরণের কোনো অধিকার আপনার স্বামীর নেই। যদি করেন, তবে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইনের মাধ্যমে আপনি প্রতিকার পেতে পারেন।
পরামর্শ দিয়েছেন: অ্যাডভোকেট আইনুন নাহার সিদ্দিকা, আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট
সমাজ বাস্তবতায় নারীরা চলার পথে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। এতে কোনো কোনো নারী মানসিক সমস্যায় পড়েন।
আবার সংসারজীবনেও তাঁরা বিভিন্ন আইনগত জটিলতার মুখোমুখি হন। আজ থাকছে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ...মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে পরামর্শ
প্রশ্ন: সম্প্রতি আমার মিসক্যারেজ হয়েছে। এর পর থেকে আমাকে উদ্দেশ করে নেতিবাচক কথা যা বলা হচ্ছে, আমার কেন যেন মনে হচ্ছে সব সত্যি। মিসক্যারেজের সপ্তাহখানেক পর আমার স্বামী আমাকে বলেছেন, আমি অলক্ষ্মী। এ কথা আমার মাথা থেকে বের করতে পারছি না। এমনকি ঠিকঠাক ঘুমাতেও পারছি না। আমার মনে হচ্ছে, আমি অলক্ষ্মী, তাই আমার সন্তানও আমার কাছ থেকে চলে গেছে। আমার শ্বশুর-শাশুড়িরও ধারণা, আমি অপয়া। আমি কি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি? আমি এখন কী করব?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, খালিয়াজুরী
পরামর্শ: টিভি চালাতে রিমোট কন্ট্রোল লাগে। সেটি দিয়ে পছন্দের চ্যানেল দেখা যায়। আপনাকে অলক্ষ্মী বললেই আপনি যদি অলক্ষ্মী হয়ে যান, তাহলে বুঝতে হবে আপনার মনের রিমোট কন্ট্রোলটি আপনার হাতে নেই। এটি ঠিক করার প্রথম ধাপ হচ্ছে, নিজের মনের কন্ট্রোল নিজের হাতে নেওয়া। সঙ্গে এটাও বোঝা দরকার, আপনার প্রতি তাদের মনোভাব কতটুকু সহনশীল।
পৃথিবীতে লাখ লাখ মানুষের মিসক্যারেজ হয়। তাঁদের কেউ ‘অপয়া’ নন। মিসক্যারেজ একটি শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। অনেক সময় জন্মগত ত্রুটি থাকলে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতেই মিসক্যারেজ হয়ে যায়। তবে, কেন এ ঘটনা ঘটল পরবর্তী গর্ভধারণের আগে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে সেই আলোচনাটা করে নিন। কিন্তু যদি সত্যিই আপনার শ্বশুরবাড়ির লোকজন অসহনশীল হন, তবে এ সংসারে দ্বিতীয়বার সন্তান ধারণ আপনার জন্য কতটুকু স্বস্তিকর হবে তা-ও ভেবে দেখা প্রয়োজন। এরও আগে আপনার নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করুন। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা যা-ই হোক না কেন, একটা উপার্জনের পথ বের করে ফেলুন।
মিসক্যারেজের পর শরীর ঠিক হতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগে। এ সময় নিজেই একটু আগ্রহ করে নিজের শরীর ও মনের যত্ন শুরু করুন। এখন আপনার শরীরে বেশ কিছু হরমোনগত তারতম্য দেখা দিচ্ছে। ধীরে ধীরে যখন হরমোনের স্তর স্বাভাবিক হবে, আপনার ইমোশনাল অস্থিরতাও কমে আসবে। কাজেই তত দিন নিজের রিমোট কন্ট্রোল নিজের হাতেই রাখুন।
প্রশ্ন: যাকে পছন্দ করি, তার প্রতি আমি বেশি দুর্বল। এটাকে ভালোবাসা বললে হয়তো বেশি বলা হবে। তবে শুধু ভালো লাগা বললেও মিথ্যা হয়ে যাবে। সে দিনের পর দিন একতরফাভাবে আমাদের সম্পর্কটা এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমার পরিবারের মতের বাইরে গিয়ে কিছু করার সাহস নেই। আমার পরিবার ছেলেটিকে পছন্দ করে না অর্থনৈতিক কারণে। আমি তার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কটা খারাপের দিকেও নিয়ে যেতে চাইছি না। আমি চুপচাপ ধীরে-সুস্থে সম্পর্ক থেকে সরে আসতে চাই। কিন্তু কীভাবে করব, তা বুঝতে পারছি না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, নোয়াখালী
পরামর্শ: আপনার বয়সের উল্লেখ নেই। কাজেই বুঝতে পারছি না, পরিপক্ব সিদ্ধান্ত নেওর জন্য আপনি কতটুকু উপযুক্ত। একটু ভেঙে ভেঙে উত্তর দিই।
প্রথম ধাপ: আপনি আগে খোলাখুলি নিজের মনকে জিজ্ঞেস করুন, আপনি কী চান।
দ্বিতীয় ধাপ: আলোচ্য ভদ্রলোককে বিয়ে করলে কী কী সমস্যা হবে, বিয়ে না করলে কী কী সমস্যা হবে, এগুলোর স্পষ্ট উত্তর জানার চেষ্টা করুন।
তৃতীয় ধাপ: দ্বিতীয় ধাপের সমস্যাগুলো মোকাবিলায় আপনি কতটুকু তৎপর? আপনার কী কী দক্ষতা বা যোগ্যতা আছে, যা দিয়ে এ সমস্যাগুলো আপনি সামাল দিতে পারবেন? এ প্রশ্নের উত্তর জানুন।
চতুর্থ ধাপ: আপনি কি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী? যদি সেটা না হন, তবে প্রথমে সেদিকে মনোযোগ দিন। পড়াশোনা শেষ করাটা জরুরি। এরপর জীবনে বহু প্রেম করার সুযোগ পাওয়া যাবে। নিজের পেশাগত যোগ্যতা বাড়ানো প্রেম করার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে শিখলে ভালোবাসা এমনি হাত ধরে হাঁটবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
আইনি বিষয়ে পরামর্শ
প্রশ্ন: আমি একজন মুসলিম নারী। বিয়ে করেছি আট বছর আগে। আমার একটি ছেলে আছে। আমার স্বামী বিয়ের পর দেশের বাইরে চলে যান। হঠাৎ গত বছর তিনি সেখানে স্ট্রোক করে মারা যান। ওই ঘটনার ছয় মাস পর আমি সন্তানসহ ভাইয়ের বাসায় থাকা শুরু করি। কারণ স্বামী মারা যাওয়ার পর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেননি। আমার জানার বিষয় হচ্ছে, স্বামী মারা যাওয়ার পর স্ত্রী সম্পত্তির অধিকার পাবে কতটুকু?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ভোলা
পরামর্শ: মুসলিম উত্তরাধিকার আইনের মূল উৎস হলো পবিত্র কোরআন। পবিত্র কোরআনে মূল আটটি ফারায়েজের উল্লেখ আছে। সে কারণে প্রকৃত উত্তরাধিকারীর ন্যায্য পাওনা যথাসময়ে পরিশোধ করার গুরুত্ব অপরিসীম। ১৯৬১ সালের ‘মুসলিম পারিবারিক আইন’ অধ্যাদেশ মোতাবেক মুসলিম উত্তরাধিকার স্বীকৃত।
মুসলিম উত্তরাধিকারের শ্রেণি, জাবিল ফুরুজ (নিকটাত্মীয়), আসাবা (অবশিষ্টাংশ প্রাপ্যদার আত্মীয়), জাবিল আরহাম (দূরসম্পর্কের আত্মীয়)।
ইসলামি আইনে মোট ১২ প্রকার জাবিল ফুরুজ আছে। পিতা, স্বামী, দাদা, বৈমাত্রেয় বা বৈপিত্রেয় ভাই, মা, স্ত্রী, কন্যা, পুত্রের কন্যা, দাদি বা নানি, সহোদরা, বৈমাত্রেয় বোন, বৈপিত্রেয় বোন। এ ছাড়া ইসলামি ফারায়েজ মোতাবেক ছয়জন নিকটতম আত্মীয় কখনোই মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন না। তাঁরা হলেন মা, বাবা, স্বামী বা স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা।
প্রত্যেক পুত্র কন্যার দ্বিগুণ সম্পত্তি পাবে। পুত্র না থাকলে কন্যা ৫০০ অংশ পাবে। সম্পত্তি বণ্টনের এমন আরও অনেক হিসাব রয়েছে ধর্মমতে।
আপনার প্রশ্নের উত্তর হলো, মা-বাবা না থাকলে আপনি পাবেন ১২৫ এবং আপনার ছেলে পাবে ৮৭৫ অংশ। মা-বাবা থাকলে আপনি ১২৫ অংশ, বাবা ১৬৭ অংশ, মা ১৬৭ অংশ, ছেলে ৫৪১ অংশ পাবে।
প্রশ্ন: ইদানীং নিজেকে অনেক বেশি একা লাগে। চাকরির সুবাদে স্বামী দূরে থাকে। তার কাছে নিজের জন্য কিছু চাইতে সংকোচ হয়। সে আমার চাওয়া-পাওয়াগুলো বোঝে না। এমনকি পুরো সপ্তাহ চলে গেলেও সে আমাকে একটা ফোনও করে না। আমি ফোন দিলে ব্যস্ত আছে বলে লাইন কেটে দেয়। আমি সন্তানদের নিয়ে কীভাবে দিন কাটাচ্ছি, সেসব নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথা নেই। হিসাব করে টাকা পাঠায়। আর আমি সে অনুযায়ী খরচ করে ডকুমেন্টসহ হিসাব তার কাছে পাঠিয়ে দিই। কোনো কারণে হিসাবের চেয়ে টাকা বেশি খরচ হলে সে আমাকে ভর্ৎসনা করে। এ অবস্থায় আইনি প্রক্রিয়ায় আমার স্বামীকে কোনোভাবে এই সংসারের দিকে ফেরানো কি সম্ভব?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, পটিয়া
পরামর্শ: আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে বলে রাখি, মুসলিম বিয়ে একটি চুক্তি। সেই চুক্তি অনুসারে বিয়ে বলবৎ থাকা অবস্থায় স্বামী স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে বাধ্য। স্ত্রী যদি নিজে রোজগার করে, তবুও। কাবিনে স্পষ্ট লেখা থাকে, ভদ্রোচিত ভরণপোষণ স্বামী দেবে। সে ক্ষেত্রে স্বামীর টাকা নেওয়ায় হীনম্মন্যতার কিছু নেই। যদি ভরণপোষণ দিতে না চায়, তবে পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে ভরণপোষণ আদায় করা যায়। তবে কেউ যদি সংসার করতে না চায়, তাকে জোর করে তো সংসার করানো যায় না।
আইনত বিয়ে বলবৎ থাকাকালে ভরণপোষণের জন্য স্ত্রী মামলা করতে পারবে। ভরণপোষণের টাকা আপনার আইনি অধিকার। আইন এবং ধর্ম আপনাকে সেই অধিকার দিয়েছে। আপনার সঙ্গে খারাপ আচরণের কোনো অধিকার আপনার স্বামীর নেই। যদি করেন, তবে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইনের মাধ্যমে আপনি প্রতিকার পেতে পারেন।
পরামর্শ দিয়েছেন: অ্যাডভোকেট আইনুন নাহার সিদ্দিকা, আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১০ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে