হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি খালের সংস্কার সম্প্রসারণ কাজ প্রায় শেষদিকে। খালগুলোর সংস্কার কাজ শেষ হলেই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। এ ৩৬ খালের সঙ্গে সংযুক্ত আরও ২১টি খাল আছে নগরীতে। এ খালগুলো সংস্কার, সম্প্রসারণ না হলে শিগগিরই জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই মিলছে না নগরবাসীর। তাই এ খালগুলো সংস্কারে দ্রুত প্রকল্প গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে নগরবাসী।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অলিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে এই ১১ শ কোটি টাকার যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, সেটি কোনো কাজেই আসছে না। কারণ চট্টগ্রাম নগরীতে কতটুকু বৃষ্টি হলে কী পরিমাণ জলাবদ্ধতা হয়, তার কোনো জরিপ নেই। তাই কতটুকু বৃষ্টি হলে কতটুকু জলাবদ্ধতা হবে, ওই পানি কীভাবে যাবে, সেটি যদি নির্ধারণ করা না হলে ৩৬টি কেন ৫৪টি খাল সংস্কার করলেও জলাবদ্ধতা কমবে না।
একই ধরনের মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরুর সময় আমরা বলেছিলাম, নগরীর জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ সহনীয় পর্যায়ে আনতে হলে ৫৭টি খালের সবগুলো সংস্কার করতে হবে। না হলে প্রকল্পের সুফল পাওয়া যাবে না। তাই প্রকল্পের বাইরে থাকা ২১টি খাল সংস্কারে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।
ওয়াসার ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ছোট-বড় খাল আছে ৫৭টি। এর মধ্যে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অধীনে ৩৬টি খাল সংস্কারের কাজ ২০১৭ সালে শুরু হয়। তবে বাকি ২১ খাল নিয়ে গত ৫ বছরে ওই খালগুলো নিয়ে কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়নি। এই খালগুলোর মধ্যে রয়েছে, ওই ২১টি খাল হলো কালুরঘাটের বাইজ্জা খাল ও বালুখালী খাল, অক্সিজেন-কুয়াইশ লিংক রোডের কৃষ্ণাখালী খাল, কাপ্তাই সড়কের শেখ মার্কেট সংলগ্ন কুয়াইশ খাল, কালুরঘাট রেল সেতু এলাকার ফরেস্ট খাল, উত্তর সলিমপুরের বৈরাগ্য ছড়া খাল, ভাটিয়ারির ধামাইর খাল, নেভাল একাডেমি এলাকার ১ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, চরপাড়ার দুই নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, সিইপিজেড এলাকার ৯ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, হোসাইন আহমেদ পাড়ার ৮ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, আনন্দ বাজার এলাকার ১০ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, কাট্টলীর উত্তর হালিশহরের ১১ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, উত্তর কাট্টলীর ১২ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, লতিফপুর এলাকার ১৩ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, সলিমপুরের ১৪ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল ও ১৫ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল এবং বাংলা বাজারের ১৬ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল।
এই খালগুলো সংস্কার করা না হলে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতার দুর্ভোগের অবসান হবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ জন্য তারা এই ২১টি খাল সংস্কারে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করার কথা বলেছেন।
চসিকের উদ্যোগে ২০২১ সালের ১৪ জুন জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন সেবা সংস্থার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ১৩টি সিদ্ধান্ত হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, চউকের বাস্তবায়নাধীন ৩৬টি খালের বাইরে আর এস সিট ও ওয়াসা ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যানের আলোকে বিদ্যমান আরও ২১টি খাল ও নগরীতে থাকা নালাসমূহের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ভরাটকৃত খালের পুনরুদ্ধার ও উন্নয়নের জন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা। এরপর এক বছর পার হলে এখন পর্যন্ত কোনো প্রকল্প হাতে নিতে পারেনি সিটি করপোরেশন।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২১ খাল সংস্কারে অনেক সময় লাগবে। শুধু পরামর্শক নিয়োগেই তিন মাস সময় লাগবে। এরপর তাদের অন্তত ৬ মাস সময় দিতে হবে। তারপর তারা একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রদান করার পর আমরা একটা ডিপিপি তৈরি করতে পারব। এরপর সেটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর এটি পাস হলেই কাজ শুরু করা যাবে। এই ধাপগুলো পার করতেই অন্তত দেড় থেকে ২ বছর লেগে যাবে।
এই মুহূর্তে আমরা বলতে পারি এখন পরামর্শক নিয়োগের কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা পরামর্শক নিয়োগের পর্যায়ে আছি। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান খালের অ্যালাইনমেন্ট, ভূমি অধিগ্রহণের প্ল্যান করা, পুনর্বাসন প্রক্রিয়া কীভাবে হবে এগুলোর বিস্তারিত স্টাডি করবে। এরপর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রতিবেদন দিলে সেটির ওপর নির্ভর করে আমরা একটা ডিপিপি প্রস্তুত করব। সেটা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর একনেক সভায় পাশ হলে, তারপর দরপত্র আহ্বান করা হবে। এরপর কাজ শুরু করতে পারব।
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি খালের সংস্কার সম্প্রসারণ কাজ প্রায় শেষদিকে। খালগুলোর সংস্কার কাজ শেষ হলেই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। এ ৩৬ খালের সঙ্গে সংযুক্ত আরও ২১টি খাল আছে নগরীতে। এ খালগুলো সংস্কার, সম্প্রসারণ না হলে শিগগিরই জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই মিলছে না নগরবাসীর। তাই এ খালগুলো সংস্কারে দ্রুত প্রকল্প গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে নগরবাসী।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অলিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে এই ১১ শ কোটি টাকার যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, সেটি কোনো কাজেই আসছে না। কারণ চট্টগ্রাম নগরীতে কতটুকু বৃষ্টি হলে কী পরিমাণ জলাবদ্ধতা হয়, তার কোনো জরিপ নেই। তাই কতটুকু বৃষ্টি হলে কতটুকু জলাবদ্ধতা হবে, ওই পানি কীভাবে যাবে, সেটি যদি নির্ধারণ করা না হলে ৩৬টি কেন ৫৪টি খাল সংস্কার করলেও জলাবদ্ধতা কমবে না।
একই ধরনের মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরুর সময় আমরা বলেছিলাম, নগরীর জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ সহনীয় পর্যায়ে আনতে হলে ৫৭টি খালের সবগুলো সংস্কার করতে হবে। না হলে প্রকল্পের সুফল পাওয়া যাবে না। তাই প্রকল্পের বাইরে থাকা ২১টি খাল সংস্কারে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।
ওয়াসার ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ছোট-বড় খাল আছে ৫৭টি। এর মধ্যে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অধীনে ৩৬টি খাল সংস্কারের কাজ ২০১৭ সালে শুরু হয়। তবে বাকি ২১ খাল নিয়ে গত ৫ বছরে ওই খালগুলো নিয়ে কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়নি। এই খালগুলোর মধ্যে রয়েছে, ওই ২১টি খাল হলো কালুরঘাটের বাইজ্জা খাল ও বালুখালী খাল, অক্সিজেন-কুয়াইশ লিংক রোডের কৃষ্ণাখালী খাল, কাপ্তাই সড়কের শেখ মার্কেট সংলগ্ন কুয়াইশ খাল, কালুরঘাট রেল সেতু এলাকার ফরেস্ট খাল, উত্তর সলিমপুরের বৈরাগ্য ছড়া খাল, ভাটিয়ারির ধামাইর খাল, নেভাল একাডেমি এলাকার ১ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, চরপাড়ার দুই নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, সিইপিজেড এলাকার ৯ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, হোসাইন আহমেদ পাড়ার ৮ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, আনন্দ বাজার এলাকার ১০ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, কাট্টলীর উত্তর হালিশহরের ১১ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, উত্তর কাট্টলীর ১২ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, লতিফপুর এলাকার ১৩ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, সলিমপুরের ১৪ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল ও ১৫ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল এবং বাংলা বাজারের ১৬ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল।
এই খালগুলো সংস্কার করা না হলে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতার দুর্ভোগের অবসান হবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ জন্য তারা এই ২১টি খাল সংস্কারে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করার কথা বলেছেন।
চসিকের উদ্যোগে ২০২১ সালের ১৪ জুন জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন সেবা সংস্থার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ১৩টি সিদ্ধান্ত হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, চউকের বাস্তবায়নাধীন ৩৬টি খালের বাইরে আর এস সিট ও ওয়াসা ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যানের আলোকে বিদ্যমান আরও ২১টি খাল ও নগরীতে থাকা নালাসমূহের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ভরাটকৃত খালের পুনরুদ্ধার ও উন্নয়নের জন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা। এরপর এক বছর পার হলে এখন পর্যন্ত কোনো প্রকল্প হাতে নিতে পারেনি সিটি করপোরেশন।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২১ খাল সংস্কারে অনেক সময় লাগবে। শুধু পরামর্শক নিয়োগেই তিন মাস সময় লাগবে। এরপর তাদের অন্তত ৬ মাস সময় দিতে হবে। তারপর তারা একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রদান করার পর আমরা একটা ডিপিপি তৈরি করতে পারব। এরপর সেটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর এটি পাস হলেই কাজ শুরু করা যাবে। এই ধাপগুলো পার করতেই অন্তত দেড় থেকে ২ বছর লেগে যাবে।
এই মুহূর্তে আমরা বলতে পারি এখন পরামর্শক নিয়োগের কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা পরামর্শক নিয়োগের পর্যায়ে আছি। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান খালের অ্যালাইনমেন্ট, ভূমি অধিগ্রহণের প্ল্যান করা, পুনর্বাসন প্রক্রিয়া কীভাবে হবে এগুলোর বিস্তারিত স্টাডি করবে। এরপর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রতিবেদন দিলে সেটির ওপর নির্ভর করে আমরা একটা ডিপিপি প্রস্তুত করব। সেটা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর একনেক সভায় পাশ হলে, তারপর দরপত্র আহ্বান করা হবে। এরপর কাজ শুরু করতে পারব।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে