আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরায় আমন ধান ব্লাস্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। ধানের শিষ চিটা হয়ে যাওয়ায় ফলন বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে সাতক্ষীরায় তেমন ক্ষতি না হলেও শেষ মুহূর্তে রোগবালাইয়ের আক্রমণে এবার আমন ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সাতক্ষীরা খামারবাড়ি সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ৮৯ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৮৮ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টরে হাইব্রিড ধান ৩ মেট্রিক টন, উফশি ২ দশমিক ৭০ টন ও স্থানীয় জাত ১ দশমিক ৬৫ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদরের কাশেমপুর, মাছখোলাসহ বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, ধানের শিষে ধান নেই। চিটা হয়ে গেছে। বৈশাখ মাসের শেষের দিক থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকেরা বেশির ভাগ বিলে শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে আমন ধানের বীজতলা তৈরি করেছেন। পরে দেরিতে স্বল্পমাত্রার বৃষ্টি হলেও তা ধান চাষের জন্য উপযোগী ছিল না। ফলে অনেকেই শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে বেশি বয়সের ধানের চারা লাগিয়েছেন। বৃষ্টি না হওয়ায় বা কম বৃষ্টির কারণে ধানগাছ বাড়েনি।
শহর উপকণ্ঠের কাশেমপুর এলাকার চাষি রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘তিনি ৫ বিঘা জমিতে স্বর্ণ আমন ধান লাগিয়েছিলেন। ৪০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে এই পর্যন্ত। এখন দেখছি, ধানের শিষ কালো হয়ে গেছে। শুনছি, ব্লাস্ট রোগ হয়েছে। এসব ধান চিটা হয়ে যাবে।’
একই এলাকার আল আমিন হোসেন বলেন, ‘প্রতি বিঘা জমিতে ২০ মণ করে ধান পাওয়ার আশা করেছিলাম। এখন দেখছি তিন-চার মণ ধানও পাব না। এই মুহূর্তে কী যে করব, তা-ও জানতে পারছি না।’
শিবপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের কৃষক মুহসিন আলী জানান, শিষে মাজরা বা বেঁশো পোকা লাগায় কালো রঙের চিটে হয়ে গেছে। খড় কাটতে হলে যে মজুরি লাগবে তাতে তিনি আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ফলে জমিতে গরু ও ছাগল লাগিয়ে দিয়েছেন। ক্ষতি পোষাতে ওই জমিতে দু-এক দিনের মধ্যে চাষ দিয়ে সরিষা চাষ করবেন।
একই এলাকার কৃষক মুনসুর আলী ও আজগার আলী জানান, বৃষ্টি না হওয়ায় তাঁরা কৃষি বিভাগের শরণাপন্ন হয়েছেন। কোনো সদুত্তর মেলেনি। বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে চাষ করেছেন। বেশি টাকা দিয়ে সার ও কীটনাশক কিনতে হয়েছে। এরপরও তাঁদের ১৪ বিঘার মধ্যে ৮ বিঘা জমিতে একেবারেই ধান নেই। প্রায় শুকনা ধানগাছ কেটে বস্তায় ভরে গরু-ছাগলের জন্য বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। শ্যালো মেশিনের বকেয়া পানির বিল, সার ও কীটনাশকের বকেয়া বিল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
কাশেমপুর গ্রামের শহীদুল ইসলাম বলেন, ধান না হওয়ায় যেমন মানুষের খাদ্যসংকট বাড়বে, তেমনি খড়- বিচালির অভাবে গবাদিপশু বাঁচানো মুশকিল হয়ে যাবে। এ অবস্থা শুধু সাতক্ষীরা সদরের নয়, কালীগঞ্জ, তালা, কলারোয়া ও দেবহাটাতেও। আমন ধানের চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন না হওয়ায় ভবিষ্যতে ধান চাষ না করার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেছেন দেবনগরের পরান দাস, ছাতিয়ানতলা গ্রামের মহব্বত আলী, মাছখোলার শাহাদত হোসেনসহ কয়েকজন কৃষক।
সাতক্ষীরা খামারবাড়ির কৃষি অফিসার খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ধানে ব্লাস্ট, বিপিএইচ বা গান্ধী পোকার আক্রমণ হচ্ছে। যে সমস্ত জমিতে পানি রয়েছে, তা সরাতে হবে। পাশাপাশি কীটনাশক বা ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।
সাতক্ষীরায় আমন ধান ব্লাস্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। ধানের শিষ চিটা হয়ে যাওয়ায় ফলন বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে সাতক্ষীরায় তেমন ক্ষতি না হলেও শেষ মুহূর্তে রোগবালাইয়ের আক্রমণে এবার আমন ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সাতক্ষীরা খামারবাড়ি সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ৮৯ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৮৮ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টরে হাইব্রিড ধান ৩ মেট্রিক টন, উফশি ২ দশমিক ৭০ টন ও স্থানীয় জাত ১ দশমিক ৬৫ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদরের কাশেমপুর, মাছখোলাসহ বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, ধানের শিষে ধান নেই। চিটা হয়ে গেছে। বৈশাখ মাসের শেষের দিক থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকেরা বেশির ভাগ বিলে শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে আমন ধানের বীজতলা তৈরি করেছেন। পরে দেরিতে স্বল্পমাত্রার বৃষ্টি হলেও তা ধান চাষের জন্য উপযোগী ছিল না। ফলে অনেকেই শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে বেশি বয়সের ধানের চারা লাগিয়েছেন। বৃষ্টি না হওয়ায় বা কম বৃষ্টির কারণে ধানগাছ বাড়েনি।
শহর উপকণ্ঠের কাশেমপুর এলাকার চাষি রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘তিনি ৫ বিঘা জমিতে স্বর্ণ আমন ধান লাগিয়েছিলেন। ৪০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে এই পর্যন্ত। এখন দেখছি, ধানের শিষ কালো হয়ে গেছে। শুনছি, ব্লাস্ট রোগ হয়েছে। এসব ধান চিটা হয়ে যাবে।’
একই এলাকার আল আমিন হোসেন বলেন, ‘প্রতি বিঘা জমিতে ২০ মণ করে ধান পাওয়ার আশা করেছিলাম। এখন দেখছি তিন-চার মণ ধানও পাব না। এই মুহূর্তে কী যে করব, তা-ও জানতে পারছি না।’
শিবপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের কৃষক মুহসিন আলী জানান, শিষে মাজরা বা বেঁশো পোকা লাগায় কালো রঙের চিটে হয়ে গেছে। খড় কাটতে হলে যে মজুরি লাগবে তাতে তিনি আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ফলে জমিতে গরু ও ছাগল লাগিয়ে দিয়েছেন। ক্ষতি পোষাতে ওই জমিতে দু-এক দিনের মধ্যে চাষ দিয়ে সরিষা চাষ করবেন।
একই এলাকার কৃষক মুনসুর আলী ও আজগার আলী জানান, বৃষ্টি না হওয়ায় তাঁরা কৃষি বিভাগের শরণাপন্ন হয়েছেন। কোনো সদুত্তর মেলেনি। বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে চাষ করেছেন। বেশি টাকা দিয়ে সার ও কীটনাশক কিনতে হয়েছে। এরপরও তাঁদের ১৪ বিঘার মধ্যে ৮ বিঘা জমিতে একেবারেই ধান নেই। প্রায় শুকনা ধানগাছ কেটে বস্তায় ভরে গরু-ছাগলের জন্য বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। শ্যালো মেশিনের বকেয়া পানির বিল, সার ও কীটনাশকের বকেয়া বিল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
কাশেমপুর গ্রামের শহীদুল ইসলাম বলেন, ধান না হওয়ায় যেমন মানুষের খাদ্যসংকট বাড়বে, তেমনি খড়- বিচালির অভাবে গবাদিপশু বাঁচানো মুশকিল হয়ে যাবে। এ অবস্থা শুধু সাতক্ষীরা সদরের নয়, কালীগঞ্জ, তালা, কলারোয়া ও দেবহাটাতেও। আমন ধানের চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন না হওয়ায় ভবিষ্যতে ধান চাষ না করার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেছেন দেবনগরের পরান দাস, ছাতিয়ানতলা গ্রামের মহব্বত আলী, মাছখোলার শাহাদত হোসেনসহ কয়েকজন কৃষক।
সাতক্ষীরা খামারবাড়ির কৃষি অফিসার খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ধানে ব্লাস্ট, বিপিএইচ বা গান্ধী পোকার আক্রমণ হচ্ছে। যে সমস্ত জমিতে পানি রয়েছে, তা সরাতে হবে। পাশাপাশি কীটনাশক বা ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে