আতাউর রহমান, জয়পুরহাট
চলতি মৌসুমে আগাম জাতের আমন ধানের ফলন ও মান কম হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জয়পুরহাটের কৃষকেরা। ধান বিক্রি করে আগাম জাতের আলু, সরিষা, পেঁয়াজসহ অন্যান্য ফসল আবাদের খরচ মেটাতে পারছেন না তাঁরা। ফলে অর্থসংকটে পড়ে অনেকেই ধার-দেনা ও ঋণ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
কৃষকেরা বলছেন, অতিবৃষ্টির কারণে আমনে ফলন বিপর্যয় হয়েছে। অন্যদিকে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের দাবি, পরাগায়ন মৌসুমে হিট শকের কারণে এ বিপর্যয় হয়েছে।
কৃষক এবং জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কম সময়ে ফসল ঘরে তোলা যায় বলে জয়পুরহাটের কৃষকদের মধ্যে আগাম জাতের আমন ধান উৎপাদনে আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। এ সুবিধার জন্য জেলার পাঁচটি উপজেলায় ১০ বছর ধরে আগাম জাতের আমন ধান আবাদ করছেন তাঁরা। জেলায় এবার আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৯ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আমন ধানের আবাদ হয়।
তবে কৃষকদের দাবি, এবার অক্টোবরে অতিবৃষ্টির কারণে জেলায় আমন ধানের ফলন ও মান দুই-ই কমেছে। ধানের শিষে চিটা হয়েছে, পাতা মরে গেছে। তাই তাঁরা এবার আগাম জাতের আমন ধানের বিঘাপ্রতি ফলন পেয়েছেন মাত্র ৯-১৪ মণ। অথচ গত বছর বিঘাপ্রতি আগাম জাতের আমন ধানের ফলন হয়েছিল ১৫-১৭ মণ। এবার ধানে দামও পেয়েছেন কম। কৃষকেরা এবার প্রতি মণ ধান বিক্রি করেছেন ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। অথচ গত বছর মণপ্রতি ধান বিক্রি করেছিলেন দেড় থেকে দুই হাজার টাকায়।
এদিকে আগাম জাতের আলু চাষ করতে এবার বীজ, সার, জমি চাষ, মজুরি ও অন্যান্য খরচ বাবদ ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে, গত বছর যা ছিল ২০-২৫ হাজার টাকা। এবার খরচ বাড়ার কারণ আলু চাষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব উপকরণের দাম আগের চেয়ে বেশি। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের দাবি, অক্টোবরে অতিবৃষ্টির কারণে ধানের ফলন ও মান কমেনি। এ জন্য ফসল ঘরে তুলতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। বরং কিছু কৃষকের আগাম জাতের ধানের ফলন ও মান কমে যাওয়ার কারণ এবার ধানের পরাগায়ন মৌসুমে হিট ওয়েব ছিল। তার প্রভাবে ধানের রেণু এবং পাতা শুকিয়ে গেছে। এতে যেসব জমিতে ধান ফুল ফোটা অবস্থায় ছিল, সেগুলোতে ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে ফলন ও মান কমেছে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার কোমর গ্রামের কৃষক ওয়ারিশ আলী জানান, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে এবার গত বছরের চেয়ে বিঘাপ্রতি আগাম জাতের আমন ধানের ফলন কম হয়েছে ৩-৪ মণ। ফলে ধান বিক্রি করে অর্থও পেয়েছেন কম।
একই গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম জানান, এবার তিনি গোল্ডেন আতপ জাতের আগাম আমন ধান চাষ করেছিলেন। এ ধানের ফলন অন্যান্য আগাম জাতের আমন ধানের চেয়ে কম হলেও দাম থাকে বেশি। কিন্তু এবার এ ধানের ফলন ও দাম দুই-ই কম। এবার তিনি গোল্ডেন আতপ ধানের ফলন পেয়েছেন বিঘাপ্রতি ৬-১০ মণ। প্রতি মণ ধানের দাম পেয়েছেন ১ হাজার ১৫০ টাকা। অথচ গত বছর তিনি এ ধানের বিঘাপ্রতি ফলন পেয়েছিলেন ১৪-১৫ মণ। সে সময় প্রতি মণ ধানের দাম ছিল ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। সবকিছুর দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে এবার ধান বিক্রি করে আলুসহ অন্যান্য ফসল ফলানো কষ্টকর হবে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাহেলা পারভীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অক্টোবরে অতিবৃষ্টির কারণে ধানের ফলন ও মান কমে গেছে, কৃষকদের এমন ধারণা ঠিক নয়। মূলত, এবার আমন ধানের পরাগায়নের সময় তাপমাত্রা বেশি ছিল। ফলে ধান হিট শকের কবলে পড়ে। এতে ধানের শিষে চিটা হয়। জমিতে মাত্রাতিরিক্ত সার প্রয়োগ করলেও এর বিরূপ প্রভাবে ক্ষতি হয় বেশি। এতেও অনেক সময় ধানের ফলন কমে যায়। তাই কৃষকদের সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগে সচেতন করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, যে ফসলের জীবনকাল কম, তার ফলনও কম হয়। তবে এ ক্ষেত্রে ফলন কম হলেও পরবর্তী ফসল যেমন আলু, সরিষা, পেঁয়াজসহ অন্যান্য ফসল আগাম চাষ করা যায়। এ ফসলগুলোর দামও ভালো পাওয়া যায়। তাই এ জেলায় আগাম জাতের আমন ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
চলতি মৌসুমে আগাম জাতের আমন ধানের ফলন ও মান কম হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জয়পুরহাটের কৃষকেরা। ধান বিক্রি করে আগাম জাতের আলু, সরিষা, পেঁয়াজসহ অন্যান্য ফসল আবাদের খরচ মেটাতে পারছেন না তাঁরা। ফলে অর্থসংকটে পড়ে অনেকেই ধার-দেনা ও ঋণ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
কৃষকেরা বলছেন, অতিবৃষ্টির কারণে আমনে ফলন বিপর্যয় হয়েছে। অন্যদিকে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের দাবি, পরাগায়ন মৌসুমে হিট শকের কারণে এ বিপর্যয় হয়েছে।
কৃষক এবং জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কম সময়ে ফসল ঘরে তোলা যায় বলে জয়পুরহাটের কৃষকদের মধ্যে আগাম জাতের আমন ধান উৎপাদনে আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। এ সুবিধার জন্য জেলার পাঁচটি উপজেলায় ১০ বছর ধরে আগাম জাতের আমন ধান আবাদ করছেন তাঁরা। জেলায় এবার আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৯ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আমন ধানের আবাদ হয়।
তবে কৃষকদের দাবি, এবার অক্টোবরে অতিবৃষ্টির কারণে জেলায় আমন ধানের ফলন ও মান দুই-ই কমেছে। ধানের শিষে চিটা হয়েছে, পাতা মরে গেছে। তাই তাঁরা এবার আগাম জাতের আমন ধানের বিঘাপ্রতি ফলন পেয়েছেন মাত্র ৯-১৪ মণ। অথচ গত বছর বিঘাপ্রতি আগাম জাতের আমন ধানের ফলন হয়েছিল ১৫-১৭ মণ। এবার ধানে দামও পেয়েছেন কম। কৃষকেরা এবার প্রতি মণ ধান বিক্রি করেছেন ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। অথচ গত বছর মণপ্রতি ধান বিক্রি করেছিলেন দেড় থেকে দুই হাজার টাকায়।
এদিকে আগাম জাতের আলু চাষ করতে এবার বীজ, সার, জমি চাষ, মজুরি ও অন্যান্য খরচ বাবদ ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে, গত বছর যা ছিল ২০-২৫ হাজার টাকা। এবার খরচ বাড়ার কারণ আলু চাষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব উপকরণের দাম আগের চেয়ে বেশি। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের দাবি, অক্টোবরে অতিবৃষ্টির কারণে ধানের ফলন ও মান কমেনি। এ জন্য ফসল ঘরে তুলতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। বরং কিছু কৃষকের আগাম জাতের ধানের ফলন ও মান কমে যাওয়ার কারণ এবার ধানের পরাগায়ন মৌসুমে হিট ওয়েব ছিল। তার প্রভাবে ধানের রেণু এবং পাতা শুকিয়ে গেছে। এতে যেসব জমিতে ধান ফুল ফোটা অবস্থায় ছিল, সেগুলোতে ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে ফলন ও মান কমেছে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার কোমর গ্রামের কৃষক ওয়ারিশ আলী জানান, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে এবার গত বছরের চেয়ে বিঘাপ্রতি আগাম জাতের আমন ধানের ফলন কম হয়েছে ৩-৪ মণ। ফলে ধান বিক্রি করে অর্থও পেয়েছেন কম।
একই গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম জানান, এবার তিনি গোল্ডেন আতপ জাতের আগাম আমন ধান চাষ করেছিলেন। এ ধানের ফলন অন্যান্য আগাম জাতের আমন ধানের চেয়ে কম হলেও দাম থাকে বেশি। কিন্তু এবার এ ধানের ফলন ও দাম দুই-ই কম। এবার তিনি গোল্ডেন আতপ ধানের ফলন পেয়েছেন বিঘাপ্রতি ৬-১০ মণ। প্রতি মণ ধানের দাম পেয়েছেন ১ হাজার ১৫০ টাকা। অথচ গত বছর তিনি এ ধানের বিঘাপ্রতি ফলন পেয়েছিলেন ১৪-১৫ মণ। সে সময় প্রতি মণ ধানের দাম ছিল ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। সবকিছুর দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে এবার ধান বিক্রি করে আলুসহ অন্যান্য ফসল ফলানো কষ্টকর হবে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাহেলা পারভীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অক্টোবরে অতিবৃষ্টির কারণে ধানের ফলন ও মান কমে গেছে, কৃষকদের এমন ধারণা ঠিক নয়। মূলত, এবার আমন ধানের পরাগায়নের সময় তাপমাত্রা বেশি ছিল। ফলে ধান হিট শকের কবলে পড়ে। এতে ধানের শিষে চিটা হয়। জমিতে মাত্রাতিরিক্ত সার প্রয়োগ করলেও এর বিরূপ প্রভাবে ক্ষতি হয় বেশি। এতেও অনেক সময় ধানের ফলন কমে যায়। তাই কৃষকদের সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগে সচেতন করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, যে ফসলের জীবনকাল কম, তার ফলনও কম হয়। তবে এ ক্ষেত্রে ফলন কম হলেও পরবর্তী ফসল যেমন আলু, সরিষা, পেঁয়াজসহ অন্যান্য ফসল আগাম চাষ করা যায়। এ ফসলগুলোর দামও ভালো পাওয়া যায়। তাই এ জেলায় আগাম জাতের আমন ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪