পায়ে স্প্লিন্টার নিয়ে সিদ্দিকের ১৯ বছর

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
Thumbnail image

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছিলেন বরগুনার তালতলী উপজেলার মো. সিদ্দিক তালুকদার। গ্রেনেডের স্প্লিন্টার ঢুকেছে তাঁর পায়ে।

বের করতে না পারায় সেই স্প্লিন্টার ১৯ বছর ধরে রয়ে গেছে। তালতলীর পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিদ্দিক তালুকদার বলেন, টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। তাঁর বাড়ি উপজেলার কলারং গ্রামে।

তিনি বলেন, জীবিকার তাগিদে ১৯৯৬ সালে ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালাতেন। আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে দলের সভা-সমাবেশের খবর শুনলেই যোগ দিতেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গিয়েছিলেন। গ্রেনেডের কয়েকটি স্প্লিন্টার তাঁর পায়ে বিদ্ধ হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তি তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

সেখানে দুই দিন চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গ্রামে ফিরে আসেন। এরপর আর ঢাকায় যাননি। স্প্লিন্টার মাংসের সঙ্গে মিশে গেছে। হাঁটতে কষ্ট হয়। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। বর্তমানে এলাকায় দিনমজুরি করে কষ্টে জীবন চালাচ্ছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তা কামনা করেন।

সিদ্দিক তালুকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাহায্য করলে হয়তো তিনি পুরোপুরি সেরে উঠতে পারবেন। প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, গ্রেনেড হামলায় সিদ্দিকের আহত হওয়ার খবর পেয়ে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তাঁর সেবা-শুশ্রূষা করেছেন।

তালতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার বলেন, গ্রেনেড হামলায় আহত সিদ্দিককে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। তিনি পঁচাকোড়ালিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

দেওয়ানি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে একগুচ্ছ সুপারিশ কমিশনের

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত