মির্জা গালিব
এই মহাজাগতিক প্রেমের যুগে ‘গাছের পাতা নড়েচড়ে/ তোমার কথা মনে পড়ে’– জাতীয় ছড়া নিতান্তই প্রাচীনকালের কথা। কিন্তু এটাও তো ঠিক, ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’ কবিতা দিয়ে যেমন রবীন্দ্রনাথের কবিতা লেখার হাতেখড়ি, তেমনি এই গাছের পাতার নড়াচড়া আর তার কথা মনে পড়ার যে ছড়া, সেটা দিয়েই আমাদের প্রেমের পদ্য শোনা ও লেখার হাতেখড়ি। আজ এই প্রেমের দিনে উপহার পাওয়া ফুল আর চকলেট ছুঁয়ে বলুন তো, বাঙালি অস্বীকার করতে পারবে? আমি জানি, এবার আপনি বেশ খানিকটা চাপে পড়ে গেছেন।
প্রেম বিষয়ে বাঙালি চিরকাল ‘সাই ফিল’ করেছে। মানে লজ্জায় লাল হয়ে গেছে, তা সে নারী বা পুরুষ যে-ই হোক না কেন। সে জন্যই প্রবাদ রটেছে, ‘নারীর বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না।’ আহা, যেন পুরুষ সব সময়ই বীরদর্পে গিয়ে বলেছে, ‘ওগো হৃৎপিণ্ডেশ্বরী, লহ মোর নিবেদন।’ সুইটহার্ট বলার যুগে হৃৎপিণ্ডেশ্বরী বলাটা ঠিক না জমলেও, সুইটহার্টের বাংলা হিসেবে কখনোই কিন্তু ‘আমার মিষ্টি হৃৎপিণ্ড’ বলা হয়নি। তাই ‘হৃৎপিণ্ডেশ্বরী’ শুনে যতই বায়োলজি ক্লাসের কথা মনে পড়ুক না কেন, ওটা ঠিকই আছে রক্ত-মাংসের বাঙালির কাছে।
তো এই সলজ্জ নারী বা পুরুষেরা ‘চিরল চিরল তেঁতুলপাতা/ তেঁতুল বড় টক/ তোমার সঙ্গে প্রেম করিতে/ আমার বড় শখ’ ছড়া আওড়াবে, এটিই স্বাভাবিক। আমাদের জ্ঞানী পূর্বপুরুষেরা বলে গেছেন, প্রেমে পড়লে মানুষ দার্শনিক হয়ে ওঠে। সে জন্যই হয়তো আমাদের অগ্রজেরা চিরল চিরল তেঁতুলপাতা আর তেঁতুলের স্বাদের সঙ্গে প্রেমের একটা সম্পর্ক টেনে নিয়েছিলেন। এটাও বলে রাখা দরকার, তাঁদের আমল ছিল চিঠির। লাল ডাকবাক্সের। আবার সংকটটা ছিল, সবাই লিখতে জানতেন না। সে জন্যই আমার মতো অনেক মানুষ ছিল, যারা অন্যের হয়ে চিঠি লিখে দিত। সে জন্য সব সময়ই যে টু পাইস ইনকাম হতো, তেমন নয়। সে ভাই বেরাদারি বা সখী সখী ব্যাপার। সেগুলোর সঙ্গে টু পাইসের যোগাযোগ কমই থাকত। তবে সে চিঠি নিয়ে থাকত অপার আনন্দের ব্যাপার। সে বহু আগে একবার আমি, না মানে আমি নই, আসল মির্জা গালিব লিখেছিলেন, ‘আঁখ কি তসবির…’, না থাক বাংলাতেই বলি। গালিবের সে শের অনুবাদ করেছিলেন একালের জাভেদ হুসেন।
চিঠির শুরুতেই চোখের ছবি এঁকে দিয়েছি, যেন
তুমি বুঝতে পারো, তোমাকে দেখার খুব ইচ্ছে হচ্ছে।
আহা হা, আহা, কী আকুতি! এ রকম আকুতি না থাকলে কি প্রেম হয়? লাল ডাকবাক্স ফাঁকা পড়ে থাকার এই সময় সে আকুতির পারদ কতটা চড়ত, সেটা বলে বোঝানো যাবে না। ব্যাপারটা এমন ছিল না যে কোনো কারণে মন খারাপ তো টুং করে একটা মেসেজ দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, বাবু খাইছ? আর ওপাশ থেকে লাভ রি-অ্যাক্ট ভেসে এল। সঙ্গে উত্তর— খাইছি। তুমি খাইছ বাবু?
এসব বাবুরা সিনে আসার আগে, লাভ রি-অ্যাক্টের জন্ম হওয়ার বহু আগে কিংবা হামহাম গুড়িগুড়ি নাচের আগের যুগের প্রেমিকেরা তাদের আবেগ দেখাত কীভাবে? একটা গল্প বলি। কয়েক দিন আগেই এক বড় ভাই বললেন।
মধ্যরাত। কয়েক বন্ধু মিলে একসঙ্গে থাকবেন বলে ঠিক করেছেন তাঁরা। তো যে বন্ধুর বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা, মধ্যরাতে সে বন্ধু হেঁকে বললেন, চল সব। রাতের রোমাঞ্চ নিতে মফস্বল শহরের প্রায় ভুতুড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেন সবাই। হাঁটতে হাঁটতে সেই বন্ধুটি সবাইকে নিয়ে ঢুকে পড়ল এক গলির ভেতর। প্রায় অন্ধকার সে গলির মাথায় টিমটিমে এক বাতি দেখা যায় একটি দালান বাড়ির সামনে। বন্ধুটি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলেন। সবাই তাঁর সঙ্গে দাঁড়ানো। প্রায় আধা ঘণ্টা পর তিনি উল্টো দিকে হাঁটা দিলেন। সবাই একরাশ প্রশ্ন নিয়ে তাঁর পেছন পেছন হাঁটছেন। এবার বন্ধুটি এক চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘গলির মাথার ওই বিল্ডিংটার পাশের বিল্ডিংয়ে থাকে শেফালি।’ সবাই বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘তাহলে ওই বিল্ডিংয়ের সামনেই দাঁড়াতাম!’ ‘তোরা যে হারামি! ওর ঘুম ভেঙে যেত।’
এখন সে যুগ নেই। এখন প্রেম মহাজাগতিক। মেটাভার্সের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জানান দিচ্ছে, আপনি যাকে অনুসরণ করছেন তার পছন্দ অপছন্দ কী। আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছে, আপনার পছন্দের মানুষটির জন্মদিনটা কবে। আপনাকে আরও জানিয়ে দিচ্ছে, আপনার বসার জন্য মানানসই রেস্তোরাঁ কোনগুলো হতে পারে। এত এত সুবিধা যখন হাতের মুঠোয়, তখন প্রেমটাও বেশ জমে যায়। এখন মানুষ খুব একটা ‘সাই ফিল’ করে না ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা পরিবারকে বলতে। হ্যাঁ, কিছু মা-বাবা এখনো প্রাচীনপন্থী রয়ে গেছেন। কিন্তু তাঁরাও সম্ভবত এখন মনে করেন, কিছুটা আধুনিক তো হতেই হয়।
ডাকবাক্স বা মেটাভার্স, যুগ যেটাই হোক, প্রেমের রং লাল সব যুগেই। চিরল চিরল তেঁতুলপাতা হোক কিংবা জারবেরা-গোলাপের মুকুট, কথা একটাই। ভালোবাসা। আজ ভালোবাসার দিবস। আজ ভালো থাকার দিবস। বহু আগে গালিব বলে গেছেন,
আমি তো তোমাকে প্রাণ উৎসর্গ করেছি
সেই নিবেদনের মন্ত্র আমি জানি না।
এই মহাজাগতিক প্রেমের যুগে ‘গাছের পাতা নড়েচড়ে/ তোমার কথা মনে পড়ে’– জাতীয় ছড়া নিতান্তই প্রাচীনকালের কথা। কিন্তু এটাও তো ঠিক, ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’ কবিতা দিয়ে যেমন রবীন্দ্রনাথের কবিতা লেখার হাতেখড়ি, তেমনি এই গাছের পাতার নড়াচড়া আর তার কথা মনে পড়ার যে ছড়া, সেটা দিয়েই আমাদের প্রেমের পদ্য শোনা ও লেখার হাতেখড়ি। আজ এই প্রেমের দিনে উপহার পাওয়া ফুল আর চকলেট ছুঁয়ে বলুন তো, বাঙালি অস্বীকার করতে পারবে? আমি জানি, এবার আপনি বেশ খানিকটা চাপে পড়ে গেছেন।
প্রেম বিষয়ে বাঙালি চিরকাল ‘সাই ফিল’ করেছে। মানে লজ্জায় লাল হয়ে গেছে, তা সে নারী বা পুরুষ যে-ই হোক না কেন। সে জন্যই প্রবাদ রটেছে, ‘নারীর বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না।’ আহা, যেন পুরুষ সব সময়ই বীরদর্পে গিয়ে বলেছে, ‘ওগো হৃৎপিণ্ডেশ্বরী, লহ মোর নিবেদন।’ সুইটহার্ট বলার যুগে হৃৎপিণ্ডেশ্বরী বলাটা ঠিক না জমলেও, সুইটহার্টের বাংলা হিসেবে কখনোই কিন্তু ‘আমার মিষ্টি হৃৎপিণ্ড’ বলা হয়নি। তাই ‘হৃৎপিণ্ডেশ্বরী’ শুনে যতই বায়োলজি ক্লাসের কথা মনে পড়ুক না কেন, ওটা ঠিকই আছে রক্ত-মাংসের বাঙালির কাছে।
তো এই সলজ্জ নারী বা পুরুষেরা ‘চিরল চিরল তেঁতুলপাতা/ তেঁতুল বড় টক/ তোমার সঙ্গে প্রেম করিতে/ আমার বড় শখ’ ছড়া আওড়াবে, এটিই স্বাভাবিক। আমাদের জ্ঞানী পূর্বপুরুষেরা বলে গেছেন, প্রেমে পড়লে মানুষ দার্শনিক হয়ে ওঠে। সে জন্যই হয়তো আমাদের অগ্রজেরা চিরল চিরল তেঁতুলপাতা আর তেঁতুলের স্বাদের সঙ্গে প্রেমের একটা সম্পর্ক টেনে নিয়েছিলেন। এটাও বলে রাখা দরকার, তাঁদের আমল ছিল চিঠির। লাল ডাকবাক্সের। আবার সংকটটা ছিল, সবাই লিখতে জানতেন না। সে জন্যই আমার মতো অনেক মানুষ ছিল, যারা অন্যের হয়ে চিঠি লিখে দিত। সে জন্য সব সময়ই যে টু পাইস ইনকাম হতো, তেমন নয়। সে ভাই বেরাদারি বা সখী সখী ব্যাপার। সেগুলোর সঙ্গে টু পাইসের যোগাযোগ কমই থাকত। তবে সে চিঠি নিয়ে থাকত অপার আনন্দের ব্যাপার। সে বহু আগে একবার আমি, না মানে আমি নই, আসল মির্জা গালিব লিখেছিলেন, ‘আঁখ কি তসবির…’, না থাক বাংলাতেই বলি। গালিবের সে শের অনুবাদ করেছিলেন একালের জাভেদ হুসেন।
চিঠির শুরুতেই চোখের ছবি এঁকে দিয়েছি, যেন
তুমি বুঝতে পারো, তোমাকে দেখার খুব ইচ্ছে হচ্ছে।
আহা হা, আহা, কী আকুতি! এ রকম আকুতি না থাকলে কি প্রেম হয়? লাল ডাকবাক্স ফাঁকা পড়ে থাকার এই সময় সে আকুতির পারদ কতটা চড়ত, সেটা বলে বোঝানো যাবে না। ব্যাপারটা এমন ছিল না যে কোনো কারণে মন খারাপ তো টুং করে একটা মেসেজ দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, বাবু খাইছ? আর ওপাশ থেকে লাভ রি-অ্যাক্ট ভেসে এল। সঙ্গে উত্তর— খাইছি। তুমি খাইছ বাবু?
এসব বাবুরা সিনে আসার আগে, লাভ রি-অ্যাক্টের জন্ম হওয়ার বহু আগে কিংবা হামহাম গুড়িগুড়ি নাচের আগের যুগের প্রেমিকেরা তাদের আবেগ দেখাত কীভাবে? একটা গল্প বলি। কয়েক দিন আগেই এক বড় ভাই বললেন।
মধ্যরাত। কয়েক বন্ধু মিলে একসঙ্গে থাকবেন বলে ঠিক করেছেন তাঁরা। তো যে বন্ধুর বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা, মধ্যরাতে সে বন্ধু হেঁকে বললেন, চল সব। রাতের রোমাঞ্চ নিতে মফস্বল শহরের প্রায় ভুতুড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেন সবাই। হাঁটতে হাঁটতে সেই বন্ধুটি সবাইকে নিয়ে ঢুকে পড়ল এক গলির ভেতর। প্রায় অন্ধকার সে গলির মাথায় টিমটিমে এক বাতি দেখা যায় একটি দালান বাড়ির সামনে। বন্ধুটি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলেন। সবাই তাঁর সঙ্গে দাঁড়ানো। প্রায় আধা ঘণ্টা পর তিনি উল্টো দিকে হাঁটা দিলেন। সবাই একরাশ প্রশ্ন নিয়ে তাঁর পেছন পেছন হাঁটছেন। এবার বন্ধুটি এক চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘গলির মাথার ওই বিল্ডিংটার পাশের বিল্ডিংয়ে থাকে শেফালি।’ সবাই বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘তাহলে ওই বিল্ডিংয়ের সামনেই দাঁড়াতাম!’ ‘তোরা যে হারামি! ওর ঘুম ভেঙে যেত।’
এখন সে যুগ নেই। এখন প্রেম মহাজাগতিক। মেটাভার্সের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জানান দিচ্ছে, আপনি যাকে অনুসরণ করছেন তার পছন্দ অপছন্দ কী। আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছে, আপনার পছন্দের মানুষটির জন্মদিনটা কবে। আপনাকে আরও জানিয়ে দিচ্ছে, আপনার বসার জন্য মানানসই রেস্তোরাঁ কোনগুলো হতে পারে। এত এত সুবিধা যখন হাতের মুঠোয়, তখন প্রেমটাও বেশ জমে যায়। এখন মানুষ খুব একটা ‘সাই ফিল’ করে না ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা পরিবারকে বলতে। হ্যাঁ, কিছু মা-বাবা এখনো প্রাচীনপন্থী রয়ে গেছেন। কিন্তু তাঁরাও সম্ভবত এখন মনে করেন, কিছুটা আধুনিক তো হতেই হয়।
ডাকবাক্স বা মেটাভার্স, যুগ যেটাই হোক, প্রেমের রং লাল সব যুগেই। চিরল চিরল তেঁতুলপাতা হোক কিংবা জারবেরা-গোলাপের মুকুট, কথা একটাই। ভালোবাসা। আজ ভালোবাসার দিবস। আজ ভালো থাকার দিবস। বহু আগে গালিব বলে গেছেন,
আমি তো তোমাকে প্রাণ উৎসর্গ করেছি
সেই নিবেদনের মন্ত্র আমি জানি না।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে