নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ডিসেম্বরের শেষে এসে রাজশাহীতে জেঁকে বসেছে শীত। শীতের কারণে দরিদ্র মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। বিশেষ করে ভোরে কাজের সন্ধানে যাদের বের হতে হচ্ছে, তাদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি। আবহাওয়া অফিস বলছে, কয়েক দিনের মধ্যে আরও কমতে পারে পদ্মাপারের এই শহরের তাপমাত্রা।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ছয়টায় রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিনের ব্যবধানে রাজশাহীর তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ গ্রাম থেকে প্রতিদিন কাজের সন্ধানে শহরে আসেন শ্রমিক আবদুল মালেক। গতকাল সকাল সাতটার দিকে জবুথবু হয়ে বসেছিলেন নগরীর শহীদ কামারুজ্জামান চত্বর এলাকায়। মালেক বলেন, ‘জবর শীত পড়ছে। পাঁচটার কালে বারাইছি। বিড়ালদহ থিকি রাজশাহী আসতি বিশাল শীত। এত শীত পড়ছে! দুই দিন ধইরি জবর শীত পড়ছে।’
ওজিফা বিবি শহরের একটি খাবার হোটেলে কাজ করেন। বাড়ি চারঘাটে, থাকেন শহরের টিকাপাড়ায়। গতকাল ভোরে ওজিফা গায়ে একটা পাতলা চাদর জড়িয়ে কাজে যাচ্ছিলেন। তিনি বললেন, ‘শীত ভালোই পড়ছে বাবা রো। কাপুড়চুপুড় নাই, গরিব মানুষ। একটা হাজার টাকায় ঘরভাড়া দিয়ে থাকি। স্বামী মরে গেছে, হোটেলে কাজ করে খাই। কেউ সহযোগিতা করে না। হাতে খাটি, প্যাটে খাই। গরম কাপুড় কিনার পয়সা নাই।’
রোজ সূর্য ওঠার আগেই পাঠকের দুয়ারে দুয়ারে খবরের কাগজ পৌঁছে দেন পত্রিকা বিক্রেতা মশিউর রহমান কচু। ভোরে সাইকেলে পত্রিকা সাজাতে সাজাতে বললেন, ‘শীত ভালো পড়ছে। হাত শিটা শিটা লেগে যাচ্ছে। ভোরবেলা বের হতে সমস্যা। পেপার ধরতে গেলে মনে করেন হাত থেকে পড়ে যাচ্ছে।’ পত্রিকা বিক্রেতা ফারুক হোসেন বলেন, ‘কুয়াশায় ভোরে কিছু দেখা যায় না। সকালে আসতে খুব কষ্ট হয়। যে কাজ করি, না আসলেও হয় না।’
নলকোলা আশরাফের মোড়ের রিকশাচালক আবদুল হাকিম বলেন, ‘যেভাবেই গাড়ি চালাই শীতের দিন শীত লাগবেই। কষ্ট করে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। না চালালে চলবে কী করে? গরিব মানুষ পেট তো চালাতে হবে।’ শীতের কারণে শহরে কাজ কমে গেছে বলে জানালেন শ্রমিক সোহরাব আলী। তিনি বলেন, ‘প্রচুর শীত। আমরা কষ্ট করে আসি। কিন্তু প্রতিদিন কাজ হয় না। খুবই কষ্ট আমারেহ। কেউ একটা গরম কম্বলও দিয়া গেল না।’
রাজশাহীতে এখন সকাল শুরু হচ্ছে ঘন কুয়াশায়। বেলা না বাড়লে দেখা যাচ্ছে না সূর্যের মুখ। কখনো কখনো বইছে হিমেল হাওয়া। ফলে শীত অনুভূত হচ্ছে আরও বেশি। এরপরও শ্রমজীবী মানুষকে কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হতে হচ্ছে। এই শীতে ঠান্ডাজনিত নানা অসুখ-বিসুখ দেখা দিচ্ছে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠদের। চাপ বাড়ছে হাসপাতালেও।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, ডিসেম্বরের শুরুতে দুই দিনের জন্য রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছিল। তারপর শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেলেও শীত কমেনি। গত মঙ্গলবার ভোরে সামান্য বৃষ্টি হয়। এরপর ভোরে একটু তাপমাত্রা বেশি থাকলেও রাত থেকে কমে যায়। কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে।
ডিসেম্বরের শেষে এসে রাজশাহীতে জেঁকে বসেছে শীত। শীতের কারণে দরিদ্র মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। বিশেষ করে ভোরে কাজের সন্ধানে যাদের বের হতে হচ্ছে, তাদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি। আবহাওয়া অফিস বলছে, কয়েক দিনের মধ্যে আরও কমতে পারে পদ্মাপারের এই শহরের তাপমাত্রা।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ছয়টায় রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিনের ব্যবধানে রাজশাহীর তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ গ্রাম থেকে প্রতিদিন কাজের সন্ধানে শহরে আসেন শ্রমিক আবদুল মালেক। গতকাল সকাল সাতটার দিকে জবুথবু হয়ে বসেছিলেন নগরীর শহীদ কামারুজ্জামান চত্বর এলাকায়। মালেক বলেন, ‘জবর শীত পড়ছে। পাঁচটার কালে বারাইছি। বিড়ালদহ থিকি রাজশাহী আসতি বিশাল শীত। এত শীত পড়ছে! দুই দিন ধইরি জবর শীত পড়ছে।’
ওজিফা বিবি শহরের একটি খাবার হোটেলে কাজ করেন। বাড়ি চারঘাটে, থাকেন শহরের টিকাপাড়ায়। গতকাল ভোরে ওজিফা গায়ে একটা পাতলা চাদর জড়িয়ে কাজে যাচ্ছিলেন। তিনি বললেন, ‘শীত ভালোই পড়ছে বাবা রো। কাপুড়চুপুড় নাই, গরিব মানুষ। একটা হাজার টাকায় ঘরভাড়া দিয়ে থাকি। স্বামী মরে গেছে, হোটেলে কাজ করে খাই। কেউ সহযোগিতা করে না। হাতে খাটি, প্যাটে খাই। গরম কাপুড় কিনার পয়সা নাই।’
রোজ সূর্য ওঠার আগেই পাঠকের দুয়ারে দুয়ারে খবরের কাগজ পৌঁছে দেন পত্রিকা বিক্রেতা মশিউর রহমান কচু। ভোরে সাইকেলে পত্রিকা সাজাতে সাজাতে বললেন, ‘শীত ভালো পড়ছে। হাত শিটা শিটা লেগে যাচ্ছে। ভোরবেলা বের হতে সমস্যা। পেপার ধরতে গেলে মনে করেন হাত থেকে পড়ে যাচ্ছে।’ পত্রিকা বিক্রেতা ফারুক হোসেন বলেন, ‘কুয়াশায় ভোরে কিছু দেখা যায় না। সকালে আসতে খুব কষ্ট হয়। যে কাজ করি, না আসলেও হয় না।’
নলকোলা আশরাফের মোড়ের রিকশাচালক আবদুল হাকিম বলেন, ‘যেভাবেই গাড়ি চালাই শীতের দিন শীত লাগবেই। কষ্ট করে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। না চালালে চলবে কী করে? গরিব মানুষ পেট তো চালাতে হবে।’ শীতের কারণে শহরে কাজ কমে গেছে বলে জানালেন শ্রমিক সোহরাব আলী। তিনি বলেন, ‘প্রচুর শীত। আমরা কষ্ট করে আসি। কিন্তু প্রতিদিন কাজ হয় না। খুবই কষ্ট আমারেহ। কেউ একটা গরম কম্বলও দিয়া গেল না।’
রাজশাহীতে এখন সকাল শুরু হচ্ছে ঘন কুয়াশায়। বেলা না বাড়লে দেখা যাচ্ছে না সূর্যের মুখ। কখনো কখনো বইছে হিমেল হাওয়া। ফলে শীত অনুভূত হচ্ছে আরও বেশি। এরপরও শ্রমজীবী মানুষকে কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হতে হচ্ছে। এই শীতে ঠান্ডাজনিত নানা অসুখ-বিসুখ দেখা দিচ্ছে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠদের। চাপ বাড়ছে হাসপাতালেও।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, ডিসেম্বরের শুরুতে দুই দিনের জন্য রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছিল। তারপর শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেলেও শীত কমেনি। গত মঙ্গলবার ভোরে সামান্য বৃষ্টি হয়। এরপর ভোরে একটু তাপমাত্রা বেশি থাকলেও রাত থেকে কমে যায়। কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে