সিয়াম অভিনীত সায়েম চরিত্রটির পেছনে একটা গল্প রয়েছে শুনেছি?
সিয়াম: আমার চরিত্রটির নাম মেজর সায়েম সাদাত। দীপনদা আমাকে বলছিলেন, তোমার নাম হবে সায়েম। আমি বললাম, এর সঙ্গে কি সাদাত যোগ করা যায়? উনি সম্মতি দিলেন। আমার মনে ছিল, আমাদের ভাই বন্ধু অভিনেতা সায়েম সাদাত। যাঁকে আমরা অকালে হারিয়েছি। ওনাকে উৎসর্গও করা হয়েছে এই চরিত্রটি। ওনার ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি খুব আবেগপ্রবণ হয়ে গেছেন শুনে যে আমরা এখনো তাঁকে মনে রেখেছি।
চরিত্রটির জন্য প্রস্তুতি কেমন ছিল?
সিয়াম: যখন প্রস্তাব পাই, তখন একটু চিন্তিত ছিলাম। আমাকে আশ্বস্ত করা হলো, যে চরিত্রটা করতে যাচ্ছি, তার রিয়েল লাইফ রেফারেন্স আছে। উনি সত্যিই এমন একটা মিশন লিড দিয়েছিলেন। তখন আমি আগ্রহী হয়ে উঠি। বলতে পারেন, কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেই আমার প্রস্তুতির বড় একটা অংশ হয়েছে।
গবেষকের চরিত্রে ফারিয়ার অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
ফারিয়া: সিনেমায় আমি একজন বাঘ গবেষক। প্রায় তিন বছর পর হলে আমার সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমাটি আমার জীবনের অংশ হয়ে গেছে। শুটিংয়ের সময় ৩৫টি দিন ইউনিটের বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। পুরো ইউনিটই হয়ে উঠেছিল আমার পরিবার।
গত কয়েক দিন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে সিনেমার টিম। কেমন রেসপন্স পাওয়া যাচ্ছে?
ফারিয়া: প্রথম থেকেই টার্গেট ছিল সিনেমাটির সঙ্গে তরুণদের সম্পৃক্ত করা। কারণ সিনেমায় যে ব্যাপারগুলো তুলে ধরা হয়েছে, তা তরুণদের বেশি কানেক্ট করবে। এই জন্য প্রচারণায় একটা বড় সময় দিয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। সবার মাঝে দারুণ আগ্রহ দেখছি সিনেমাটি নিয়ে।
সিয়াম: সময়ের মেধাবী সন্তানদের একসঙ্গে পাওয়া যায় ওখানে। সিনেমাটি দেখার জন্য তাদের সরাসরি ইনভাইট করা যায়। যদিও সিনেমাটি সব শ্রেণির দর্শকের জন্য। তবে শিক্ষার্থীদের সিনেমা হলে ফেরার আগ্রহটা ভালো সংকেত।
পরিচালক দীপনের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
সিয়াম: দীপনদার ‘ঢাকা অ্যাটাক’ দেখে মনে হয়েছিল দাদার সঙ্গে যদি কোনো কাজ করতে পারতাম! ২৩ সেপ্টেম্বর ‘অপারেশন সুন্দরবন’ মুক্তি পাচ্ছে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে দাদার পরিচালনায় ‘অন্তর্জাল’ সিনেমাটিও। একটা ভালো বন্ডিং হলেই কিন্তু পরপর দুটি সিনেমা করা যায়।
ফারিয়া: দীপানদা কাজের ব্যাপারে খুবই ডেডিকেটেড। সিনেমাটিতে তিনি তাঁর দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।
শুটিংয়ের জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন?
ফারিয়া: শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও চরিত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয়েছে। শুটিংয়ে বনের দুর্গম এলাকায় যেতে হয়েছে। খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। পূর্বপ্রস্তুতির পাশাপাশি ইনস্ট্যান্ট অনেক কিছুই করতে হয়েছে।
সিয়াম: এমনও হয়েছে, দীর্ঘ সময় রেকি করে, সিনেমার সেট বানানো হয়েছে, কিন্তু শুটিংয়ের সময় গিয়ে দেখা গেল পুরো সেট আকস্মিক জোয়ারের পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। তবু দমে যায়নি কেউ। আবার নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছে।
নিশ্চয়ই মানসিক প্রস্তুতির একটা ব্যাপারও ছিল?
সিয়াম: আমাকে আগেই বলা হয়েছিল, এটা রেগুলার শুটিংয়ের মতো হবে না। অনেক সুযোগ-সুবিধা নাও থাকতে পারে। অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সেই মানসিক প্রস্তুতি তোমাকে নিতে হবে। আমরা ট্রেনিং করেছি, কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। মানসিকভাবে নিজেকে একজন র্যাবের কর্মকর্তা হিসেবে প্রস্তুত করেছি।
প্রথমবার একসঙ্গে জুটি হয়ে পর্দায় আসা। জুটি হয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
সিয়াম: আমি আর ফারিয়া যখন সিনেমার শেষ দৃশ্যের শুটিং করলাম, তখন একে অপরের দিকে অনেকক্ষণ চুপচাপ তাকিয়ে রইলাম। দুজনেই প্রায় একসঙ্গে বলে উঠলাম, ‘শেষ হয়ে গেল আমাদের এই জার্নি?’ আমরা আসলে পুরো টিমটাই একে অপরের সঙ্গে এতটা মিশে গেয়েছিলাম, যা বলে বোঝানো যাবে না।
ফারিয়া: আমাদের বন্ধুত্ব অনেক দিনের। আমরা একসঙ্গে লেট নাইট কফি অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করতাম। তখনই ওকে বলতাম, তুই নায়ক হওয়ার ট্রাই কর। আমি নায়িকা হলাম, ও নায়ক হলো। দুজনের একসঙ্গে এক সিনেমায় অভিনয় করলাম। এই জার্নি নিঃসন্দেহে আনন্দের।
গতকাল (পরশু) প্রিমিয়ার হলো সিনেমাটির। দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন দেখলেন?
সিয়াম: সবাই খুব প্রশংসা করেছেন। অভিনন্দন জানিয়েছেন পুরো টিমকে।
ফারিয়া: প্রিমিয়ার শো যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা তো প্রশংসা করেছেন। তবে আমি মনে করি, সারা দেশের দর্শক সিনেমা দেখে যদি প্রশংসা করেন, তবেই আমাদের পরিশ্রম আর চেষ্টা সার্থক হবে।
সিয়াম অভিনীত সায়েম চরিত্রটির পেছনে একটা গল্প রয়েছে শুনেছি?
সিয়াম: আমার চরিত্রটির নাম মেজর সায়েম সাদাত। দীপনদা আমাকে বলছিলেন, তোমার নাম হবে সায়েম। আমি বললাম, এর সঙ্গে কি সাদাত যোগ করা যায়? উনি সম্মতি দিলেন। আমার মনে ছিল, আমাদের ভাই বন্ধু অভিনেতা সায়েম সাদাত। যাঁকে আমরা অকালে হারিয়েছি। ওনাকে উৎসর্গও করা হয়েছে এই চরিত্রটি। ওনার ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি খুব আবেগপ্রবণ হয়ে গেছেন শুনে যে আমরা এখনো তাঁকে মনে রেখেছি।
চরিত্রটির জন্য প্রস্তুতি কেমন ছিল?
সিয়াম: যখন প্রস্তাব পাই, তখন একটু চিন্তিত ছিলাম। আমাকে আশ্বস্ত করা হলো, যে চরিত্রটা করতে যাচ্ছি, তার রিয়েল লাইফ রেফারেন্স আছে। উনি সত্যিই এমন একটা মিশন লিড দিয়েছিলেন। তখন আমি আগ্রহী হয়ে উঠি। বলতে পারেন, কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেই আমার প্রস্তুতির বড় একটা অংশ হয়েছে।
গবেষকের চরিত্রে ফারিয়ার অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
ফারিয়া: সিনেমায় আমি একজন বাঘ গবেষক। প্রায় তিন বছর পর হলে আমার সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমাটি আমার জীবনের অংশ হয়ে গেছে। শুটিংয়ের সময় ৩৫টি দিন ইউনিটের বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। পুরো ইউনিটই হয়ে উঠেছিল আমার পরিবার।
গত কয়েক দিন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে সিনেমার টিম। কেমন রেসপন্স পাওয়া যাচ্ছে?
ফারিয়া: প্রথম থেকেই টার্গেট ছিল সিনেমাটির সঙ্গে তরুণদের সম্পৃক্ত করা। কারণ সিনেমায় যে ব্যাপারগুলো তুলে ধরা হয়েছে, তা তরুণদের বেশি কানেক্ট করবে। এই জন্য প্রচারণায় একটা বড় সময় দিয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। সবার মাঝে দারুণ আগ্রহ দেখছি সিনেমাটি নিয়ে।
সিয়াম: সময়ের মেধাবী সন্তানদের একসঙ্গে পাওয়া যায় ওখানে। সিনেমাটি দেখার জন্য তাদের সরাসরি ইনভাইট করা যায়। যদিও সিনেমাটি সব শ্রেণির দর্শকের জন্য। তবে শিক্ষার্থীদের সিনেমা হলে ফেরার আগ্রহটা ভালো সংকেত।
পরিচালক দীপনের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
সিয়াম: দীপনদার ‘ঢাকা অ্যাটাক’ দেখে মনে হয়েছিল দাদার সঙ্গে যদি কোনো কাজ করতে পারতাম! ২৩ সেপ্টেম্বর ‘অপারেশন সুন্দরবন’ মুক্তি পাচ্ছে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে দাদার পরিচালনায় ‘অন্তর্জাল’ সিনেমাটিও। একটা ভালো বন্ডিং হলেই কিন্তু পরপর দুটি সিনেমা করা যায়।
ফারিয়া: দীপানদা কাজের ব্যাপারে খুবই ডেডিকেটেড। সিনেমাটিতে তিনি তাঁর দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।
শুটিংয়ের জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন?
ফারিয়া: শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও চরিত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয়েছে। শুটিংয়ে বনের দুর্গম এলাকায় যেতে হয়েছে। খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। পূর্বপ্রস্তুতির পাশাপাশি ইনস্ট্যান্ট অনেক কিছুই করতে হয়েছে।
সিয়াম: এমনও হয়েছে, দীর্ঘ সময় রেকি করে, সিনেমার সেট বানানো হয়েছে, কিন্তু শুটিংয়ের সময় গিয়ে দেখা গেল পুরো সেট আকস্মিক জোয়ারের পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। তবু দমে যায়নি কেউ। আবার নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছে।
নিশ্চয়ই মানসিক প্রস্তুতির একটা ব্যাপারও ছিল?
সিয়াম: আমাকে আগেই বলা হয়েছিল, এটা রেগুলার শুটিংয়ের মতো হবে না। অনেক সুযোগ-সুবিধা নাও থাকতে পারে। অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সেই মানসিক প্রস্তুতি তোমাকে নিতে হবে। আমরা ট্রেনিং করেছি, কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। মানসিকভাবে নিজেকে একজন র্যাবের কর্মকর্তা হিসেবে প্রস্তুত করেছি।
প্রথমবার একসঙ্গে জুটি হয়ে পর্দায় আসা। জুটি হয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
সিয়াম: আমি আর ফারিয়া যখন সিনেমার শেষ দৃশ্যের শুটিং করলাম, তখন একে অপরের দিকে অনেকক্ষণ চুপচাপ তাকিয়ে রইলাম। দুজনেই প্রায় একসঙ্গে বলে উঠলাম, ‘শেষ হয়ে গেল আমাদের এই জার্নি?’ আমরা আসলে পুরো টিমটাই একে অপরের সঙ্গে এতটা মিশে গেয়েছিলাম, যা বলে বোঝানো যাবে না।
ফারিয়া: আমাদের বন্ধুত্ব অনেক দিনের। আমরা একসঙ্গে লেট নাইট কফি অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করতাম। তখনই ওকে বলতাম, তুই নায়ক হওয়ার ট্রাই কর। আমি নায়িকা হলাম, ও নায়ক হলো। দুজনের একসঙ্গে এক সিনেমায় অভিনয় করলাম। এই জার্নি নিঃসন্দেহে আনন্দের।
গতকাল (পরশু) প্রিমিয়ার হলো সিনেমাটির। দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন দেখলেন?
সিয়াম: সবাই খুব প্রশংসা করেছেন। অভিনন্দন জানিয়েছেন পুরো টিমকে।
ফারিয়া: প্রিমিয়ার শো যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা তো প্রশংসা করেছেন। তবে আমি মনে করি, সারা দেশের দর্শক সিনেমা দেখে যদি প্রশংসা করেন, তবেই আমাদের পরিশ্রম আর চেষ্টা সার্থক হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে