জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
নদীর জলে টলমল জ্যোৎস্না এখানে আর দেখা যায় না। এই নদীতে পালে হাওয়া লাগে না। এই নদী বয়ে চলে না। অর্থাৎ মৃত বললে খুব একটা ভুল হবে না। বলা হচ্ছে, নীলফামারীর একসময়ের প্রমত্তা বামনডাঙ্গা নদীর কথা। এখন নদী নেই। দখল আর দূষণে কোথাও কোথাও একেবারে বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের খননকাজ শেষ হয়নি দখলদারদের চাপে।
লোককথা ও সরকারি বয়ান থেকে জানা যাচ্ছে, শত বছর আগে বামনডাঙ্গা নদীকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল শাখামাছা বন্দর। আর এ বন্দরটি আজকের নীলফামারী শহর। সে সময়ে বামনডাঙ্গা নদী দিয়ে ব্যবসায়ীদের পণ্যবাহী নৌকা আসত শাখামাছা বন্দরে। কথিত আছে, এ নদীতে নোঙর করেছিল বেহুলা আর দেবী চৌধুরানীর নৌবহর। কিন্তু বছরের পর বছর প্রভাবশালীদের দখলে হারিয়ে গেছে বামনডাঙ্গা। জেলা শহরের পানিনিষ্কাশনের একমাত্র এ নদীটি পরিণত হয়েছে আবর্জনার স্তূপে। যদিও শহরের একাধিক প্রবীণের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৪০ বছর আগেও এই নদী প্রায় ১০০ ফুট চওড়া ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নীলফামারী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারের ডেলটা প্ল্যানের আওতায় ৬ দশমিক ৯ কিলোমিটার খননকাজ শুরু করলেও নানা বাধার মুখে তা শেষ করতে পারেনি পাউবো। এ সময়ে প্রকল্পটির ৩৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ খননকাজ সম্পন্ন হয়। পরে নদী খননের কাজটি স্থগিত করা হয়েছে।
নীলফামারী শহরের উত্তরে টুপামারী ইউনিয়নের গাছবাড়ী এলাকায় বামনডাঙ্গা নদীর উৎপত্তিস্থল। এরপর নদীটি গিয়ে মিলেছে শহরের পূর্বদিকে ইটাখোলা ইউনিয়নের ফকিরপাড়ায় চারা নদীর সঙ্গে। গত বুধবার এই নদী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উৎপত্তিস্থল থেকে মিলনস্থল এই পুরো অংশ অনেকটাই দখলদারের কবলে। আবার স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলে নদী প্রায় ভরাট করে ফেলেছেন। দেখে বোঝার উপায় নেই, একসময় এখানে একটি নদী ছিল।
এই নদী উদ্ধার প্রসঙ্গে আতিকুর রহমান বলেন, বামনডাঙ্গা নদী দখল ও খনন নিয়ে জেলা পানিসম্পদ কমিটির বিভিন্ন সময়ের সভায় আলোচনা হয়েছে। সভায় নদীর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে রেকর্ড সংশোধনের মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কার্যক্রমটি দীর্ঘমেয়াদি, তাই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
তবে পৌর শহরের মানিকের মোড় এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, দুই বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড খননকাজ শুরু করায় নদীটি আগের চেহারায় ফিরবে এমন আশা করেছিলেন এলাকাবাসী। কিন্তু দখলদারদের সংঘবদ্ধ আন্দোলনে তা বন্ধ হয়ে যায়।
বামনডাঙ্গা রক্ষায় কাজ করছে নদীবিষয়ক সংগঠন ‘রিভারাইন পিপল’। এই সংগঠনের পরিচালক ও রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কলা অনুষদের ডিন তুহিন ওয়াদুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদীর জমিগুলো ব্যক্তি নামে লিপিবদ্ধ হওয়ায় দখল ঠেকানো যাচ্ছে না। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ২০২৩ সালে প্রকাশিত গ্রন্থে বামনডাঙ্গা নদীর উল্লেখ আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীটির বিভিন্ন অংশে খননও করেছে। তাই আইন ও বিধি অনুযায়ী, বামনডাঙ্গা প্রবাহের সম্পূর্ণ জমি নদীর নামে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে নীলফামারীর জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, বামনডাঙ্গা নদী রক্ষায় ‘রিভারাইন পিপল’-এর আবেদনটি পর্যালোচনা করে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নদীর জলে টলমল জ্যোৎস্না এখানে আর দেখা যায় না। এই নদীতে পালে হাওয়া লাগে না। এই নদী বয়ে চলে না। অর্থাৎ মৃত বললে খুব একটা ভুল হবে না। বলা হচ্ছে, নীলফামারীর একসময়ের প্রমত্তা বামনডাঙ্গা নদীর কথা। এখন নদী নেই। দখল আর দূষণে কোথাও কোথাও একেবারে বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের খননকাজ শেষ হয়নি দখলদারদের চাপে।
লোককথা ও সরকারি বয়ান থেকে জানা যাচ্ছে, শত বছর আগে বামনডাঙ্গা নদীকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল শাখামাছা বন্দর। আর এ বন্দরটি আজকের নীলফামারী শহর। সে সময়ে বামনডাঙ্গা নদী দিয়ে ব্যবসায়ীদের পণ্যবাহী নৌকা আসত শাখামাছা বন্দরে। কথিত আছে, এ নদীতে নোঙর করেছিল বেহুলা আর দেবী চৌধুরানীর নৌবহর। কিন্তু বছরের পর বছর প্রভাবশালীদের দখলে হারিয়ে গেছে বামনডাঙ্গা। জেলা শহরের পানিনিষ্কাশনের একমাত্র এ নদীটি পরিণত হয়েছে আবর্জনার স্তূপে। যদিও শহরের একাধিক প্রবীণের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৪০ বছর আগেও এই নদী প্রায় ১০০ ফুট চওড়া ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নীলফামারী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারের ডেলটা প্ল্যানের আওতায় ৬ দশমিক ৯ কিলোমিটার খননকাজ শুরু করলেও নানা বাধার মুখে তা শেষ করতে পারেনি পাউবো। এ সময়ে প্রকল্পটির ৩৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ খননকাজ সম্পন্ন হয়। পরে নদী খননের কাজটি স্থগিত করা হয়েছে।
নীলফামারী শহরের উত্তরে টুপামারী ইউনিয়নের গাছবাড়ী এলাকায় বামনডাঙ্গা নদীর উৎপত্তিস্থল। এরপর নদীটি গিয়ে মিলেছে শহরের পূর্বদিকে ইটাখোলা ইউনিয়নের ফকিরপাড়ায় চারা নদীর সঙ্গে। গত বুধবার এই নদী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উৎপত্তিস্থল থেকে মিলনস্থল এই পুরো অংশ অনেকটাই দখলদারের কবলে। আবার স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলে নদী প্রায় ভরাট করে ফেলেছেন। দেখে বোঝার উপায় নেই, একসময় এখানে একটি নদী ছিল।
এই নদী উদ্ধার প্রসঙ্গে আতিকুর রহমান বলেন, বামনডাঙ্গা নদী দখল ও খনন নিয়ে জেলা পানিসম্পদ কমিটির বিভিন্ন সময়ের সভায় আলোচনা হয়েছে। সভায় নদীর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে রেকর্ড সংশোধনের মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কার্যক্রমটি দীর্ঘমেয়াদি, তাই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
তবে পৌর শহরের মানিকের মোড় এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, দুই বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড খননকাজ শুরু করায় নদীটি আগের চেহারায় ফিরবে এমন আশা করেছিলেন এলাকাবাসী। কিন্তু দখলদারদের সংঘবদ্ধ আন্দোলনে তা বন্ধ হয়ে যায়।
বামনডাঙ্গা রক্ষায় কাজ করছে নদীবিষয়ক সংগঠন ‘রিভারাইন পিপল’। এই সংগঠনের পরিচালক ও রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কলা অনুষদের ডিন তুহিন ওয়াদুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদীর জমিগুলো ব্যক্তি নামে লিপিবদ্ধ হওয়ায় দখল ঠেকানো যাচ্ছে না। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ২০২৩ সালে প্রকাশিত গ্রন্থে বামনডাঙ্গা নদীর উল্লেখ আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীটির বিভিন্ন অংশে খননও করেছে। তাই আইন ও বিধি অনুযায়ী, বামনডাঙ্গা প্রবাহের সম্পূর্ণ জমি নদীর নামে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে নীলফামারীর জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, বামনডাঙ্গা নদী রক্ষায় ‘রিভারাইন পিপল’-এর আবেদনটি পর্যালোচনা করে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪