নিজের ২০০ গাছ কাটেন বিদেশফেরত এরশাদ

ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১২: ৪৩

ভাগ্য বদলের আশায় গিয়েছিলেন ওমান। কিন্তু অভাব পিছু ছাড়ে না কিছুতেই। তবে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার আগে করেছিলেন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। বাবার পাঁচ বিঘা জমিতে রোপণ করে যান ২০০ খেজুর গাছের চারা। আর এতেই আজ ভাগ্য বদলেছে মাগুরা সদর উপজেলার পাটকেলবাড়িয়ার এরশাদ হোসেন শাহীনের। শীত মৌসুমে খেজুরের গুড় বিক্রি করে তাঁর আয় প্রায় তিন লাখ টাকা।

গত শুক্রবার ভোরে এরশাদ খেজুর বাগানে দেখা যায় এক অন্য রকম পরিবেশ। খেজুরগাছগুলো চাষাবাদের জমির মাঝখানে অবস্থিত। চারদিকে শত শত একর ফাঁকা চাষের জমি। এর মাঝে শাহীনের খেজুর বাগান।

খেজুরগাছগুলোর বয়স ১৫ বছরের বেশি হয়েছে জানিয়ে এরশাদ হোসেন শাহীন বলেন, বিদেশে যাওয়ার সময় এই জমি কাজে লাগাতে চান। একটু উঁচু জমি হওয়াতে ধান বা পাট এখানে চাষ করা যেত না। তাই খেজুরগাছ রোপণ করেন। অল্প কিছু গাছ তাঁর স্বজনেরা রোপণ করেন। পাঁচ বছর পর বিদেশ থেকে ফিরে দেখেন গাছগুলো বড় হয়ে গেছে। এরপর নিজেই গাছ বাছাই করেন, রস সংগ্রহ করেন।

প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার টাকার রস বিক্রি করেন। বাকি রস গুড় তৈরিতে লাগে। প্রতিদিন মোট চার হাজার টাকার মতো আয় হয়। খরচ বাদ দিলে তিন হাজার টাকা থাকে। প্রতি কেজি গুড় ৪০০ টাকা করে বিক্রি করেন। রস বিক্রি হয় ১০০ টাকা কেজি দরে।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপসহকারী পরিচালক শাহী রফিকুজ্জামান বলেন, নিজস্ব জমিতে খেজুরের বাগান খুব কম দেখা যায়। এ বাগানটি তাঁর দেখা হয়নি। সময় পেলে দেখবেন। আরও ভালোভাবে কাজ করলে বেশি মুনাফা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত