কল রেকর্ডে মামলার সুযোগ আছে

তান্ইয়া নাহার
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯: ৪১
Thumbnail image

প্রশ্ন: আমি ঢাকার বাইরের এক শহরে বড় একটি প্রকল্পে চাকরি করতাম। সেখানে আমার বন্ধুবৃত্তের একজন চাকরি করতেন। তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকায় তাঁকে আমার পরিচিত চারজন মানুষের চাকরির জন্য দুই লাখ টাকা দিই। টাকা দেওয়ার সময় কোনো ধরনের প্রমাণ রাখা হয়নি। কিন্তু তাঁর স্ত্রী সবকিছু জানতেন। এখন আমার চাকরি নেই। চাকরি না থাকায় সেখান থেকে চলে আসতে হয়েছে। টাকার জন্য ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন না। আবার ভুলে রিসিভ করলেও কথা না বলে কেটে দেন। টাকা দেওয়ার কোনো প্রমাণপত্র না থাকলেও কিছু ফোনকল রেকর্ড আছে। সেখানে তিনি টাকা নিয়েছেন এবং টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য কয়েকবার তারিখও দিয়েছেন, তার উল্লেখ আছে। কিন্তু টাকা তিনি আর দেননি। আমার প্রশ্ন, এই কল রেকর্ড দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে কি না।

–নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, মিরপুর

পরামর্শ: আইনের বিধান অনুযায়ী অবৈধ লেনদেনের জন্য বৈধ প্রতিকার পাওয়ার অধিকার আইন কাউকে দেয় না। যেমন চাকরির জন্য কাউকে টাকা দেওয়া বৈধ লেনদেন নয়। তবে প্রতারণামূলকভাবে টাকা দিতে প্ররোচিত করার জন্য মামলা করার সুযোগ রয়েছে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধিতে। এ বছরের ৩ নভেম্বর পাস হওয়া ‘সাক্ষ্য আইন (সংশোধন) বিল, ২০২২’ অনুযায়ী ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ধারণ করা কথা সাক্ষ্য আইনের দলিল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। তাই সংশোধিত আইন অনুযায়ী মোবাইল ফোনে ধারণ করা কল রেকর্ড দিয়ে মামলা করার সুযোগ রয়েছে।

প্রশ্ন: আমি একজন স্কুলশিক্ষক। পারিবারিক চাপে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ হয়। বিয়ের পর স্বামী তার গায়ে হাত তোলে। আমার জানার বিষয় ছিল, ওই শিক্ষার্থী স্বামী এবং নিজের পরিবারের নামে বাল্যবিবাহের দায়ে মামলা করতে পারবে কি না?

–নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, সিলেট

পরামর্শ: বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী, এমন অপরাধ সংঘটনের দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ দায়ের না করলে আদালত মামলা আমলে নেবেন না। এটি উল্লেখ আছে আইনটির ১৮ ধারায়। যদি এই সময়সীমা পার হয়ে না থাকে, 
তাহলে আপনার ছাত্রীটি মামলা করতে পারবে।

পরামর্শ দিয়েছেন তান্ইয়া নাহার, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত