Ajker Patrika

লকডাউন চান না ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ০২
লকডাউন চান না ব্যবসায়ীরা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন কোনো সমাধান নয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন গণসচেতনতা। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন এ মন্তব্য করেছেন। গতকাল বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, ‘যে দেশে যত বেশি লকডাউন হয়েছে, সে দেশের অর্থনীতি তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

করোনা নিয়ে ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত উল্লেখ করে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘করোনা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। এমনও হতে পারে যে আমাদের করোনা নিয়েই চলতে হতে পারে। এটা জীবনের অংশ হয়ে থেকে যেতে পারে। এটা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সচেতনতা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা। সরকার হয়তো সেটাই করবে। আর লকডাউনে যাবে না। যেহেতু পৃথিবীর অন্যান্য দেশ আপাতত লকডাউনে যাচ্ছে না।’

গত কয়েক সপ্তাহে দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা যায়। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে শনাক্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এ নিয়ে জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে। এ রকম পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের এ নেতা বলেন, ‘কেবল মাস্ক পরলে ৮০ শতাংশ করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’ তাঁর আশা, করোনার টিকাদান আরও সহজ হবে। মানুষ যাতে সহজে টিকা নিতে পারে, সেজন্য বিশেষ ক্যাম্প করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিককে টিকা দেওয়ায় সহায়ক উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে পোশাক কারখানার কর্মচারীদের টিকা গ্রহণে সব ধরনের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে মালিকদের।’

করোনা মহামারির প্রথম বছরে লকডাউনে শিল্পকারখানা দুই সপ্তাহ বন্ধ ছিল। ওই সময় যেসব শ্রমিক গ্রামে চলে গেছেন, তারমধ্যে ১০ শতাংশ শ্রমিক আর কারখানায় ফিরে আসেননি। এতে পোশাক প্রস্তুত বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ফলে উৎপাদন ও রপ্তানি কমে গেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশে প্রচুর ক্রয়াদেশ আসছে। কিন্তু উৎপাদনের জন্য কারখানায় কারিগরি ও দক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে। সব মিলে পোশাক কারখানাগুলোয় ১৫ শতাংশ শ্রমিক ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু দেশে উচ্চশিক্ষিত ও এমবিএ পাস লোকের অভাব নেই। এজন্য দেশে বিশেষায়িত ও কারিগরি শিক্ষিত বাড়াতে হবে। প্রয়োজন খাতভিত্তিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট।’

সামনে করপোরেট ঋণে বড় ঝুঁকি আছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘উন্নত দেশ হতে হলে বিনিয়োগ বাড়াতে হয়। চলমান রাখতে হবে অর্থনৈতিক কার্যক্রম। এজন্য ব্যাংক ঋণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্যাংকগুলো বড় ঋণ থেকে ছোট ঋণের দিকে এগোচ্ছে। সামনে করপোরেট ঋণে বড় ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। তাই আমরা ছোট ঋণে ব্যাংকগুলোর মনোযোগ বাড়াতে চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত ছোটদের ঋণ দিতে ব্যাংকগুলোকে বাধ্য করা।’

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। কম্প্রিহেনসিভ অর্থনৈতিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে হবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে হবে। যেমন ভিয়েতনামের মতো দেশ ইতিমধ্যে ৩২টি দেশের সঙ্গে এফটিএ করেছে। আর চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ, টেকসই প্রভৃতির বিষয়ে অধিক মনোযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন খাতভিত্তিক উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করতে হবে। বিশেষ করে কৃষি, প্রকৌশল, প্রযুক্তি, আইন, গবেষণা ও ভ্যাট প্রভৃতি খাতে বিশেষ প্যানেল নিয়োগ দিতে হবে।’

মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউয়ের সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সংখ্যালঘু ইস্যুতে বাংলাদেশের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাল দিল্লি

‘ক্রিকেটাররা আমাকে ন্যুড পাঠাত’, বিস্ফোরক ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

নালিতাবাড়ীতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক

পারদর্শী হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, স্থিতিশীল হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক: ভারতীয় বিশেষজ্ঞ

পরপর সংঘর্ষে উড়ে গেল বাসের ছাদ, যাত্রীসহ ৫ কিমি নিয়ে গেলেন চালক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত