ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ভারতের ত্রিপুরার আগরতলার সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনে বাংলাদেশ অংশে কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই। প্রায় সাত কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি। এরপর চলে গেছে ৩ বছর ৪ মাস। এখনো কাজ বাকি। এর মধ্যেই আগামী সেপ্টেম্বরে রেলপথটি চালুর ঘোষণা দিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী।
সম্প্রতি আখাউড়ায় প্রকল্পটির কাজ পরিদর্শনে এসে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটির উদ্বোধন করবেন। প্রথম পর্যায়ে এ পথে শুধু পণ্য পরিবহন করা হবে। রেল যোগাযোগ চালু হবে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সঙ্গে।
সেপ্টেম্বরে উদ্বোধনের ঘোষণা হলেও সবশেষ বর্ধিত মেয়াদ অনুযায়ী নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা আগামী মাসে। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাকি কাজ এর মধ্যেই শেষ করা হবে। এরপর পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হবে। সম্প্রতি আখাউড়ায় প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাংলাদেশ অংশে তিন কিলোমিটারে রেললাইন বসানো হয়েছে। বাকি চার কিলোমিটারে কাজ চলছে। এটিও শেষ পর্যায়ে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি হেড (বাংলাদেশ) শরৎ শর্মা বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। প্রকল্পের কাজের মালপত্রও ভারত থেকে আনা যায়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মালপত্র আনার অনুমতি পেতে দেরি হয়। বর্তমানে শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। তা সম্পন্ন হলে চালুর প্রস্তাব দেওয়া হবে।
এদিকে কয়েক মাস পরই রেলপথটি চালুর খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। জেলার ব্যবসায়ীদের সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আজিজুল হক বলেন, এ পথে পণ্য আমদানি করলে পরিবহন খরচ কমবে। খরচ কমলে বাজারে দাম কম থাকবে। এ ছাড়া ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে যোগাযোগ সহজ হলে রপ্তানিরও ভালো সুযোগ তৈরি হবে।
চারবারেও হয়নি
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আখাউড়া-আগরতলারেলপথ নির্মাণকাজ ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য প্রথমে প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়, পরে কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে। দ্বিতীয়বার মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২৯ জানুয়ারি করা হয়। এ সময়েও কাজ শেষ না হওয়া তৃতীয় দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। চতুর্থ দফায় বর্ধিত মেয়াদে কাজ শেষ হওয়ার কথা আগামী মাসের মধ্যে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২১ মে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। দুই দেশের এই রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। এই অংশে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হচ্ছে প্রায় ২৪১ কোটি টাকা।
রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক (বাংলাদেশ অংশ) আবু জাফর মিয়া বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি। এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৯০ শতাংশ।আখাউড়া-আগরতলা রেলপথটি চালু চলে আন্তদেশীয় বাণিজ্যের দ্বার যেমন উন্মোচিত হবে, তেমনি আগরতলার সঙ্গে কলকাতার দূরত্ব কমবে। বর্তমানে রেলপথে আগরতলা থেকে কলকাতার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার। আখাউড়া হয়ে কলকাতায় যেতে আগরতলাবাসীকে পাড়ি দিতে হবে মাত্র ৫৫০ কিলোমিটার। এতে কমবে দীর্ঘ যাত্রাপথের ভোগান্তি।
ভারতের ত্রিপুরার আগরতলার সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনে বাংলাদেশ অংশে কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই। প্রায় সাত কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি। এরপর চলে গেছে ৩ বছর ৪ মাস। এখনো কাজ বাকি। এর মধ্যেই আগামী সেপ্টেম্বরে রেলপথটি চালুর ঘোষণা দিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী।
সম্প্রতি আখাউড়ায় প্রকল্পটির কাজ পরিদর্শনে এসে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটির উদ্বোধন করবেন। প্রথম পর্যায়ে এ পথে শুধু পণ্য পরিবহন করা হবে। রেল যোগাযোগ চালু হবে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সঙ্গে।
সেপ্টেম্বরে উদ্বোধনের ঘোষণা হলেও সবশেষ বর্ধিত মেয়াদ অনুযায়ী নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা আগামী মাসে। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাকি কাজ এর মধ্যেই শেষ করা হবে। এরপর পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হবে। সম্প্রতি আখাউড়ায় প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাংলাদেশ অংশে তিন কিলোমিটারে রেললাইন বসানো হয়েছে। বাকি চার কিলোমিটারে কাজ চলছে। এটিও শেষ পর্যায়ে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি হেড (বাংলাদেশ) শরৎ শর্মা বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। প্রকল্পের কাজের মালপত্রও ভারত থেকে আনা যায়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মালপত্র আনার অনুমতি পেতে দেরি হয়। বর্তমানে শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। তা সম্পন্ন হলে চালুর প্রস্তাব দেওয়া হবে।
এদিকে কয়েক মাস পরই রেলপথটি চালুর খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। জেলার ব্যবসায়ীদের সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আজিজুল হক বলেন, এ পথে পণ্য আমদানি করলে পরিবহন খরচ কমবে। খরচ কমলে বাজারে দাম কম থাকবে। এ ছাড়া ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে যোগাযোগ সহজ হলে রপ্তানিরও ভালো সুযোগ তৈরি হবে।
চারবারেও হয়নি
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আখাউড়া-আগরতলারেলপথ নির্মাণকাজ ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য প্রথমে প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়, পরে কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে। দ্বিতীয়বার মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২৯ জানুয়ারি করা হয়। এ সময়েও কাজ শেষ না হওয়া তৃতীয় দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। চতুর্থ দফায় বর্ধিত মেয়াদে কাজ শেষ হওয়ার কথা আগামী মাসের মধ্যে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২১ মে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। দুই দেশের এই রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। এই অংশে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হচ্ছে প্রায় ২৪১ কোটি টাকা।
রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক (বাংলাদেশ অংশ) আবু জাফর মিয়া বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি। এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৯০ শতাংশ।আখাউড়া-আগরতলা রেলপথটি চালু চলে আন্তদেশীয় বাণিজ্যের দ্বার যেমন উন্মোচিত হবে, তেমনি আগরতলার সঙ্গে কলকাতার দূরত্ব কমবে। বর্তমানে রেলপথে আগরতলা থেকে কলকাতার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার। আখাউড়া হয়ে কলকাতায় যেতে আগরতলাবাসীকে পাড়ি দিতে হবে মাত্র ৫৫০ কিলোমিটার। এতে কমবে দীর্ঘ যাত্রাপথের ভোগান্তি।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে