মো. তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
নিজের প্রতিষ্ঠিত দুটি স্কুলে শিক্ষকতা ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল আবদুর রশিদকে! লোকে বলে, সেগুলো ছিল কিছু মানুষের ষড়যন্ত্র। দুইবারের সে অযাচিত প্রত্যাখ্যানে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন আবদুর রশিদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ছেলে শিক্ষকতা করতে পারছে না ভেবে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন মা উমেতুন্নেছা। কিন্তু ছেলে তো দমে যাওয়ার পাত্র নন। তৃতীয়বারের মতো তিনি নিজ গ্রামে তৈরি করেন আর একটি স্কুল! সেটা ১৯৯১ সালের ঘটনা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী মনাকষা ইউনিয়নের তারাপুর দাড়িপাড়া গ্রামের মানুষ এখন স্কুলটিকে চেনে ‘রশিদ মাস্টারের পাঠশালা’ নামে।
১৯৯১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত রশিদ মাস্টারের পাঠশালায় পড়ালেখা করেছেন প্রায় ছয় হাজার শিশু ও বয়স্ক মানুষ। তাঁদের অনেকেই এখন বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। স্কুলটি সরকারি এমপিওভুক্তির জন্য কোনো দিন আবেদন করেননি আবদুর রশিদ! শুধু তাই নয়, ৩১ বছর ধরে একেবারে বিনা পারিশ্রমিকে পাঠদান করে চলছেন তিনি।
মূলত মাকে সান্ত্বনা দিতে আবদুর রশিদ নিজ বাড়ির পেছনের বাঁশবাগানের মাটি সমান করে খোলা আকাশের নিচে পাটি পেতে শুরু করেছিলেন তাঁর তৃতীয় স্কুল। এত দিন পরে এখন সেখানে উঠেছে দুটি টিনের ঘর। প্রথমে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পড়ানো হতো সেখানে। তারপরে প্রাইভেটের মতো করে অন্য স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়ানো শুরু হয়। এখন রাতে, সকালে ও সন্ধ্যায় পড়ানো হয় শিশু ও বয়স্কদের। সব মিলিয়ে এখন রশিদ মাস্টারের পাঠশালায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দেড় শ। সেখানে তাঁর ছেলে হোসেন আলী সম্রাট ও অবসরপ্রাপ্ত সাবেক স্কুলশিক্ষক সবিন্দ্র নাথ দাস মাঝেমধ্যে পাঠদান করেন।
দারিদ্র্যের কারণে আবদুর রশিদ নিজে খুব বেশি দূর লেখাপড়া করার সুযোগ পাননি। স্থানীয় সাহাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন মনাকষা হুমায়ূন রেজা স্কুলে। সেখান থেকে ১৯৬৬ সালে এসএসসি পাস করেন। এরপর বাবা এবং ভাই অসুস্থ থাকায় বন্ধ হয়ে যায় লেখাপড়া। চার বছর বিরতি দিয়ে তিনি আবারও ভর্তি হন আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজে। সেখান থেকে ১৯৭২ সালে এইচএসসি পাস করেন। সেখানেই আবদুর রশিদের শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যায়।
পরে তিনি নিজ এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন চানতারা প্রাইমারি স্কুল। সেখানে বেশ কিছুদিন শিক্ষকতা করার পর তাঁকে বাদ দেওয়া হয় স্কুল থেকে। এরপর মনোহরপুর এলাকায় চলে যান কৃষিকাজের সন্ধানে। কিন্তু সে কাজে মন না বসলে কিছুদিন পরে পাঁচজন ছাত্রকে সঙ্গে নিয়ে আবারও প্রতিষ্ঠিত করেন মনোহরপুর প্রাইমারি স্কুল। স্কুলটি দ্রুত পরিচিতি লাভ করে। কিন্তু এ স্কুলের শিক্ষকতাও ছাড়তে হয় তাঁকে। এরপর তিনি তৈরি করেন তাঁর তৃতীয় স্কুলটি।
স্থানীয় সাহাপাড়া বাজারে একটি ওষুধের দোকান রয়েছে আবদুর রশিদের। সে দোকানের আয় থেকে চলে তাঁর সংসার। আট ছেলে ও এক মেয়ের সবাই বিভিন্ন পেশায় জড়িত।
রশিদ মাস্টারের পাঠশালায় আরও ২০ থেকে ২৫ জনের সঙ্গে পড়তে আসে সাথী ও তানিসা খাতুন। তারা স্থানীয় বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করে। দুজনেই জানিয়েছে, স্কুলটিতে বাংলা, ইংরেজি ও অঙ্ক পড়ানো হয় একেবারে বিনি পয়সায়।
রশিদ মাস্টারের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন শিবগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল কুমার ঘোষ।
নিজের প্রতিষ্ঠিত দুটি স্কুলে শিক্ষকতা ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল আবদুর রশিদকে! লোকে বলে, সেগুলো ছিল কিছু মানুষের ষড়যন্ত্র। দুইবারের সে অযাচিত প্রত্যাখ্যানে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন আবদুর রশিদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ছেলে শিক্ষকতা করতে পারছে না ভেবে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন মা উমেতুন্নেছা। কিন্তু ছেলে তো দমে যাওয়ার পাত্র নন। তৃতীয়বারের মতো তিনি নিজ গ্রামে তৈরি করেন আর একটি স্কুল! সেটা ১৯৯১ সালের ঘটনা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী মনাকষা ইউনিয়নের তারাপুর দাড়িপাড়া গ্রামের মানুষ এখন স্কুলটিকে চেনে ‘রশিদ মাস্টারের পাঠশালা’ নামে।
১৯৯১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত রশিদ মাস্টারের পাঠশালায় পড়ালেখা করেছেন প্রায় ছয় হাজার শিশু ও বয়স্ক মানুষ। তাঁদের অনেকেই এখন বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। স্কুলটি সরকারি এমপিওভুক্তির জন্য কোনো দিন আবেদন করেননি আবদুর রশিদ! শুধু তাই নয়, ৩১ বছর ধরে একেবারে বিনা পারিশ্রমিকে পাঠদান করে চলছেন তিনি।
মূলত মাকে সান্ত্বনা দিতে আবদুর রশিদ নিজ বাড়ির পেছনের বাঁশবাগানের মাটি সমান করে খোলা আকাশের নিচে পাটি পেতে শুরু করেছিলেন তাঁর তৃতীয় স্কুল। এত দিন পরে এখন সেখানে উঠেছে দুটি টিনের ঘর। প্রথমে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পড়ানো হতো সেখানে। তারপরে প্রাইভেটের মতো করে অন্য স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়ানো শুরু হয়। এখন রাতে, সকালে ও সন্ধ্যায় পড়ানো হয় শিশু ও বয়স্কদের। সব মিলিয়ে এখন রশিদ মাস্টারের পাঠশালায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দেড় শ। সেখানে তাঁর ছেলে হোসেন আলী সম্রাট ও অবসরপ্রাপ্ত সাবেক স্কুলশিক্ষক সবিন্দ্র নাথ দাস মাঝেমধ্যে পাঠদান করেন।
দারিদ্র্যের কারণে আবদুর রশিদ নিজে খুব বেশি দূর লেখাপড়া করার সুযোগ পাননি। স্থানীয় সাহাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন মনাকষা হুমায়ূন রেজা স্কুলে। সেখান থেকে ১৯৬৬ সালে এসএসসি পাস করেন। এরপর বাবা এবং ভাই অসুস্থ থাকায় বন্ধ হয়ে যায় লেখাপড়া। চার বছর বিরতি দিয়ে তিনি আবারও ভর্তি হন আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজে। সেখান থেকে ১৯৭২ সালে এইচএসসি পাস করেন। সেখানেই আবদুর রশিদের শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যায়।
পরে তিনি নিজ এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন চানতারা প্রাইমারি স্কুল। সেখানে বেশ কিছুদিন শিক্ষকতা করার পর তাঁকে বাদ দেওয়া হয় স্কুল থেকে। এরপর মনোহরপুর এলাকায় চলে যান কৃষিকাজের সন্ধানে। কিন্তু সে কাজে মন না বসলে কিছুদিন পরে পাঁচজন ছাত্রকে সঙ্গে নিয়ে আবারও প্রতিষ্ঠিত করেন মনোহরপুর প্রাইমারি স্কুল। স্কুলটি দ্রুত পরিচিতি লাভ করে। কিন্তু এ স্কুলের শিক্ষকতাও ছাড়তে হয় তাঁকে। এরপর তিনি তৈরি করেন তাঁর তৃতীয় স্কুলটি।
স্থানীয় সাহাপাড়া বাজারে একটি ওষুধের দোকান রয়েছে আবদুর রশিদের। সে দোকানের আয় থেকে চলে তাঁর সংসার। আট ছেলে ও এক মেয়ের সবাই বিভিন্ন পেশায় জড়িত।
রশিদ মাস্টারের পাঠশালায় আরও ২০ থেকে ২৫ জনের সঙ্গে পড়তে আসে সাথী ও তানিসা খাতুন। তারা স্থানীয় বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করে। দুজনেই জানিয়েছে, স্কুলটিতে বাংলা, ইংরেজি ও অঙ্ক পড়ানো হয় একেবারে বিনি পয়সায়।
রশিদ মাস্টারের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন শিবগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল কুমার ঘোষ।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে