আগামী মাসেই দেশের সিনেমার খবর দিতে পারব

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৮: ৩৬
আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৩: ০২

টালিউডের ‘মানুষ’ দিয়ে পরিচালক হিসেবে বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশের সঞ্জয় সমদ্দারের। অভিনয় করার পাশাপাশি সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন জিৎ। গত শুক্রবার বাংলা ও হিন্দি ভাষায় ভারতে মুক্তি পেয়েছে মানুষ। সঞ্জয় সমদ্দারের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিহাব আহমেদ

পরিচালক হিসেবে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু হলো। কেমন লাগছে?
যেকোনো নির্মাতারই স্বপ্ন থাকে সিনেমা নির্মাণের। সেটা যখন সত্যি হয়, সেই অনুভূতি নিঃসন্দেহে আনন্দের। সিনেমা হলে দর্শক যখন রি-অ্যাকশন দিচ্ছিল, তখন মনে হচ্ছিল, স্বপ্ন যেন সত্যি হয়ে ধরা দিল।

সিনেমা মুক্তি উপলক্ষে কলকাতার হলেও গিয়েছিলেন। দর্শকের কাছ থেকে কেমন সাড়া পেলেন? 
অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। সবাই ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। তবে আমার কাছে বিশেষ মুহূর্ত ছিল, যখন পর্দায় পরিচালকের নাম দেখাচ্ছিল, তখন সবাই তালি দিচ্ছিলেন। সেটা আমার জন্য বড় পাওয়া। আমি এ সিনেমার জন্য অনেক কষ্ট করেছি। পরিবারকে রেখে দেড় বছরের মতো দেশের বাইরে ছিলাম। সিনেমা দেখার পর দর্শকের ভালো লাগা দেখে মনে হচ্ছিল, আমার কষ্ট সার্থক।

একই দিনে বাংলাদেশেও মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল মানুষ সিনেমার। শেষ পর্যন্ত কেন আর সেটি হয়নি? 
সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কেন হয়নি, তার উত্তর আমার জানা নেই। কলকাতায় গিয়ে জানতে পেরেছি, তারা এখনো চেষ্টা করছে বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়ার। আমি খুব খুশি হব, যদি আমার প্রথম কাজটি বাংলাদেশের মানুষ দেশের হলে বসে দেখতে পারেন। 

নিজের প্রথম সিনেমার জন্য টালিউডকে বেছে নেওয়ার কারণ কী?
আলাদা কোনো কারণ নেই। আমি টালিউডকে বেছে নিইনি। তাঁরা আমাকে পরিচালক হিসেবে বেছে নিয়েছেন। জিৎ দাদাও বলেছেন, গল্প পছন্দ হওয়ার কারণে সঞ্জয়কে উড়িয়ে এনেছি। আমার কাছে যখন এ রকম একটা সুযোগ এল, মনে হলো সুযোগটা কাজে লাগানো উচিত। আরেকটা বিষয় হলো, শিল্প বা সংস্কৃতির কোনো বর্ডার হয় না। আমি তো মনে করি, এই সিনেমা দিয়ে নতুন এক সম্ভাবনা তৈরি হলো। আমাদের নির্মাতারা সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারে, সেই দৃষ্টান্ত তৈরি হলো। 

মানুষ সিনেমার গল্পটি কখন কীভাবে মাথায় এসেছিল?
গল্পটা মাথায় আসে কোভিডের সময়। ওই সময় মানুষের চিন্তাভাবনায় আমূল পরিবর্তন আসে। অনেক গুণী মানুষকে বলতে শুনেছি, এবার যদি বেঁচে যাই..। মানুষ সব সময় নানা কিছু হতে চায়। এর মাঝে কখনো কখনো মনে হয়, বেঁচে থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ। সেখান থেকেই মানুষ সিনেমার গল্প মাথায় আসে। গল্পটি নিজের কাছে এতটাই ভালো লাগে যে সিদ্ধান্ত নিই, গল্পটি নিয়ে সিনেমা বানাব। 

জিৎকে নিয়ে মানুষ নির্মাণের শুরুটা কীভাবে হলো? 
গল্পটা প্রথমে জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ ভাইকে শোনাই। তিনি আমাকে বলেন, এই গল্পের সঙ্গে জিৎকে ভালো মানাবে। এরপর আজিজ ভাইয়ের মাধ্যমে জিৎদাকে ফোনে গল্পটি শোনাই। তাঁর পছন্দ হয়। তিনি নিজেই প্রযোজনা করতে চাইলেন। এভাবেই শুরু। 

জিতের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
খুবই ভালো। তিনি একজন ডিরেক্টরস আর্টিস্ট। প্রতিটি দৃশ্য শুট করার আগে নির্মাতার সঙ্গে কথা বলে নেন। বারবার রিহার্সাল করেন। সবাইকে উৎসাহ দেন। জিৎদা সেটে ঢুকতেই সবার মাঝে পজিটিভ এনার্জি তৈরি হয়। জিৎদা আমাকে বড় পর্দায় ফিল্মমেকার হিসেবে জন্ম দিয়েছেন। একজীবন কৃতজ্ঞতা তাঁর প্রতি। এই বিশ্বাস, স্নেহ আর ভালোবাসার ঋণ কিছুতেই শোধ হবে না। 

জিতের সঙ্গে আবার কাজ করার ইচ্ছা আছে কি না?
একটি লাইভ শোতে জিৎদাই বলেছেন, সঞ্জয়ের সঙ্গে আবার কাজ করতে চাই। কথাটি শুনে ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। তাঁর মতো তারকা যখন এমন কথা বলেন, তখন ধরে নিতে পারি, কাজটি আমি ভালো করেছি। এখনই নতুন কাজ নিয়ে কিছু বলতে পারছি না। আপাতত দেশে বেশ কিছু প্রজেক্ট নিয়ে পরিকল্পনা করছি। এগুলো আগে শেষ করতে হবে। 

আপনি এবং বিদ্যা সিনহা মিম ছাড়া সবাই ভারতের। সেখানে কাজ করতে গিয়ে কী পার্থক্য চোখে পড়ল?
অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে ইউনিটের সবাই সময়ের ব্যাপারে খুব সচেতন। সবাই কলটাইমের আগে সেটে চলে আসেন। এমন কোনো দিন হয়নি, কেউ ১০ মিনিট দেরি করেছেন। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, টেকনিক্যাল সাপোর্টটা ওখানে খুব ভালো। অনেক কিছু আছে, যা আমাদের এখানে পাওয়া যায় না। 

প্রথম সিনেমা নির্মাণের পর অনেককে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আপনার কী পরিকল্পনা? 
আমরা তো নির্মাতা। বিভিন্ন গল্প পর্দায় তুলে ধরাই আমাদের কাজ। কিন্তু আমরা চাইলেই তো নির্মাণ করতে পারি না। প্রযোজকদের গল্প পছন্দ হতে হয়। অনেকে আবার সময় নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন, তাই দেরি হয়ে যায়। আমার ক্ষেত্রে বলতে পারি, বড় কোনো গ্যাপ হবে না। আমি কাজপাগল মানুষ। কাজ করতেই স্বচ্ছন্দবোধ করি। 

দেশে সিনেমা কবে বানাবেন?
কয়েকটি সিনেমা নিয়ে আলাপ হচ্ছে। আশা করছি, আগামী মাসেই দেশের সিনেমার খবর দিতে পারব।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত